পার্ট:2
লেখক:Hridoy Bappy।।
।।।
।।
।
এতো মশা কামড়াচ্ছে তাও আমার বউটাকি একটুও বুঝতেছে না।আমাকে সোফায় ঘুমায়তে বলে নিজে বিছানায় মশারীর মধ্যে আরাম করে ঘুমাচ্ছে।যাইহোক মশা মারতে মারতে ঘুমিয়ে পরলাম আমি।সকালে ঘুম থেকে উঠলাম।দেখি মহারানী তো এখনো ঘুমাচ্ছে।কত সুন্দর ঘুম দিচ্ছে।এভাবে তো আমিও ঘুমাতাম বিয়ের আগে।কেনো যে বিয়ে করলাম।জীবনটাই শেষ বিয়ে করে।
.
--এইযে মহারানী উঠেন এখন অনেক সকাল হয়ে গেছে।আজকে স্কুলে যেতে হবে তোমাকে।(আমি)
.
--না আমি স্কুলে যাবো না।(মেঘলা)
.
--কেনো যাবা না।(আমি)
.
--পরে বলবো আগে আমাকে ফ্রেশ হতে দাও।(মেঘলা)
।।।।মেঘলা গেলো ফ্রেশ হতে।তারপর দুজনে নিচে আসলাম নাস্তা করতে।
.
--আম্মু বাবা কোথায় বাবাকে দেখতে পাচ্ছি না।(আমি)
.
--বাবারে আমি এইখানে।(বাবা)
.
--তোমার এমন অবস্হা কেনো মনে হয় যুদ্ধে গেছিলা।(আমি)
.
--আর বলিস না কালকে তোর মা আমার সাথে যুদ্ধ করে আমাকে এমন মার দিছে আমি সারাজীবন মনে রাখবো,ওরে মা।(বাবা)
.
--হুমমম আম্মু একদম ঠিক করছে সব তোমার দোস তা আমরা জানি।(মেঘলা)
.
--তুমি আমার ছেলেটাকে কুবুদ্ধি দিয়ে আমার মেয়েটাকে কষ্ট দিতে চায়ছিলা এজন্য তোমার এই অবস্হা করছি।(আম্মু)
.
--হুমমম কোনো দিন ভুলে ও আর কোনো পরামর্শ দিবো না আমি।(বাবা)
.
--হুমমম তুমি যদি একা একাই ঔসব করতা তাহলে রাতে তোমার অবস্হা ও আমি বাবার মতো করতাম।(মেঘলা)
।।।।।
মেঘলা এখনো রেগে আছে।না এখন আর বাবার কথা শোনা যাবে না।এখন নিজের মতোই কাজ করতে হবে।
.
--আচ্ছা আম্মু আমাদের বিয়ের তো ২ মাস হয়ে গেলো।আমি বলতেছি কি।(আমি)
.
--কি বলবি।(আম্মু)
.
--আমি বলতে চাই যে আমরা যদি হানিমুন।মানে।(আমি)
.
--হুমমমম থাক আমি বুঝতে পারছি।মা তুই কি বলিস যাবি এখন।(আম্মু)
.
--আম্মু যাই না এখন না গেলে তো মনে হয় পরে আর সময় পাবো না।(মেঘলা)
.
--আচ্ছা ঠিক আছে।।।।এই তুমি ওদের জন্য সিলেট এ যাওয়ার ব্যবস্হা করে দাও।(আম্মু বাবাকে বললো।)
.
--সিলেট কেনো আম্মু।(আমি)
.
--মেঘলাও সিলেট যাবে তাই।(আম্মু)
.
--ওওও ঠিক আছে।
.
--তাহলে তোরা এখনি পেকিং করে ফেল কি কি নিবি।(আম্মু)
.
--ঠিক আছে আম্মু।(মেঘলা)
।।।।।
দুজনে গেলাম রুমে।মেঘলা অনেক খুশী এখন।আমার দিকে তাকিয়ে হাসতেছে।আমার কাছে এসে আমাকে দেওয়ালের সাথে থেসে ধরলো।
.
