পার্ট: ০২
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
।।
।।
বসে বসে প্লান করতেছি রাতে বাসা থেকে
কিভাবে বের হবো।যদি ধরা পরে যাই তাহলে
তো আমার অবস্হা কাহেল হয়ে যাবে।আমাকে
আম্মু শুধু রুমের মধ্যে বন্ধ করে দিবে।আর
আমার বাবাকে তো অবস্হা খারাপ করে দিবে।কি
আর করার আমার সব কিছু গুছিয়ে নিলাম।জামা কাপড় যা
ছিলো তার মধ্যে আমার পছন্দের গুলো নিলাম।
ব্যাগ রেডি করে বসে রইলাম।দুপুরে খাবার খাওয়ার
জন্য নিচে আসলাম।
.
--আম্মু খুব খুদা লাগছে খেতে দাও তো।(আমি)
.
--বসে পর আমি খাবার বেরে দিচ্ছি।(আম্মু)
।।
খাওয়া শেষে,
.
--আম্মু আমার না ২০ হাজার টাকা লাগবে।(আমি)
.
--কেনো এতো টাকা দিয়ে কি করবি।(আম্মু)
.
--আরে তুমি বিয়ে দিবা আমাকে নতুন জামা
কিনবো।বন্ধুদের কে দ্রিট দিবো।(সত্য বললে
আমার খবর ছিলো।)
.
--আমার কাছে এখন টাকা নাই।তুই এই কার্ড রাখ।যত
টাকা লাগে খরচ করিস।(আম্মু)
.
--বাব্বা বিয়ের কথা বলাতে এটিএম কার্ড দিয়ে
দিলো।আমার তো এখনো সেই দিনের কথা
মনে পরে যখন কান্না করে মোবাইল
কিনেছিলাম।(মনে মনে বললাম)
.
--কিছু বললি।(আম্মু)
.
--না আমি তো বললাম আমার আম্মু দুনিয়ার
সবথেকে বেস্ট।(আমি)
.
--হয়ছে আর পাম দিতে হবে না।(আম্মু)
।
।
খেয়ে চলে আসলাম রুমে।এখন শুধু রাতের
অপেক্ষা।দুর বাবাও আসতেছে না।আমার পালানো
আবার বাতিল হয়ে যাবে নাতো।দুর বাবা বুদ্ধি দিয়ে
এখন বাবারই খবর নাই।আচ্ছা আম্মু তো মেয়ে
দেখে রেখেছে।মেয়েটা কেমন হবে
কে জানে।একবার দেখলে তো মন্ধ হতো
না।কিন্তু আম্মু আমাকে বিয়ের আগে দেখতেই
দিবে না।কি ৃররে এখন আম্মুকে বলবো আম্মু
আমি প্রেম করে বিয়ে করবো।আচ্ছা
মেয়েরা তো পালিয়ে যাওয়ার সময় কিছু একটা
লিখে যাই।আমিও লিখা শুরু করলাম।,
।
প্রিয় আম্মু,
বেশী কিছু লেখবো না।শুধু এইটুকুই আমি
তোমার পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করতে
পারবো না।আমি প্রেম করে বিয়ে করবো।
তোমরা আমাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছো
তাই আমি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছি।
,
ইতি তোমার আদরের ছেলে,
হৃদয়।
।
।
চিঠিটা লেখে ভালো করে আমার টেবিল এ
রেখে দিলাম।এখন শুধু রাতের অপেক্ষা।রাতে
বাবা আসলো।সবাই খেয়ে দেয়ে শুয়ে
পরলো।আমিও শুয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে
পরলাম।
.
--এই উঠ।আরে বাবা উঠ।এতো ঘুমালে পালাবি
কখন।(বাবা ডাকছে আমাকে)
.
--বাবা এতো রাতে কি বাস পাবো রংপুর এর।(আমি)
.
--আরে বোকা ঘড়ির দিকে তাকা।(বাবা)
.
--৫ টা বেজে গেছে।(আমি)
.
--তুমি এখন ডাকতেছো আমাকে।(আমি)
.
--তোর বাস ৬:৩০ এ।এখন বের না হলে কিন্তু
একটু পরে বের হতে পারবি না।(বাবা)
.
