#ড্রাগন কিং#
পার্টঃ১
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
অন্ধকারের বুক চিরে আকাশে ভাসমান অবস্থায় রাস্তায় ওপরে এসে দাড়ালো কালো হুডি পরিহিত এক লোক,তার হাতে অসম্ভব সুন্দর ছোট্ট একটা বাচ্চা ছেলে। চাঁদের আলোতে ছেলেটির মুখখানা যেন আরো সুন্দর করে তুলেছে।
,
,
সেই বাচ্চাটি তার শরীরের সাথে পুরোপুরি ভাবে লেপ্টে রয়েছে। আর হুডি পরিহিত লোকটা বাচ্চাটির মুখের পানের দিকে এমনভাবে তাকিয়ে আছে,যেনো তাকে শেষ বারের মতো প্রাণভরে দেখছে। কিছুক্ষন সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেই,লোকটা তার নিজের গলার অদ্ভুত ধরনের লকেটটি খুলে,এরপর সেখান থেকে আগুনের লাভার মতো একটা লাল রঙের পাথরটি নিজ হাতে রাখল। তারপর অদ্ভুত লকেটটি বাচ্চাটির গলায় পড়িয়ে দিল এবং নিজ হাতের লাল রঙের চকচকে পাথরের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে,কিছু একটা মনে করে বাচ্চা ছেলেটির বুকের ওপর রাখে।
,
,
পাথরটি বাচ্চাটির বুকের ওপর রাখার সাথে সাথে পাথরটি বাচ্চাটির বুকের সাথে পুরোপুরি ভাবে মিশে গেল এবং বাচ্চাটার চোখ মুখ সহ পুরো শরীর জুড়ে লাল আলো দেখা দিল,সেই সাথে তার কপালে একটা চুমু খেল। চুমু খাওয়ার পরপরই সে দেখল যে,সেই রাস্তা দিয়ে তাদের দিকে একটা গাড়ি আসছে। আর সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হলো এতো দুর থেকেও সে অনেক ভালোভাবে লক্ষ করল যে,গাড়িটির ভেতরে দুজন মানুষ আছে।
,
,
ঢাকা শহরের টপ বিশিষ্ট বিজনেস ম্যানদের মধ্যে ১ জন আবু হানিফ মিয়া। তিনি তার স্ত্রী জোসনা বেগমকে নিয়ে ঢাকা শহর থেকে তাদের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তাদের টাকা পয়সা কোনো অভাব নেই। তাদের শুধু একটা জিনিসের অভাব,সেইটা হলো তাদের কোনো বাচ্চা নেই। এজন্যই তাদের মনটা সবসময় একটু খারাপ থাকে।
,
,
গাড়িটা যখন বাচ্চাটির কাছাকাছি আসল,ঠিক তখনই হুডি পরিহিত লোকটি অদৃশ্য হয়ে,বাচ্চা ছেলেটির কাছেই থাকল। হানিফ মিয়া তার গাড়ির স্পিড সাভাবিক রেখে গাড়ি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। হঠাৎ করে হানিফ মিয়া তার নিজের শরীরের সবোচ্চ শক্তি দিয়ে গাড়ির ব্রেক কসল।
,
,
যার ফলে,তারা ২ জনেরই মাথায় হাল্কা ব্যাথা পেল। ব্যাথা পেয়ে জোসনা বেগমের মুখ দিয়ে আহ্ শব্দ করে ওঠল। জোসনা বেগম নিজেকে সামলে নিয়ে হানিফ মিয়াকে বলল যে,এমন কি হলো যে যার জন্য এভাবে ব্রেক করলে,কিন্তু হানিফ মিয়ার সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। জোসনা বেগম তার কথার উত্তর না পাওয়ার কারনে,হানিফ মিয়ার দিকে তাকিয়ে খেয়াল করলেন যে,হানিফ মিয়া সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। তার দেখাদেখি তিনি নিজেও সামনের দিকে তাকালেন।
,
,
