#ড্রাগন কিং#
পার্টঃ২
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
পৃথিবীতে যাওয়ার রাস্তা আমাকে তারাতাড়ি বল,নয়তো তোর রানিকে সহ তোকেও এখানেই শেষ করে ফেলব (বিশাল বড় একটা ব্লাক ড্রাগন,যার শরীর দিয়ে অনবরত কালো ধোঁয়া উড়ছে,)।
,
না কোনোদিনও না,আমি কোনোদিনও তোকে ওই রাস্তার কথা বলব না(রাজকীয় পোশাক পরিহিত একজন লোক,যাকে কিং বলে মনে হচ্ছে)।
,
না,আমাকে মেরে টুকরো টুকরো করে ফেললেও ওই রাস্তার কথা আপনি কখনে ওকে বলবেন না,তাহলে ওই শয়তানটা আমাদের ছেলেকে মেরে,ওখানকার সবাইকে তার গোলাম বানিয়ে,সেখানে তার নিজস্ব রাজ্য তৈরী করবে(অলংকার এবং রাজকীয় পোশাক পরিহিত একজন মহিলা,যাকে কুইন বলে মনে হচ্ছে)।
,
আমাকে মেরে ফেললে কোনোদিনই ওই রাস্তার কথা তুই জানতে পারবি না। আর আমি বেঁচে থাকতেও কোনোদিনই তোকে ওই রাস্তার কথা বলব না(কিং)।
,
তাহলে,মৃত্যুর জন্য তোরা ২জন তৈরী হয়ে নে।
এই বলে ব্লাক ড্রাগনটি তার মানুষ ফর্মে এসে কুইন কে কিং এর দিকে ছোরে মারে এবং তার ডান হাত আকাশের দিকে উঁচু করে ধরতেই,তার হাতে বিশাল বড় কালো একটা তলোয়ার চলে আসে। আর সেটা থেকে প্রচন্ড রকমের কালো ধোয়া উড়তে থাকে।
ব্লাক ড্রাগনটি তার হাতের তলোয়ারের হাতলটি দু-হাত দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে রেখে,শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে কিং এবং কুইনের দিকে একটা স্লাইড দেয়!
,
,
মাআআআআআআআআআআ এই বলে বিছানা ছেড়ে লাফ দিয়ে দরজার দিকে দৌড় দেয়,দরজা খোলা ছিল বলেই আর কষ্ট করে দরজা খুলতে হয়নি,একদৌড়ে এই রুম ছেড়ে পাশের রুমে আব্বু -- আম্মুর বিছানাতে ওঠে গিয়ে তাদের মাঝে গিয়ে কম্বলের নিচে আশ্রয় নিয়ে নিলাম।
আজকে এ-তো দেরি হলো যে বাবা(ঠাট্টার সুরে বলল আব্বু)?
আমার বাবাটার বিছানা থেকে লাফ দিতে দেরি হয়েছিল বুঝি,(ঠাট্টার সুরে বলল,আম্মু)?
তোমরা আবারও আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করছ কিন্তু,এইবার কিন্তু আমি সত্যি সত্যিই কান্না করে দিব!আআ আআ আআ আআ(?)!
আরে আরে বাবা আমারাতো শুধু মজা করছিলাম,যাই হোক আজকেও কি তুমি ওই স্বপ্ননা আবারও দেখেছ,(আব্বু - আম্মু একসাথে বলে ওঠল)?
হ্যা আজকে আবারো সেই একই স্বপ্ন দেখেছি(আমি)।
ওহ্ আচ্ছা তাই বুঝি,তো ভয় কি খুবরকম পেয়ছে আমার বাবা-টাই(আব্বু-আম্মু)?
হুম অনেক(আমি)।
অনেক হয়েছে আর না,বড় তো আর কম হলি না,এখনও ভয় পাছ,ভয় পেলে চলবে না। কারন কেউ শুনলে কি বলবে,বলবে যে এতো বড় হয়ে গেছিস তারপরেও ভয় পাস,তুর কাছে কেও মেয়ে বিয়ে দিতে চাইবে না(আম্মু)।
হুম ঠিক বলেছ,ছেলে আমার কলেজে পড়ে তারপরও ভয় পায়,ভয় পেলে চলবে না,কারন তুই আমার ছেলে,তুর মতো বয়সে আমার অনেক সাহস ছিল। সবাই আমাকে ভয়ের চোখে দেখতো,একটু ভাব নিয়ে(আব্বু)।
হয়েছে হয়েছে,কেমন সাহসী মানুষ আপনি সেটা আমার জানা আছে(আম্মু)!
