ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

ডাইভার্স ২ পর্বঃ ০৬

Bangla Dub Novels

 #ডাইভার্স#

#সিজন_2#

.

পর্ব:০৬

.

.

লেখক:হৃদয় বাপ্পী

.

.

আমার জ্ঞান ফেরার পর নিজেকে একটা রুমের মধ্যে পেলাম। শেষ যেটুকু মনে আছে সেটা হলো আমি টাইম লক রুম থেকে বের হওয়ার পর নিজের জ্ঞান হারিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। যেটার পর আর কিছুই মনে নেই। অবশ্য কিছু স্বপ্ন ও দেখেছি যতটা সময় আমি অজ্ঞান ছিলাম সে সময়ে। কিন্তু সে স্বপ্ন গুলোও ভুলে গেছি। একজন মানুষ দুই ধরনের স্বপ্ন দেখে। একটা মেমোরিব্যাল আরেকটা আনমেমোরিব্যাল। মেমোরিব্যাল স্বপ্ন হলো যেগুলো আমাদের মনে থাকে। আর আনমেমোরিবাল স্বপ্ন হলো যেগুলো দেখার পরে আমরা ভুলে যায়। যদি কেউ সে স্বপ্ন গুলো মনে রাখার কোনো যন্ত্র বা ডিভাইস তৈরী করতো তাহলে আমি অনেক খুশি হতাম। যাইহোক সময় পার হয়েছে অনেকটা। আমি এখনো জানি না এখানে কতটা সময় পার হয়েছে। আমি টাইম লক রুমে ছিলাম যেটার সময় আসল সময়ের থেকে ধীরে চলে। আমার আনুমানিক মতে আমি দুই বছরের মতো সময় সেখানে কাটিয়েছি। যেটার কারনে এখানে কতটা সময় গেছে সেটা আমি জানি না। ডার্ককিউমকে চারমাস সময়ের মধ্যে আক্রমন করার কথা ছিলো আমাদের। সেটা না হলে খুব শীঘ্রই আমাদের সোলার সিস্টেমে চলে আসবে ডার্ককিউম। ডার্ককিউম হচ্ছে ভয়ের রাজা। নিরাম্বাকে হারানোর পরে ডার্ককিউমকে হারানো আমাদের কাছে একটু কঠিন লাগছে। আমি সঠিক জানি না কিন্তু ডার্ককিউম নিরাম্বার থেকে অনেক শক্তিশালী হবে সেটা আমি অনুভব করতে পারছি। আমি শুধু অনুভব করতে পারছি না ব্লাক নাইটদের রাজা কতটা শক্তিশালী হবে।