--ওকে আমি ফ্রেশ হয়ে আসতেছি।(আমি)
।
।
ফ্রেশ হয়ে আসলাম।
.
--এখন চল আমি তোর ছোট ফুফিকে ফোন
করে বলে দিয়েছি।(বাবা)
.
--আচ্ছা বাবা আম্মি যদি জানতে পারে আমাকে
পালিয়ে যেতে তুমি সাহায্য করছো তখন আম্মু
তোমাকে কি করবে।(আমি)
.
--তোর আম্মু তো আমাকে মেরে
ফেলবে।(বাবা)
.
--ওওও।
.
--আচ্ছা এখন এইসব বাদ দে।চল বের হই।(বাবা)
।
।
দুজনে গেট দিয়ে বের হচ্ছিলাম তখনি দারওয়ান
বলল,
.
--সার এতো সকালে আপনারা কোথায় যাচ্ছেন।
(দারওয়াম সালাম আঙ্কেল)
.
--আমরা জগিং এ যাচ্ছি।(বাবা)
.
--ওও তা ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছেন কেনো।(সালাম)
.
--আরে বোকা ব্যাগে জামা কাপড় পানি আর নাস্তা।
আসতে একটু দেরি হবে।আমি ওখান থেকেই
অফিসে চলে যাবো।(বাবা)
.
--ও আচ্ছা।(সালাম)
।
।
বাবা গাড়ি চালানো শুরু করলো।
.
--দেখছোস সালাম কেমন সন্দেহ
করতেছিলো।তোর আম্মুর বিশ্বস্ত ও বুঝলি।
(বাবা)
.
--হুমমম আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম যদি
আম্মু কে বলে দিতো।(আমি)
.
--আচ্ছা এখন আমরা বাইরে এসে গেছি।এই নে
এতে নাস্তা আছে।খেয়ে নে।(বাবা)
.
--এখন খাবো না।(আমি)
.
--এতো সকালে খাবারের কোনো হোটেল
খোলা পাবো না।তুই খেয়ে নে এখনি।(বাবা)
.
--আচ্ছা খাচ্ছি।(আমি)
.
--আচ্ছা বাবা একটা কথা বলবা।(আমি)
.
--হুমমম বল।(বাবা)
.
--এতো জায়গা রেখে তুমি আমাকে ছোট ফুফি
বাসায় পাঠাচ্ছো কেনো।(আমি)
.
--না মানে।না মানে।(বাবা)
.
--এতো না মানে না মানে করছো কেনো।নাকি
তোমার ও খারাপ কিছু মতলব আছে।(আমি)
.
--আরে না তোর ছোট ফুফির বাসায় তো
তোর আম্মু কখনো যাবে না।আর আমাদেরও
যেতে মানা করছে।এখন তুই যদি পালিয়ে যাস
তাহলে সব জাইগায় খুজবে কিন্তু তোর ছোট
ফুফি বাসায় খুজবে না।(বাবা)
.
--শুধু এই তো আর কিছু না তো।(আমি)
.
--হুমমম শুধু এটাই।(বাবা)
.
--অন্য কোনো বিষয় হলে কিন্তু আমি
আম্মুকে বলবো তুমি আমাকে কিডন্যাপ
করেছো।(আমি)
.
--না বাবা অন্য কিছুই না।আর তোর বাস স্টান্ড চলে
এসেছে।(বাবা)
.
-ও হ্যা।(আমি)
।
।
বাবা আমাকে বাসে উঠিয়ে দিলো।আধঁা ঘন্টা
পরেই বাস চলতে শুরু করলো।বাবাকে বিদায়
দিলাম।আমিও চলতে শুরু করলাম রংপুর এর দিকে।ও
সরি আমি না বাস চলতে শুরু করলো রংপুর এর
দিকে।।
।।
এই প্রথম আমি একা একা কোথাও যাচ্ছি।রংপুর এর
তো আমি কিছুই চিনি না।ফুফি আর ফুফার নাম্বর তো
আছে কোনো সমস্যা হবে না।হঠাৎ আননোন
নাম্বর থেকে ফোন আসলো।
.
--আসসালামুআলাইকুম।(আমি)
.