সে দেখল যে তাদের গাড়ির সামনে একটি বাচ্চা শোয়া অবস্থায় আছে। এবং তার শরীর থেকে লাল রঙের আলো বের হচ্ছে। কিন্তু তারা এটা বুঝতে পারলোনা যে,বাচ্চাটি কি ছেলে নাকি মেয়ে। সেইটা দেখার জন্য তারা সাহস জুগিয়ে দুজন দুজনের হাত ধরে গাড়ি থেকে বাইরে বের হলো। তারা একটু সামনে এগিয়ে দেখলো যে,একটা বাচ্চা ছেলে রাস্তার মধ্যে শোয়ে আছে এবং চাঁদের আলোতে বাচ্চা ছেলেটির মুখখানা জ্বলজ্বল করছে। হানিফ মিয়া আরেকটু সাহস নিয়ে বাচ্চাটিকে তার কোলে তুলে নেয়,আর সাথে সাথে বাচ্চার শরীরের লাল আভা পুরোপুরিভাবে নিভে যায়। ইতোমধ্যে বাচ্চা ছেলেটির ঘুম ভেঙে গেছে,সেই সাথে বাচ্চাটি খিলখিল করে হাসতে থাকে। হানিফ মিয়া এবং জোসনা বেগম তাতে যেন অসম্ভব অবাক হয়। কেননা একেতো এই নির্জন জায়গায় ছোট্ট একটা বাচ্চা ছেলে,তার ওপর এতো সুন্দর করে হাসছে,তাদের দুজনেরই বাচ্চা ছেলেটির প্রতি অনেক মায়া হয়। আর জোসনা বেগম তো বাচ্চাটিকে দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছেন।তিনি বাচ্চাটিকে হানিফ মিয়ার কাছ থেকে নিয়ে তার নিজের কোলে নেন,এতে যেন বাচ্চা ছেলেটির খুশি আরেকটু বেড়ে যায়। হাত,পা নাড়াচাড়া করে খেলতে থাকে। আর তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তারা ২ দুজনেই তাকিয়ে থাকে। তাঁরা দুজন এটা বুঝতে পেরেছে যে,এটা কোনো সাধারণ মানুষের বাচ্চা নয়,কারন যদি মানুষের বাচ্চা হতো তাহলে তার শরীর থেকে এমন আলো বের হতো না। আর একটা জিনিস তারা দুজনেই খেয়াল করে সেটা হলো,বাচ্চা ছেলেটির গলার মধ্যে একটা অদ্ভুত রকমের লকেট রয়েছে,যেটার মধ্যে কাগজের মতো কিছু একটা রাখা হয়েছে,তারা সেটা খোলার সাথে সাথে দেখলো যে,সেখানে ছোট্ট একটা নাম লিখা। আর জোসনা বেগম তো তাকে নিজের সন্তান বলে দাবি করতে চাইছে,আল্লাহ আমাদেরকে তার নিয়ামত দান করেছেন। কেননা তাদের কোনো সন্তান নেই, তারা দুজনই এখন এটা মনে করছে যে,আল্লাহ তাদের কষ্ট দেখে তাদের জন্যে এই অদ্ভুত শিশুটি পাঠিয়েছেন তাদের সব কষ্ট দূর করতে। হানিফ মিয়া চট করে আশেপাশে তাকিয়ে দেখল যে,কোথাও কোনো মানুষ আছে কিনা,তাদেরকে কেও দেখেননি তো। অতঃপর তারা দুজন আল্লাহর নামে শুক্রিয়া আদায় করে খুশি ভরা মন নিয়ে গাড়িতে করে গ্রামের উদেশ্য রওনা দিল।
,
,
আর হুডি পরিহিত লোকটি আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হলো। আর অশ্রু ভরা চোখে তাদের যাওয়ার পানের দিকে তাকিয়ে চোখের দূ-ফোটা পানি ফেললো। তাদের গাড়িটি যতোদূর সম্ভব দেখা যায়,ততক্ষণ পযন্ত সেদিকেই তাকিয়ে রইল এবং আস্তে আস্তে বলল যে,আমি পেরেছি কিং আমি আপনার আদেশ মোতাবেক কাজ করতে পেরেছি,তাকে তার যোগ্য স্থানে পৌঁছে দিতে পেরেছি। সেখানে তিনি সম্পূন নিরাপদে থাকবেন।
,
,
