পার্ট:9
লেখক:Hridoy Bappy।
।।।।।।
।।।।।।
।।।।।।
অনেক বড় একটা রহস্যের মধ্যে পরে গেলাম।আগে আমাকে হৃদয় এর কি হয়েছে সেটা যানতে হবে।তার জন্য তো সিলেট যেতে হবে।ঠিক আছে যাবো সিলেটে কিন্তু তার আগে আমাকে নিধির কাছ থেকে সব শুনতে হবে।তাই একটু আগে আগেই বের হয়ে গেলাম।নিলয় একটু ওরে যেতে বলেছিলো।কিন্তু আমি চলে আসলাম।বাসায় এসে বেল চাপ দিলাম।একটু পর নিধি দরজা খুলে দিলো।
.
:-কতবার ফোন দিয়েছি তোমায় তুমি থাকো কোথায় বলো তো।(নিধি)
.
:-ফোন পেয়েই তো চলে আসলাম।(আমি)
.
:-তা আমি কি এখন ফোন দিয়েছি।(নিধি)
.
:-না একটু ব্যস্ত ছিলাম।(আমি)
.
:-হয়ছে থাক আর মিথ্যা বলতে হবে না।তারাতারি ফ্রেস হয়ে নাও।(নিধি)
রুমে চলে আসলাম।নিধি ও রুমে চলে আসলো আমার পিছনে পিছনে।
.
:-তোমার জামা আমি বিছানার উপরে রেখে দিয়েছি ওগুলো পরে নিয়ে নাস্তা করতে আসো আগে।(নিধি)
.
:-তুমি খাবার নিয়ে ছাদে যাও তোমার সাথে কিছু কথা আছে আমার।(আমি)
.
:-ওকে তারাতারি আসো।(নিধি)
।।।।।
নিধি চলে গেলো।আমিও ফ্রেস হয়ে জামা চেন্জ করে ছাদে চলে আসলাম।নিধি আমার আর ওর জন্য নাস্তা নিয়ে বসে আছে।দুজনেই নাস্তা করলাম।
.
:-এখন বলো কি বলবা।(নিধি)
.
:-হুমমমম তুমি মনে হয় আগে কিছু বলতে চায়ছিলা।(আমি)
.
:-না তুমি আগে বলো তারপর আমি বলবো।(নিধি)
.
:-তুমি তো জানো আমি একটা কেস হাতে নিছি তাই না।(আমি)
.
:-হুমমম তা অবস্হা কি কেসের।(নিধি)
.
:-আগে তো শুনো কার কেস।(আমি)
.
:-কার।(নিধি)
.
:-এইযে।এর নাম হৃদয় খান।আজ চারবছর যাবৎ নিখোজ।(আমি)
।।।।।।
হৃদয় এর ছবিটা দেখে নিধি অবাক হয়ে গেলো।আর সেই সাথে সাথে কান্না ও করে দিলো।
.
:-আরে তুমি কান্না করছো কেনো।(আমি)
.
:-না কিছু না এমনি চোখে কিছু চলে গেছে।(নিধি)
.
:-দেখো আমার থেকে কোনো কিছু লুকিয়ে লাভ হবে না।।।তুমি হৃদয় এর সাথে কি করেছো সেটা বলো।(আমি)
.
:-মানে।কি বলছো এইসব।(নিধি)
.
:-ঠিকই বলছি তোমার তো বিয়ে ঠিক হয়েছিলো ওর সাথে।আর বিয়ের দিনই মেঘলার সাথে বিয়ে হয়ে যায়।তোমার তো রাগ হয়েছিলো অনেক তাইনা।বিয়ের দিন কোনো মেয়ের বিয়ে ভেঙে গেলে তো রাগ হবেই।আর তারপর হৃদয় এর নিখোজ।সব কিছুর পিছনে তোমার হাত নাই তো।(আমি)
.
:-বাপ্পী তুমি কি আমার উপর সন্দেহ করতেছো।(নিধি)
.
:-দেখো আমি পুলিশ সন্দেহটাই আমাদের মধ্যে থাকে।সব কিছুর মধ্যে তোমার হাতটাই বেশী মনে হচ্ছে।(আমি)
.
