ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

ডাইভার্স ২ পর্বঃ ০৪

Bangla Dub Novels

 #ডাইভার্স#

#সিজন_2#

.

পর্ব:০৪

.

.

লেখক:হৃদয় বাপ্পী

.

.

আমি নিয়াকের ফুল ফর্মে ট্রান্সফর্ম হওয়ার ফলে বেশীক্ষন থাকতে পারি নি। আমি আমার সাধারন ফর্মে আবার চলে আসলাম এবং অজ্ঞান হয়ে গেলাম। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আমি শুয়ে ছিলাম একটা বিছানায়। রুমের এক সাইড দিয়ে গ্লাস রয়েছে, যেটা দিয়ে বাইরের পানি দেখা যাচ্ছে। সাগরের পানি সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। পানির মধ্যে মাছেরা সাতার কাটছে নিজ আনন্দে। আমি উঠতে যাবো তখনি খেয়াল করলাম অনু আমার পাশে একটা চেয়ারে বসে আছে। অবশ্য বশে নই বিছানার উপরে মাথা দিয়ে চেয়ারে বসেই ঘুমাচ্ছে। গ্লাসের বাইরের পানি দেখে বুঝতে পারলাম সময়টা রাতের। কারন আমার রুমের আলো গ্লাসের বাইরে দিয়ে বের হচ্ছে যেটুকু সেটুকুই ভালো ভাবে দেখা যাচ্ছে। আমি জানি না কোথায় আছি আমি, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমরা পানির মধ্যে আছি আপাতোতো। জায়গাটা পুরোপুরি দেখার জন্য আমি বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। অনুকে আমি উচু করলাম আমার সাইকিক ক্ষমতা দিয়ে। অবশ্য আমার মনে পরছে না কিন্তু যখন আমাকে হোল্ডার গ্রুপে বেধে রাখা হয়েছিলো তখন একজন ছিলো যে কিনা আমাকে এই সাইকিক ক্ষমতা দিয়ে উচু করে ছিলো। মূলত সাইকিক ক্ষমতা হলো একটা অদৃশ্য ক্ষমতা। এটার দ্বারা আমি দূর থেকে যেকোনো জিনিস ব্লাস্ট করতে, উচু করতে, নারাতে, এবং সর্বশেষে টেলিপোর্ট করতেও পারবো টেলিপোর্টেশন ডিভাইস দিয়ে কাউকে বা কিছুকে। এছাড়াও সাইকিক ক্ষমতা আরো অনেক কাজে দেই, কিন্তু আমি এখনো আমার সব রকম ক্ষমতা ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারি না। মূলত অনেক ট্রেনিং করেছি আমি, কিন্তু আমি এখনো বেশীক্ষন ব্যবহার করতে পারি না আমার ক্ষমতা গুলো। তাছাড়াও একসাথে দুটো ক্ষমতা ব্যবহার করা কষ্টকর হয় আমার জন্য। চেষ্টা করলে একটার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি আমি। মূলত আমার কাছে যে গুলো আগে থেকেই ছিলো সেগুলো ব্যবহার করতে সমস্যা হয় না আমার। কিন্তু ঝামেলা করে বাকি গুলো। অনুকে সাইকিক ক্ষমতা দিয়ে চেয়ার থেকে উঠিয়ে আমি বিছানায় সুইয়ে দিলাম। এরপর ওর উপরে কাথা দিয়ে দিলাম। এখানে অনেকটা ঠান্ডা। পানির নিচে আছি আমরা হয়তো এজন্য। আমি বের হলাম। পথ খুজতে আমার কোনো সমস্যা হয় না। কারন আমার কাছে একটা ক্ষমতা আছে যেটার নাম ফরসাইড। যেটার কাজ হলো ভবিষ্যৎ এর অংশ দেখানো আমাকে। অবশ্য এটাকে আমি সবসময় বেশী ভবিষ্যতে দেখতে ব্যবহার করতে পারি না। তবে এটা দিয়ে আমও সবসময় তিন সেকেন্ড ভবিষ্যতে দেখতে পারি। তিন সেকেন্ড পরে আমি করবো সেটা সব সময় দেখতে পারি, তাই তিন মিনিট পর আমি কোথায় আছি সেটা দেখে আমি আমার পথ তৈরী করছি। দেখতে দেখতে একটা লিফটের পেয়ে গেলাম যেটা দিয়ে উপরে উঠে আসলাম। একদম টপ ফ্লোরে চলে আসলাম। যেটার পর একটা সিড়ি দেখতে পেলাম। সুপার স্পিডে আমি সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে আসলাম, যেটার পর একটা দরজা আসলো সামনে। যেটা খোলার পর আমি বাইরে চলে আসলাম। দ্বীপের মধ্যে ছিলাম আমি সেটা বুঝতে পারছি কিন্তু আমরা এতোক্ষন দ্বীপের নিচে ছিলাম। ছোট একটা ঘর যেটার মধ্য দিয়ে সিড়ি দিয়ে নিচে রাস্তা বের হয়েছে আমি সেটা দিয়ে উপরে উঠে এসেছি। হয়তো আরো সুন্দর রাস্তা হবে উপরে উঠার। যাইহোক পূর্নিমার রাত আকাশের চাদের আলোতে পুরো দ্বীপ অনেকটা স্বপ্নের মতো লাগছে। জায়গটা সাগরের পাশেই, তাই পানির শব্দ শোনা যাচ্ছে। আমি পানির দিকে এগিয়ে গেলাম। চাদের আলোতে পানির রং অনেক উজ্জল হয়ে আছে, যেটাকে হিরার মতো লাগছে। উজ্জল নীল পানি দেখে মনে হচ্ছে পানিতে কেউ নীল লাইট লাগিয়ে দিয়েছে। যাইহোক আমার তো জায়গাটা অনেক সুন্দর লাগছে। আমি একটু দূরে দেখতে পেলাম হৃদয় বসে আছে। অবশ্য ঠিক মতো বোঝা যাচ্ছে না সেটা কে। কিন্তু সে যেহেতু ডলফিনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে তাই আমি নিশ্চিত বলতে পারছি সেটা হৃদয়ই হবে। 

