পার্টঃ০২
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী(পিচ্চি)
।।।।।
।।।।।
।।।।।
সকালে উঠলাম।।।আম্মু আজকে সকালেই অফিসে চলে গেছে।।।আজকে নাকি আম্মুর গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে সেটা এটেন্ড করতে।।আমি আর বাবা রেডি হয়ে নিলাম নাসরীন আন্টিদের বাসায় যাওয়ার জন্য।।আমার মোটেও যাওয়ার ইচ্ছা নেই।কিন্তু আম্মুর ভয়ে জেতেই হবে।।।যতই হোক আম্মুর উপরে তো কথা বলতে পারি না।।আমি আর বাবা গাড়ি নিয়ে চলে আসলাম আবিদদের বাসায়।।।দেখি আবিদ নিচেই আমাদের নেওয়ার জন্য দারিয়ে ছিলো।।আমি আর বাবা নামলাম গাড়ি থেকে।।।তারপর আবিদের সাথে ওর বাসায় ঢুকলাম।।
।
আবিদের ছোট বোনকে দেখেছিলাম যখন ও ক্লাস ফাইভে ছিলো।।তারপর ও চলে যায় ওর নানা বাসায় আর দেখা হয় নাই ওর সাথে।অবশ্য ওকে দেখে আমার লাভও নেই।তাই আমি আনমনা হয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলাম।।।আমাদের বসতে বসিয়ে দিলো নাসরীন আন্টি।।তারপর কিছু খেতে দিয়ে খোশ বিনিময় করলেন বাবার সাথে।।।তারপরই আম্মু চলে আসলো
.
--কি এখনো খাওয়া দাওয়ায় করো নাই তোমরা।(আম্মু)
.
--না মানে তোমার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম।(বাবা)
.
--সালু কি বলোস তাইলে কাজটা সেরে ফেলা যাক।(আন্টি)
.
--হ্যা আমি আর দেরী করতে চাই না।।।কাজী সাহেব চলে আসছেন কাবিনটা করিয়ে দি।(আম্মু)
.
--আম্মু কাবিন মানে?(আমি)
.
--কাবিন মানে কাবিন।।।তোর বিয়ে দিয়ে দিবো আজকেই।(আম্মু)
.
--কি????বাবা তুমি কিছু বলছো না কেনো?এভাবে আমাকে না জানিয়ে আমার বিয়ে।(আমি)
.
--তো জানালে মনে হয় আর বাসায় থাকতে।।।পালিয়ে যেতে সেটা জানতাম তাই মেয়ে দেখার কথা বলে তোমাকে নিয়ে আসলাম আর এখন কোনো কথা না বলেই যা বলি সেটাই করো।(আম্মু ভালো ভাবেই বললো আমাকে)
.
--আমি বিয়ে করতে পারবো না এখন।(আমি)
.
--কেনো কাউকে তো ভালোবাসোস না।।।তাহলে আমার পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করতে সমস্যা কোথায়।।।নিলাকে আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।।এখন তোর কোনো কথায় চলবে না।(আম্মু)
.
--আম্মু।(আমি)
.
--চুপ।।।(ধমক দিলো আম্মু)
।।।।
।।।।
আমি আর কিছুই বলার সাহস পেলাম না।।।শালার এখন বুঝলাম আবিদ কেনো পান্জাবী পরে হাসি খুশি ছিলো।।।নিজের বোনের বিয়ে।।।তাহলে সবই ডক বাজি ছিলো।।।বাবাও আমার সাহায্য করলো না।কি আর বলার আম্মুর ধমকে ভয় পেয়ে আমাকে তিন কবুল বলে দিতেই হলো।।।এই শব্দ তিনটা ছোট হলেও এই শব্দ তিনটা দিয়েই একজন মানুষ সারাজীবনের জন্য জীবন সঙ্গী হয়ে যায়।আজকে আমার ও তাই হলো।শব্দটা ছোট কিন্তু বলেই ভারী জিনিস আমি আমার জীবনে নিয়ে আসলাম।।।আমি কোনো রকমে রাগ করেই বাসায় চলে আসলাম।।।আসার সময় আন্টি বলেছিলো,
.
--আরে বাবাজী যে রাগ করে চলে গেলো?(আন্টি)
.