:-তুমি এটা বলবা আমি ভাবতে ও পারি নাই।হ্যা এটা ঠিক অনেক রাগ হয়েছিলো যখন আমার সাথে বিয়ে করতে এসে ও অন্য কাউকে বিয়ে করে নিয়ে যাই।অনেক বদনাম হয়েছিলো বাবার।আমাকে ও মানুষ অনেক কিছু বলতো।তখনি আমাকে বাবা মামার কাছে পাঠিয়ে দেই।কিন্তু বিশ্বাস করো আমি ওকে কিছুই করি নি।যাকে ভালোবাসতাম তাকে কিভাবে কিছু করবো বলো।(নিধি)
.
:-ভালোবাসতা।তুমি যে বললা কাউকেই ভালোবাসো না।।আর এইসব আমাকে আগে বলো নাই কেনো।(আমি)
.
:-মামা বলতে নিশেধ করেছিলো।আগে বিয়েটা হয়ে যেতে বলছে তারপর সব বলে দিতে বলছে মামা।(নিধি)
.
:-ওওও তাহলে হয়তো তোমার বাবার হাত আছে এর মধ্যে।(আমি)
.
:-দেখো তুমি কিন্তু এখন একটু বেশী করতেছো।আমার বাবা কোনোদিন ও এটা করতে পারবে না।(নিধি)
.
:-কেনো তোমাদের তো অনেক অপমান হয়ছে।হয়তো তোমার বাবা প্রতিশোধ নিয়েছে।(আমি)
.
:-না আমার বাবা যদি প্রতিশোধ নিতোই তাহলে ওদের আরো বেশী অপমানিত করতো।কিন্তু আমি বাবাকে কিছুই করতে মানা করেছিলাম।(নিধি)
.
:-ওওওও আচ্ছা তোমার আম্মু তোমাকে ডাকছে যাও নিচে যাও।(আমি)
.
:-ওকে।।।
।।।।।
নিধি নিয়ে চলে গেলো।আচ্ছা ওর কথার সত্যতা কতটুকু।আচ্ছা নিধিও তো বিয়ে ভাঙার পর সিলেটেই ছিলো।ওর মামা বাসা তো ওখানেই।সব তো গোল মিল হয়ে যাচ্ছে।আমার হবু বউ ই এই সবের মধ্যে জরিত বলে আমার মনে হচ্ছে।হৃদয় এর কোনো খবর নাই।আচ্ছা আগে যদি হৃদয়কে খুজে বের করি।ওর লাশ টা পেলে ও আমাদের অনেক লাভ হবে।কিন্তু এতো দিনে যদি কেউ ওকে মেরে লাশ মাটি দিয়ে দেই তাহলে তো অবস্হা খারাপ হয়ে যাবে এই কেসের।যাইহোক কালকে সিলেট যেতে হবে তাই কাকুকে একটা ফোন দি,
.
:-হ্যালো কাকু কেমন আছো।(আমি)
.
:-এই তো বাবা।তোর চাকরির কি খবর।কোনো সমস্যা হচ্ছে নাতো।(কাকু)
.
:-কালকে সিলেট যাবো কাকু।(আমি)
.
:-কেনো কালকে সিলেট আসবি কেনো।
.
:-আরে বইলো না একটা কেস এর জন্য যেতে হবে।(আমি)
.
:-তাই নাকি এখনি তো ভালো ভাবে কাজ করা শিখে গেছিস মনে হয়।(কাকু)
.
:-হুমমমম অনেক রহস্যময় একটা কেস হাতে নিয়েছি কাকু তাই তো সিলেট যেতে হবে এটা সলভ করতে।(আমি)
.
:-কি এমন কেস যার জন্য এখানে আসতে হবে।(কাকু)
.
:-তোমাকে পরে খুলে বলবো।কালকে আসতেছি আমি।কাউকে কিছু বইলো না।(আমি)
.
:-ওকে।
।।।।।
ফোন কেটে নিলয় কে ফোন দিলাম।
.
:-কিরে কইরে তুই।(আমি)
.
:-এইতো থানায় আছি।(নিলয়)
.
