পার্টঃ১৭
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
।।।।।
।।।।।
।।।।।
আমি চলে আসলাম হোল্ডার বিল্ডিং এর সবচেয়ে গ্রাউন্ড ফ্লোরের উপরের তলায়। মাটির নিচে এতোগুলো ভবন যে কিভাবে বানানো হয়েছে সেটাই আমার মাথায় যাচ্ছে না। তবে যেভাবেই বানাক না কেনো অনেক কষ্টের কাজ ছিলো এটা সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। মাটির নিচে মোট ১০ তলা রয়েছে। সবগুলো ঘুরে এখনো আমার দেখা হয়নি। তবে এখন যেখানে আছি সেটা হচ্ছে ট্রেনিং এর জন্য। দেওয়ালটা কি দিয়ে বানানো সেটা বুঝতে পারতেছি না। যা দিয়েই বানানো হোক না কেনো এটা সাধারন দেওয়ালের থেকে অনেক আলাদা। কারন আমাদের কোনো ক্ষমতা দিয়েও এই দেওয়ালকে ভাঙতে পারছি না। দেখতে দেখতে কিভাবে যে ১ টা মাস কেটে গেছে সেটা কে জানে। বাকি ইউনিভার্স থেকে আশা আমাদের সদস্যগুলো এখনো এখানেই আছে। অনু তো এখনো শুধু প্লান করেই যাচ্ছে কি করবে। আমাকে তো শুধু কাজ দিয়েছে আমার ক্ষমতাগুলোর ব্যবহার ভালো করে শিখতে। মোটামুটি আমি সেগুলোর ব্যবহারও শিখে গেছি। একটু পরই আমাদের টিমের সবাই চলে আসলো আমার ট্রেনিং রুমেই।
.
--আমি কি শুধু এভাবেই ট্রেনিং করে যাবো?(আমি)
.
-- নিরাম্বা এমন একটা প্রানী যার কাছে আছে হাজারো প্রানীর soul। তার কাছে আছে কালো ক্ষমতা। তাকে আমরা আমাদের টেলিপ্যাথি দিয়ে কিছুই করতে পারবো না। বরং তাতে আমাদেরই ক্ষতি হবে।(অনু)
.
--তাহলে কি করতে আমাদের তাকে হারানোর জন্য?(ডুইন)
.
--এমন না যে তাকে হারানো যায় না। নিরাম্বা সব সময় আলোতে ভয় পাই। অন্ধকার জায়গায় সে সব সময় আক্রমন করে। এমন না যে আলোতে নিরাম্বা দুর্বল হয়ে পরবে। তবে আলোতে তার চোখটা একটু দুর্বল হয়ে যায়। আর সে দেখতে কম পাই দিনে একটু।(অনু)
.
--তাহলে তো আমাদের দিনের সময় ওর উপরে বেশী আক্রমন করতে হবে।(হিমারো)
.
--হ্যা তবে দিনের সময় আক্রমন করলেও আমাদের আরো একটা জিনিস সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।(অনু)
.
--কি?(সুজেন)
.
--আমাদেরকে এনার্জি জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে তার উপরে আক্রমন করা যাবে না।(অনু)
.
--মানে কোনো এনার্জি ব্লাস্টার ব্যবহার করা যাবে না?(আমি)
.
--না তাতে করে সে আরো শক্তিশালী হয়ে যাবে। যদি একটা বোম ও ওর উপরে ফেলা হয় তাহলে সেটাই থাকা এনার্জি সে শুষে নিবে। কিংবা কোনো এনার্জি বল যদি তাকে মারা হয় সেটাও সে শুষে নিবে। এবং আরো শক্তিশালী হয়ে যাবে।(অনু)
.
--তাহলে আমরা আক্রমন করবো কি করে?(আমি)
.
--মিচেল আমাদের সাহায্য করবে। এমন কোনো অস্ত্র নাই যেটা মিচেল বানাতে পারে না। মিচেল তুমি নিরাম্বার জন্য নিজের মতো করে অস্ত্র বানাও। তবে সেগুলোতে যেনো কোনো এনার্জি না থাকে।(অনু)
.
--আর আমরা?(সুজেন)
.
--তুমি তো তোমার তলোয়ার রেডি রাখো। নিরাম্বার সেনাদের গলা কাটবা এক একটা করে।(অনু)
.