হুডি পরিহিত লোকটার কথা শেষ হওয়া মাএই,তার কান দুটো খাড়া হয়ে যায়। সে আশেপাশে তাকিয়ে দেখতে পেলো যে,জঙ্গলের গাছপালা ভেঙে তার দিকে বিশাল বড় কিছু একটা আসছে। বিপদ বুঝতে পেরে হুডি পরিহিত লোকটি হাওয়ায় বেগে দৌড় শুরু করে দেয়। দৌড়াতে দৌড়াতে মাঠের মতো একটা ফাকা স্থানে এসে হঠাৎ করে দৌড় থামিয়ে দিয়ে পিছনের দিকে ফিরে তাকায়। পেছনে তাকিয়েই তার রূহ্ কেপে ওঠে এবং গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। তার পরে-ও অনেক কষ্ট করে কাপা-কাপা কন্ঠে তাদের কে বলল যে,এটা কি করে সম্ভব পৃথিবীতে আসার পথ তো আমি আর কিং ছাড়া কেউই জানে না,আর কিং তো ওই যুদ্ধের ময়দানে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো গুহার ভেতরের গোলকধাঁধা থেকে তোরা কি করে বেঁচে গেলি,আর তোরা কিভাবে এই পযন্ত আসলি। হুডি পরিহিত লোকের কথা শোনে সামনে থাকা সবাই অট্ট স্বরে হাসতে শুরু করে দিল,হাসি থামিয়ে তারপর তারা বলা শুরু করলো যে,
,
,
অচেনা ব্যক্তি ; তুই যখন ওই বাচ্চাকে নিয়ে পাহাড়ের দিকে দৌড়ে গেলি,ঠিক তখনই আমার তোর ওপর সন্দেহ হয়,কারণ তোর মতো এতো সাহসী সেনাপ্রধান যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে যাবে,এইটা আমি মেনে নিতে পারিনি। যার কারনে আমি কিছু সৈন্য নিয়ে তোর পিছু নিতে থাকি। যখন দেখলাম যে,তুই ওই গুহার ভেতর চলে গেলি,ঠিক তখনই আমার সন্দেহটা আরো দ্বিগুণ হয়ে যায়।
,
,
আর ঠিক তখনই আমার ছোট্ট বেলার কিছু কথা মনে পড়ে যায়। তাঁর কারন হলো,একবার ছোট্ট থাকতে শুনেছিলাম যে,পৃথিবী নামক একটা গ্রহ আছে। আর সেখানে যাওয়ার রাস্তা নাকি কেউই জানে না,আর যারা জানতো তারা সবাই নাকি অনেক আগের ছিলো,আমার জানামতে তাদের মধ্যে কেউ-ই এখন বেঁচে নেই। জিনিসটা আমার কাছে অনেক ইন্টারেস্টিং লাগে,যার কারনে এই কথাটা আমার মনের মধ্যে পুরোপুরি ভাবে গেথে যায়। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো তুই আর তোর কিং এই গুহার রাস্তার কথা কি করে জানিস। আর এটাও শুনেছিলাম যে,পৃথিবীতে মানুষ নামক একধরনের প্রানী আছে,যাদের রক্ত নাকি অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আর তারা সবাই নাকি অনেক দূর্বল,তাদের রক্ত খেয়ে আমি আরো শক্তিশালী হয়ে যাবো,আর তাদের সবাইকে আমি ভয় দেখিয়ে আমার নিজের গোলাম বানাবো,আর তারা যদি আমার গোলামি না করে,তাহলে তাদের সবাইকে আমি আমার হিংস্র রূপ দেখাবো তারপর এই পুরো পৃথিবীতে আমি আমার নিজের রাজত্ব গড়ে তুলব। এটা বলেই অচেনা লোকটা উচ্চস্বরে হাসতে শুরু করে দেয়,আর তার সাথে তাল মিলিয়ে তার সৈন্যরাও হাসতে শুরু করে দেয়। তাদের কথা এবং হাসি শোনে হুডি পরিহিত লোকটা নিজেও হাসতে শুরু করে দেয়।
অচেনা লোক ও তার সৈন্যরা তাদের হাসি থামিয়ে অবাক হয়ে তাকে দেখতে থাকে।
,
,
অচেনা ব্যক্তি ; মৃত্যু এতো কাছাকাছি দেখে পাগল হয়ে গেলি নাকিরে,মন খুলে হাসতে থাক। কারন আজকের পর থেকে আর কোনো সময়ই হাসতে পারবিনা। কারন তুই সেই অবস্থায় আর থাকবিনা,আজকেই তোর জীবনের শেষ দিন।