--এই কি করতেছো।(আমি)
.
--কিছুই না তো।(মেঘলা)
.
--তুমি কিন্তু তোমাকে টাচ করতে মানা করছো।(আমি)
.
--তোমাকে মানা করছি কিন্তু এটা তো বলি নায় যে আমি টাচ করতে পারবো না।(মেঘলা)
.
--দুইটাতো একই.......
।।।।
আর কি বলতাম কিছু একটা ঠোট আটকে দিলো তাই আর কিছুই বলতে পারলাম না।
.
--জানো আজকে কত খুশী আমি।আমাদের হানিমুন সিলেট হবে সেটা কত আগে থেকে ভেবে রেখে ছিলাম।(মেঘলা)
.
--তাই।(আমি)
.
--হুমমমম।চলো তো পেকিং করে ফেলি।(মেঘলা)
.
--হুমমম চলো।
।।।।।
দুজনে পেকিং শুরু করলাম।দুপুরেই বের হবো আমরা।তাই সব গুছিয়ে নিলাম।দুপুরে খেয়ে নিয়ে আম্মু আর বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে উঠলাম।সালাম চাচা আমাদের দিয়ে আসবে।চাচা গাড়ি চালাচ্ছে আর আমি মেঘলার কোলে শুয়ে ঘুমাচ্ছি।রাত ৮ টায় পৌছে গেলাম সিলে।।এখানে দেখার অনেক কিছুই আছে।তাই জায়গাটা খারাপ হবে না মনে হয় আমাদের ভালো কিছু সময় কাটানোর জন্য।বাবা আগে থেকেই বড় একটা হোটেলে আমাদের রুম বুক করে রেখেছিলো।সোজা হোটেলে গাড়ি থামলো।কাউন্টার থেকে আমাদের রুম এর চাবি নিয়ে রুমে চলে আসলাম।ভালোই অনেক বড় একটা রুম।আমরা দুজনেই খুব ক্লান্ত তাই কিছু ওরডার দিয়ে খেয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
.
--এই উঠো আর কত ঘুমাবা প্লিজ উঠো না।(মেঘলা)
.
--বাব্বা আজকে এতো সকাল সকাল কেমনে উঠলা তুমি।(আমি)
.
--আরে আমরা ঘুরতে এসেছি শুধু ঘুমায়লে কি হবে বলো।(মেঘলা)
.
--ওকে উঠতেছি।(আমি)
.
--হুমমম চলো তারাতারি আজকে সারাদিন আমরা ঘুরবো।(মেঘলা)
.
--আচ্ছা।(আমি)
।।।
ফ্রেস হয়ে নিলাম দুজন কিছু খেয়ে নিলাম।তারপর বের হলাম।অনেকক্ষন ঘুরার পর মেঘলা আমাকে বললো,
.
--আমার না Ice cream খেতে মন চাচ্ছে।(মেঘলা)
.
--কি এই ঠান্ডার মধ্যে তোমার Ice Cream খাইতে মন চাচ্ছে।(আমি)
.
--হ্যা প্লিজ এনে দাও না।(মেঘলা)
.
--ওকে দারাও এখানে আমি রাস্তার ওপার থেকে এনে দিচ্ছি।তোমার রাস্তা পার হতে হবে না।(আমি)
.
