ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

জেদি বউ ২ পর্বঃ ১৪

Bangla Dub Novels
 *জেদি বউ ২*
পার্ট:14
লেখক:Hridoy Bappy।
।।।।।
।।।।।
:-তাহলে এখন সব খুলে বলো কি কি হয়েছিলো।(আমি)
.
:-আসলে সেদিন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।তোমাকে আরো আগে থেকে বলি।আমাদের বিয়ের পর থেকে একটা ছেলের সাথে ফেসবুকে আলাপ হয়।ও কিছুদিন কথা বলার পর আমাকে প্রপোজ করে।কিন্তু আমি ওকে বলে দি আমি বিবাহিত।তারপরও কিছুদিন বিরক্ত করে।পরে ব্লোক করে দিলাম।কিন্তু পরে আবার আরেকটা আইডি খুলে সরি বলে দেই।:-আসলে সেদিন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।তোমাকে আরো আগে থেকে বলি।আমাদের বিয়ের পর থেকে একটা ছেলের সাথে ফেসবুকে আলাপ হয়।ও কিছুদিন কথা বলার পর আমাকে প্রপোজ করে।কিন্তু আমি ওকে বলে দি আমি বিবাহিত।তারপরও কিছুদিন বিরক্ত করে।পরে ব্লোক করে দিলাম।কিন্তু পরে আবার আরেকটা আইডি খুলে সরি বলে দেই।(মেঘলা)
.
:-তারপর।(আমি)
.
:-তারপর ফ্রেন্ডশিপ করতে চাই।আমি ও রাজি হয়ে জাই।২ মাসে খুব ভালো বন্ধু হয়ে যাই আমরা।আমার সব কথা শেয়ার করতাম ওর সাথে।তোমার সাথে যে হানিমুনে যাবো এইটা ও বলেছিলাম।ও বলছিলো দেখা করবে আমাদের সাথে।আমি ও অনেক খুশি হয়েছিলাম।ভাবলাম তোমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো(মেঘলা)
.
:-ও তারপর কি হলো।(আমি)
.
:-তারপর আমরা যেদিন পাহাড়ে গেলাম।সেদিনই আমাকে কেউ যেনো বেহুশ করে ফেললো।(মেঘলা)
.
:-কে করেছিলো।(আমি)
.
:-আমি দেখতে পারি নাই।কিন্তু যখন আমার জ্ঞান ফিরলো তখনই আমার পাশে একটা ছেলে ছিলো।কিন্তু আজব সেটা তুমি ছিলা না।(মেঘলা)
.
:-তাহলে।(আমি)
.
:-ঔটা ছিলো আকাশ।(মেঘলা)
.
:-ও তোমাকে চিনলো কিভাবে।তুমি কি ওকে তোমার পিক দিয়েছিলা আগে।(আমি)
.
:-না ও আমাকে চিনে নাই।আমি পরিচয় দেওয়ার পরই ও আমাকে ওর পরিচয় দিলো।(মেঘলা)
.
:-কিন্তু ও আমাকে যা বললো তার জন্য আমি মটে ও প্রস্তুত ছিলাম না।(মেঘলা)
.
:-কি বলেছিলো ও।(আমি)
.
:-তুমি নাকি মারা গিয়েছো।তোমার বডি নাকি পাওয়া যাচ্ছে না।তুমি নাকি পাহাড় থেকে পড়ে গিয়েছিলে।(মেঘলা)
.
:-তুমি তো জানো এইসব তাহলে এই কথা বাবা-মা কিংবা পুলিশকে বলো নাই কেনো।(আমি)
.
:-আমি ভয়ে ছিলাম সেদিন আকাশ আমাকে বলেছিলো যে,আমি আর তুমি এক সাথে এসেছি।যদি তোমার কিছু হয়ে যায় তাহলে তো সবাই আমাকেই সন্দেহ করবে।আরো অনেক কিছু বলে ও আমাকে এইসব বলা থেকে বিরত থাকতে বলে।আকাশ কে অনেকটাই বিশ্বাস করতাম আমি।জানো অনেক কষ্টে ছিলাম আমি।সেই সময় আকাশই আমার সাহায্য করেছে।আমি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না বাসায় এসে কি করবো।এমনি তেই তোমাকে হারানোর কষ্টটা ভুলতে পারছিলাম না।তখন আকাশই আমাকে শান্তনা দিয়েছিলো।আমাকে দিয়ে বাসায় ফোন করিয়ে বলেছিলো যে তুমাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।(মেঘলা)
.
:-তুমি কি একটু ও বুঝতে পারলা না যে এইসব আকাশের চাল ছিলো।(আমি)
.
:-না ও এইসব কেনো করবে।(মেঘলা)
.
:-আকাশ তোমাকে ভালোবাসতো প্রপোজ ও করেছে।আমি বেচে থাকতে তো আর তোমাকে পাবে না।তাই আমাকে মারতে গিয়েছিলো।মেরেই ফেলেছিলো কিন্তু আমার ভাগ্যটা ভালো ছিলো যার জন্য আমি বেচে গিয়েছি।(আমি)
.