।।।

।।।

ব্লাক নাইট ডাই এস্টার ইউনিভার্সের সবচেয়ে ভয়ানক একটা টিম। যারা নাইট নামক একটা গ্রহে অবস্থান করতো। তাদের রাজাকে ব্লাক নাইটদের রাজা বলা হয়। ধারনা করা হয় ব্লাক নাইটদের রাজা ইউনিভার্সদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী একটা যোদ্ধা। কিন্তু কেউ তার ক্ষমতা সম্পর্কে জানে না। ব্লাক নাইটরা পুরো ডাই এস্টারকে নিজের কবলে করে নিয়েছে। ডাই এস্টার ইউনিভার্সের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী গ্রহের মধ্যে ছিলো আমাদের, মানে প্রিন্স নিয়াকের। যেটার নাম দ্যা ব্লু আর্থ। কিন্তু সেটাকেও আমার বাবা মানে নিয়াকের বাবাকে হারানোর পরে গ্রহকে ব্লাক নাইটরা নিজের হাতের মুঠোই করে নেই। আর এখন পুরো ডাই এস্টার ইউনিভার্স ব্লাক নাইটদের। তারা নিরাম্বা এবং ডার্ককিউমকে ছেড়ে দিয়েছে প্রথমে এই ইউনিভার্সে ভয় তৈরী করতে। মূলত এই ইউনিভার্সে তেমন কোনো অস্ত্র নেই যেটার ভয় ব্লাক নাইটরা পাবে। বিশেষ করে এখানে ম্যাজিকের ব্যবহার নেই। এস্টার ইউনিভার্সে ম্যাজিক না থাকার কারনে এই ইউনিভার্সে ম্যাজিক ব্যবহারের ফলে সেটার ক্ষতিপূরনও দিতে হয়। যেমন কেউ এই ইউনিভার্সে একটা ম্যাজিক স্পেল ব্যবহার করলে সেটার বিনিময়ে তাকে কিছু হারাতে হবে। হারানোর বিষয়টা সাথে সাথে না হলেও কিছু সময়, এমনকি বেশ কিছু বছর পরেও হয়। কেউ যদি না বুঝে এই ইউনিভার্সে ম্যাজিকের ব্যবহার বেশী করে সেটার বিনিময়ে তাকে তার জীবন ও দিতে হবে। আমার ক্ষেত্রে এরকম একটা জিনিস হয়েছে। যখন নিয়াকের সকল ক্ষমতা আলাদা মানুষদের কাছে ছিলো, তখন আমি আসল শরীর লাভের জন্য একটা স্পেল ব্যবহার করেছি, আদৌও জানি না সেটা কিভাবে করেছি, কিন্তু হয়ে গেছে। সেটার কারনে আমি জীবিত থাকতে পেরেছি এবং নিয়াকের পরিচয় লাভ করেছি। আর এটা জন্য আমার মূল্যবান একটা জিনিস আমাকে হারাতে হয়েছে। আর সেটা হলো আমার অস্তিত্ব। হৃদয় বাপ্পী যেটা আমার আসল পরিচয় ছিলো, সেই পরিচয়ে আমাকে যারা চিনতো তারা সবাই আমাকে ভুলে যাবে। প্রথমে আমি চিন্তা করতাম তাহলে অনুই একমাত্র আমাকে কেনো চিনতো শুধু? পরে সেটারও উত্তর বের করেছি। কারন অনু আমার হৃদয় বাপ্পী পরিচয় ভুলে গেছে বাকি সবার মতো। আর এজন্য অন্য ইউনিভার্সের আমার মতো দেখতে হৃদয় বাপ্পী যে কিনা রাজা হৃদয় টিটান/হারকিউমাস তার সাথে অনু খুব সহজেই রিলেশনে পরে গেছে। আমি যদি আমার অস্তিত্ব না হারাতাম তাহলে অনু কখনো সেটা ভাবতো না। কারন সেটার ফলে সে তার বফের মধ্যে নিজের ভাইকে দেখতো। আর কোনো মেয়ে চাইবে না সে তার ভাইয়ের মতো দেখতে কারো সাথে সম্পর্কে যাক।

।।।

।।।

যাইহোক আমার মাথা অনেক দ্রুত কাজ করলো এতোক্ষন। আমি চিন্তা ভাবনা বাদ দিলাম। এতোক্ষন বসে ছিলাম জেট বিমানে, যেটা মহাকাশে উড়ছে। আমাদের সবার গন্তব্য সোজা ডার্ককিউমের কাছে পৌছে যাওয়া। আমি অজ্ঞান হয়ে নিজে একটা রুমের মধ্যে আবিষ্কার করেছিলাম, যেখান থেকে বের হওয়ার পর বুঝতে পেরেছিলাম দুটো মাস সময় পার হয়েছে। আর সবাই ডার্ককিউমের সাথে লড়ার জন্য প্রস্তুত ছিলো। আমি জ্ঞান থেকে ফেরার পরের দিনই আমরা রওনা দিয়েছি মহাকাশে। আমাদের জেট বিমান আল্ট্রা স্পিডে এক সোলার সিস্টেম থেকে আরেক সোলার সিস্টেমে যেতে পারে। রেনো এবং হায়ান দুজনেই জেটকে পুরো উন্নত বানিয়ে দিয়েছে, যেটার ফলে এক ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন হয় এক সোলার সিস্টেম থেকে অন্যটায় যেতে। এরকম প্রযুক্তি এখনো পৃথিবীতে তৈরী হয় নি। আমার মনে হয় আরো কয়েক হাজার বছর লাগবে এই পৃথিবীর মানুষদের এটা তৈরী করতে। কিন্তু বলতে হবে মিচেল, হায়ান, রেনোর গ্রহ অনেক উন্নত। যেটা কল্পনাও করতে পারছি না। তাদের তিনজনের পুরো ক্ষমতা আমি এখনো দেখি নি। তিনজনই ট্যাকনোলজি ব্যবহার করে লড়াই করে। তবে তিনজনের ফাইটিং স্টাইল নিরাম্বার সাথে লড়ার পর থেকে চেন্জ করেছে। আমি সঠিক বলতে পারবো না তারা এখন কিভাবে লড়বে কারন আমি তাদের সাথে বেশী সময় কাটায় না। আমাদের ডাইভার্স টিমে আমরা এখন এগারো জন আছি।