ওহ্ থাকুক না ওইসব কথা,আমার খুব ভয় করছে(আমি)
হুম,এইসব কথা বাদ দেওয়া যাক,রাত তো প্রায় শেষের দিকে,তো সবাই ঘুম থেকে ওঠে,ওজু করে নামাজ আদায় করা যাক(আব্বু)।
হুম(একসাথে বলে ওঠলাম আমি আর আম্মু)।
তারপর সবাই একসাথে নামাজ আদায় শেষ করে,যে যার মতো কাজে গেল,আম্মু আব্বুকে কফি দিয়ে,নিজেও একটা কফি নিয়ে দু'জনেই তাদের কথা বলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেল।
আর আমি মর্নিংওয়াল্কের জন্য রাস্তায় বের হতেই দেখতে পেলাম যে,আমার মতো আরো অনেকেই মর্নিংওয়াল্কের জন্য রাস্তায় বের হয়েছে।
ওহ্ সরি,আপনাদের কে তো আমার পরিচয়টাই দেওয়া হলো না,আচ্ছা মর্নিংওয়াল্ক করতে করতে আপনাদের কে আমার পরিচয় টা দিয়ে দেয়।
আমার নাম জাহিদ। অতি ভদ্র ছেলে,যাকে বলা হয় ধোয়া তুলসি পাতা। বাবার নাম ; হানিফ মিয়া। মার নাম ; জোসনা বেগম। আর আমি এইবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে পাস করে কলেজে ভর্তি হয়েছি। আজকে কলেজের প্রথম দিন,যার জন্য আজকে একটু আগেই কলেজে যেতে হবে। আর আপনাদেরকে আমার বিষয়ে আরেকটা কথা বলে রাখি,আমি হলাম ভিতুর ডিম। আমাকে কেউ কিছু বললে আমি তাকে তার জবাবও দিতে ভয় পাই,যদি আবার আমাকে কিছু বলে,আর রাতের বেলার কথা নয় বাদই দিলাম। তার কারন হলো রাত মানেই আমার সেই ভয়ংকর স্বপ্নের কথা মনে পড়ে যায়। যেটা আমাকে সেই ছোট্ট বেলা থেকেই তাড়া করে বেড়াচ্ছে। জানিনা শুধু আমিই কেনো এই স্বপ্ন দেখি,অন্য কেও কেনো দেখে না। সে যাই হোক এইসব কথা বাদ দিয়ে গল্পে আসা যাক,আমার বেপারে সবকিছু আস্তে আস্তে জানতে পারবেন গল্পের মধ্যেই।
বাড়িতে গিয়ে হালকা নাস্তা করে,সাইকেল নিয়ে ছোট দিলাম নতুন কলেজের উদ্দেশ্যে। আগেই বলে রাখি আমার বাবার টাকা পয়সার কোনো অভাব নেই,আমি আগেই বলেছি আমার সব জিনিসকে অনেক ভয় লাগে। যার কারনে বাইক,বড় গাড়ি থাকা সত্যেও,আমি এইসব চালাই না,আব্বু - আম্মু আমাকে অনেক বার বলেছে ডাইবার সাথে করে নিয়ে যেতে,আমি সব মানা করে দিয়েছি। তার কারন হলো আমার এইসব বড়োলোকি ভালো লাগে না,আমি মধ্যবিও পরিবারের সন্তান হলে ভালো হতো। আমি সবার থেকে আলাদা বলে,আমার কোনো বন্ধু - বান্ধব নেই। আর হবে কিনা তাও জানি না।
যার জন্য আমি সেই ছোট থেকেই একা একা বড় হয়েছি। আর এখন সবকিছু এডজাস্ট করে নিয়েছি। একা একা বড় হয়েছি বলে,আমার বন্ধু ছাড়া চলতে অভ্যাস হয়ে গেছে।
কলেজের গেটের সামনে এসে মনটা ভরে গেল,তার কারণ হলো আমার ছোট্ট বেলার স্বপ্ন পূরন হয়েছে আজ। আমি কলেজে ওঠতে পেরেছি।
কলেজের গেট পার হয়েই আমিতো পুরাই অবাক। কারন এতো সুন্দর কলেজ আমি আগে কখনো দেখিনি,সেখানে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে কলেজটা একনজর দেখে দিলাম। তারপর আমি আমার সাইকেলটা পার্ক করে,কলেজের দিকে গেলাম,কলেজের কোনো কিছুই আমি বুঝতে পারছিনা,এতো বড় কলেজে আমার ক্লাস কোনটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল খুব।
ঠিক তখনই আমার মনে হলো কে যেন আমাকে পেছন থেকে ডাক দিল! পেছনে তাকিয়ে আমিতো পুরো হা হয়ে গেছি,এ আমি কি দেখছি,আমার চোখের সামনে এ যেন আকাশ থেকে কোনো এক হূর পরী নেমে এসেছে।
আচ্ছা আপনি কি বলতে পারবেন ১ম ইয়ারের ক্লাস টা কোন দিকে(মেয়েটা)?