:-আকাশ আমাকে অনেক বলেছিলো যে এইসব যেনো কেউ জানতে না পারে।যদি পারে তাহলে আমিই তোমাকে মেরে ফেলছি এই মিথ্যা কথা বলে দিবে।তাই আমি ভয়ে কাউকে কিছুই বলি নাই।কিন্তু আসতে আসতে তোমাকে ভুলে গেলাম।কেনো জানি আকাশকেই অনেক ভালো লাগতে লাগলো।বেচারা আমাকে পাওয়ার জন্য চার বছর অপেক্ষা করছে।তাই আমি রাজি হয়ে গিয়েছিলাম।আমি সত্যি জানতাম না যে তুমি বেচে আছো।যদি জানতাম তাহলে কখনই এই কাজ করতাম না।প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।(মেঘলা)
.
:-তোমাকে মাফ করে দিলাম।(আমি)
.
:-আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো তাই রাগ করতে পারবা না।(মেঘলা)
.
:-হুমমমম মাফ করেছি।তাই বলে এটা না যে তোমাকে তালাক দিবো না।যে মেয়ে তার স্বামীর লাশ না দেখেই তাকে মৃত মনে করে অন্য পুরুষের সাথে প্রেম করে আবার বিয়ে ও করতে চাই তাকে আমি আমার বউ হিসাবে মানি না আর মানবো না।সো ভালো থাকো তোমার আকাশকে নিয়ে।(আমি)
.
:-প্লিজ এমন করো না আমার সাথে।হৃদয় আমি তোমাকে ভালোবাসি।(মেঘলা)
.
:-না হৃদয় হবে না সেখানে আকাশ হবে।আর পারলে নিজের বাসায় চলে যাও।এটা আর তোমার বাসা না।(আমি)
।।।।।।।।
আমি চলে আসলাম।মেঘলা শুধু কান্না করতে থাকলো।এই কষ্ট তাকে পেতেই হবে।থানায় চলে আসলাম।
.
:-নিলয় ধরেছিস নাকি আকাশ কে।(আমি)
.
:-হুমমম ওর খাতির করা হচ্ছে লক আপে।(নিলয়)
.
:-কিছু বলেছে নাকি।(আমি)
.
:-কিছু বলতেই দি নাই।আগে মুখ বন্ধ করে মেরে নিয়েছি।এখন একটু রেস্ট দিয়েছি।(নিলয়)
.
:-ও তাহলে চল একটু কথা বলে আসি।(আমি)
.
:-হুমমম চল।(নিলয়)
।।।।।
লকআপের ভিতর চলে আসলাম।হায় হায় মেরে একদম ভর্তা বানিয়ে দিয়েছে নিলয়।
.
:-তাহলে মি:আকাশ মার কি কম হয়েছে নাকি আরো মার খাবেন।নিলয় ওর মুখ খুলে দে একটু কথা বলতে দে।(আমি)
।।।
নিলয় ওর মুখ থেকে টেপ খুলে দিলো।
.
:-সার আমাকে এখানে ধরে আনছেন কেনো।আর এভাবে কেউ কি মারে নাকি।আমি কি করেছি।(আকাশ)
.
:-কিছু করেছিস বলেই তো ধরে নিয়ে আসছি।(নিলয়)
.
:-সার আমাকে ছেরে দিন আমি কিছুই করি নাই।(আকাশ)
.
:-এই ছবিটা দেখ।চিনোস নাকি ছেলেটাকে।(আমি)
।।।।।
আমার মোবাইলে আমার আগের ছবি দেখে অনেকটা অবাক হয়ে গেলো আকাশ।
.
:-না.... না.... না.... সার....আমি চিনি না এইটা কে।(তোতলায়ে বললো আকাশ)
.
:-দেখ যা হয়েছে আমরা সবই জানি।তুই যদি সহজ ভাবে স্বিকার করোস তাহলে তোকে কিছুই করবো না।যদি না করোস তাহলে আরো ভালো।১৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছে কোর্ট।এমন মাইর মারবো যে তোর বাপের নাম ও মনে থাকবে না।(মিথ্যা কথা বলে ভয় দেখালো নিলয়)
.
:-না সার মারবেন না আমি বলছি সব বলছি তাও আমাকে মারবেন না প্লিজ।(আকাশ)
.
:-হুমমম তাহলে একদম প্রথম থেকেই শুরু কর এক এক করে।(আমি)
.