--তো কি হয়েছে বিয়ে এখন হয়েই গেছে তো।।।এখন তোর মেয়ের জামাই ও।।।তোর মেয়েকেই ওর রাগ ভাঙাতে হবে।(আম্মু)
।।।।
।।।।
দুজনের এই আলাপ শুধু শুনতে পেলাম।তারপর আমি চলে আসলাম।।দুর এভাবে জোর করে বিয়ে করালো।।।তাও আবার যেই মেয়েকে দেখলামই না তার সাথে।।।এরচেয়ে তো আগের দুইটার কারো একটার সাথে বিয়ে করলেই পারতাম।।।কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আম ও গেলো ছালাও গেলো।।।।কি আর করার ফোনটা বন্ধ করে দিলাম।।।রাগ একটু বেশীই হয়েছে আমার।।।হবেই না কেনো কারন বিয়ে আমি করবো আমার।সারা জীবন যার সাথে কাটাবো তাকে তো আমি এতো সহজে পেতে চাই না।।।আগে নিজের ক্যারিয়ার গড়বো তারপর একটা প্রেম করবো তারপর নাহয় বিয়ের চিন্তা ছিলো।।।কিন্তু দুর তা হলো কি করে।।।আমাকে আগেই বিয়ে করিয়ে দিলো।।।অবশ্য এতে আম্মুর লাভ আছে বলেই করিয়েছে।।এমনিতেও কম্পানির শেয়ার আম্মুর বেশী এখন তো তার বান্ধুবীর একজন তার বিয়াইন।।।।
।
আমি সারা দিন বাইরে ঘুরে রাত ১০ টাই বাসায় আসলাম।।।কি আর করবো আজকে বেশী টাকা আনি নি।।।দুই বেলা খাওয়াতেই পকেটে যা ছিলো সব শেষ হয়ে গেছে।।বাসায় আসলাম দেখি আম্মু আর বাবা দুজনেই খাবার টেবিলে বসে আছে।।।তাহলে কি তাদের বউমা কি আমার রুমে।।আমার তো ভেবেই রাগ লাগতেছে যে কেউ আমার পুরো লাইফে এন্টারফেয়ার করতে যাচ্ছে।
.
--সারাদিন কোথায় ছিলি।(আম্মু)
.
--সুখে ভাল্লাগছে তো তাই ঘুরে আসলাম।(আমি)
.
--এসব কি কথা হ্যা।ভালো করে কথা বলো।(আম্মু)
.
--কথা বলার রাখছো কি বলোতো।।মেয়ে দেখার কথা বলেছিলা আর নিয়ে বিয়ে দিয়ে দিছো।(আমি)
.
--আমার কি দোষ আমি ওদের তিনজনকেই প্রমিজ করেছিলাম ওদের একজনের মেয়ে যাকে তুই পছন্দ করবি তার সাথে তোর বিয়ে দিতে।(আম্মু)
.
--তাই বলে এতো তারাতারি সময় কি চলে যাচ্ছে নাকি।(আমি)
.
--সময় কাল এখন ভালো না।।।কালকেই তো দেখলি কলেজের সামনে একটা ছেলে কিভাবে মেয়েটাকে জরিয়ে ধরলো।।।আমার ভয় হয় যদি তুই ও আমাদের না জানিয়ে একটাকে নিয়ে আসোস বাসায়।(আম্মু)
.
--দেখো আম্মু কাজটা কিন্তু ঠিক করো নাই তুমি।।।আমার জীবনটা এখনি নষ্ট করে দিচ্ছো তুমি।(আমি)
.
--বিজনেস ওম্যান সামেলা চৌধুরীর ছেলে এটা কি বলে???আমি কেনো নিজের হাতে নিজের ছেলের জীবন নষ্ট করতে যাবো।(আম্মু)
.
--সেটাই তো করতেছো।।আগে আমার ক্যারিয়ার নিয়ে আমি ভাবতে চাই আর এর মাঝে প্রেম ভালোবাসা ঢোকাতেই চাই নি কিন্তু তুমি তো সোজা বউ ঢুকিয়ে দিছো।(আমি)
.
--চুপ আর কথা বলবি না একটা।।।যেটা করেছি ভালোর জন্যই করেছি।।।এমনিতেও পরে ও তো বিয়ে করতে হতো এখন করলে সমস্যা কোথায়।।।(আম্মু)
.
--হুমমম।(আমি ভয়ে আর কিছু বল্লাম না)
।।।।
।।।।
আম্মু রেগে সিরিয়াস হয়ে গেলে আমি আর বাবা কিছুই বলি না।দুজনেই চুপ থাকি।।।খাবার খেলাম কোনো রকম।।।এমনিতেও পেট ভরা।।।আবার না খেলেও আম্মু সেই বকা বকবে। তাই ভয়ে খেতেই হলো জোর করে। আমি খাচ্ছিলাম আর বাবার দিকে রাগী লুক নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম। বাবা আমার তাকানো দেখে অনেকটা ভয় পেয়ে গেছে। কারন সে বুঝতে পারছে আমি রেগে আছি তার উপরে।
।
রাগবোই না কেনো,বাবা কি করলো। কিছুই করলো না। আমার বিয়ে হয়ে গেলো বাবা হা করে তাকিয়ে সেটা দেখলো। নিজের ছেলের এতো অসহায় অবস্থায় একটু প্রতিবাদও করলো না।। খাওয়া শেষ করলাম।
.
