পার্ট:6
।।।।
।।।।
এনগেজমেন্ট টা হয়েই গেলো।মেয়েটার সাথে একটু কথা বলতে চাচ্ছিলাম কিন্তু সুযোগই পাচ্ছি না।।।এই তো নিলা।
.
--কিরে ভাইয়া ভাবিকে খুজতেছিস না।(নিলা)
.
--হুমমম না মানে।(আমি)
.
--হুমমম বুঝছি তুই ভাবিকেই খুজতেছিস।যা ছাদে যা আমি তোর হবু বউকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।(নিলা)
.
--আচ্ছা।
।।।।
।।।।
চলে এলাম ছাদে এমন কেনো মনে হচ্ছে যে নিধিকে আমি অনেক ভালো করে চিনি।দূর মাথায় কিছুই কাজ করতেছে না।আমি খুব গাড়ো চিন্তাই ব্যস্ত ছিলাম এমন সময়।,
.
--আমাকে কি কিছু বলবেন।(নিধি)
।।।।
ভাবনার মধ্যে ছিলাম।তাই নিধি কখন এলো বুঝলামই না।
.
--হ্যা কিছু বলার ছিলো।(আমি)
.
--হ্যা তাহলে বলেন কি বলবেন।(নিধি)
.
--দেখো বলার মধ্যে একটা কথায় আমাদের এনগেজমেন্ট তো হয়েই গেছে।বিয়েটাও খুব তারাতারি মনে হয় দিয়ে দিবে।আপনার কি পছন্দ হয়েছে আমাকে।(আমি)
.
--দেখুন আমার বাবা-মা আমার বিয়ে যার সাথে ঠিক করবে তাকেই বিয়ে করতে হবে আমাকে।এতে পছন্দ অপছন্দের কিছুই নাই।(নিধি)
.
--ও আপনার মামা তো আমাকে এই বিয়ের জন্য চাকরি দিচ্ছে সেটা কি জানেন আপনি।(আমি)
.
--তাহলে কি আপনি চাকরির জন্য বিয়ে করছেন আমাকে।(নিধি)
.
--না সেটা না আমি আজকেই জানলাম আপনাকে বিয়ে করতে হবে আমাকে।(আমি)
.
--ওওও।
.
--আমরা তো একে ওপরকে জানিই না এখনো।যদি আপনি আপনার মামাকে বলে এই বিয়েটা পিছনে দিয়ে দিতেন তাহলে ভালো হতো।(আমি)
.
--তাহলে তো আপনার চাকরি পেতে ও সময় লাগবে তাই না।(নিধি)
.
--সেটা নাহয় লাগুক।তাও এতো তারাতারি বিয়েটা আমার ভালো লাগছে না।(আমি)
.
--ঠিক আছে আমি মামাকে বলে আপনার চাকরির ব্যবস্হা করে দিচ্ছি আর বিয়েটাও ৬ মাস পরে করার ব্যবস্হা করছি।(নিধি)
.
--আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।(আমি)
।।।।।
নিধি আর কিছু না বলে চলে গেলো।মেয়েটা এতো নিরব থাকে কেনো বুঝি না।যাইহোক ওকে দেখলে মনে হয় অনেক আগে থেকে ওকে আমি চিনি।দূর কিছুই ভালো লাগে না।কেনো যে চলে আসলাম লন্ডন থেকে।এটার জন্যই মনে হয় আমাকে নিয়ে এসেছে।কি জানি কি থেকে কি হয়ে যাই।
।।।।।
রাতটা কেটে গেলো।সবাই চলে গেছে রাতেই।নিধিরাও চলে গেছে আমার সাথে কথা বলার পরই।আমি ও ঘুমিয়ে পরলাম।সকালে উঠার পর।
.
--ভাবি শুনো জাহিদ তো বিয়েটা ৬ মাস পরে করাবে।(কাকু)
.
--এই না বললো এক মাস পর।(মামনি)
.
--না নিধি নাকি এখন বিয়ে করবে না ৬ মাস পরই বিয়ে করবে।ওর পরীক্ষা শেষ হবে তারপরই বিয়ে করবে।(কাকু)
.
--এনগেজমেন্ট তো হয়েই গেছে বিয়ে একদিন হলেই হলো।(মামনি)
.
--হুমমম আর বাপ্পী কালকে বা পরশু তোর জয়েনিং লেটার পেয়ে যাবি।(কাকু)
.
--এই না বিয়ের পর পাবে।(নিলা)
.
