#ড্রাগন কিং#
পার্টঃ৫
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
হঠাৎ করে নিজের চোখ খোললাম,ঠিক তখনি নিজেকে এক বিশাল বড় মাঠে আবিষ্কার করলাম এবং সেখানে দেখলাম যে,একটা চেয়ারের উপর কে যেন বসে আছে। চেয়ার বললে ভুল হবে,আমরা মুভিতে রাজাদের সিংহাসন যেমনটা দেখি,ঠিক সে-রকম ই ছিল সেই চেয়ার/সিংহাসনটা। আমি সেটা দেখে একটু অবাক হলাম,আমার মনে হলো আমি স্বপ্ন দেখছি,যার জন্য আমি নিজের গালে আস্তে একটা থাপ্পড় দিলাম বাট ব্যথা পেলাম না,তারপরও শিওর হওয়ার জন্য একটু জোরে থাপ্পড় দিলাম নিজের গালে,এতে যেন আমার গালটা ভেঙে বেঁকে গেল,আমার তো পরান যায় যায় অবস্থা। এটা যে বাস্তব সেটা পরক্ষনেই বুঝতে আর বাকি রইলো না। পরে যখন আমার ব্যথা আপনা আপনি ঠিক হয়ে গেল,, তখনই আমার পাওয়ারের কথা মনে পড়ল। তাই পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে কিছুটা সাহস নিয়ে,সিংহাসনের ওপরের মানুষটাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলাম,
,
,
তুৃমি যেই হওনা কেন,কোনো চালাকি করার চেষ্টা করবে না,এবার তুমি তুমার আসল পরিচয়টা বলো,আর এও বলো যে,আমি এখানে কেন,কে আমাকে এখানে এনেছে(আমি)!
,,,,,,,,(লোকটি)!
আরে সালা এতো দেখছি আমাকে ইগনোর করছে,আরেকবার বলে দেখি কি হয়,সালা কে তো সুবিধার মনে হচ্ছে না। উল্টা পাল্টা কিছু করতে চাইলে, সালার জানটাই কেরে নেব।
শেষ বারের মতো আমি তাকে বললাম,কে তুই আমাকে এখানে আনার কারনটা বল,নইলে তোর জানটাই নিয়ে নিব(আমি)!
সেটা ভুলেও করতে যেওনা,পিচ্চি(অচেনা লোকটা)!
কিহ্ এতো বড় অপমান তাও আবার আমাকে,আজকে তোর খবর আছে,এই বলে আমি আমার ডান হাতটা পুরো আগুনের করে নিলাম,এবং কিছু বল আকৃতির জিনিস বানালাম ডান হাতের আগুনটা দিয়ে(আমি আমার আগুনকে যেকোনো কিছুর রূপ খুব সহজেই দিতে পারি,সেটা শুধু আমার মাধার মধ্যে থাকলেই হলো)। তারপর সেগুলোকে ওপরের দিকে ছোড়ে মারলাম,সেইসব বল গুলো নিচে পড়ে আমার আর সেই সিংহাসনের ওপরের লোকটার চারপাশে ঘিরে একটা আগুনের বৃও তৈরী হয়ে গেল। সেটার পাওয়ার আমি অনুভব করে দেখলাম যে অনেক পাওয়ার ফুল এটা। আর এটার কারনে সামনের ব্যক্তিটাকে দেখতে পেলাম,,তার পুরো শরীর কালো আলখেল্লার ডাকা ছিল,এবং তার মুখের মধ্যে একটা অদ্ভুদ রকমের মুখোশ পড়া ছিল। যার কারনে আমি তাঁকে আমার সামনে থাকার পরও দেখতে পারলাম না।
তারপর সেই অচেনা ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে আবারও বললাম যে,মরার জন্য এইবার তৈরী হয়ে নি(আমি)!