.

--তো রাজা হারকিউমাস এখানে কি করছেন এতো রাতে।(আমি)

.

--ওও নিয়াক তোমার জ্ঞান ফিরেছে তাহলে।(হৃদয়)

.

--হ্যা কিছুক্ষন আগেই।(আমি)

.

--তোমার বোন অনেক চিন্তিত হয়ে গিয়েছিলো তোমার জন্য। তাই আমি তোমাদের থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি কিছুক্ষনের জন্য।(হৃদয়)

.

--আমার বোন!(আমি)

.

--অবাক হলে, মনে হচ্ছে অনু তোমার বোন নয়, নাকি রেগে আছো অনুর কথার উপরে।(হৃদয়)

.

--অনু ঠিকই বলেছিলো, এক এতোটা সময় আমি অনুর সাথে ছিলাম একটা বার আমাকে ভাইয়ের মতো দেখে নি সে, বরং সবটা সময় মনে মনে আমাকে নিয়ে বিরক্ত হয়েছে। তার মনের ভিতরের কথা গুলো আমিও জানতে পারি, কতটা ঘৃণা সে আমাকে করে সেটা আমি নিজেও বলতে পারবো না। কিন্তু হঠাৎ এক মুহুর্তের মধ্যে ওর মুখ থেকে ভাইয়া ডাকটা শুনে আমার কাছে অন্যরকম লেগেছে, যেটা আমার আরেক বোন হৃদিতার ডাক শুনেও আমি কখনো বোধ করি নি। একটা আজব অনুভব আমার মধ্যে কাজ করেছিলো অনুর ডাক শুনে, যদিও আমি জানি সে ডাক এই অস্তিত্বহীন আমার জন্য নয়, বরং সেটা ছিলো তার ভাই প্রিন্স নিয়াকের জন্য।(আমি)

.

--তুমি ব্যাপারটা অন্যভাবে ভাবছো।(হৃদয়)

.

--আমি কিভাবে ভাবছি সেটা তোমার থেকে আমার শিখতে হবে না। বিশেষ করে একটা রাজা যে কিনা অধিক মেয়ের শরীর নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। তোমার মতো একটা লুচু লোকের কাছ থেকে আমার কিছু বোঝার প্রয়োজন হবে বলে আমি মনে করি না।(আমি)

.