--না জাহিদ বললো শুধু শুধু জামাইকে এতো দিন বসিয়ে কি লাভ।(কাকু)
.
--বুঝলাম কিন্তু আমার পোস্টিং কোথায় হবে।(আমি)
.
--ঢাকায়।(কাকু)
.
--আবিদ ঢাকায় হবে কেনো এখানেই দিতে বলো না।(মামনি)
.
--আরে ভাবি এখানে দিতে হলে তো আমাকে অন্য জায়গায় পাঠিয়ে দিবে।আমার প্রমোশন হলেই ওকে এখানে নিয়ে আসবো।(কাকু)
.
--ও ঠিক আছে কাকু তাহলে তো কালকেই ঢাকায় যেতে হচ্ছে।(আমি)
.
--বাবা তোর না যেতে হবে না আমার না খুব ভয় করছে।(মামনি)
.
--কিসের ভয় কোনো ভয় নাই।আমি যাবো আর ছুটি পেলে তো ঠিকই আসবো তাইনা।(আমি)
.
--বাবা তোর কিছু হয়ে গেলে আমরা থাকবো কিভাবে বল।(মামনি)
.
--আরে মামনি কিছুই হবে না আমার।তুমি চিন্তা কইরো নাতো।(আমি)
.
--ভাইয়া তুই আবার চলে যাবি।(নিলা)
.
--হুমমমম কিছুদিন পর তোদের ও ওখানেই নিয়ে আসবো।(আমি)
.
--সত্যি তো।(নিলা)
.
--হুমমম সত্যি।(আমি)
।।।।।।।
কিছু খেয়ে রুমে এসে আবার জামাকাপড় ঘুছানো শুরু করলাম।দিনটা কেটে গেলো।পরের দিন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।সেখানে আমার শ্বশুর বাসায় আমাকে থাকতে হবে।সরি হবু শ্বশুর বাসায়।ঢাকায় পৌছাতে বিকাল হয়ে গেলো।বাস থেকে নেমে দেখি আমার হবু শ্বশুর দারিয়ে আছে।মানে নিধির বাবা।ওনার সাথে চলে আসলাম ওনাদের বাড়িতে।অনেক বড় আর সুন্দর বাসা ওনাদের।বাড়িটাও আমার চিনা চিনা লাগতেছে কিন্তু আমি তো চিনি না।যাইহোক নিধি বাসায় নেই।ও এখনো ওর মামা বাসায়।সেদিন ওর বাবা-মা ফিরে এসেছে বাসায় কিন্তু ও এখনো ফিরে নাই।৫ দিন পর আসবে ও।হবু শ্বাশুরী তো আমার সেই খেয়াল রাখছে।একদম জামাই আদর।কালকে দুপুরে জয়েনিং লেটার পেয়ে যাবো।পরশু দিন থানায় জয়েন করতে হবে।যাইহোক ভালোই যাবে মনে হয় দিন।বিকালে এসেছি তাই আর এখন বের হতে পারবো না।ফ্রেস হওয়ার পর নিধির মা কিছু খেতে দিলো তাই খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।রাতে অনেক ডেকেছিলো কিন্তু আমি উঠি নাই।সকালে উঠলাম।ভাবলাম এখন থানা থেকে একটু ঘুরে আসি।থানার কি অবস্হা দেখে আসি তাহলে একটু সুবিধা হবে।তাই নিচে আসলাম,
.
--বাবা খেতে বসো নাস্তা বেরে দিচ্ছি।(নিধির মা)
.
--না আন্টি এখন আর খাবো না পরে খাবো একটু বের হবো এখন।(আমি)
.
--কালকে রাতেও কিছুই খাও নাই।কিছু খেয়ে বের হও।
.
--আচ্ছা তাহলে বারুন।(আমি)
.
--কোথায় যাবা এতো সকাল সকাল।(নিধির বাবা)
.
--না আঙ্কেল মানে একটু থানা থেকে ঘুরে আসি কালকে তো জয়েন করবো তাই।(আমি)
.
--ও আচ্ছা তাহলে আমি নামিয়ে দিবো।
.
--আমি একাই যেতে পারবো।আর এতে করে শহরটাও ভালো করে চিনা হয়ে যাবে।(আমি)
.