--নিয়াক আর হিমারো তোমরা দুজনে যাচ্ছো এস্টার ইউনিভার্সে।(অনু)
.
--সেখানে কেনো?(আমি)
.
--তোমাদের দুটো জিনিস নিয়ে আসতে হবে।(অনু)
.
--কি সেটা?(হিমারো)
.
--তোমাদের দুজনের ফোনে চেক করো।(অনু)
।।।
।।।
ফোন বের করে দেখলাম তাতে দুটো কলমের মতো জিনিস আছে। একটা হচ্ছে লাল আরেকটা হলুদ।
.
--এই কলম দুটো আনতে যেতে হবে?(আমি)
.
--হ্যা। আমাদের এই লড়াইয়ে আর সামনের লড়াইয়ে দুটো জিনিসের দরকার পরবে।(অনু)
.
--দুজনের হাতে এই ঘড়ি দুটো পরে নাও। আমি ইউনিভার্সাল টেলিপোর্টেশন মেশিনটাকে একটু এডভান্স করেছি।(সুজেন)
.
--হ্যা তোমাদের সেখানে যদি কোনো বিপদ হয় তাহলে শুধু ঘড়িতে চাপ দিয়ে বলে উঠবে টেলিপোর্ট। সাথে সাথে তোমরা চলে আসবে এখানে।(অনু)
.
--আর তোমরা কি করবে?(আমি)
.
--নিরাম্বা আসছে পৃথিবীর দিকে। আমরা চেষ্টা করবো তাকে হারানোর।(অনু)
.
--ডুইন ও আসুক আমাদের সাথে। আমরা তিন ছেলে এক কাজ করি আর তোমরা মেয়েরা এক কাজ করো।(আমি)
.
--ডুইনকে আমি ওর ইউনিভার্সের পৃথিবীতে পাঠাবো তোমার চেহারার সেই হৃদয়কে আনতে।(অনু)
.
--কি? আমি পারবো না সেখানে যেতে।(ডুইন)
.
--হিমারো চলো আমরা বেচে গেছি।(আমি)
।।।।
।।।।
সাথে সাথে সুজেন আমাদের টেলিপোর্ট করে দিলো। আমি আর হিমারো দুজনেই চলে আসলাম এস্টার ইউনিভার্সের পৃথিবীতে। ভেবেছিলাম আমাদের মতোই হয়তোবা সাধারন জায়গা হবে। কিন্তু আমি এই পৃথিবীকে দেখে অনেক অবাক হয়ে গেছি। টিভিতে চাইনিজ ছবি গুলোতে যেভাবে ভবিষ্যতের সিন দেখাই এটা তার থেকেও আধুনিক। আমরা টেলিপোর্ট হয়ে নেমেছি একদম পানির মধ্যে। এমন জায়গায় হয়তো টেলিপোর্ট হওয়ার অনুমতি নাই কারো। সাথে সাথে কতগুলো উড়ন্ত বাইক চলে আসলো। সামনেই বড় করে পুলিশ লেখা ছিলো। বুঝলাম আমাদের এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবেশ এদের একদমও পছন্দ হয় নি। পুলিশ গুলো আমাদের কিছু না বলেই হাতের বন্ধুক দিয়ে গুলি করলো। আর সেই গুলিতে আমাদের বিশাল কারেন্টের শক লাগলো। যার কারনে দুজনেই অজ্ঞান হয়ে গেলাম। জ্ঞান যখন ফিরলো আমি পরে দেখলাম একটা সাদা রুমের মধ্যে আটক আমি। ভালো ভাবে দেখলেই বোঝা যায় এটা একটা জেল। তবে অনেক উন্নত জেল এটা। আমার পাশেই দেখলাম হিমারো বসে আছে
.
--আরে হিমারো কি হলো কিছুই তো বুঝলাম না?(আমি)
.
--আমরা ভুলে টেলিপোর্ট হয়ে এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জেলখানার লেকের মধ্যে পরেছিলাম। যার জন্য পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করে এখানে রেখে দিয়েছে।(হিমারো)
.
--এটা কোনো কথা হলো? আর কি বললে জেলখানার লেকের মধ্যে। ঔটা একটা জেলখানার লেক ছিলো। দেখে তো মনে হচ্ছিলো পুরো প্রশান্ত মহাসাগর ছিলো ঔটা।(আমি)
.