এই বলে আমি আমার সুপার স্পিড মোডে চলে গেলাম,আমার অনেক সখ হলো,ছেলেটার মুখটা দেখার জন্য যার কারনে আমি চোখের পলকে ছুটে গেলাম তার সামনে,আমি আর অপেক্ষা করতে পারলাম না,যার কারনে আমি তার মুখোশ টা ধরতে গেলাম,ঠিক তখনই,,,,,,,
,
,
এটা কি করে সম্ভব,এই বলে আমি অবাক নয়নে সামনের লোকটার দিকে তাকালাম। আমি তো পুরো অবাক,তার কারন হলো আমি যায় যখনই তার মুখোস টা ধরতে যাব,ঠিক তখনি সে আমার হাতটা ধরে ফেলে। যার জন্য আমি অবাক হয়ে তাকে বললাম যে,এটা কিভাবে সম্ভব,আমিতো আমার সুপার স্পিড মোডে ছিলাম,তাহলে তুমি কিভাবে দেখতে পেলে। আমার কথা শুনে,,অচেনা ব্যক্তিটা বলল যে,
,
,
আগেই বলেছিলাম, যে ভুলেও আমাকে মারার চিন্তা ভাবনা করো না,আর আমি কে সেটা একটু পরেই দেখতে পাবে,আর তুমাকে বাচ্চা বলব নাতো কি বলব,তুমি তো আমার কাছে একটা বাচ্চাই,এই বলে সে আমার বুকের মধ্যে আস্তে করে একটা ঘুসি দিল(অচেনা ব্যক্তি)!
আমি কিছু বুঝতে পারার আগেই সে আমার বুকে একটা ঘুসি দেয়,যেটা আমি দেখতে পযন্ত পারলাম না,আর তার ঘুসির যে পাওয়ার তাতে মনে হলো সে আমার থেকে কয়েকশো গুন বেশি শক্তিশালী। সত্যিই আমি অনেক বুকা,তার কারন হলো কারো বিষয়ে পুরোপুরি ভাবে না জেনে তার সাথে যুদ্ধ করেছি আমি,সেই সাথে মাইরও খাচ্ছি। আমি তার মাইন্ড রিডিং করতে চেষ্টা করলাম,কিন্তু সেটা কোনো কাজেই দিল না। মনে হচ্ছে আমি আর কোনোদিন ওঠে দাঁড়াতে পারব না। আমার বুকের সবগুলো হাড় ভেঙে একদম গুরো গুরো হয়ে গেছে। তখনই সেই অচেনা ব্যক্তিটা আমার সামনে এসে বলল যে,
,
,
আগে নিজের পাওয়ারের সঠিক ব্যবহার করতে শিখ,তারপর কারো সাথে যুদ্ধে নামার চিন্তা ভাবনা করবে। আর তুমাকে পিচ্চি বলার কারন হলো,তুমি এই সামান্য পাওয়ার নিয়ে আমার সাথে লড়তে এসেছো,আমার সামনে তুমি সামান্য একটা বাচ্চা। আমার একটা ছোট্ট আঘাত ই তুমি সহ্য করতে পারলে না,মরার মতো পরে আছো। নিজের পাওয়ারকে আগে ভালোভাবে অনুভব কর,তুমি নিজেও জানো না যে,আসলে কে তুমি। তুমার সাথে কারোরি তুলনা হয়না। আর তুমি আমার মাইন্ড রিডিং করতে পারবে না,তার কারন হলো আমি এই পুরো মহাবিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী মানুষ,আর সেইখানে তুমি কিনা আমার সাথে লড়তে এসে গেছো,এই বলে সে আমার কাছে এসে আমার শরীর স্পর্শ করার সাথে সাথে আমি ঠিক হয়ে গেলাম,,নিমিষেই সব ব্যথা উধাও হয়ে গেল।(অচেনা ব্যক্তি)।
কে তুমি,আর আমাকে এখানে আনার কারনটা কি,আর তুমার কাছে এতো শক্তি কেমন করে এল(আমি)!
