ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

কিং অফ দ্যা ইউনিভার্স পর্বঃ ০২

Bangla Dub Novels

 


কিং অফ দ্যা ইউনিভার্স

#আবির হাসান আকাশ

পর্বঃ২


ডেবিডের ঠিকই সন্দেহ হয় তার মা তার থেকে কিছু লুকাচ্ছে।কিন্তু সে তার মাকে আপসেট দেখে এই প্রশ্ন করে নি।

৪ বছর পরে বর্তমানে,,,,,


ডেবিড রূপে,,,

রাত ১ টার দিকে হঠাৎ ঘুমটা ভেঙে গেলো।ঘোমের ভিতর দেখলাম আমি একটা অজানা জায়গায় কি আজব ড্রেস পড়ে দাড়িয়ে আছি।আমার শরীর থেকে ফারার ও লেজারের মতো কি যেন  বের হচ্ছে। আমাকে অনেকগুলো প্রানী মারতে আসছে।তাদের দেখতে মানুষের মতোই ছিলো।কিন্তু শারীরিক গঠন আর শক্তিতে মনে হচ্ছিল এরা মানুষ না।এমন সময় একটা অস্বাভাবিক আকারের মানুষ আমার সামনে এসে তার হাতগুলো আকাশের দিকে তাক করতেই তার হাতে একটা ট্রিশুল চলে আসলো।কিছুক্ষণ পর ঐ ট্রিশুল থেকে বজ্রের মতো ইলেকট্রিক শর্ক বের হতে থাকে।ঐ লোকটা আমার দিকে ঐ ইলেকট্রিক শর্কটা ছুড়ে মারে।শর্কটার আঘাত সহ্য করতে না পেরে আমি দূরে ছিটকে যায়।এবং ঠিক তখনি আমার ঘুমটা ভেঙে যায়।

স্বপ্ন টার আগামাথা কিছুই আমি বোজতে পারলাম না।এইরকম স্বপ্ন প্রায় প্রতিদিন দেখে আমার ঘুম ভেঙে যেত।

লেখক রূপে,,,,,


ডেবিড খুব চিন্তাই ছিলো তার সাথে ঘটা এইসব ঘটনা নিয়ে।সে অনেক ব্যাখ্যা খুজেছে তার সাথে ঘটা এইসব ঘটনার কিন্তু কোনো লাভ হয় নি।মাত্র ১৫ বছর বয়সে এতো চাপ ডেবিড মাথায় নিতে পারছিলো না।


ডেবিড তার সাথে ঘটা ঘটনার ব্যাখ্যা জানার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।সে হাটতে হাটতে বনের ভিতর চলে আসে।কিছুক্ষণ পর দিনের আলো শেষ হয়ে যায়,ডেবিড একটা বড়ো গাছের নিচে ঘুমিয়ে পড়ে।ঘুমন্ত অবস্থায় ডেবিড স্বপ্ন দেখে,সে এই বনের মাঝখানে দাড়িয়ে আছে,এবং তার ঠিক সামনে মাটির নিচের দিকে একটা দরজার মতো কিছু দেখা যাচ্ছে। তৎক্ষনাৎ আবার ডেবিডের ঘুম ভেঙে যায়।ঘুম ভেঙে যাওয়াটা এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।কোনো আজব স্বপ্ন দেখলেই ইদানীং তার ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। 

তখন আকাশের দিকে চোঝ পড়তেই সে দেখতে পায় দুইটা ডানা ওয়ালা মানুষ। একটা আগের টার মতো, কিন্তু নতুন টা একটা মেয়ে মনে হচ্ছে। ডেবিড কোনো ভয় পায় না।কারন সে যানে এরা কখনো ডেবিডের ক্ষতি করবে না।

ঠিক তখনি ডেবিডের সামনে অনেকগুলো হায়নার পাল চলে আসে।তার জানা মতে এই বনে তেমন প্রাণী নেই। আর হায়না তো দূরের কথা।হায়নাগুলোর আকার ছিলো অস্বাভাবিক। সাধারণত হায়না দেখতে শেয়ালের আকার হয় কিন্তু এইগুলো ছিলো বাঘের মতো।

ডেবিড রূপে,,,

এতোগুলো হায়না দেখে আমার শরীর কাঁপতে  শুরু করলো।জীবনে কখনো এত বড় বিপদের সম্মুখীন হয় নি।ছোট বেলায় একবার বেয়ারের মুখোমুখি হয়েছিলাম।কিন্তু তখন কিভাবে জানি আমার হাতে থাকা এই X চিহ্নটা থেকে আলো বের হয়ে আমাকে বাচিয়ে নিয়েছিলো।তারপর থেকে আমি অনেক চেষ্টা করেছি যেমন জাদুকরদের মতো হাত বিভিন্ন ভঙ্গিতে বাঁকিয়ে। হাতের মুষ্টি শক্ত করে চেপে ধরে। কিন্তু কখনোই আর আমার X চিহ্নটা থেকে কোনো আলো বের হয় নি।

