*ভূতের প্রেম*
পার্ট:2
লেখক: হৃদয় বাপ্পী
।
।
বুঝলাম না এতো মিলে কেনো এই মেয়ের চিহারা।দেখি কাউকে বলে দেখি কেউ চিনে নাকি।আমার খালাত ভাই সাজেন কে দেখলাম আমার রুমের সামনে দিয়ে যেতে,তাই ডাক দিলাম।
-এই সাজেন একটু শুনে যাতো ভাই।(আমি)
-হ্যা কি বলবা বলো।(সাজেন)
-না মানে একটু আগেই এখান দিয়ে আমার বয়সী একটা মেয়ে গেলো কেরে ওটা।(আমি)
-কৈ আমি তো কোনো তোমার বয়সী মেয়ে দেখি নাই।(সাজেন কিছু একটা ভেবে বলল)
-ও তাহলে দেখোস নাই।কিন্তু আমি তো এই মাত্র দেখলাম।(আমি)
-ভাইয়া তুমি মনে হয় ভূত দেখছো।(সাজেন হেসে বলল)
আমি তো ভয় পেয়ে বললাম,
-দুর দিনে ভূত আসবে কোথায় থেকে।
-না ভাইয়া এখন কিন্তু ভূতের শক্তি বেশি হয়েছে যার জন্য এখন তাদের দিনে ও দেখা যায়।(সাজেন)
-আমি আশে পাশে একটু দেখে ভয়ে ঢোক গিলে সাজেন কে বললাম,
-দুর আমি ভূত দেখে এখন আর ভয় পাই না।অনেক সাহসী হয়ে গেছি।(আমি)
-হুমমম আজকে রাতে দেখা যাবে।তোমার বউ এর ভূত দেখে কেমন ভয় পাও।(আসতে আসতে বলল সাজেন)
-কিছু বললি তুই।(আমি)
-না ভাইয়া কিছুই বলি নাই।ও ভাইয়া তুমি থাকো আমাকে আম্মু ডাকছে।(সাজেন)
-ও আমাকে একা রেখে জাস না।(আমি)
-তুমি কি দিনে ও এখন ভয় পাও নাকি।যে একা থাকতে পারবা না।(সাজেন)
-না না আমি একাই থাকতে পারবো।আমি এখন আর ভয় পাই না বুঝলি।
-আচ্ছা থাকো।
সাজেন চলে গেলো।আমি আমার আর আমার ময়নার সব সৃতি গুলা দেখতেছি।ইসসস আজকে ময়না থাকলে কেউ আমাকে ভয় দেখাতে পারতো না।আমি কতোক্ষন ওর কথা মনে করে কান্না করলাম।আমার মনে হলো পিছনে দারিয়ে কেউ কান্না করছে।তাই পিছনে ফিরলাম।দেখলাম আবার ও সেই মেয়েটা কান্না করতে করতে চলে গেলো।ভাবলাম পিছু নিবো।কিন্তু যদি ভূত হয় তাহলে তো আমাকে মেরে ফেলবে।সাজেন তো বলল ভূতের পাওয়ার এখন দিনে ও কাজ করে।তাই আমাকে সাবধান থাকতে হবে।
সন্ধায় নিচে এসে সবার সাথে কথা
বলতে লাগলাম।আর মেয়েটাকে ও খুজতে লাগলাম কিন্তু পেলাম না।অনেক খুজলাম।পুরা বাড়ি খুজে ও পেলাম না।আমার খুজা দেখে আমার খালাত ভাই বোনরা আমার উপর হাসাহাসি করতে ছিল।মেয়ে টাকে না পেয়ে আমি ভয় পেয়ে গেলাম।তাহলে কি সত্যি ও একটা ভূত।আমি ভূত দেখছি এখন আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।দুর ভূত হবে না।আশে পাশের কোনো এক মেয়ে হবে আমার চিন্তার কোনো কারণ নাই।তাই আমি আর অতো না ভেবে সবার সাথে গল্প করতে বসলাম।আমি বুদ্ধি করে সবার মাঝে বসলাম যাতে ভূত আসলে ও আগে আমাকে না ধরে ও দের ধরে আর আমি সুযোগ মতো পালাবো।তো গল্প করার পর রাতের খাবার খেয়ে আমরা সবাই ঘুমানোর জন্য যার যার রুমে চলে গেলাম।আমার আর নিথির রুমে আমি ছাড়া কেউ থাকে না।রুমটা অনেক সুন্দর করে সাজানো।যেভাবে আমার ময়না সাজাতো ঠিক সেইভাবেই সাজানো আছে রুমটা।আমি কিছু না ভেবে টয়লেট থেকে হালকা হয়ে এসে একাই ঘুমিয়ে পরলাম।রাতে একটাই ঘুম ভাঙলো আমার।