আমার সেদিকে কোনো খেয়ালই নেই,কে কি বলছে,আমিতো তাকে দেখায় ব্যস্ত আছি(আমি)।
হ্যালো আপনাকে বলছি(মেয়েটা)?
মেয়েটার কথার জন্য আমি বাস্তবে ফিরে আসলাম,আ আমি নিজেও জানি না,যার কারণে এখানে দাঁড়িয়ে আছি(আমি)।
সেটা বললেই তো হয়,শুধু শুধু আমার সময়টা নষ্ট করলেন,আর এখানে হাবার মতো দাঁড়িয়ে থাকলে কি আর ক্লাস খোঁজে পাবেন নাকি(মেয়েটা)?
হা হ্যা,না মানে ইয়ে(আমি)
কি বলছেন আপনি,হ্যা না হ্যা না,যওোসব পাগল,এই বলেই মেয়েটা সামনের দিকে হাটা দিল(মেয়েটা)?
আমি মনটা খারাপ করে তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে শুধু দেখতে থাকলাম(আমি)।
তারপর কিছু বড় ইয়াং ছেলেদেরকে দেখে বললাম যে,আচ্ছা ভাইয়া ১ইয়ারের ক্লাসটা কোন দিকে প্লিজ একটু বলবেন,তারা আমাকে দেখিয়ে দিল কোথায় যেতে হবে,তাদের দেখানো রাস্তা দিয়ে আমি আমার কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে গেলাম।
সেখানে যাওয়ার পরে দেখলাম যে,সেই মেয়েটা সবার ফাস্টের সিটে বসে আছে,যার সাথে একটু আগে দেখা হয়েছিল। আমি যখন তার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম,তখন সে আমাকে দেখেও না দেখার ভান করে রইল। তাই আমিও আর কিছুই বললাম না। আজকে প্রথম দিন ছিল বলে,শুধু নাম হাজিরাটা দেওয়া হলো।
ক্লাস শেষে যখন বাইরে বের হলাম তখন দেখালাম যে,কলেজের মাঠের একপাশে অনেকগুলো ছেলে একসাথে মিলে সব ছেলে মেয়েদেরকে অনেক উৎতপ্ত করছে। ওদের সবাইকে দেখে আমার খুব ভয় হলো,কেননা ওরা সবাই আমার এবং আরো অনেকেরই সাইকেলের ওপর বসে আছে।সাইকেলটা আনতে গিয়ে যদি আমাকে কিছু বলে। তারপরও মনের মধ্যে অনেক সাহস জুগিয়ে সাইকেলটা আনতে গেলাম।
,
,
আর ঠিক তখনই ওদেরই মধ্যে সবার সামনে জন আমাকে ডাক দিল। এতে যেন আমার জান যায় যায় অবস্থা। সেখানে গিয়ে আমি সালাম দিলাম,এতে যেন ওদের অনেক হাসি পেল,সবাই একসাথে হেঁসে ওঠল। তারপর আমাকে বলল যে,নতুন নাকি(১জন)?