--আচ্ছা ঠিক আছে।
।।।।।
নাস্তা করে নিয়ে বের হয়ে গেলাম। ভালো করে দেখতে লাগলাম শহরটা।না ভালোই ঢাকা শহর।আর পুলিশদের জন্য তো আরো ভালো।কিন্তু এই সব দেখলে চলবে না।সোজা থানায় চলে আসলাম।কেউ তো আমাকে চিনে না।কিন্তু কালকে তো ঠিকই চিনবে।ঘুরতে লাগলাম থানায়।থানার অবস্হাও ভালো না।কোনো সিনিয়র অফিসার নাই তাই যে যার মতো অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে।হাই হাই।এটাকে থানা বলে তো মনে হয় না।যাইহোক ভালো একটা ওসি পেলাম।আমার সাথে ট্রেনিং এ ছিলো অনেক ভালো লাগলো ওকে দেখে।কিন্তু আমি সামনে গেলাম না।কালকে এখানে সবার সিনিয়র অফিসার হয়েই আসবো।তারপর থানা থেকে বের হয়ে পুরা শহরটা ঘুরতে লাগলাম।বিকালে নিধিরদের বাসায় ফিরলাম।
.
--বাবা তোমার নামে দুইটা কুরিয়ার এসেছে।(নিধির মা)
.
--কোথায় আন্টি।(আমি)
.
--তোমার রুমে রেখেছি।
।।।।।
রুমে আসলাম দেখি দুইটা কুরিয়ার একটাই আমার জয়েনিং লেটার আর একটায় আমার পুলিশ এর ড্রেস আমার রিভালবার।কাকু পাঠিয়েছে মনে হয়।যাইহোক এতো কিছু না ভেবে সোজা ফ্রেস হয়ে নিলাম।রাতে কিছু খেয়ে রুমে আসলাম।দেখি আননোন নাম্বর থেকে পোন আসতেছে,
.
--আসসালামু আলাইকুম।(একটা মেয়ে)
.
--ওলাইকুম আসসালাম।কে আপনি।--ওলাইকুম আসসালাম।কে আপনি।--ওলাইকুম আসসালাম।কে আপনি।--ওলাইকুম আসসালাম।কে আপনি।(আমি)
.
--আমি নিধি।
.
--ও হ্যা বলেন।(আমি)
.
--মনে হয় বিরক্ত করলাম আপনাকে।(নিধি)
.
--না বিরক্ত না বলেন কি বলবেন।(আমি)
.
--না মানে কালকে তো আপনি চাকরিতে জয়েন করবেন প্রথম দিন তাই All the best বলার জন্য ফোন দিলাম।
.
--ধন্যবাদ।(আমি)
.
--কি করতেছেন এখন।(নিধি)
.
--কিছুই না বসে আছি।আপনি।(আমি)
.
--আমি ও।।আমার বাসা কেমন লেগেছে (নিধি)
.
--অনেক ভালো।(আমি)
.
--আচ্ছা তাহলে ঘুমান কালকে সকালে তো আমার থানায় যাবেন।(নিধি)
.
--হুমমম।
।।।।।।
ফোন রেখে ঘুমিয়ে পরলাম।
।।।।
সকালে উঠে রেডি হয়ে নিলাম।পুলিশ এর ড্রেস পরে ভালোই লাগছে।এখনি পুলিশ পুলিশ ভাব চলে আসতেছে।যাইহোক নিচে এসে নাস্তা করে নিলাম।মামনি আর নিলার সাথে ও কথা বলে নিলাম।বাইরে গাড়ি এসেছে আমাকে নিতে।গাড়িতে উঠে থানায় চলে আসলাম।থানায় আসার পরই সবাই আমাকে দেখে স্যালুট করলো।কেউ কেউ তো আবার মালাও পরিয়ে দিলো।কোন দুনিয়ায় আছি মালা ও পরাতে হয় নাকি।য়াইহোক আমার কেবিনে চলে আসলাম।সবাইকে ডাক দিলাম পরিচয় হয়ে নিলাম সবার সাথে।এদের মধ্যে নিলয়কে বাদে সবাইকে বাইরে যেতে বল্লাম।নিলয় আর আমি এক সাথেই ট্রেনিং এ ছিলাম এখন আমি নিলয় এর সিনিয়র অফিসার।
.
--কিরে কেমন আছিস। তা এখানে কয়মাস।(আমি)
.
--৩ মাস হয়ে গেছে।(নিলয়)
.
--ও কয়টা কেস সলভ করলি।(আমি)
.
--একটা চোরকে শুধু ধরেছি।(নিলয়)
.