।।

।।

আমাদের এক এক জনের ক্ষমতা এক এক রকম। প্রথমে আসা যাক আমার অনুর ব্যাপারে। আমার এবং অনুর ক্ষমতা প্রায় একই। কিন্তু দুজনের মধ্যে আমি বেশী শক্তিশালী। কিন্তু অনু যখন হলুদ কলম দিয়ে অস্ত্র এবং আর্মার তৈরী করে তখন সে আমার থেকে আরো অনেক শক্তিশালী হয়ে যায়। আমাদের ক্ষমতা অনেক গুলো রয়েছে, দুজন টুইন বলে অধিকাংশ ক্ষমতায় আমরা দুজনই পেয়েছি, কিন্তু আমার থেকে কিছু কম ক্ষমতা রয়েছে অনুর। আমার ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে সুপার স্পিড, টেলিকাইনেনিস(সাইকি), ট্যালিপ্যাথি, সুপার পান্স(যেটায় হাতে আগুন হয়), ফরসাইট(ভবিষ্যতের দৃশ্য দেখা), লাউড ভয়েজ, আল্ট্রা হেয়ারিং(কানে বেশী শোনা), এনার্জি বা চি যেটা দিয়ে এনার্জি বল তৈরী করা যায়, এ্যালকেমি(যেটা স্পেল তৈরীতে কাজে লাগে), ব্লাক পাওয়ার, গোস্ট ফর্ম, এছাড়াও কিছু ক্ষমতা আছে যেগুলো আমার অজানা। আমার অজানা ক্ষমতা গুলো আমি এখনো বের করতে পারি নি।

।।।

।।।

অন্যকে ডুইন যে কিনা যে কোনো জিনিস সে বস্তু হোক বা ব্যাক্তি সব কিছুকে তার নির্দিষ্ট জায়গায় আটকিয়ে রাখতে পারে, তার এই ক্ষমতার কারনে সে যে কাউকে বা যেকোনো কিছুকে আটকিয়ে রাখতে পারে তাদের একই অবস্থানে। তাছাড়াও সে চি বা এনার্জির ব্যবহার করে এনার্জি বল তৈরী করতে পারে হাত দিয়ে। যেটা অনেক মারাত্মক। 

অন্যদিকে হিমারো যে কিনা একজন Soul হান্টার। হিমারো মূলত কালো শক্তিকে এবজোর্ব করতে পারে। যত Evil Soul তার কাছে আসবে সে সেটাকে এবজোর্ব করতে পারবে। এছাড়াও সে অন্য কারো ক্ষমতা তাদেরকে স্পর্শ করে ব্যবহার করতে পারে। যেমন সে যদি আমাকে স্পর্শ করে তাহলে আমার থেকে একটা ক্ষমতা নিয়ে সে ব্যবহার করতে পারবে। এটা দশ মিনিট পর্যন্ত স্থির থাকে। দশ মিনিট পর সে সেই ক্ষমতা বাদে অন্য একটা নিয়ে ব্যবহার করতে পারবে। 

মিচেল রেনো এবং হায়ান তিনজনই টেকনোলজিক্যাল সাইকোপ্যাথ। তিনজনই সাইন্সের অস্ত্র দিয়ে লড়তে পছন্দ করে। রেনো মূলত রোবট বানিয়ে সেটা দিয়ে লড়তে পছন্দ করে, মিচেল এবং হায়ান মারাত্মক অস্ত্রের ব্যবহার করে।

।।

।।

সুজেন একজন হান্টার, যে তার গ্রহে বিশাল বিশাল ডাইনোসর হান্ট করে। সুজেন এর শারিরীক ক্ষমতা আমদের টিমের মধ্যে সবচেয়ে বেশী। সুজেন এর উপরে কোনো এট্রিবিউট ক্ষমতা কাজ করে না, যেমন পানি আগুন। তার শরীর এতোটা শক্তিশালী যে আগুনও কিছুই করতে পারে না। কিন্তু দেখতে অনেক রোগা পাটলা এবং সুন্দরী।