আমার কথা শুনার পর,সেই অচেনা ব্যক্তিটা তার নিজের মুখের ওপরের মুখোশটা টান দিয়ে খোলে ফেলল,তার মুখটা দেখার পর আমি পুরো অবাকের পর অবাক হয়ে,দুপা পিছিয়ে গেলাম। এটা কি করে সম্ভব,না এটা হতে পারে না।
,
,
তার মুখোশটা খুলে ফেলবার পর তার চেহারাটা দেখে আমি অনেক অবাক হলাম,সেই সাথে প্রচন্ড পরিমাণে ভয়ও পেলাম,যার কারণে আমি দুপা পিছিয়ে গেলাম। তার কারন হলো তার চেহেরাটা দেখতে সেম টু সেম আমার মতো,সরি আমার মতে দেখতে না,পুরো আমিই,আমার সামনে আমি নিজেই দাঁড়িয়ে আছি,আমার মতো আরো একজন মানুষ আছে সপটা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস ই করতে পারতাম না। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে,তার পুরো শরীরে যখন আমি হাত বুলিয়ে দেখতে লাগলাম,আসলেই কি এটা আমি না-কি অন্যকেও,নাকি কোনো রোবট। এটা দেখে সে ফিক করে হেসে দিল। আর বলতে লাগল যে,,,
,
,
আমি হলাম তুমি,আর তুমি হলে আমি,আমরা একই,মানে আমার কাছে যে শক্তি আছে,সেটা তোমার শরীরেও আছে,আমাদের মধ্যে সবকিছুই আছে,আর তা সব সমান সমান,আমার আর তোমার মধ্যে শুধু ২টা জিনিসের পাথ্ক্য আছে,সেটা হলো,তোমার বয়স ১৯,আর আমার বয়স ১০৫০ বছর,তুমি তোমার পুরো পাওয়ারের মাএ ৩০% শক্তি ব্যবহার করতে পারো,আর আমি পুরো ১০০% শক্তি ব্যবহার করতে পারি। জানি এটা শুনে তুমি অনেক অবাক হবে যে,আমার এতো বছর বয়স কিন্তু আমার দেহের গঠন এ-তো ভালো রয়েছে কিভাবে,অন্য কেও শুনলে হয়তোবা আমাকে পাগল বলবে। সে যাই হোক,আগে আমার পরিচয়টা দিয়ে নিই,তাহলেই সব বুঝতে পারবে,
আমি জাহিদ,আমি ভবিষ্যৎ এর পুরো মহাবিশ্বের বাদশা। তুমাকে এখানে আনার কারন হলো,মূলত তুমাকে সাবধান করা,তুমার কাছে যে বেশি সময় নেই,তোমাকে আরো শক্তিশালী হতে হবে,তার জন্য তোমাকে অনেক কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তোমার সামনে অনেক বিপদ আছে,তুমি নিজেও জানো না,যে কে তুমি। তুমি যখন তোমার পুরো ক্ষমতা কন্ট্রোল করে ব্যবহার করতে পারবে,তখন তোমার কাছে কঠিন বলতে কোনো কিছুই থাকবে না।
,
,
আর আমি টাইম ট্রাবেল করে এখানে এসেছি,তমি সব কিছু করতে পারবে। তুমি যা করতে চাইবে সেটা মনে মনে ভাবতে থাকো,তুমাকে তুমি নিজে অনুভব কর,তাহলেই পারবে। আর আমি যেমন সময় ভ্রমণ করতে পারি,ঠিক তেমনিভাবে তুমিও পারবে,সেই সাথে সময়ইকে নিজ ভাবে নিয়ন্ত্রণ ও করতে পারবে। কিন্তু তার জন্য তোমাকে তোমার পুরো শক্তি কন্ট্রোল করতে হবে। তোমাকে তোমার নিজের পাওয়ার সম্পর্কে সব জানতে হবে,তার কারন হলো,
তুমি শুধু ড্রাগন কিং ই নও,পুরো মহাবিশ্বের বাদশা তুমি(ভবিষ্যৎ জাহিদ)!
এতোক্ষণ আমি তার কথা সব,হা হয়ে শুনছিলাম,এসব কি বলছে উনি,পাগল টাগল হয়ে যায়নি তো,কিসের টাইম ট্রাবেল,কিসের আবুল তাবুল,ভুলভাল বলছে। মনে মনে চিন্তা করলাম যে,সত্যিই মনে হয় বেচারাটা পাগল হয়ে গেছে,নয়লে আমাকে এসব কি বলছে,আমি কিনা ড্রাগন কিং যেটা রুপকথার গল্পে পড়েছি আবার সেই সাথে পুরো মহাবিশ্বের বাদশা(আমি)!