--ওয়ালাইকুম আসসালাম।(একটা মহিলা মনে হলো)
.
--কে বলতেছেন।(আমি)
.
--এটা হৃদয় এর নাম্বার না।(মহিলা)
.
--হুমমম আমিই হৃদয়।আপনি কে।(আমি)
.
--আমি তোর ফুপি।(ফুপি)
.
--তোমার নাম্বার তো আমার কাছে আছে
আছে।তাহলে এটা কার নাম্বার।(আমি)
.
--এটা আমার মেয়ে মেঘলার নাম্বার।(ফুপি)
.
--ও
.
--বাস কি ছেরেছে।।
.
--হুমমম ১০ মিনিট আগেই বাস ছেরে দিছে।(আমি)
.
--আচ্ছা রংপুরের কাছাকাছি এসে আমাকে ফোন
দিস আমরা বাসস্টান্ডে তোর জন্য অপেক্ষা
করবো।(ফুফি)
.
--আচ্ছা।
।।
বাবা তাহলে ভালোই প্লান করেছে।আম্মু তো
কখনো ভাবতেও পারবে না যে আমি ফুপি বাসায়
গিয়েছি।বাট সমস্যা তো একটাই মেঘলা।ওর জন্যই
তো আমার আম্মু আর ছোট ফুপি চিরো শত্রু
হয়ে গেছে।আম্মু যদি জানে যে আমাকে
ছোট ফুপির বাসায় পাঠাইছে তাহলে তো বাবার
খবর আছে।আমার কি এখন আমি তে এখন ফ্রি।
নিজের মতো ঘুরবো,ফিরবো।
।।
বাসা থেকে চলে এসেছি কিন্তু আম্মুর কথা খুব
মনে পরতেছে।বাবার কথাও খুব মনে
পরতেছে।আম্মুকে ছাড়া কোনোদিনও
কোথাও যাই নাই।আর আজ পালাইতেছি আম্মুকে
ছাড়াই।জানি না পারবো কিনা।কিন্তু পারতেই হবে আমি
তো এমনি এমনি বলি নিবো না।
।।
বাসের হেল্পারকে বলে রাখলাম রংপুরের
কাছাকাছি আসলে জানাতে।সে ও জানিয়েছে তাই
আগের নাম্বারে ফোন দিলাম।
.
--আসসালামুআলাইকুম।(আমি)
.
--হুমমম হাই।(একটা মেয়ে মনে হলো।)
.
--কে আপনি।(রেগে বললাম)
.
--আমি মেঘলা।(মেয়েটা)
.
--আপনার কি কমন সেন্স নাই আমি সালাম দিলাম আপনি
উত্তর না দিয়ে হাই বলেন।(আমি)
.
--ও সরি ওয়ালাইকুমআসসালাম।(মেঘলা)
.
--এখন সালাম এর উত্তর দিয়ে কি হবে।(আমি)
.
--আসলে আমি কাউকে তো সালাম দিই না আর
উত্তর ও দেই না। এজন্য।।।(মেঘলা)
.
--এমন মেয়ে আমার একদমই পছন্দ না।বাদ দেন
ফুপি কোথায়।ফুপির কাছে ফোন টা দেন।(আমি)
.
--এই যে আম্মু।(মেঘলা)
.
--হুমমম বাবা বল কোথায় তুই।(ফুপি)
.
--এইতো ফুপি রংপুরের ভিতরে চলে এসেছি
আধা ঘন্টা লাগবে আর।পৌছাতে।(আমি)
.
--আচ্ছা তাহলে আমরা বাসস্টপে যাচ্ছি।(ফুপি)
.
--আচ্ছা।
।।
কিছুক্ষনের মধ্যেই পৌছে গেলাম।বাস থেকে
নেমেই দেখি আমার ফুপি আর ফুফা দারিয়ে
আছে।তাদের সাথে একটা মেয়েও আছে।
এতো সুন্দর মেয়ে আমি আগে হয়তো
দেখি নাই।ওকে দেখেই তো আমি crush
খাইলাম।বাট কিছুই করার নাই এটা নাকি মেঘলা।
।।
।।
(চলবে)
।।
।।
পরবর্তী পার্টের জন্য অপেক্ষা করুন।।।