:-সার আমি প্রথম মেঘলাকে দেখি ওর স্কুলের সামনে।প্রথম দেখাতেই খুব ভালোবেসে ফেলি।আমি আমার এলাকার বখাটে ছিলাম।তাই হয়তো ও আমাকে পছন্দ করবে না।এজন্য একদম নিজেকে চেন্জ করে ফেললাম।আমার বাবা-মা ও পারে নাই আমাকে বদলাতে।কিন্তু মেঘলাকে দেখার পর থেকে আমি বদলিয়ে গেলাম।আমি ভাবতে লাগলাম এমন সুন্দর মেয়ের তো অবশ্যই কোনো বফ থাকবে।যদি থাকে তাহলে আমি আর আগাবো না।তাই আমি ফেসবুকে ওর সাথে পরিচিত হলাম।কিছুদিন কথা বলে জানতে পারলাম ওর কোনো বফ নাই।তাই আমি আরো বেশী ভালোবাসা শুরু করলাম।একদিন বলেই দিলাম আমার মনের কথা।কিন্তু ও মানা করে দিলো।বললো যে ওর স্বামী আছে।বিয়ে হয়েছে এমন কি স্বামির পিক ও দিলো।আমার বিশ্বাস হলো না।অনেক বুঝালাম কিন্তু আমাকে ব্লোক করে দিলো।আমি ও ভাবলাম ভুলে যাবো ওকে।কিন্তু আমাকে যে হৃদয় এর নানা এমন একটা সুযোগ দিয়ে দিবে তা আমি ভাবি ও নাই।(আকাশ)
.
:-মানে হৃদয় এর নানা কেনো তোমাকে সুযোগ করে দিবে।(নিলয়)
.
:-হৃদয় আর মেঘলার বিয়েটা হৃদয় এর নানার পছন্দ মতো হয় নাই।তিনি মেঘলার পরিবারকে দেখতে পারেন না।তিনি তো অনেক বড় don তাই চাইলেই মেঘলাকে মেরে হৃদয় এর থেকে আলাদা করতে পারতেন।কিন্তু তার মেয়ের কাছে তিনি খারাপ হয়ে যাবেন তাই তিনি আমার বড় ভাই আকাশকে contract দেই মেঘলাকে মারতে।কিন্তু ঘঠনাক্রমে আমি জেনে জাই।আমি হৃদয় এর নানা কে বল্লাম যে হৃদয়কে কিছুদিনের জন্য গুম করে দিন।আর সবাইকে বলেন সে মারা গেছে।তারপর আপনার নাত বউ এর বিয়ে আমার সাথে দিয়ে দিন।হৃদয় এর নানা আমার প্লান শুনে অনেক খুশি হলো।আর আমাকেই হৃদয়কে গুম করার দায়িত্ব দিলো।পাহাড়ে ও যখন হৃদয় দারিয়ে ছিলো তখন একটা কথায় শুধু মনে পরতে ছিলো।যদি হৃদয় বেচে যাই তাহলে মেঘলা আমার হবে না মেঘলাকে পাওয়ার জন্য আমাকে মেরে দিতে হবে হৃদয়কে।তাই আমি ফোন করলাম হৃদয়কে যাতে ও পিছনে না তাকায়।আর ধাক্কা মেরে ফেলে দিলাম।তারপর।
.
:-থাক আর পরের কিছু শুনতে চাই না আমি।সবই জানি মেঘলা কে ভুলভাল বুঝিয়ে নিজের ভালোবাসার ফাদে ফেলে দিস এই তো।(আমি)
.
:-হুমমমম সার।।।।প্লিজ আর মারবেন না।অনেক কষ্ট হয় পুলিশ এর মাইরে।(আকাশ)
.
:-আচ্ছা অপরাধীরা তো এতো তারাতারি সব স্বিকার করে না।তুই কেনো স্বিকার করলি।(নিলয়)
.
:-সার জানি পুলিশ অনেক মারে।কিন্তু কোনোদিন খাই নাই।আজ প্রথম খেলাম।১০ মিনিট মারছে তাতেই আমার অবস্হা খারাপ। আর ১৫ দিন মারলে তো আমি মরে যাবো।তাই মাইর না খেয়ে বলে দিলাম।শুধু শুধু মাইর খাবো কেনো।(আকাশ)
.
:-দেখ তুই যখন বলেই দিলি আসামী টা কে কে।এখন আর কি।হৃদয় এর কোনো খবর তো আর রাখোস নাই।যদি রাখতি তাহলে মাইর খাইতে হতো না।কারণ সেই হৃদয় টা আমি।(আমি)
.
:-কি।(আকাশ)
.
:-নিলয় পাচ দিন ওকে মাইরের উপরে রাখবি।সালাকে বুঝাবি পুলিশ কি।আর লাঠিটা দে তো একটু মনের জ্বালা মিটিয়ে নি।(আমি)
।।।।।।
লাঠি নিয়ে মনে জ্বালা মিটিয়ে নিলাম।এখন একটু শান্তি লাগতেছে তারপর ও এখন নানার সাথে কিছু কথা বলতে হবে।নানার সাথে কথা বললেই সব সমাধান হবে মনে হয়।
।।।।
।।।
।।
(চলবে)
।।
।।।
।।।।

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.