--ওকে যাও তারাতারি আর সাবধানে যেও।(মেঘলা)
।।।।।
দেখে শুনে রাস্তা পার হচ্ছিলাম।অনেক ভির রাস্তায়।মাঝরাস্তা পর্যন্ত পৌছালাম কিন্তু তারপরই বিপদ হলো।শুধু বিপদ না অনেক বড় বিপদ।কোথা থেকে একটা মোটর সাইকেল একদম আমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো।বাইকের পিছনে একজনের হাতে বড় একটা ছুরি ছিলো।সেটা দিয়ে আমাকে আঘাত করতে আগাচ্ছে।আমি ভয়ে পিছনের দিকে লাফ দিলাম আর একটা গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে কিছুই মনে নাই আমার।অজ্ঞান হয়ে গেলাম আমি।শুধু অজ্ঞান হওয়ার আগে এইটুকু দেখলাম যে মেঘলা দৌরে আমার কাছে আসলো।আর কিছুই মনে নাই চোখ খুললাম দেখি মেঘলা আমার পাশে বসে আমার হাতের উপর মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।ভালো করে খেয়াল করলাম এটা তো একটা হাসপাতাল।তাহলে আমি হাসপাতালে।ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম আমার ডান হাতে বেন্ডিজ।হাত কি আছে নাকি দেখে নি।না আছে।পা ও ঠিক আছে।যাক বাবা সবই তাহলে ঠিক আছে।মেঘলাও আমার নাড়াচাড়াতে জেগে উঠেছে।
.
--এখন কেমন লাগছে।(মেঘলা)
.
--ভালো।(আমি)
.
--ভালো না ছাই।তোমাকে বলেছিলাম Ice Cream আনতে আর তুমি কি করলা।লাফ দিলা মাফ পথে গিয়ে।(মেঘলা)
.
--আরে না হয়েছিলো কি।(না এই কথা বলা যাবে না নাহলে মেঘলা টেনশন করবে)
.
--এই কি ভাবছো।বলো কি হয়েছিলো।(মেঘলা)
.
--না মানে মাথা ঘুরিয়ে পরে গিয়েছিলাম আমি।(আমি)
.
--তোমাকে বলি বেশী রাত না জাগতে তাও তো আমার কথা তুমি শুনো না।(মেঘলা)
.
--আমি রাত জাগি কোথায়।(আমি)
.
--জাগো না আর এখন জাগতে ও দিবো না।আম্মু আর বাবাকে কি বলবো এই কথা।(মেঘলা)
.
--না বলতে হবে না শুধু শুধু চিন্তা করবে।
।।।।
ডাক্তার আসলো।
.
--ডাক্তার আমি এখন ঠিক আছি না?(আমি)
.
--হুমমমম তোমার Wife আর অন্য সব মানুষ তোমাকে ঠিক সময় না নিয়ে আসলে হয়তো কিছু হয়ে যেতো।কিন্তু এখন তুমি একদম ঠিক আছো।(ডাক্তার)
.
--তাহলে তো বাসায় যেতে পারি এখন।(আমি)
.
--হ্যা আজকেই ছেড়ে দিবো।কিছু মেডিসিন লিখে দিচ্ছি।এগুলো ১ মাস খাবা।আর এক মাস পর আর একবার চেকআপ করিয়ো।(ডাক্তার)
.
--ঠিক আছে ডাক্তার।চলো মেঘলা হোটেলে চলো।(আমি)
.
--ঠিক আছে চলো এখন।(মেঘলা)
।।।।।
চলে আসলাম হোটেলে।৪ দিন বাসায় থেকেই কেটে গেলো।অনেকটা সুস্হ এখন।ব্যাথাও নাই এখন।তাই আজকে বিকালে মেঘলার সাথে বের হলাম আমি।অবশ্য মেঘলার যেতে চাই নাই।আমি ই অনেক জোরাজোরি করে ওকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে আসলাম।।অনেক মজা করলাম দুজন আজকে।কিন্তু মেঘলার চোখে মুখে আমি শুধু ভয় দেখতে পেলাম।হয়তো আমাকে নিয়ে ভয় পাচ্ছে।এখন আমরা একটা পাহারের উপরে দারিয়ে আছি দুজনে।আমি সামনে ছিলাম আর মেঘলা পিছনে ছিলো।পিছনে মেঘলার কোনো শব্দ না পেয়ে পিছনে তাকালাম।কিন্তু মেঘলা পিছনে ছিলো না।
.