--তোমার ধারনাও নেই এই পৃথিবীর অবস্থা কি হয়েছে। তুমি তো ঘুমাচ্ছিলে। সকালে খাবার খেতে গিয়ে এখানের এক লোকের কাছে শুনলাম। পুরো ২৪ বছরে এখানে অনেক চেন্জ হয়ে গেছে। এমন চেন্জ হয়েছে যেটা তুমি কোনো জায়গায় সম্ভব নয়। আর এখানের সব মানুষ তাতে অনেক সুখী।(হিমারো)
.
--আমার মনে হয় আমরা ভুল জায়গায় চলে আসছি। কারন অনু আমাদের যেখানে পাঠাইতে চাইছিলো সেখানে তো ব্লাক নাইটের রাজ চলছিলো। সেই ইউনিভার্সই তো ব্লাক নাইটের দখলে।(আমি)
.
--হয়তো। কিন্তু এখন আমাদের কে দেখতে হবে আমরা এখান থেকে কিভাবে বের হবো?(হিমারো)
.
--এখান থেকে কিভাবে বের হবে সেটা জানার আগে তো জানতে হবে আমরা কোথায় আছি?(আমি)
.
--হ্যা একটু পরই দুপুরের খাবারের জন্য আমাদের বের করা হবে। তখন আমরা আশে পাশের কারো সাথে কথা বলে জেনে নিতে পারবো।(হিমারো)
.
--তাহলে তো অপেক্ষা করতে হবে।(আমি)
.
--হ্যা।(হিমারো)
।।।।
।।।।
।।।।
কিছুক্ষন অপেক্ষা করলাম। তারপরই আমাদের লক করে দেওয়া দরজাটা খুলে গেলো এমনিতেই। সাদা ফ্লোরে হলুদ একটা আলো জ্বলতেছে। আর দেওয়াল থেকে আওয়াজ আসতেছে এই আলোকে ফলো করার জন্য।
.
--আমাদের এই আলোর পিছন পিছন যেতে হবে তাহলেই খাবার রুমে পৌছে যাবো।(হিমারো)
.
--তাহলে চলো যাওয়া যাক।(আমি)
.
--হ্যা। তুমি সেখানে গেলেই অবাক হবে।(হিমারো)
.
--কেনো?(আমি)
.
--আগে চলো তারপরই দেখতে পাবে।(হিমারো)
।।।
।।।
হলুদ আলোটার পিছু পিছু যেতে লাগলাম আমরা। আমি আসলেই অবাক হলাম যখন বিশাল একটা রমের মধ্যে চলে আসলাম। রুমটা এতো বড় যে এটার হয়তো শেষ আমার চোখ দিয়ে দেখতে পাচ্ছি না। পুরো রুমের দেওয়াল সাদা তাই দূরে আরো অনেক আছে বলে মনে হচ্ছিলো। আমরা লাইনে চলে আসলাম। সবচেয়ে কম লাইনের মধ্যে গিয়ে আমাদের দাড়াতে হলো। আর পাশেই বিশাল পাচটা লাইন আছে। ভিতরে খাবার কোনো মানুষ দিচ্ছে না। যেখানে আমরা লাইন করেছি সেটা আরো বড় রুম হবে হয়তো। ভিতরে বেশ কিছু রোবট দেখতে পেলাম। সে রোবট গুলো খাবার দিচ্ছে। একজন খাবার নিতে ৫ সেকেন্ডের লেট করলে তাদের গলায় থাকা একটা ছোট ডিভাইসে বেদনা দিতে শুরু করে। আমিও আমার গলায় হাত দিলাম। বুঝতে পারলাম সেটা আমার গলাতেও আছে।
.
--আচ্ছা হিমারো আমাদের লাইন এতো কম কেনো?(আমি)
.
--আমার শোনা মতে এই যে পাঁচ টা বড় লাইন দেখতেছো এটা এই ইউনিভার্সের সবার জন্য। আর আমরা যে লাইন ধরে আছি এটা হলো বাইরের ইউনিভার্সের জন্য।(হিমারো)
.
--আমরা যে প্লানেটে আছি তার জেলখানা যদি এতো বড় হয় তাহলে প্লানেটটা কত বড় হবে?(আমি)
.