--হুম আমার চরিত্র লুচু কিন্তু সেটাই আমার দোষ কোথায়। লেখক ছ্যাকা খেয়ে তার চরিত্রকে লুচু বানালে সেখানে লেখক কিংবা তার চরিত্রের দোষ কোথায়?(হৃদয়)

.

--এটা কোনো গল্প না যে লেখক আমাদের নিয়ন্ত্রন করবে। এটা বাস্তব দুনিয়া যেখানে আমাদের উপরে কারো নিয়ন্ত্রন নেই। যার যার স্বভাব তার কাজেরই ফল মাত্র।(আমি)

.

--তুমি সবটা জিনিস ভুল ভাবছো। আমি জানি না, তবে আমার মাঝে একটা ক্ষমতা দিয়েছে লেখক, যেটার ফলে আমার সাথে যে মেয়েরই কথা হবে তাতে সে গলে যাবে। জিনিসটা তো আমি চাই নি।(হৃদয়)

.

--দেখো বাদ দাও তোমার ব্যর্থ বোঝানোর চেষ্টা। আমি তোমার কিংবা অনুর মাঝে আসার মতো কেউ না। আমি শুধু আমি যার অস্তিত্ব নেই। তাই অনুর ভাই হওয়ার নাটক আমাকে করতে হবে না।(আমি)

.

--তুমি রাগ করছো কেনো? তুমিই তো অনুর ভাই, তোমার বোন তোমার চিন্তাই সেই সকাল থেকে কিছু খাই নি এখনো।(হৃদয়)

.

--সেটা আমার জন্য না। বরং আমার শরীরে থাকা নিয়াকের সত্ত্বার জন্য। আমাদের শরীর এবং ব্রেইন একই হলেও, দুজনের চিন্তা ভাবনা আলাদা। সে এক রকম ভাবে, আর আমি একেক রকম। তার কাছে তার বোন হায়াকা(অনু) আর আমার কাছে আমার বোন হৃদি।(আমি)

.

--.....(হৃদয় কিছু বলছে না)

.

--তো এখানে তার ভাই হওয়ার নাটক আমার না করলেও চলবে। আর যেহেতু আমি তোমাদের মাঝে একটা অচেনা মানুষ, তাই কথাও বলতে চাই না কোনো ব্যাপারে।(আমি)

.

--বোনের উপরে রাগ করে থাকাটা ঠিক না। যে বোন একদম আপন বোন হয় সে তোমার অস্তিত্ব হারানোর পরেও তোমাকে চিনতে পারবে, আর যে আপন হবে না ঠিক তোমার বোন হৃদির মতো তোমাকে চিনবে না। কারন আপন বোন নিজের Soul এর মতো হয়। যেখানে তার কোনো বিপদ হলে কিংবা তার কাছে থাকলেই নিজেকে অনেক খুশি বলে মনে হয়।(হৃদয়)

।।।

।।।

আমি হৃদয়ের কথা শুনলাম না আর। আমার আমার সত্ত্বার সাথে আমার সম্পর্ক অনুর সাথেও ভাগ করে নিলাম। সে যেহেতু আমার ফুল ফর্মে আসার অপেক্ষা করছিলো, তার আগে সে আমাকে নিজের ভাই বলে মেনে নিবে। ঠিক আমিও আমার এই ফর্মে কখনো তাকে বোন বলে মানবো না। সাধারন মতে সে আমার বোনই না। তবে সেটা নিয়াক এর ফর্মে আলাদা। আমি জানি না আবার কখনো নিয়াকের ফর্মে যেতে পারবো কিনা, তখন তো অতিরিক্ত রাগের কারনে আমি কিছুসময়ের জন্য আমার সত্ত্বা চেন্জ করতে পেরেছিলাম। জানি না আবার কবে করতে পারবো। আমি নিজেই অনুভব করেছিলাম নিয়াকের মধ্যের ক্ষমতা। আমি জানি না তবে তখন আমার মধ্যে থেকে একটা মনস্টারের থেকে ভয়ঙ্কর ক্ষমতা অনুভব করতে পারছিলাম। জানি না সেটা কিসের ছিলো। কিন্তু খুব ভয়ঙ্কর ছিলো সেটা। 