এরইমধ্যে খেয়াল করে দেখলাম হায়না গুলো আমাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছে।তাদের দেখে খুবই খোদার্থ আর ক্ষেপা মনে হচ্ছে।হায়নাগুলো যখন আমার চারদিক থেকে মানুষের মতো হাসতে থাকে তখন মনে হচ্ছিল আমার জীবনের ঘন্টা বুজি আজকে বেজে যাবে।তখন একটি হায়না আমার দিকে জোরে তেড়ে আসতে থাকে।আমি তখনও হাল ছাড়লাম না।হঠাৎকে যেন আমার কানে কানে এসে বললো গভীর চিন্তা করে কাজ করো দেখবে সফলতা আসবেই,কিন্তু আমি কাউকে দেখতে পেলাম না।এখন এইসব দেখার টাইম নাই।একটু দেরি করলেই হায়না টার হাতেই আমাকে মরতে হবে।আমি  আমার কানে শুনা ঐ কথাটার মতো চোখ বন্ধ করে বাম হাতটা আমার সামনে এনে শক্ত করে সব আঙুল গুলা এক করে ফেললাম।আমি আমার মনটাকে একটা জায়গায় স্থির করলাম।এবং মনে মনে চিন্তা করলাম আমার হাত থেকে লাইটিং হচ্ছে।এমনটা করার সাথে সাথেই একটা বিকট আওয়াজ হলো।মনে হচ্ছে এখানে এখনই কোনো গ্রেনেড ফেটেছে । আমি সাথেসাথেই চোখ খুলে ফেললাম।চোখ খুলতেই৷ আমি অবাক হয়ে গেলাম।আমার সামনে হায়নাটা ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে আছে।তখন বাম হাতের দিকে খেয়াল করে দেখলাম আমার হাতে থাকা X চিহ্নটা জ্বলজ্বল করে জ্বলছে।আমি ছোট থাকতে যখন  X চিহ্নটা জ্বলতে দেখেছিলাম তখন এর থেকে সুধু লেজার বের হয়েছিলো।কিন্তু আগে  X থেকে সুধু আলো বের হলেও এখন আলোর সাথে ফায়ারও বের হচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে লেজার আর ফায়ার একসাথে মিশানো।এইটার কি নাম আমি সঠিক জানি না।তবে এইটার নাম আমি দিলাম লেজার অফ ফায়ার।


(বিঃদ্রঃnice,next,op এইসব কমেন্ট করলে গল্প পড়ার দরকার নাই।আমরা যদি দেড় থেকে দুই ঘন্টা টাইম নিয়ে লিখতে পারি তাহলে আপনারা ১মিনিট টাইম নিয়ে কেন কমেন্ট করতে পারবেন না।আর আমি সবার কমেন্টের রিপ্লে দিয়ে থাকি)


হায়নাাটাকে আমার সামনে মরতে দেখে অন্য হায়নাগুলো রেগে আমার দিকে তেড়ে আসতে থাকে।আমি মনে করেছিলাম এতো ভয়ানক কিছু দেখে হয়তো বাকী হায়না গুলো পালিয়ে যাবে।কিন্তু হায়নাগুলো যে রেগে আমার দিকেই তেড়ে আসতে থাকবে তা কে জানত।আমি তখন ভয় না পেয়ে আমার মনকে আবার একটা জায়গায় সংযুক্ত করলাম মনে মনে ভাবলাম আমার হাত থেকে লাইটিং হচ্ছে, সাথে সাথে হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলাম সত্যি আমার হাত থেকে লেজার অফ ফায়ার বের হচ্ছে। এখন আমি বুজতে পারছি,এতোদিন কেন আমি এতো চেষ্টা করা সত্ত্বেও হাত থেকে কোন লেজার বের হয় নি।তখন যদি মন থেকে চাইতাম তাহলে মনে হয় তখন আর কষ্ট করা লাগতো না।আসলে মন থেকে যে জিনিস চাওয়া হয়,সেইটা পেতে খুবই সোজা।