হুম(আমি)।
হঠাৎ করে তাদের মধ্যে থেকে একজন আমার পেছনের কাউকে ডাক দিয়ে বলল যে,ওই সুন্দরী এইদিকে আই(২য় জন)!
আমি পেছনে তাকিয়ে দেখতে পেলাম যে,সেই মেয়েটা,আমার তো এখন অনেক ভয় করতেছে,যদি ওকে নয়তো আমাকে কিছু বলে!
তুইও কি নতুন নাকি(২জন)!
মেয়েটা তার মাথা নিচের দিকে ঝুকে বলল যে,হ্যা(মেয়েটা)।
তারা সবাই মিলে আস্তে আস্তে মেয়েটার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল,আমার তখন মেয়েটার জন্য একটু ভয় হলো।
আমার যেন কি হলো,আমি হঠাৎ করেই বলে ফেললাম যে,ভাইয়া আমার সাইকেলটা যদি নিতে দিতেন(আমি)!
তারা সবাই আমার দিকে কেমন করে যেন তাকালো,এতে আমার অবস্থা আরো খারাপ হতে লাগল,আমি আবারও বললাম যে,ভাইয়া আমার সাইকেলটা!
এতে যেন তারা সবাই আরো চটে গেল,সবাই সরে গিয়ে,তাদের মধ্যে থেকে একজন আমাকে বলল যে,নিয়ে যাও তোমার সাইকেল(৩জন)!
যারা একটু আগেও আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করল,তারা সবাই এখন আমার সাথে এতো ভালো ব্যবহার করছে কেন,আমার মাথায় তো কোনোকিছুই ঢুকতেছেনা। কোনোনা কোনো ভেজাল তো অবশ্যই আছে,তারপরেও আমি কোনোভকিছু না ভেবে ভদ্রভাবে তাদের মাঝখান দিয়ে সাইকেলের দিকে যাচ্ছিলাম।
যখন আমি আমার সাইকেলের কাছাকাছি এসে পরলাম,ঠিক তখনই আমার মনে হলো আমার পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে যাচ্ছে,না আমি নিচের দিকে যেতে লাগলাম,আমার মাথা সাইকেলের একটা রডের সাথে বারি খাওয়ার জন্য আমি অনেক ব্যথা পেলাম অনেক। ব্যথায় আমি আহ্ শব্দ করে উঠলাম।
আমার নিজিকে সামলে নিতে একটু দেরী হলো,নিজেকে যখন সামনে নিলাম তখন দেখলাম যে,কলেজের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে,আমি সামনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে সেই লোকগুলোর মধ্যে একজন আমাকে পেছন থেকে তার নিজের পা টা আমার পায়ে বারি দিয়েছে,যার কারনে আমি পরে গিয়ে ব্যথা পেয়েছি,জিনিসটা যখন আমি বুঝতে পারলাম তখন আমার খুব খুবই রাগ হলো,আমাকে সবার সামনে এভাবে মারা টা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। যাকে আমি প্রথম দেখায় ই ভালোবেসে ফেলেছিলাম,তাকে ওরা সবাই মিলে টিচ করছিল। এটা দেখার পর আমার এতো রাগ হয়েছিল যে,কি করব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না।
,
কিরে সুন্দরী,তুর সঙ্গী বানাবি না আমাকে,তোকে প্রথম দেখায়ই আমার অনেক ভালো লেগেছে আজ,তাই তোকে আমার আজকে রাতের জন্য চাই-ই চাই(১জন)!
দয়া করে আমাকে আপনারা যেতে দিন,নইলে ভালো হবে না কিন্তু,আমি চিৎকার করব(মেয়েটা)!
তোই এখান থেকে কোথাও যেতে পারবিনা, আর তোকে বাঁচাতেও এখানে কেওই আসবেনা,তার কারন হলো আমি এখানকার মন্ত্রীর ছেলে। আমার নাম শুভ। আর আমাকে এখানকার সবাই ভয় পাই,এখানকার কেউ আমাকে কোনো কিছুই করতে পারবেনা, এটা বলেই সে হাসতে শুরু করল(১জন)!