--ও আমি তো প্রথমেই রহস্যময় একটা কেস সলভ করবো।--ও আমি তো প্রথমেই রহস্যময় একটা কেস সলভ করবো।--ও আমি তো প্রথমেই রহস্যময় একটা কেস সলভ করবো।--ও আমি তো প্রথমেই রহস্যময় একটা কেস সলভ করবো।(আমি)
.
--রহস্য ময়।হাহাহাহা।একটা চোরকে ধরতেই আমার ২ মাস ১৩ দিন লেগে গেছে আর তুই প্রথমেই একটা রহস্যময় কেস সলভ করবি।(নিলয়)
.
--হুমমমম তুই তো আছিস ই আমার সাথে তাহলে আর ভয় কিসের।(আমি)
.
--ওকে দেখা যাবে তের প্রথম কেসটাই সলভ করতে পারবি না আর আমার ২য় কেসটা আমি সলভ করতে পারবো না।(নিলয়)
.
--আরে বাদ দে এইসব তুই আমাকে একটা রহস্যময় কেস দে তো।(আমি)
.
--রহমত চাচা।(নিলয় কন্সটেবেলকে ডাক দিলো)
.
--Yes Sir।(রহমত)
.
--আরে তোমাকে কত বার বলেছি সার বলতে হবে না।তোমার ছেলের বয়সি আমি।(নিলয়)
.
--আরে সার এখানে তো চাকরি করতে এসেছি চাকরির নিয়মটা তো পালন করতেই হবে।(রহমত)
.
--আচ্ছা চাচা আমাদের থানার একটা পুরাতন কেস ছিলো না মনে হয় ৪ বছর আগের তুমি বলেছিলে আমাকে।(নিলয়)
.
--হ্যা।(রহমত)
.
--ঔ কেস এর ফাইলটা নিয়ে আসো তো।(নিলয়)
.
--এক মিনিট সার।
।।।।।
রহমত চাচা ফাইলটা দিয়ে গেলো।
.
--হুমমম এটায় আমাদের থানার সবচেয়ে পুরাতন আর রহস্যময় কেস।এটা এখনো সলভ হয় নাই।(নিলয়)
.
--হুমমমম ডিটেইল কি আছে।(আমি)
.
--ছেলের নাম হৃদয়।বয়স ১৮।৪বছর আগে সিলেট গিয়েছে কিন্তু এখনো ফিরে আসে নাই।(নিলয়)
.
--কি বলিস সিলেট গিয়ে ফিরে আসে নাই তাহলে এখানে কেস করেছে কেনো সিলেটে কেস করে নাই।(আমি)
.
--হুমমমম সিলেটে ও একটা কেস করা হয়েছে।।।।তাহলে কি এটা সলভ করবি নাকি।আমার মনে হয় পারবি না।(নিলয়)
.
--আরে তুই ও আছোস আমার সাথে সমস্যা কি।আর এটাই করবো যা।ঔ হৃদয়কে যেভাবেই হোক আমি বের করে আনবো।(আমি)
.
--দেখ আমাকে অন্য একটা কেসে দে এটাই দিস না।৬ জন এই কেস নিয়েছে কেউ ই এখনো সলভ করতে পারে নাই।আমরাও পারবো না।শুধু শুধু কষ্ট করে লাভ আছে নাকি।(নিলয়)
.
--আমি আর তুই এটাই সলভ করবো।আর কোনো কথা হবে না।আমার এই হৃদয় এর সম্পূণ ডিটেইল লাগবে।A to Z সব লাগবে।এখনি খোজ নে সব।(আমি)
.
--৪ বছর হয়ে গেছে সবাই তো ভুলে গেছে মনে হয়।এখন শুধু শুধু এই কেসটা হাতে নিয়ে লাভ কি।(নিলয়)
.
--ওকে ওর বাসা থেকে ঘুরে আসি।যদি ওর বাবা-মার কোনো আশা থাকে তাহলে আমি এই কেসটাই সলভ করে অন্য কোনো কেস ধরবো।(আমি)
.
--পাগলামি করতেছিস কেনো।(নিলয়)
.
--আরে তুই ভাব তোর ছেলে যদি ৪ বছর ধরে নিখোজ থাকে তাহলে তোর কত কষ্টই না হবে।আমি যাচ্ছি এখনি ওদের বাসায়।গিয়ে দেখে আসি ওর বাবা-মার কি অবস্হা।(আমি)
.
--এইনে ঠিকানা।(নিলয়)
.
--তুই ও যাবি আমার সাথে।(আমি)
.
--না আমি যাবো না।(নিলয়)
.
--ওকে তাহলে ৬ মাস এর জন্য
Waiting for the next part......