--কি জানি। নাও আমাদের সময় চলে আসছে। ৫ সেকেন্ডের বেশী সময় লাগালে গলায় কিন্তু ব্যথা শুরু হবে।(হিমারো)
.
--হ্যা সেটা তো পাশের লাইনে দেখতেই পেলাম।(আমি)
.
--হুমমম চলো।(হিমারো)
।।।।
।।।।
দুজনে খাবার নিয়ে হাটতে লাগলাম। আমাদের বসার জন্য আলাদা বেঞ্চ ও আছে। সেখানে হয়তো এই ইউনিভার্সের কেউ বসবে না। আমি আর হিমারো যাচ্ছিলাম বসতে। তখনি পাশে দুজনের লড়াই দেখতে পেলাম। দেখলাম কোথা থেকে যেনো কয়েকটা উড়ন্ত রোবট এসে আশেপাশের সব বেঞ্চ সরিয়ে দিচ্ছে। বুঝলাম এখানে এখন একটা লড়াই হবে।
।
জামা কাপড়ে আন্দাজ করেছি যে সবারই এক একটা গ্রুপ আছে। আমার আর হিমারোর শরীরে হলুদ জামা। মানে আমরা বাইরের ইউনিভার্স থেকে এসেছি। আর বাকি সবার মধ্যে শুধু নীল আর লাল রং এর লোকজন দেখতে পাচ্ছি। লড়াইটা হচ্ছে আমাদের ইউনিভার্সেরই একজনের সাথে। সে দেখতে মানুষ না হলেও আকারে মানুষের মতই। তবে তার গায়ের রং অনেকটা মাছের রং এর মতো। আর লাল রং এর জামা পরা এক বিশাল দেহী পালোয়ানের মতো লোক যাকে দেখলে দানব দানব লাগে সে রেগে আছে মাছের মতো লোকটাকে মারার জন্য। আমি দানবটার মন পরার চেষ্টা করলাম। সাথে সাথেই বুঝলাম সে শুধু রেগে আছে কারন লোকটার মাছের মতো চেহারা তার ভালো লাগে না।
.
--নিয়াক আমার মনে হয় অবস্থা ভালো না। যে শরীর লোকটার তাতে তো এক ঘুষিতেই শেষ করে দিবে।(হিমারো)
.
--হ্যা।(আমি)
।।।।
।।।।
আমি সামনে আগাতে চাইছিলাম। কিন্তু তখনি দেখলাম একটা নীল জামা পরা মেয়ে চলে আসলো আর বলতে শুরু করলো।
.
--নিরীহ মানুষদের উপরে অত্যাচার করাটা তোমাদের মতো কাপুরুষই করতে পারে।(মেয়েটা)
.
--গুয়েন আমি চাই না আমাদের মধ্যে তুমিও চলে আসো। তোমার সাথে একটা চুক্তি হয়েছে আমার।(দানব লোকটা)
.
--জুরো তোমার সাথে যে চুক্তি হয়েছিলো সেখানে এটাও ছিলো কোনো নিরীহকে অত্যাচার বা মারধর করতে পারবে না।(গুয়েন)
.
--হ্যা কিন্তু এটা আমাদের ইউনিভার্সের না তাই আমাদের চুক্তি এখানে কাজ করবে না।(জুরো)
.
--তবে তো আমার সাথেই লড়তে হবে তোমার।(গুয়েন)
।।।।
।।।।
দেখলাম জুরো নামের লোকটা আর ঝগড়া করার মুডে নাই। তবে একটা চেয়ার তার হাতে ঠিকই পরেছিলো। আর সেটা জোরে করে ছুরে মারলো আমার দিকে। আমি প্রথমে সেটা থেকে সরতে পারলেও হিমারোর শরীরে লেগে যায় সেটা। আমি স্পিড মুডে চলে আসলাম এবং ওর হাত থেকে পরে যাওয়া খাবার গুলো সব ধরে এক জায়গায় রাখলাম। হিমারো পরে গেলো। বুকে লেগেছে চেয়ারটা। ভালোই ব্যথা পাইছে। ওর ব্যথা দেখে আমারও রাগ লেগে গেলো।
.
--ঔ ষাড় কুকুর।(আমার ডাকে দানব আকৃতির লোকটা তাকালো আমার দিকে)
.
--কার এতো বড় সাহস?(জুরো)
.