সেনাপ্রধান তার হাসি থামিয়ে বলতে থাকে,তুই আর তোর সৈন্যরা অনেক বড় ভুল করে ফেলেছিস রে,অনেক বড় ভুল,যার মাসুল হিসেবে দিতে হবে তোদের নিজেদের জান দিয়ে। কথাটা শেষ হওয়ার সাথে সাথে তার চোয়াল বরাবর একটা ঘুসি লাগে,হঠাৎ এমন আক্রমণের কারণে সেনাপ্রধান নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না,যার কারনে অনেক দূরে গিয়ে মাঠিতে আছরে পড়ে,আর মুখের মাংস ছিড়ে মুখ দিয়ে গল-গল করে কালো রক্ত বের হতে থাকে। বুঝতেই পারল যে,অনেক পাওয়ার-ফুল হিট ছিল। কিন্তু সেটা পরক্ষনেই ঠিক হয়ে যায়। সে মাঠি থেকে ওঠে নিজের শরীর ঝাড়া দিয়ে,স্বাভাবিক ভাবেই সামনের দিকে তাকিয়ে দেখে যে,তাকে যে ঘুসিটা দিছে সেটা আর কেউ না সেই অচেনা ব্যক্তিটি।
,
,
অচেনা ব্যক্তি ; আমাকে যদি তুই তোর নিজের মতো সাধারণ সাধারন শক্তিশালী মনে করিস তাহলে ভুল। কারন আমার শক্তি সম্পর্কে তোর কোনো ধারনা নেই, তুই আমাকে এবং আমার সৈনদের কোনো কিছুই করতে পারবিনা। তারপর অচেনা ব্যক্তিটি তার নিজের সৈনদেরকে আদেশ দেয়,সেনাপ্রধান কে মেরে ফেলার। তার আদেশ পাওয়া মাত্রই সব সৈন্যরা একসাথে একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে হঠাৎ করে থেমে যায়,তাদের সকলের শরীরের চামড়া ফাটতে থাকে এবং তাদের শরীর থেকে কালো ধোয়া উড়তে থাকে।। তারা সবাই নিজেদের আসল ফর্মে চলে আসে,তাদের সকলের শরীর আকারে আগের তুলনায় অনেক বড় হয়ে যায়,সেই সাথে তাদের সবার মাথার ওপর কালো রংয়ের ছোট ছোট দুটো শিং এবং পিঠে কালো দুটো ডানা গজায়,যেটা দেখতে এখন অনেক ভয়ংকর দেখা যাচ্ছে।
,
,
এক কথায় তাদেরকে দেখতে পুরো ব্লাক ড্রাগনদের (যেসব ড্রাগন দেখতে পুরো কালো,তাদেরকে ব্লাক ড্রাগন বলে,আর এদের শক্তিও অন্য সব ড্রাগনদের চাইতে একটু বেশি)মতো দেখা যাচ্ছে। কিন্তু এতে সেনাপ্রধান একটুও বিচলিত হয়নি,বরং তার মুখে ভয়ের বদলে একটা বাঁকা হাসি দেখা দিল।
সেনাপ্রধান ; তোর পাওয়ার অনেক ভালো,সেটার কারন হলো তুই ব্লাক ড্রাগন। কিন্তু তুই এতোটাও শক্তিশালী নয় যে আমার মোকাবেলা করবি। এই বলে সেনাপ্রধান আকাশের দিকে মুখ করে গগন ফাটানো শব্দ করে চিৎকার করলো। আর তার শরীর আস্তে আস্তে পরিবর্তন হতে লাগল,তার পুরো শরীর সাদা আলোতে ভরে গেল,পিট থেকে দুটো ধবধবে সাদা ডানা বের হলো,এবং মাথা থেকে দুটো শিং গজালো,তাকে দেখতে পুরো হোয়াইট ড্রাগনের মতো দেখা যাচ্ছে।(যেসব ড্রাগন দেখতে পুরো সাদা,তাদেরকে হোয়াইট ড্রাগন বলে,আর এদের শক্তি ব্লাক ড্রাগনদের অনেক কম হয়ে থাকে)
,
,
সেনাপ্রধান তার নিজের ড্রাগন ফর্মে থাকার কারনে,নিজের ডানার সাহায্যে আকাশের দিকে উড়াল দিল। আর তার পেছন পেছন ৫ জন ব্লাক ড্রাগনদের সৈন্য উড়াল দিল তাকে মারার জন্য। সেনাপ্রধান উড়ালপথে কিছু একটা মনে হঠাৎ করে থেমে যায়,ব্লাক ড্রাগনরা কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই সেনাপ্রধান তার মুখ থেকে অনবরত আগুন নিক্ষেপ করতে থাকে তাদের সবার ডানা লক্ষ করে,যতক্ষন না তাদের শরীর পুরোপুরি ভাবে পুড়ছে,তার মুখের আগুন এতোটাই পাওয়ার-ফুল ছিল যে,যার কারণে ব্লাক ড্রাগনদের সব সৈন্যরা মাটির দিকে ধাবিত হতে থাকে। মাটিতে পরার সাথে সাথেই তারা আবারও তাদের মানুষ ফর্মে চলে আসে,এবং তারা সবাই মারা যাওয়ার কারণে তাদের শরীর ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যায়। আর তখনই সেনাপ্রধান মাটিতে নেমে তার ড্রাগন ফর্মে থেকে মানুষ ফর্মে চলে আসল।