।
আমার মনে হলো কেউ আমাকে জরিয়ে ধরে আছে।আমিতো ঘুমানোর সময় রুম আটকিয়ে দিসি। আমার রুমে তো আমি ছাড়া কেউ আসে না।তাহলে কি ভূত।কিন্তু ভূত আমাকে জরিয়ে ধরবে কেনো।ভূত তো আমাকে মেরে ফেলবে।কিছুই ভাবতে পারছি না।আমি ভয়ে নরতে ও পারছি না।মনে হয় ভূত ঘুমিয়ে পরছে।একটু নড়া দিলেই আমাকে মেরে ফেলবে।না আমি চোখ খুলবো না।যদি জেগে থাকে তাহলে আমি ঘুম থেকে উঠছি দেখলে আমাকে মেরে ফেলবে। আমি আম্মুকে ডাক দিতে চাইলাম।কিন্তু যদি এই ভূত জেগে যায় তাহলে আমাকে মেরে ফেলবে আমি মরতে চাই না।কি আর করার আবার ও ভয়ে ঘমিয়ে পরলাম।সকালে উঠে দেখি মেয়েটা নাই।রুম টাও আটকানো ভিতর থেকে।তাহলে সত্যি ভূত ছিল।আমি তাহলে ভূতের সাথে রাতে ঘুমাইছি।ভাবতেও অবাক লাগছে যে আমি ভূত কে আমি ভূতকে এতো ভয় পাই তারপরও একটা ভূত আমাকে কালকে জরিয়ে ধরেছে আর আমি তার সাথেই ঘুমাইছি।কতটা সাহসী হয়ে গেছি আমি। সবাই শুনলে অবাক হবে। নিচে এসে সবার সাথে কথা বললাম।নাস্তা করলাম।ওই ভূতের কথা কাউকে বললাম না যদি আমাকে সবাই পাগল ভাবে তখন ৃি করব।্ওই ভূতটা যখন আমাকে জরিয়ে ধরছে তখন মনে হয়ছে খুব আপন মানুষ আমার।আজকে যদি আবার আসে দেখেই ছারবো।কথা ও বলবো।
।
।
আজকে রাতে ও ঘুমালাম।রাত ১২ টার দিকে মনে হলো কেউ একজন বিছানায় আসলো।আমাকে জরিয়ে ধরলো।আমার কপালে একটা পাপ্পি দিল তারপর শুয়ে পরলো আমি ভাবলাম কথা বলে দেখি।কিন্তু খুব ভয় লাগলো কথা বলতে।একটা ভূতের সাথে কেমনে কথা বলি।চোখ টা আজকে সাহস করে খুললাম।যা হবার হবে কিন্তু আমি দেখবো।আমি ওকে দেখে অবাক।এতো আমার নিথির কপি পুরা।একদম চেহারা পাল্টাই নাই।সেই ছোট বেলার চেহারা।আমি ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম।দেখলাম ও আমার দিকে তাকিয়ে আছে এখন।জোৎনা রাত জানলা দিয়ে আলো আসায় সব স্পষ্ট দেখা যাচচ্ছে।
-কে তুমি।তোমার চেহারা টাকে এতো পরিচিত মনে হচ্ছে কেনো।(আমি ভয়ে ভয়ে বললাম)
-(কিছুই বললো না)
-কি হলো বলো কে তুমি।(আমি)
-একদম চুপ আমাকে মন ভরে দেখতে দাও।(ভূত)
-(ভয়ে আর কিছুই বললাম না)
।
।
অনেকক্ষন পর ভূত বলল,
-তোমার তো বউ ছিল সে কোথাই?(ভূত)
-অনেক। আগে না ফেরার দেশে চলে গেছে।(আমি)
-ও তাহলে সবাই তোমাকে বলছে আমি মরে গেছি।(ভূত)
-তুমি মরে গেছো মানে
-আরে আমিই তো তোমার ময়না।।(ভূত)
-কিন্তু তুমি তো মরে গেছো।(আমি)
ভূত কি জানি ভাবলো,
-হুমমম মরে গেছি।কিন্তু আমার জামাইকে ছাড়া একা কিভাবে থাকি।এজন্য ভূত হয়ে তোমাকে মেরে আমার সাথে নিয়ে যেতে এসেছি।(ভূত)
-কি বলছো এইসব আমাকে কেনো মারবা।(আমি ভয়ে বললাম)
-তোমার জন্য আমি মারা গেছি এখন তো তোমার ও মরতে হবে তা না হলে আমরা এক হতে পারবো না।(ভূত)
।
।
।
।
(চলবে)