:-কালকে সকালের ২ টা বাসের টিকেট কেটে রাখ আমরা সিলেট যাবো।(আমি)
.
:-মানে এখন সিলেট কেনো।(নিলয়)
.
:-তুই যাবি কিনা বল।(আমি)
.
:-না যেয়ে কি পারি নাকি।ঠিক আছে ৯ টার টিকেট কেটে রাখবো।(নিলয়)
।।।।।।
কেটে দিলাম ফোন।নিচে আসলাম।দেখি নিধি রেগে আছে।রাগবেই তো।যাইহোক রাগটা এমনিতেই কেটে যাবে।রাতে খেতে বসলাম।
.
:-আন্টি আমি ১ সপ্তাহের জন্য সিলেট যাচ্ছি।(আমি)
.
:-কেনো বাবা এখন সিলেট যাবা কেনো।(নিধির মা)
.
:-না মানে একটা কেস পেয়েছি তাই যেতে হবে।(আমি)
.
:-তাহলে নিধিকে ও নিয়ে যাও তোমার সাথে।(নিধির বাবা)
.
:-না আঙ্কেল আমি বাসায় যাবো না।হোটেলই থাকতে হবে।আর নিধিকে নিয়ে গেলে শুধু শুধু এখন ওর সময় নষ্ট হবে।সামনে ওর পরীক্ষা ও বাসায় থাকুক।(আমি)
.
:-না বাবা আমি ওর সাথে কোথাও যাবো না।(নিধি)
.
:-আরে মা রাগ করিস না ও তো ঠিকই বলেছে তোর সামনে পরীক্ষা এখন তো না যাওয়ায় ভালো।
।।।।।।।
আর কোনো কথা ছাড়াই আমি খেয়ে আমার রুমে চলে আসলাম নিধিও আমার রুমে এসে জামা কাপড় গুছিয়ে দিয়ে চলে গেলো ওর রুমে।সকালে উঠে নাস্তা করে চলে এলাম বাসস্টপ এ।দেখি নিলয় আগে থেকেই দারানো ছিলো।দুজনে বাসে উঠলাম।
.
:-আচ্ছা কি জন্য সিলেট যাবো সেটা তো বল।(নিলয়)
.
:-হৃদয় এর কি হয়েছিলো সেটা না বের করে কে করেছে সেটা বের করবো কিভাবে বল।(আমি)
.
:-হুমমম তাহলে কি হৃদয়কে খুজতে জাইতেছি আমরা।(নিলয়)
.
:-হুমমমম।
.
:-কিন্তু পুলিশ তো খুজেছে।(নিলয়)
.
:-খুজেছে কিন্তু ভালো ভাবে খুজে নাই কেউ।আমি আর তুই সব কিছু ভালো করে খুজে দেখবো।কোনো কিছুই বাদ রাখবো না।মেঘলার বলা হোটেল আর সেই পাহাড় টাই ভালো করে দেখতে হবে।(আমি)
.
:-কিন্তু তোর কি মনে হয় এখন আমরা খুজে পাবো।কারণ চার বছর হয়ে গেছে।এখন তো কাউকে জিজ্ঞাসা করেলেও কেউ কিছু বলতে পারবে বলে তো মনে হয় না।(নিলয়)
.
:-আরে চল তো তুই আগে।বেশী কথা বলোস সব সময়।(আমি)
।।।।।।
দুজনে সিলেট চলে আসলাম।আসতে আসতে রাত হয়ে গেছে তাই।হৃদয়রা যেই হোটেলে হানিমুন করতেছিলো সেখানেই আমরা রুম নিলাম।রাতটা পার করে দিলাম।সকালে কাকুকে ফোন দিয়ে আসতে বল্লাম।কাকু ও চলে আসলো।
.
:-কিরে কেমন আছিস বাবা।(কাকু)
.
:-এইতো কাকু ভালো আছি।তুমি কেমন আছো।(আমি)
.
:-এইতো আছি কোনোরকম।(কাকু)
.
:-কাকু তোমাকে ফোন দিয়েছি একটা কারণেই আমার সাথে manager এর সাথে একটু কথা বলিয়ে দাও এই হোটেল এর।(আমি)
.