,
,
আর দূরে থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসব দেখছিল ব্লাক ড্রাগনদের সেনাপতি। যখন দেখলো যে,তার সব সৈন্য মারা গেছে,তখনই সে হুংকার দিয়ে সেনাপ্রধানের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলল যে,যদি নিজের জীবনের মায়া থাকে তাহলে নিজের হার মেনে নিয়ে আমার গোলামত্ব শিকার করিস এবং বলিস তোর কিং এর ছেলে কোথায়,তাহলে তোকে তোর জীবন ভিক্ষা দিবো। আর এটা বল যে তুই সেনাপ্রধান হয়ে এ-তো শক্তি কোথায় পেলি। তার কথা শোনে সেনাপ্রধান বলল যে,আমি তোর গোলামী করব,এটা তুই কি করে ভাবলি। আর তুই কিং এর ছেলে কোথায় আছে সেটা তোকে আমি মরে গেলেও বলবো না,আর যদি জানতেও পারিস সে কোথায় আছে,তাহলেও তুই তার ধারের কাছেও যেতে পারবি না। তার কারন হলো তুই আর কোনোদিনই সূর্যের আলো দেখতে পারবি না। আর এখানে আসার আগে কিং তার নিজের কিছু শক্তি দান করে,তার ছেলেকে সব বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করার জন্য। এখন আমি আগের থেকেও কয়েকগুণ বেশি শক্তিশালী।
,
,
তাকে আর কিছু বলার আগেই ব্লাক ড্রাগনের সেনাপতি তার হাত দুটো একত্রিত করে নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে সেনাপ্রধানকে ঘুসি দেয়। কিন্তু সেনাপ্রধান তার একহাত দিয়ে তার ঘুসি থামিয়ে দিয়ে বলে যে অনেক হয়েছে আর না,এটা বলেই তার নিজের অন্য হাত দিয়ে শত্রুর মাথা লক্ষ করে নিজের সবশক্তি দিয়ে একটা ঘুসি দেয়। ঘুসিটা এতোটাই জোরালো ছিল যে,ব্লাক ড্রাগন সেনাপতির মাথা শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়,এতেও যেন তার শান্তি হলেনা। যার কারনে সেনাপতির শরীর ক্ষতবিক্ষত করে ফেলল। আর বিরবির করে বলতে থাকল যে,ড্রাগনদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হলো আমাদের কিং,আর তার থেকেও হাজার গুন শক্তিশালী হলো আমাদের কিং এর ছেলে,এটা কি করে হতে পারে। সে যাই হোক না কেন,এখন শুধু আমার একটাই কাজ। আর তা-হলো কিং এর ছেলেকে তার সব শক্তি সম্পর্কে অবগত করা এবং তার অতিত সম্পকে তাকে বিস্তারিত সব কিছু জানানো।
আমাদের ভবিষ্যৎ ড্রাগন কিং, যে কিনা এই পুরো মহাবিশ্ব শাসন করবে। তাকে তার সম্পর্কে বিস্তারিত সব কিছুর ধারনা রাখতে হবে। নাহলে যে,অনেক বড় কেলেংকারী হয়ে যাবে,এই কথাটা বলার সাথে সাথেই তিনি আকাশের দিকে উড়াল দেন।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
প্রথম পার্টটা কেমন হলো জানাবেন। ভালো না লাগলে বলবেন। শুরুটা একটু খারাপ হতে পারে। তবে পরে আশা করি ভালো লাগবে। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন।
★হ্যাপি রিডিং★