--দেখো মেঘলা মজা করতেছো কেনো।কোথায় তুমি বেরিয়ে আসো।(আমি)
।।
কিন্তু মেঘলার কোনো সারা শব্দ নাই।মেঘলা গেলো কোথায়।হারিয়ে গেলো নাকি মেঘলা।না মেঘলা মজা করতেছে আমি জানি।তাই আশেপদাশে খুজতে লাগলাম।কিন্তু মেঘলার কোনো খবর নাই।আমার কান্না পাচ্ছে ওকে না পেয়ে।আবার সেই পাহাড়ের উচু জায়গায় চলে আসলাম হঠাৎ আমার ফোনে মেঘলার নাম্বার থেকে ফোন আসলো,
.
--হ্যালো মেঘলা তুমি কোথায়।এভাবে কি কেউ মজা করে বলো।(আমি)
.
--তোর মেঘলা আমার কাছে।(একটা ছেলে)
.
--মানে কে আপনি।আর মেঘলা আপনার কাছে কেনো।(আমি)
.
--সেটা না জেনেই মরবি আজ তুই।(লোকটা)
.
--মানে।(আমি)
.
--মানে কিছুই না তুই আজ মরবি গুড বাই।(লোকটা)
।।।।।।
আমাকে আর কিছু বলতে দিয়া আগেই ফোনটা কেটে দিলো।আর পিছনে ঘুরতে যাবো তখনি একটা মুখোস পরা লোক আমাকে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে দিলো।যার জন্য আমি সোজা পাহাড় থেকে পরে গেলাম।এইটুকুই মনে ছিলো।
।।।
।।।
চোখ খুল্লাম আমি।দেখে মনে হচ্ছে একটা হাসপাতালে আছি।পাশেই একজন মহিলা,একটা মেয়ে আর একটা লোক বসা আছে।কিন্তু আমি কাউকেই চিন্তে পারতেছি না।।
.
--আপনারা কারা।আর আমি এখানে কেনো।।।(আমি)
।।।।।তখনই ডাক্তার আসলো।
.
--তোমার কি হয়ছিলো কিছু কি মনে পড়ছে।(ডাক্তার)
.
--আ আ আ।আমার কিছুই মনে পরতেছে না।আমি কিছুই মনে করতে পারতেছি না।আমি কে।কিভাবে এখানে এলাম কিছুই মনে পরতেছে না।(আমি জোরে জোরে বলতে শুরু করলাম আর পাগলামী করতে শুরু করলাম)
.
--নার্স ওকে তারাতারি ঘুমের ইনসুলিন দিয়ে দাও।(ডাক্তার)
।।।।।
সবাই জোর করে আমাকে ইনসুলিন দিয়ে দিলো।আমিও আসতে আসতে ঘুমে চলে যাচ্ছিলাম।
.
--ডাক্তার কি হয়েছে ওর।(আমার পাশে বসে থাকা মহিলাটা)
.
--দেখুন উপর থেকে পরে যাওয়ায় তো ওর চেহারা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো।আর আমরা প্লাস্টিক সার্জারি করে চেহারা পাল্টে দিয়েছি।কিন্তু উপর থেকে পরার জন্য মাথায় অনেক আঘাত খেয়েছে যার জন্য ওর আগের কথা কিছু মনে নাই।এটাকে আমরা বলি সরটেজ মেমোরি লজ।(ডাক্তার)
.
--তাহলে ওর আগের কথা মনে পরবে না।(পাশে থাকা লোকটা)
.
--দেখুন সেটা আমি বা কেউ বলতে পারবো না ওর কখন মনে পরবে আগের কথা।কিন্তু যদি আগের পরিচিত লোকদের দেখে তাহলে মনে হয় মেমোরি তারাতারি ফিরে আসতে পারে।(ডাক্তার--দেখুন সেটা আমি বা কেউ বলতে পারবো না ওর কখন মনে পরবে আগের কথা।কিন্তু যদি আগের পরিচিত লোকদের দেখে তাহলে মনে হয় মেমোরি তারাতারি ফিরে আসতে পারে।(ডাক্তার)
.