--আমার মনে হয় এই চেয়ারটা তোমার। নিজের জিনিস নিজের কাছেই রাখতে হয়।(আমি লোহার চেয়ারটার হাটল ধরে পুরো স্পিডে মারলাম জুরোর দিকে সেটা)
।।।
।।।
চেয়ারটা জুরোর পেটে লাগলো। এতো জোরে গেছে যে কে দেখবে সেটা। চেয়ারের আঘাতেই প্রায় ০.১৫ কিলো দূরে গিয়ে পরলো সে। আমি ভেবেছিলাম এতেই মনে হয় শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু না ব্যাপারটা যে খারাপের দিকে যাবে সেটা কে জানো। জুরো জোরে দৌড়িয়ে আমার দিকে চলে আসলো। আর এসেই আমার পা টা ধরে ফ্লোরে জোরে কয়েকটা আছাড় দিলো। যে আছাড় দিছে এতে তো মনে হয় অন্য কেউ থাকলে এতোক্ষন মারাই যেতো। কিন্তু আমি একটু আমার ক্ষমতা গুলো পরীক্ষা করে দেখতেছি। চাইলেই টেলিপ্যাথি দিয়ে ওকে শান্ত করে দিতে পারবো। তবে আমার তো দেখতে হবে আমাদের ১৫ জনের মধ্যে শেষের জনের কি ক্ষমতা ছিলো। কতোটা শক্তি ছিলো তার কাছে।
।
জুরো আমাকে যে কয়েকটা আছাড় দিয়েছে এতে করে আমার শরীরের কয়টা হাড্ডি ভেঙেছে সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে আমি ফিল করছিলাম আমার সারা শরীরে ব্যথা ছিলো। আমার কাছে যে হিলিং পাওয়ার ছিলো সেটাও আস্তে আস্তে কাজ করে দিয়েছে। কিন্তু রাত না হলে আমি পুরোপুরি সুস্থ হতে পারবো না। আমাকে উপর করে শুইয়ে দিয়ে জুরো আমার মুখে ঘুসি দেওয়া শুরু করলো। মারতে মারতে প্রায় আধমরাই বানিয়ে দিয়েছিলো আমাকে। তখন গুয়েন নামের মেয়েটা বলে উঠলো।
.
--জুরো ছেলেটা যে ভুল করেছে সেটার শাস্তি সে পেয়েছে এবার তাকে ছেড়ে দাও নাহলে ও মরে যাবে।(গুয়েন)
.
--এক মাত্র তোমার জন্য ওকে ছেড়ে দিলাম। তা নাহলে আমার উপরে আক্রমন করলো এমন কাউকে আমি কখনো ছেড়ে দি না।(জুরো)
.
--এতো তারাতারি কেনো? মাত্রই তো মজা শুরু হচ্ছিলো।(আমি কিছুটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম)
.
--এটা মনে হয় পাগল। এতো মাইর খাওয়ার পরেও হাসছে।(গুয়েন)
.
--শুধু তো মাইর খেলাম। এবার তো ফেরত ও দিতে হবে।(আমি)
।।।।
।।।।
আমার হাতটা জোরে করে ঝাকি দিলাম একটা। সাথে সাথে আমার হাত দুটো জ্বলতে লাগলো। আমার জ্বলন্ত হাত দেখে জুরো অনেকটা ভয় পেলো। কিন্তু আমার দিকে ঠিকই আক্রমন করতে আসলো। এবারো আমার পা ধরলে চাইছিলো। কিন্তু আমি সুপার স্পিডে ওর পিছনে চলে আসলাম সেকেন্ডেই। পিছন থেকে ওর পা টা আমি ধরলাম। এবং এলোপাথারি আছাড় শুরু করলাম। এরপর ওর বুকের উপর বসে ওর মুখে ঘুসি মারতে মারতে ভর্তা বানিয়ে দিলাম। দেখার মতো মুখ হয়েছিলো জুরোর। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। হয়তো আমার সুপার পাওয়ার দেখেই এর অবাক হচ্ছে। কিন্তু তখনি ঘঠলো আরেক ঘঠনা। পাশে গুয়েন নামের মেয়েটা একটা সুইচ চাপ দিলো আর সাথে সাথে আমার গলায় কারেন্টের শক লাগলো। যার জন্য আমি বেহুস হয়ে গেলাম।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন ১৮ তম পার্টের জন্য।😊😊😊