--এখন যা রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পর। আজকে অনেক ক্লান্তময় দিন কেছে।(আম্মু)
।।।
।।।
আমি উপরে চলে আসলাম। কিছুটা ভয় লাগতেছে। মনে হচ্ছে উপরেই হয়তো আমার জন্য বসে আছে আবিদের বোন। কিন্তু একটু সাহস হলো কারন আম্মু আর বাবার কথায় বুঝতে পারছি তারা নিলাকে আনে নি। তাও ভয় লাগতেছে। আমার আম্মুকে দিয়ে কোনো বিশ্বাস নাই। আমি রুমে ঢুকলাম। যাক বাবা বাচা গেলো। রুমে কেউ নেই। আমি এক মুহুর্তের জন্য ভেবেছিলাম হয়তো ফুল দিয়ে বাসর ঘর সাজানো হয়েছে সেখানে বাচ্চা নিলা বসে আছে বউ সেজে আমার জন্য।।
।
কিন্তু রুমটা ফাকা দেখে যে কত খুশী লাগছে মনে তা বোঝাতে পারবো না। বিয়ে করেও সিঙ্গেল থাকার মজাটা আমি পাচ্ছি প্রথম রাতেই ওয়াও।।।সেই একটা ঘুম হলো রাতে।
সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিচে আসলাম নাস্তা করতে। খাবার টেবিলে আম্মু আর বাবা বসে আছেন।
.
--কিরে বাবা তোকে আজ খুশী খুশী লাগছে কেনো। কালকেই তো বিয়ে করানোর পর মনমরা হয়ে ছিলি।(আম্মু)
.
--মনে হয় তোমার ছেলে মেনে নিয়েছে বিয়েটা। তাই খুশী লাগছে ওকে।(বাবা)
.
--বিয়ে তো দিয়ে দিছো এটার কিছু করতে পারবো না। কিন্তু তাকে আমার বাসায় আনো নি তাই আমি খুশি।(আমি)
.
--তুই ঔভাবে চলে আসছোস বলেই তো আমি আর আনলাম না বউমাকে। কিন্তু দুইদিন পর আমার সাথে যাবি আমরা বউমাকে নিয়ে আসবো।(আম্মু)
.
--আম্মু ও ঔখানেই ঠিক আছে।(আমি)
.
--আমার বাসার বউ কেনো তার বাবার বাসায় থাকতে যাবে।(আম্মু)
.
--তুমি বুঝতেছো না। এখন বউ হওয়ার কি বয়স ওর হয়েছে বলোতো। তোমরা বিয়ে দিয়েছো ভালো করেছো আমি এটা মানলাম।কিন্তু তোমরা এখনি ওকে বাসায় আনবে না।আগে ও বড় হবে তারপর ওকে আমি নিজেই নিয়ে আসবো।(আমি)
.
--সেটা কেমন কথা।(আম্মু)
.
--তোমার উপরে কখনো কথা বলি নি। আজকে বলতেছি বিয়ে আমি মেনে নিলাম। আর ও আমাদের বাসায় আসতে পারে। কিন্তু আপাতোতো বেরাইতে আসবে। ওর বয়স যখন হবে তখন আমিই ওকে নিয়ে আসবো।(আমি)
.
--আচ্ছা তোর বউ তোর ইচ্ছা।(আম্মু হেসে বললো)
।।।।
।।।।
আম্মু একটা রহস্যময়ী হাসী দিলো।।।হাসিটার কারন আমি জানি না তবে এটা বুঝতে পারছি রহস্য ঠিকই নিহীত রয়েছে এর মাঝে।আমি আর কিছুই বল্লাম না।
.
--চলো যাবে না। আমাকে কলেজে নামিয়ে দিবে।(আমি আম্মুকে বল্লাম)
.
--উহু। এখন থেকে তুই একাই যাবি কলেজে।(আম্মু)
.
--ওকে ঠিক আছে।(আমি একটু খুশী হয়ে বল্লাম)
.
--আরে কোথায় যাচ্ছিস।তোর নতুন বাইকের চাবিটা তো নিয়ে যা।(আম্মু আমাকে চাবি ছুড়ে দিয়ে বলল)
.
--কি আমার বাইক।(আমি অবাক হয়ে বল্লাম)
.
--হ্যা। এখন তো বিয়ে দিয়েই দিলাম। একটু ভাব নিয়ে চলবি বেশী করে।(আম্মু)
.