।।।

।।।

পুরানো কথা ভাবলে আমার মনে হচ্ছে প্রিন্স নিয়াক ছোট থেকেই অনেক মারাত্মক শক্তিশালী ছিলো। তাকে হত্যার জন্যই ব্লাক নাইট হয়তো দ্যা ব্লু আর্থে এসেছিলো। অনু এবং নিয়াক দুজনে টুইন। কিন্তু দুজনের ক্ষমতার মধ্যে পার্থক্য ছিলো। তা নাহলে শুধু প্রিন্স নিয়াকের ক্ষমতা গুলো আলাদা করা হবে কেনো? আমি জানি না তবে আমার এই নিয়াক পরিচয়কে আমি সঠিক ভাবে মেনে নিতে পারছি না। শুধু আমার হৃদয় বাপ্পী অস্তিত্ব হারানোর জন্য আমি নিয়াকের পরিচয় নিয়েছি। কিন্তু নিয়াকের সম্পর্কে আমি অনেক কিছু জানি না। শুধু আমি না বরং নিয়াক নিজেও তার ক্ষমতা সম্পর্কে জানে না। কারন নিয়াকের সমস্ত স্মৃতি আমার কাছে রয়েছে, তারপরও আমি বের করতে পারছি না শুধু নিয়াককে কেনো আলাদা করতে হলো তার ক্ষমতা গুলো। নিয়াকের ক্ষমতা কি এতো মারাত্মক ছিলো যে সেটা অন্য ইউনিভার্স থেকে অনুভব করা যেতো? না বিষয়টতে আরো বড় কিছু আছে। আমার মনে হচ্ছে ব্লাক নাইট অন্য কিছু চাচ্ছে। যায়হোক আমাকে শীঘ্রই শক্তিশালী হতে হবে। এখন তো আমার অবস্থা এরকম যে আমি হিমারো কিংবা ডুইনের সাথে লড়ে তাদের খুব সহজে হারাতে পারবো না। অবশ্য তাদের হারাতে পারবো কিন্তু সেটার জন্য সময় লাগবে অনেকক্ষন। আমাকে এমন শক্তিশালী হতে হবে যে শত্রুকে খুব সহজে আমি হারাতে পারি। তা নাহলে আমি কখনো আমার নিয়াক সাইডকে মেনে নিতে পারবো না। আমি আমার সাধারন ফর্মে যদি হৃদয়কে হারানোর মতো শক্তিশালী হয়ে যেতে পারি তাহলে হয়তো আমি নিয়াকের ফর্মকে বেশ কিছুক্ষন ব্যবহার করতে পারবো। নাহলো আমার শরীরের এখন যে অবস্থা আমি নিয়াকের ফর্মে ট্রান্সফর্ম হওয়ার সাথে সাথে অজ্ঞান হবো। বিষয়টা ক্লিয়ার না তবে আমাকে আর অন্যের ভরসায় থাকা যাবে না। যা করার নিজেকেই করতে হবে আমার।

।।।

।।।

আমি সেদিনের মতো ভিতরে এসে কাটিয়ে দিলাম। রাতে আরেকটা রুমে গিয়ে শুয়ে পরেছিলাম। আমার মাথায় আরেকটা ভয়ানক বুদ্ধি আসলো, যেটা কেউ আগে চেষ্টা করে নি হয়তো। সকালে উঠে আমি হিমারোকে ডাকলাম।

.

--তোমার আর মিচেল এর মধ্যে তো ভালো চলছে তাইনা?(আমি)

.

--আমি জানি না ও আমাকে নিয়ে কিরকম ভাবে। তবে আমি ওকে ভালোবাসি। কিন্তু ওকে বলতে পারছি না।(হিমারো)

.

--ঠিক আছে তোমার মনের কথা আমি ওকে বলে দিবো। কিন্তু তোমাকে আমাকে একটা সাহায্য করতে হবে।(আমি)

.

--হ্যা বলো।(হিমারো)

.

--তোমার আর মিচেল এর রিলেশন হয়ে গেলো তুমি মিচেলকে একটা জিনিসে কাজ করতে বলবে।(আমি)

.

--কি সেটা?(হিমারো)

.

--টাইম ট্রেনিং ক্যাম্প।(আমি)

.

--সেটা কি?(হিমারো)

.