।।

।।

গুয়েন যে কিনা আমার আর অনুর বাবার সেনাপতির মেয়ে, তার ক্ষমতা গুলো এখনো আমার অজানা। হয়তো আমাদের মতো কিছু ক্ষমতা তার কাছে আছে। জেলখানায় যেহেতু সে একটা টিমের লিডার ছিলল তাই বলায় যাচ্ছে অনেক শক্তিশালী হবে সে। অবশ্য এখানে জেলখানা আসলো কিভাবে সেটাও উল্লেখ করছি, Pens of Eyes আনার জন্য ডাই এস্টার ইউনিভার্সে একটা প্লানেটে টেলিপোর্ট হয়ে গিয়েছিলাম যেখানে আমার বাবা রাজা ট্রিটোনিয়াম বন্ধী ছিলো। আর সেই পুরো প্লানেটটায় একটা জেলখানা ছিলো যেখানে ব্লু আর্থের সবাইকে বন্ধী করে রাখা হয়েছিলো।

।।

।।

প্রেয়া যে কিনা পশু পাখির ব্যবহার করে লড়াই করে। তার ক্ষমতা আমার অনেক ভালো লাগে, কারন সে যেকোনো পশু পাখি ডাকতে পারে তার Summon ক্ষমতা দিয়ে। তার ডাকা পশু পাখি গুলো যেকোনো জায়গায় টেলিপোর্টেশন গেইটের মাধ্যমে চলে আসে তার কাছে। আর পশু পাখি গুলোর আকারও অনেক বিশাল হয়। সাধারনত একটা বাঘের আকারই পুরো একটা মাঝারি হাতির সাইজের হয়। যেটা অনেক ভয়ঙ্কর হয়।

।।

।।

শেষ মেষ আসে হৃদয়, যে কিনা অন্য ইউনিভার্সের। সে নিজেকে রাজা হারকিউমাস/হৃদয় টিটান বলে দাবী করে। আমি জানি না এরকম হাস্যকর নাম সে পেয়েছিলো কোথায়, তাকে কিছু বললে সে লেখকের দোষ বলে এরিয়ে যায়। যাইহোক তার ক্ষমতা দুটো এট্রিবিউট। সে পানি এবং আগুনকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে। এমন না যে সে তৈরী করে পানি এবং আগুন, বরং সে অন্য জায়গার আগুন এবং পানি নিজের কাজে ব্যবহার করে। এছাড়াও সে পানির যেকোনো প্রানীকে নিজের কনট্রোলে করতে পারে, তাদের সাথে কথাও বলতে পারে। তার কাছে ব্লাক ম্যাজিকের পাওয়ার ও আছে। আর সে যেকোনো জড় বস্তুর মাঝে জীবন দিতে পারে, যেটা অনেকটা ম্যাজিক স্পেলের মতো। তাছাড়াও তার কাছে আমার Pens of Eyes আছে যেটা কিনা একটা তলোয়ারের রূপে আছে। আমি ফেরত চাই না সেটা আর। তার কাছে আছে মানে সেটার মালিক সেই। কারন তলোয়ারটা নিজেই আমাকে সেটার মালিক হিসাবে মেনে নিবে না।

।।।

।।।

এই আমাদের এগারো জনের টিম। যেটা নিয়ে আমরা এখন ডার্ককিউমের কাছে যাচ্ছি তাকে হারাতে। সত্য বলতে ডার্ককিউম কিরকম দেখতে সেটাও আমি জানি না। তার আকার কতটুকু সেটা সম্পর্কেও ধারনা নেই আমার। মিচেল একটা রেডার তৈরী করেছে শুধু সেখানে ডার্ককিউম এর এনার্জির সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছে যেটা অনুসরন করে আমরা স্পেশে উড়ছি। মূলত মহাকাশে ঘোড়ার ইচ্ছা আমার নিজেরও নেই কিন্তু এই ব্যাপারে মিচেল এবং হায়ান এক্সপার্ট। তাই দুজনেই আমাদের জেটটাকে উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে ডার্ককিউমের কাছে।

।।।।

।।।

।।

(((চলবে)))

।।

।।।

।।।।

অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য।

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.