--এখন ভাব নিয়ে লাভ কি?(আমি)
.
--লাভ নেই বলেই তো বলতেছি বেশী করে ভাব নিবি এখন থেকে।(আম্মু)
.
--হুমমম।।
।।।
।।।
শত হোক আম্মুর কথা কি আর আমি ফেলতে পারি। বাইরে এসে নিজের চোখ একাই জুড়ে যাচ্ছে।একটা V3 দারিয়ে আছে তার মালিকের ছোয়া পেতে। আমার খুশী দেখে কে। অবশ্য এটার জন্য নিলা আমার কাছে একটা ধন্যবাদ তো সিওর পাই। এই ধন্যবাদ তো তাকে দিতেই হবে।।।।আমি ও কলেজে চলে আসলাম। কলেজে বাইক নিয়ে ঢুকলাম। অন্যরকম একটা স্টাইলে। সবার নজর প্রায় আমার দিকে। অবশ্য ভাবতে পারেন আমার বাইকের দিকেই নজর দিচ্ছে আমার দিকে না। তাহলে আমি বলছি ওরা কি ভেবে আমার দিকে তাকাচ্ছে,
।।।
।।।
ওরা ভাবছে মায়ের ছোট ছেলেটা তো এখন বড় হয়ে গেছে। নতুন বাইক,নতুন লুক।পুরাই চেন্জ।
।।।।
।।।।
হ্যা কথা আছে না বিয়ের পর সবাই বদলে যায়। আমার ও ঠিক এটাই হয়েছে। আমি পুরো বদলে গেছি। আর সবাই হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। অবশ্য আগেও কম মেয়ের ক্রাশ ছিলাম না আমার বলদ বলদ লুকের জন্য যেটায় সব সময় আমার আম্মু রাখতো। এখন তো আরো বেশী হতে পারি।।।অবশ্য কথাগুলো আমি মনে করি। আদৌও কি আমি কারো ক্রাশ সেটা নিয়ে এখনো গবেষনা চলছে। ফল বের হলে পেপারে ছাপানোর চিন্তা ভাবনা করে রেখেছি।
।
আবিদ দেখি বসে আছে ওর দিয়াকে নিয়ে। আমি ওর পাশে গিয়ে বাইক থামালাম।
.
--এইটা কে?চিনাই যাচ্ছে না।(আবিদ)
.
--হালা মাইর খাওয়ার আগে অভিনয় বাদ দিস।(আমি)
.
--একদম ঠিক নাম ধরেই আমাকে ডাকছেন দুলাভাই।(আবিদ)
.
--ঔ বাদরামী করা বাদ দে। নাহলে জুতা দিয়ে পিটামু।(আমি)
.
--ঔ দেখ তুই ভদ্র ছেলের মতই থাক। তোর আগের স্বভাব আমার খুব ভয় লাগে।(আবিদ)
.
--আম্মুর মাথায় হাত দিয়ে কথা দিয়েছিলাম সব সময় তার কথা মতই চলবো। এখন আম্মু বলেছে একটু ভাব নিয়ে চলতে তাই সেটাই করছি।(আমি)
.
--ভাব নিয়ে চলতেছোস ভালো। কিন্তু কালকে আমার বোনের সাথে দেখা করলি না ক্যান।(আবিদ)
.
--আমার প্রেমিকা ফোন দিয়েছিলো তাই তার সাথে কথা বলতে চলে আসছিলাম।(আমি)
.
--ঔ তোর প্রেমিকা আসলো কোথা থেকে যেটাকে আমি চিনি না।(আবিদ)
.
--আমি কি জানি। ফোন দিলো বললো রেস্টুরেন্টে যেতে তাই গেলাম গিয়ে খাবার খেয়ে নদীর পাড় দিয়ে ঘুড়ে বাসায় গেছি।(আমি)
.
--আন্টিরে বলমু বিয়ে করে সেদিনই অন্য মেয়ের সাথে ঘুরছোস।(আবিদ)
.
--বল গিয়ে। তোরা যা করছোস সবাই আমার সাথে এমন তো করি নাই ভাবতেছি করবো এখন।(আমি)
.
--ভাই তো আমার ভালো দেখ আমার বোন অনেক মিষ্টি একটা মেয়ে। যায় করোস ওকে কখনো কষ্ট দিস না। আমি বন্ধু হয়ে তোর কাছে শুধু এই একটা জিনিস ভিক্ষা চাই।(আবিদ)
.।।।।
।।।।।
দুর আমার শালা ও আমাকে সেন্টিমেন্টাল বানিয়ে দিলো। আর ভালো লাগে না। মন চাচ্ছে বনবাসে চলে যায়।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((((চলবে)))))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষা করুন ৩য় পার্টের জন্য।