--আমিও সঠিক ভাবে বলতে পারবো না। কারন সময়ের ব্যাপারে তেমন জানি না। তবে মিচেল বিষয়টা বুঝবে, যেহেতু সে টাইমমেশিন প্রায় শেষ করেই ফেলেছে। আমার যেটা লাগবে সেটা এমন একটা জিনিস হবে যার মধ্যে সময় অনেক আস্তে চলবে, যেখানে আমি আমার মন মতো ট্রেনিং করতে পারবো।(আমি)

.

--এমন জিনিস হয় নাকি?(হিমারো)

.

--তুমি ওকে বইলো ও পারবে কিনা ও নিজেই বলবে।(আমি)

.

--ঠিক আছে এখন বলো আমার মনের কথা ওকে জানাবে কিভাবে?(হিমারো)

.

--খুব সহজ তুমি যে বললে তুমি ওকে ভালোবাসো সেটা আমি রেকোর্ড করেছি, যেটা ওকে শুনিয়ে দিবো।(আমি)

.

--আচ্ছা ও কি বলে সেটা জানিও।(হিমারো)

.

--আমি একজন ট্যালিপ্যাথিক, তাই ও যে তোমাকে ভালোবাসে সেটা আগে থেকেই জানি। ও চাচ্ছে তুমি ওকে গিয়ে প্রপোজ করো, এজন্য অপেক্ষা করছে।(আমি)

.

--তুমি সত্য বলছো?(হিমারো)

.

--হ্যা তুমি ওকে প্রপোজ করো নাহলে আমি গিয়ে এই রেকোর্ড শুনিয়ে ওকে বলি তুমি লজ্জা পাচ্ছো।(আমি)

.

--ঠিক আছে আমি নিজেই বলবো সাহস করে, যা হওয়ার হবে।(হিমারো)

।।।

।।।

হিমারোর সাহসের ফলে আমি এক সপ্তাহের মধ্যে পেয়ে গেলাম একটা টাইম লক রুম। অবশ্য হিমারোকে বলা নাম আমি নিজেই দিয়েছিলাম,  আর টাইম লক রুম নাম দেই মিচেল নিজেই। এক সপ্তাহ পরে ওর সাথে আমার কথা হলো,

.

--দেখো এই রুমটা তুমি যেরকম বলেছিলে সেরকমই। এটা সময়কে আটকে রাখতে পারে না, কিন্তু সময়ের স্পিড কমিয়ে দেই। এই রুমকে আমি আমার ইউনিভার্সের সবচেয়ে শক্তিশালী ধাতু দিয়ে তৈরী করেছি যার জন্য ভিতরে পারমানবিক বোমা ফেললেও কিছু হবে না। ভিতরে সময় আস্তে কাজ করবে। মনে করো এখানে এক মাস সময় গেলে ভিতরে এক বছর সময় পার হবে যতটা আমার ধারনা। এই রুমের ভিতর থেকেই লক করার ব্যবস্থা করেছি, যার কারনে বাইরে থেকে কেউ তোমাকে বের করতে পারবে না। তাই নিজ ইচ্ছা মতো ট্রেনিং করো। কেউ ভিতরে টেলিপোর্ট ও হতে পারবে না।(মিচেল)

.

--এতো তারাতারি তৈরী করতে পারবে সেটা ধারনা ছিলো না।(আমি)

.

--সময়ের পিছনে এবং সামনে যাওয়ার যন্ত্র যদি তৈরী করে ফেলতে পারি তাহলে এটা তো কিছুই না।(মিচেল)

.

--ধন্যবাদ তোমাকে মিচেল।(আমি)

.

--ধন্যবাদ তো তোমাকে দেওয়া দরকার। কারন তুমি আমাদের এক করতে সাহায্য করেছো। এটা সেটার জন্য একটা গিফট আমার তরফ থেকে।(মিচেল)

।।

।।

আমার ইচ্ছা ছিলো সবার থেকে আলাদা ট্রেনিং করা। ভিতরে মিচেল খাবারের ব্যবস্থা করেছে, যেটার কারনে আমাকে না খেয়ে মরতে হবে না। দেখা যাক কতদিন এখানে থাকতে পারি আমি। আর কতটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারি সেই সাথে।

।।।।

।।।

।।

(((চলবে)))

।।

।।।

।।।।

অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য।

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.