আমার সব কথা শুনে সে,হেসে দিল। আর বলা শুরু করল যে,তুমি যে এতো বোকা আগে জানতাম না,সে যাই হোক,তোমাকে শেষ বারের মতো বলছি,সাবধান হয়ে যাও সে পৃথিবীতে আসছে,আর সে যদি এখানে একবার আসতে পারে,তাহলে পুরো পৃথিবীটাকে ধংস স্তূপ বানিয়ে দেবে। আমার যতোটুকু বলার বলে গেলাম। বাকিটা তুমার ইচ্ছা,তুমি কি করবে সেটা তুমি জানো,তুমি তোমার সম্পুর্ন শক্তি ব্যবহার করতে না পারলে,তাকে তুমি কোনোদিন ও হারাতে পারবেনা,এমনিতেই তার অনেক শক্তি। আর তুমাকে তুমার নিজের পরিচয়টা নিজেকেই কষ্ট করে জানতে হবে,আরেকটা কথা তুমি তুমার পাওয়ারকে যতো বেশি অনুভব পারবে ততো বেশি শক্তির অধিকারী হবে তুমি(ভবিষ্যৎ জাহিদ)!
,
,
এই বলেই সে উধাও হয়ে গেল। আর আমি তার সব কথা ভাবতে লাগলাম,সে যা যা বলে গেল সব কিছু আমার মাথার ওপর দিয়ে গেল। আর আমাকে আমার পরিচয়টা নিজেকেই জানতে হবে,এটার মানে কি,আমার পরিচয়টা তো আমি নিজে জানিই। আমি আর কিছু ভাবতে পারলাম না,আমার মাথা প্রচুর পরিমানে ব্যথা করছিল।
আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না,ঠিক তখনই আমি সেন্স লেন্স হয়ে গেলাম।
,
,
কারো খুব তিক্ষ গলার আওয়াজ আমার কানে গেল। আর সাথে সাথে আমি জেগে গেলাম। আমার মাথাটা প্রচন্ড রকমের ব্যথা করছিল। কিন্তু পরক্ষনেই সেটা ঠিক হয়ে গেল। আর তখন আমি খেয়াল করলাম যে,একটা চেয়ারের সাথে আমাকে বাদা হয়েছে,আমি সেখান থেকে ছোটার জন্য কোনো কিছুই করলাম না। আর ঠিক তখনই আমি আমার খেয়াল করে দেখলাম যে,আমার সামনে কমসে কম ৩০-৪০ জন লোক আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আর তারা সবাই সাইড দিল,কাকে যেন সামনে আসার জন্য। আর সে যখন সবার সামনে আসল,তাকে দেখে আমি একটু অবাক হয়ে গেলাম। তার কারন হলো,সে আর কেও নয় আমাদের এলাকার এমপি। আমি তাকে অনেক আগে থেকেই চিনি। তাহলে এই হলো শুভর বাবা। আর ঠিক তখন-ই,তাকে মন্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে একটা ছেলে বলতে শুরু করল যে,
,
,
স্যার এই হলো সেই ছেলে,যে বড় সাহেবকে মেরেছে,যার জন্য বতমানে এখন সে কোমায় আছে(১লোকটি)!
তার কথা শুনে,মন্ত্রী আমার দিকে রাগী দৃষ্টিতে কতক্ষন তাকিয়ে ছিল জানি না। একটু পরই সে আমার সামনে এসে,আমার চুলের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে,চুল অনেক জোড়ে টান দিয়ে বলল একে মেরে টুকরো টুকরো করে দিবি,যাতে একে খোঁজে পাওয়ার চিহ্ন টুকুও না থাকে(মন্ত্রী)!