,
,
আমি যখনই ওদের দিকে যাওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম,ঠিক তখনই আমার কানে খুব জোরালো একটা শব্দ ভেসে আসল,যার কারনে শুধু আমি না সেখানকার পুরো মাঠ জুড়ে একদম নিস্তব্ধতা,পরক্ষনেই খেয়াল করলাম যে,মন্ত্রীর ছেলে মানে শুভ তার নিজের গালে হাত দিয়ে রেখেছে,আমি বিষয়টা বুঝতে পেরে তাদের দিকে যাওয়া বন্ধ করলাম,কিন্তু পরক্ষনেই আবারও আরেকটা শব্দ শুনলাম,সামনে দিকে তাকিয়েই আমি পুরো অবাক। তার কারন হলো সেই মেয়েটা যাকে আমি ভালোবেসে ফেলেছি,সে মাটির মধ্যে শোয়ে কান্না করছে,তারপর মন্ত্রীর ছেলে শুভর দিকে খেয়াল করে দেখলাম যে,সে মেয়েটার সামনে গিয়ে বলল যে,
তোর এতবড় স্পর্দা যে তুই আমার গালে থাপ্পড় মারলি,তোর এই স্পর্দা আজকেই আমি শেষ করব। এই বলে সে,মেয়েটার দিকে যেতে নিল(শুভ)।
দয়া করে আমাকে ছেরে দিন,আমার ভুল হয়ে গেছে,আমার ইজ্জত নষ্ট করবেন না। কেও আমাকে বাঁচাও দয়া করে,প্লিজ হেল্প মি(কান্নারত অবস্থায় মেয়েটি)!
তোকে আগেই বলেছিলাম,কিন্তু শুনিস নি এখন সবার সামনে তুর ইজ্জত নষ্ট করব আমি(শুভ)!
এই বলে সে মেয়েটার দিকে এগিয়ে যেতে থাকেল,শুভ যখন মেয়েটার থেকে ৫-৭ হাত দুরে অবস্থান করছিল। তখন আমি সবার দিকে একনজর তাকিয়ে দেখলাম যে,কেও কোনো প্রতিবাদ করছেনা কেন,তখন বুঝতে পারলাম যে,সত্যি সবাই তাকে অনেক ভয় পাই,কলেজের স্যাররা পযন্ত তাকে কিছু বলছেনা তাদের চাকরির ভয়ে।আমার যা বুঝার সেইটা বুঝা শেষ।
মনের ভিতরে প্রচন্ড রকমের সাহস এবং ভয় নিয়ে শুভর দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম।
যখনই শুভ মেয়েটার শরীর স্পর্শ করতে যাবে,ঠিক তখনই আমি তাকে ধাক্কা দিলাম,যার কারনে সে মাটিতে পরে গেল। কিন্তু পরক্ষনেই শুভ নিজেকে সামলে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে এসে আমার বুকে খুব জোরালো একটা লাথি দিল। যেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। যার কারনে আমার চোখ দিয়ে দু-ফুটা পানি বের হল। আমার শ্বাস নিতে খুবই কষ্ট হচ্ছিল। যার কারনে আমি জোরে জোরে হাঁপাতে লাগলাম,ঠিক তখনই শুভ আমার সামনে এসে,আমার চুলের মধ্যে ধরে টেনে দাঁড় করালো। যার কারনে আমার আরো বেশি কষ্ট হচ্ছিল,যেটা আমি বলে বুঝাতে পারব না। তারপর সে আমাকে উদ্দেশে করে বলতে শুরু করল যে,
,
,
তোদের দুজনের সাহসে প্রসংসা না করে আমি পারলাম না,এই প্রথম আমার গায়ে কেও হাত তুলল,তারপর আবার তুই আমাকে ধাক্কা দিলি,তোকে তো আজ,এই বলেই সে আমার শাটের কলার ধরে আমার পেটে এলোপাতাড়ি ভাবে মারতে লাগল(শুভ)!
তখন আমার অবস্থা প্রায় যায় যায় অবস্থা,ঠিক তখনই সেই মেয়েটার মিস্টি পাগল করা কথা শুনতে পেলাম,আর হালকা হালকা দেখতে পেলাম যে,
,
,
মেয়েটা শুভর পা ধরে আছে,আর বলছে যে,
আমি আপনার পায়ে পরছি আপনি ওকে ছেড়ে দিন দয়া করে,আপনি যা বলবেন আমি তাই করব,তবুও এই ছেলেটাকে ছেড়ে দিন দয়া করে(মেয়েটা)!