--ওওও।
।।।।
ডাক্তার চলে গেলো বাইরে।আমি ঘুমাইতে ছিলাম।
আমার পাশে কে আছে তাদেরকে আমি চিনি না।আমি তো এখন নিজেকেই চিনি না।কি ভাবছেন পাশে থাকা মহিলা,লোকটা,আর মেয়েটা কি আমার আম্মু,বাবা আর মেঘলা।।।যদি এটা ভেবে থাকেন তাহলে একদম ভুল ভাববেন।তাহলে আমরা ফিরে আসি একটু তাদের কথায়।
.
--আব্বু ভাইয়ার কি কিছুই মনে পরবে না আর।(মেয়েটা)
.
--হ্যা মনে পরবে মা দেখবি তোর ভাইয়া আবার আগের মতো হয়ে যাবে।(লোকটা)
হঠাৎ আর একটা লোক আসলো।
.
--ভাবি এখন বাপ্পীর অবস্হা কেমন।(নতুন লোক)
.
--হুমমম ভালো আছে কিন্তু ওর আগের কথা মনে পরতেছে না।(মহিলাটা)
.
--ডাক্তার কি বলছে।(নতুন লোক)
.
--বলছে ঠিক হয়ে যাবে আমাদের মাঝে থাকলে।।আচ্ছা আমি আর তোর ভাবি এখানেই থাকতেছি তুই নিলাকে নিয়ে যা।(মহিলা)
.
--না আম্মু আমি যাবো না আমি ভাইয়ার কাছেই থাকবো।(মেয়েটা)
.
--না তুই যা আমি আর তোর বাবা আছি এখানে।রাজীব তুই নিয়ে যা ওকে।(মহিলা)
।।।।
দুজন চলে গেলো।
.
--এইটাকি ঠিক হবে।(লোকটা)
.
--কেনো(মহিলা)
.
--ওর কিছুই আমরা চিনি না এভাবে কি ওকে।(লোকটা)
.
--দেখো আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি।ছেলে হারানোর দুঃখ তুমি কি বুঝবা।আর বাপ্পী মারা গেছে তুমি আর আমি জানি।।।।তোমার মেয়েটাকে কিভাবে বুঝাবা সে তো জানে তার ভাইয়া বেচে আছে।এই ছেলেটা আগের কিছুই মনে নাই।ও আমাদের ছেলে হয়ে ফিরে এসেছে।ডাক্তার ওকে আমার ছেলের চেহারাই দিয়েছে।(মহিলা)
.
--যদি ওর আগের কথা মনে পরে যাই তখন কি করবা তুমি।(লোকটা)
.
--আমরা আর বাংলাদেশে থাকবো না।চলে যাবো এই দেশ থেকে।ডাক্তার কি বলেছে ওকে আগের মানুষের কাছে রাখলে ওর মেমোরি ফিরে আসার চান্জ রয়েছে।ওকে কখনোই বাংলাদেশ আসতে দিবো না আমি।(মহিলা)
.
--একটু ভেবে বলো।(লোকটা)
.
--আমার ছেলে মরে নাই ও বেচে আছে শুধু ওর মেমোরিটা চলে গেছে।আর সেটা কোনো ব্যপার না।(মহিলা)
.
--ওর ও তো পরিবার আছে।ওর ও তো মা আছে।তাদের কথা একবার ভাবো।(লোকটা)
.
--তুমি ডাক্তারকে ওকে বাপ্পীর চেহারা দিতে বলেছো।এখন ও আমার ছেলে।আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না।ও আমার ছেলে ব্যস।এইকথাটা যেনো শুধু আমার আর তোমার মাঝেই থাকে।ভুলেও কেউ যেনো এই কথাটা না জানতে পারে।(মহিলা)
.
--হুমমম এটায় আমাদের ছেলে কেউ জানতে পারবে না এই রহস্যটা।(লোকটা)
.
--আমাদের লন্ডন যাওয়ার ব্যবস্হা করো।আমি ওকে নিয়ে লন্ডন চলে যাবো।(মহিলা)
.
--ঠিক আছে।
।।।
।।
।
(চলবে)
।
।।
।।।