এই বলে মন্ত্রী চলে গেল সেখান থেকে। আমি তাদের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম,এ কি বলছে এরা আমাকে মেরে ফেলে দিবে। আর সবথেকে বড় কথা হলো,আমি এখানে কেন আমি তো একটা খোলা মাঠে আমার ভবিষ্যৎ জাহিদের সাথে ছিলাম,তাহলে এখানে কোন সময় আমাকে আনা হলো। কিছুক্ষন ভাবার পর আমার সবকিছু মনে পড়ে গেল এবং সবকিছু বুঝতেও পারলাম। আমি যখন শুভকে মেরে মাঠের মধ্যে বসে বসে সেই মেয়েটার কথা ভাবছিলাম,ঠিক তখনই আমাকে কেও পেছন থেকে আঘাত করে,আবার সামনে থেকে করে,আবারও পেছন থেকে আঘাত করার পরেই আমি সেন্স লেন্স হয়ে যাই। আর আমাকে এই ভূতুড়ে ঘড়ে আটকে রাখা হয়। আর ভবিষ্যৎ জাহিদ যেহেতু অনেক শক্তিশালীর অধিকারি।
যার কারনে সে আমাকে অন্য একটা ডায়নেমেশনে নিয়ে গেছিল,যেখানে সময়ের হয়তোবা কোনো মূল্য নেই। আমার সাথে ভবিষ্যৎ জাহিদ কথা বলতে আসে,আমাকে আমার ভবিষ্যৎ সম্পকে সাবধান করার জন্য। এতক্ষনে সব কিছু বুঝতে পারলাম।
,
,
কিরে কি ভাবছিস,এখান থেকে পালানোর কথা ভাবছিলি বুঝি,সেটা কল্পনাও করিস না। তার কারন হলো এখন এই মুহূর্তে তোর জানটা কেরে নেব,তারপর তোকে টুকরো টুকরো করে কেটে কোথাও ফেলে দিব(২লোকটি)!
জান কেরে নেওয়াটা কি এতোই সোজা নাকি,এই বলে আমি আমার দু'হাত একটা ঝাড়া দিতেই আমার হাতের শক্ত দড়ি ছিঁড়ে গেল। আর আমি ওঠে দাঁড়িয়েই আমার সামনের লোকটার মেন(বংশের বাতি)জায়গায় ডান পা দিয়ে একটা লাথি দিলাম,যেটার জন্য ও মোটেও প্রস্তুত ছিল না। আমার মনে হয়না যে,ও আমার লাথি খাওয়ার পরেও বেচে রয়েছে। এমনিতেই আমাকে মেরে সেন্স লেন্স করে এখানে এনে আমার মান সম্মান সব ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছিস। যার কারনে মাথা আমার পুরো গরম হয়ে রয়েছে। আবার এখন বলছিস যে,আমাকে মারবি। আয় দেখি কে কাকে মারে,কে মারবি আমাকে আয়,এই বলে তাদের দিকে এগিয়ে যেতে নিলেই,তারা সবাই ভয়ে তাদের বন্দুক বের করে নেয়,কেননা তাদের লিডারকেই এক আঘাতে সে পরলোকে পাঠিয়ে দিয়েছি। তাই তারা কেও কোনো রিক্স নিতে চাচ্ছে না। আমি কিছু বলার আগেই তারা সবাই একসাথে আমাকে উদ্দেশ্য করে গুলি করা শুরু করে দেয়,যেটার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। ভয়ে আমি আমার চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললাম। আর আমার কানে শুধু গুলি করার শব্দ আসছিল। কিছুক্ষন সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও যখনই দেখলাম যে,আমি আমার শরীর অনুভব করতে পারছি না,আমার কোনো কিছুই অনুভুতি হচ্ছে না,তখন আমি ভয় পেয়ে যায়,আমি মনে হয় আর বেঁচে নেয়,ভয়ে ভয়ে আমি আমার চোখটা খুললাম তখনই আমি পুরো ভয়ের সাথে অনেক অবাকও হয়ে গেলাম।
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
পার্টটা অনেক বড় করে দিলাম। 5 পার্টটা কেমন হলো জানাবেন। আশা করি ভাল লাগবে। ভালো না লাগলে বলবেন। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন।
★হ্যাপি রিডিং★