না না সেটা তো হবে না,তোকে তো আজকে আমি আমার করে নিবই,তার আগে অর একটা ব্যবস্থা করে নেই,অকে ছাড়া যাবে না। এই বলে সে আমাকে তার কিছু চ্যালা প্যালাদের দিকে ছোরে মারে,আর আমি মাটিতে পড়ে যাই।
আর সব চ্যালা প্যালারা আমার দিকে আসতে থাকে,আমি আর আমার চোখটা খোলা রাখতে পারলাম না,তখনই আমি অনুভব করি তারা সবাই আমাকে মারছে,আমার মনে হয় আর বাচা হলো না,শেষ বারের মতো আমি আমার বাবা-মা এর মুখটা স্বরন করে নিলাম।
,
,
তারপর আমার ভালোবাসার মানুষটার কথা মনে পড়তেই আমার বুকের ভেতরটাই কেমন জানি ব্যথা অনুভব করলাম,আমার চোখটা খুলতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল,তারপরেও অনেকক্ষন চেষ্টা করার পর আমি আমার চোখটা হালকা খোলতে পেরলাম,চোখটা খোলেই আমার নিজেকে কেমন জানি কাপুরষ মনে হতে লাগল। আমার সামনে আমি সেই মেয়েটিকে দেখতে পেলাম,তার ডান হাতের কাপড় সম্পূর্ণ ছেড়া,আর বাম হাতের কাপড়টা শুভ টান দিয়ে খুলে ফেললো।
যেটা আমি আর সহ্য করতে পারলাম না,আমি আমার চোখটা বন্ধ করে ফেললাম। আমার সামনেই আমার ভালোবাসার মানুষটিকে এভাবে আমি দেখতে পারবোনা। আমি তাকে একটি বারের জন্যও বলতে পারলাম না যে,তাকে আমি প্রথম দেখায়ই ভালোবেসে ফেলেছি,আমি জানিনা এইটাকে ভালোলাগা বলে,নাকি মনের পাগলামি বলে,নাকি সত্যিই ভালোবাসা বলে।
,
,
আমি তাকে বাঁচাতে পারলাম না,ওইসব নিকিস্ট জানোয়ারের হাত থেকে আমি আমার ভালোবাসার মানুষটাকে বাঁচাতে পারলাম না। তাহলে আমার কাপুরুষের মতো বেঁচে থাকার কোনো মানেই হয় না। ওহ্ আমিতো মরেই যাচ্ছি,বাবা-মা তোমরা থাকতে পারবেতো তোমাদের এই ভীতু ছেলেটাকে ছাড়া।আমি আর কিছুই ভাবতে পারলাম না,নিজের অজান্তেই আমার চোখ দিয়ে নোনা পানির অশ্রু ধারা নামছিল। আমি শক্তিশালী থাকতে পারলে হয়তো সবকিছুই করতে পারতাম,প্রিয় মানুষটাকে জানোয়ারদের হাত থেকে বাঁচাতে পারতাম,কিন্তু সেটা সম্ভব নাযে আর,তুমাকে আমি বাঁচাতে পারলাম না,আমাকে তুমি মাপ করে দিও,এই বলেই সে তার দীর্ঘ নিশ্বাসটা ফেলল।
তারপর সে আর কোনোরকম নড়াচড়া করল না,একদম পুরো নিস্তব্ধতা,মরা মানুষের মতো পড়ে রইলাে সেখানেই,,,,,,,,,,,,,,,,,!!!!!!!
আর ঠিক তখন-ই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,!!!
গল্পের টুইস্ট কেবল শুরু হলো,,,,,,,,,!!!
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
২য় পার্টটা কেমন হলো জানাবেন। ভালো না লাগলে অবশ্যই বলবেন। লিখা বাদ দিয়ে দিব। জানি এই পর্বটা একটু খারাপ হয়েছে। তবে পরে আশা করি পরের পর্বটা ভালো লাগবে। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন(শব্দ সংখ্যা;২৩৫৫)।।
★হ্যাপি রিডিং★