কিং অফ দ্যা ইউনিভার্স
#আবির হাসান আকাশ
পর্বঃ৩
আমার মনে অনেক রহস্যের খেলা খেলতাছে।এখনো আমার অনেক কিছুর ব্যাখ্যা অজানা।আমাকে খুব তাড়াতাড়ি সব কিছুর রহস্য উদঘাটন করতে হবে।চারপাশে তাকিয়ে দেখলাম অন্ধকারে চাদিক ছেয়ে গিয়েছে।
তখন আমার খেয়াল হলো রাত অনেক গভীর হয়ে গেছে।আমাকে যেইভাবে হোক আজ রাতটা কোনো এক জায়গায় কাটিয়ে দিতে হবে।এই সময় সামনে একটা বড়ো গাছে দেখতে পেলাম।আমি গাছে উঠব নাকি উঠব না এই ব্যাপারটা নিয়ে কনফিউজড ছিলাম।গাছে উঠলে যদি আবার সাপ কিংবা বিচ্ছু হামলা করে।কিন্তু আমি নিজের মনকে সান্তনা দিয়ে গাছে উঠেই পরলাম।আমার এখন বিশ্বাস হয়ে গিয়েছে আমি কোন জায়গায় বিপদে পড়লে ঐ ডানাওয়ালা লোক গুলো আমাকে বাচাতে আসবেই।গাছের উপর উঠার পর একটা বড়ো ডাল দেখে হেলান দিয়ে সুয়ে পরলাম।
সুয়ে পরার পর আমার আগের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো।এমন একটা সময় ছিলো যখন সবাই আমাকে সবচেয়ে দুর্বল আর সবচেয়ে বোকা ছেলে ভাবত।কিন্তু তারা যদি তখন আমার হাতে থাকা x চিহ্নটার পাওয়ারের কথা জানতে পারত তাহলে কখনোই আমাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করত না।এখন হাতের দিকে তাকালে আমি নিজে থেকেই অবাক হয়ে যাই।আমি জানিনা কিভাবে ঐ X চিহ্নটা থেজে লেজার আর ফায়ার বের হয়।আমাকে যত দ্রুতসম্ভব এই রহস্যটা খুজে বের করতে হবে।না হলে মনে হচ্ছে আমি মানসিক যন্তনায় মারা যাব।
এইসব চিন্তা করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে গেলাম তা টের পেলাম না।
ঘুমের ঘোরে আমি আবারও অন্য একটা স্বপ্ন দেখলাম।আমি দেখলাম একটা ত্রিশূল। যেইটা দেখতে ছিলো চার ফুটের মতো এবাং এর রংটা ছিলো পুরোপুরি কালো।ত্রিশূলের মাথা থেকে কালো দোয়া বের হচ্ছে। কিন্তু প্রথমে বের হচ্ছে মনে হলেও ভালোভাবে খেলায় করে দেখলাম ত্রিশূল থেকে কোন কালো ধোয়া বের হচ্ছে না।মনে হচ্ছে ত্রিশূল বাইরে থেকে কিছু তার ভিতরে এবজার্ব(absorb) করে নিচ্ছে। কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব একটা ত্রিশূল কিভাবে বাইরে থেকে কিছু এবজার্ব করে নিতে পারে।ঠিক ঐ মূহুর্তে স্বপ্নের ভিতর আমার সামনে একটা বৃদ্ধ লোক চলে আসলো।সে ইশারায় আমাকে ঐ ত্রিশূলটা তুলতে বলল।আমি ত্রিশূল টার কাছে গিয়ে সেইটাকে হাতে নেওয়ার চেষ্টা করলাম।কিন্তু সেটা এতোটাই ভারী ছিলো যে আমি ত্রিশূলটাকে এক চুলও নাড়াতে পারছিলাম না।এমন সময় বৃদ্ধ লোকটা আমার ব্যার্থতা দেখে বললো
তুমি এখনো এর যোগ্য হয়ে উঠোনি।
বৃদ্ধ লোকটা এই কথা বলা মাত্রই আবার আমার ঘুম ভেঙে গেলো।দিন দিন আমি আরো বেশি রহস্যের গভীরে হারিয়ে যাচ্ছি। কিছুদিন ধরে যেই স্বপ্ন গুলো দেখছি কেন জানি মনে হচ্ছে সব সত্যি। আর স্বপ্নের শেষে ঘুম ভেঙে যাওয়াটা আরো অদ্ভুত লাগছিলো।
ঘুম ভাঙার পর তাকিয়ে দেখি গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো আমার চোখে প্রবেশ করছে।আমি গাছথেকে নেমে যখন চারদিকে তাকালাম তখন জায়গাটা কেমন জানি চেনা চেনা মনে হতে লাগলো।কিন্তু সঠিক মনে করতে পারছি না কোন জায়গা এইটা।এমন সময় হঠাৎ হায়নাগুলো এ্যাটাক করার আগে দেখা স্বপ্ন টার কথা মনে হলো।আমি জায়গাটা চিনে ফেললাম।আমি তো সেই জায়গায় দাড়িয়ে আছি যেই জায়গাটা আমি স্বপ্নের মধ্যে দেখেছিলাম।কিন্তু ঐ জায়গাটা তো বনের মাঝখানে। তাহলে আমি কি বনের মাঝখানে আছি।কিন্তু how is possible,i know বনের মাঝখানে আসতে দুইদিনের বেশি টাইম লাগে।আমি এক রাতে কিভাবে আসলাম।এইসব ভেবে আমার মাথা খারাপ হওয়ার উপক্রম। কিন্তু তখন এইটা ভেবে মনকে সান্তনা দিলাম আমার সাথে যেইসব আজব ঘটনা ঘটছে তার তুলনায় এইটা কিছুই না। তাই আর টেনশন না করে দরজাটাকে চারদিকে খুজতে লাগলাম। প্রায় আধাঘন্টার মতো চারদিকে দরজা খুজলাম কিন্তু কোথাও দরজার কোন চিহ্নও দেখলাম না।আমি ক্লান্ত হয়ে একটা জায়গার বসে পড়লাম।কিছুক্ষণ পর আমার পিছন দিকে ঠান্ডা অনুভব হতে শুরু করলো।আমি কিছু না ভেবেই সেখান থেকো উঠে গেলাম।মাটির উপর হাত দিয়ে দেখলাম মাটিতা অন্য সব জায়গার মাটি থেকো একটু বেশিই ঠান্ডা। যেই মাটি টুকু ঠান্ডা আমি সেই মাটিটুকু হাত দিয়ে খুড়তে লাগলাম।কিছুক্ষণ খোড়ার পর আমার হাতে ধাতব একটা কিছু স্পর্শ হলো।আমি দেরী না করে সম্পন্ন ঠান্ডা জায়গাটা খুড়তে আরম্ভ করলাম।জায়গাটা খুড়া শেষ হলে আমি সেখান থেকে একটু দূরে দাড়িয়ে খেয়াল করে দেখলাম একটা ত্রিভুজ আকৃতির দরজা।সাধারণত দরজা চারকোনা আকৃতির হলেও এইটা তিন কোনাই ছিলো।
তখন দরজা থেকে একটা আওয়াজ আসলো,
ওয়েলকাম মাস্টার ফর মাই হোম,,,
to be continue,,,