আমার হাতের লেজার অফ ফায়ার বেশি দূরে যাচ্ছে না।আমি ছোট থাকতে যখন বের হয়েছিলো তখন ঐ টার রেন্জ ছিলো ১০ মিটারের মতো।আর এখন ২০-২৫ মিটারের মতো রেন্জ হবে।কিন্তু কোনো৷ সমস্যা নেই।এই ২০ মিটার রেন্জেই আমার হয়ে যাবে।হায়না গুলো চারদিক থেকো আমার দিকে তেড়ে আসতে লাগলো।আমি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বাম হাতটা সামনের দিকে এগিয়ে হায়নাগুলোকে টার্গেট করে লেজার অফ ফায়ার তাদের দিকে ছুড়ে দিচ্ছি। লেজার অফ ফায়ার হায়না গুলোর শরীর স্পর্শ করার সাথে সাথে সেগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যেতে থাকলো। 


একে একে সব হায়না আমার দিকে তেড়ে আসতে লাগলো আমি প্রায় অর্ধেক হায়নাকে আমার লেজার অফ ফায়ার এর আঘাতে শেষ করে ফেললাম।কিন্তু সেই সময় একটা বড়ো বিপদ ঘটলো। আমার হাত থেকে কোন লেজার কিংবা ফায়ার বের হচ্ছিল না।আমি মনে মনে অনেক চেষ্টা করি,কিন্তু কোনো রেজাল্ট পাচ্ছিলাম না।আমি হাল ছেড়ে দেই, মনে হচ্ছে মৃত্যুর কাছে আমাকে হেরে যেতে হবে।হায়না গুলো আগের চেয়ে বেশি স্পিডে আমার দিকে দৌরে আসতে থাকে।আমি ভয়ে কিছু না ভেবে পিছনদিকে দৌড় দেই।হায়নাগুলোও আমার দিকে দৌড়ে আসতে থাকে,হায়নাগুলোর স্পিড এতো বেশি ছিলো মনে হচ্ছে আমাকে ধরেই ফেলবে।এমনভাবে ২-৩ মিনট দোড়ানোর পর আমার পিছনে বজ্র পাতের মতন শব্দ হলো।আমি পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার ঠিক পিছনেই কালো ধোঁয়াই ছেঁকে গিয়েছে।আমি একটা গাছের পিছনে লুকিয়ে ব্যাপারটা দেখতে চেষ্টা করি।তখন যা দেখি তা আমি আগে কখনো দেখি নি,আমি সত্যি খিব অবাক হয়ে যায়। একটা মেয়ে যার পুরো শরীর কালো কাপড় দিয়ে মোড়ানো, মাথায় বড়ো একটা হুড চাপানো।তার শরীর থেকে কালো দোয়া বের হচ্ছে। মেয়েটা সোজা হায়না গুলোর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।সে তার পিছন থেকে একটা কাটানা বের করে।কাটানাটা দেখতে অন্যরকম ছিলো।সাধারণত কাটানাগুলো স্বাভাবিক ধাতুর তৈরি থাকে।কিন্তু এই কাটানা থেকে কালো ধোঁয়ার সাথে আগুনও বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে এইটা ডার্ক ফায়ার।মেয়েটার সামনে হায়নাগুলো আসার সাথে সাথে মেয়েটা তার লেজেন্ডারি কাটানা দিয়ে সামনের দিকে একটা স্লাইস দিলো।সাথে সাথে একটা ভায়নাক কালো আগুনে পুরো হায়নার পাল মূহুর্তের ভিতরে ধ্বংস হয়ে গেলো।মেয়েটার কাটানা যে এতোটা পাওয়ার ফুল হবে তা আমি ভাবি নি।হায়নাগুলো মরার সাথে সাথেই মেয়েটা তার কাটানা আকাশের দিকে তাক করে ধরলো,এবং চোখের পলকেই মেয়েটা উপরে উঠে গেলো।আমি উপরে তাকতেই দেখতে পাই ঐ ডানাওয়ালা লোকটার পাশে মেয়েটা দাড়িয়ে আছে।তখন মেয়েটার পিঠ থেকেও ডানা বের হয়েছে। আমার আর বুজতে বাকী রইলো না এই মেয়েটা মনে হয় আমাকেই বাঁচাতে এসেছিলো।

কিন্ত এই মেয়েটাই বা আমাকে কেন বাঁচাতে আসলো আর আমি যখন একা থাকি ঐ ডানাওয়ালা লোকটা আমার উপরেই কেন থাকে এইসব বিষয়ের ব্যাখ্যা আমার যেভাবেই হোক জানতে হবে,,,

to be continue,, 


কেমন হলো জানাবেন।কোনো জায়গায় ভুল হলে সরি।পরবর্তী পর্বে আই থিংক একটা নতুন কিছু আসবে।ধন্যবাদ আমাকে এতোটা সাপোর্ট করার জন্য।আবারো বলছি একাটা ভালো কমেন্ট আমার জন্য অনেক বড়ো মোটিভেশন।তাই সবাই nice, nxt বাদে ভালো কমেন্ট করেন।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.