:-আরে তুই ও তো পুলিশ তুই শুধু বললেই হতো।আমাকে আনার কি দরকার ছিলো।(কাকু)
.
:-আরে তোমার অভিজ্ঞতা বেশী তাই আনলাম।(আমি)
.
:-আচ্ছা চল।।
।।।।।
আমরা চারজন চলে আসলাম মেনেজার এর কাছে।
.
:-আরে আবিদ ভাই যে এখানে কি মনে করে।(মেনেজার)
.
:-আরে মামুন যে।হোটেল এর মেনেজার হয়ে গেছোস।(কাকু)
.
:-হ্যা ভাই।তা কি মনে করে এখানে।(মামুন)
.
:-এই যে এটা আমার ভাতিজা।ধানমন্ডী থানার ওসি।ও তোর সাথে কথা বলবে।(কাকু)
.
:-তাই নাকি ভাতিজা ও পুলিশ হয়ে গেছে।(মামুন)
.
:-আঙ্কেল আমার হেল্প লাগবে একটা।(আমি)
.
:-হুমমমম বলো।আবিদ ভাইয়ের ভাতিজা মানে আমারও ভাতিজা।সব ধরনের সাহায্য পাবা তুমি আমার থেকে।(মামুন)
.
:-আমার আপনার হোটেলের চার বছর আগের ভিডিও ফুটেজ লাগবে।পাওয়া যাবে কি।(আমি)
.
:-চার বছর পুরানো।দারাও আমি একটু ফোন দিয়ে জেনে নিও আমাদের ডাটায় আছে নাকি চার বছর পুরানো ফুটেজ।(মামুন)
.
:-হুমমম দেখুন একটু।
।।।।
মামুন ফোন দিলো কাকে যেনো।
.
:-তুই এতো পুরান ভিডিও দিয়ে কি করবি।(কাকু)
আমি ও কাকুকে সব খুলে বল্লাম কেস এর মাধ্যমে।
.
:-হ্যা আমাদের ডাটার মধ্যে ২০১৩ থেকে সব ভিডিও আছে।(মামুন)
.
:-অন্যসব হোটেল এ তো সব ডিলিট করে দেই আপনি রাখেন কেনো।(নিলয়)
.
:-আমি না এগুলো আমার শ্বশুর রাখে।এই হোটেলটা আমার শ্বশুর এর।(মামুন)
.
:-ওকে আঙ্কেল আমাকে এই পেনড্রাইভে মার্চ,২০১৪ এর কাউন্টারের সব ফুটেজ কপি করে দিন।(আমি)
.
:-অপেক্ষা করো আমি নিয়ে আসছি।(মামুন)
.
:-আমি রুম নাম্বার ৪০১ এ আছি কপি করে আমার রুমে পাঠিয়ে দিয়েন।এখন আমার কিছু কাজ আছে।(আমি)
.
:-ওকে তাহলে আমি পাঠিয়ে দিবো।(মামুন)
.
:-তাহলে কাকু তুমি থাকো আমাদের কিছু কাজ আছে।(আমি)
.
:-কোথায় যাবি।আমি নামিয়ে দিয়ে আসি।(কাকু)
.
:-না কাকু আমারা যেতে পারবো শুধু শুধু তোমাকে কষ্ট করতে হবে না।(আমি)
.
:-ঠিক আছে।কিন্তু তোর মার সাথে কথা বলেছিস নাকি।(কাকু)
.
:-আজকে সকালেই মামনি আর নিলার সাথে কথা হয়েছে।তুমি বাসায় বইলো না আমি এখানে এসেছি।(আমি)
.
:-ওকে বলবো না।(কাকু)
.
:-নিলয় চল আমরা যাই এখন।
।।।।।।
নিলয় আর আমি চলে আসলাম হৃদয় আর মেঘলা যেই পাহাড়ে এসেছিলো সেখানে।অনেক সুন্দর তো পাহাড় টা।আচ্ছা সবাই তো ভাবছে হৃদয় নিখোজ তাই তো ওকে খোজার জন্য পুলিশ চেষ্টা করেছে।কিন্তু যদি কেউ ওকে মারতে চাই।হ্যা
.
:-নিলয় তুই বলছিলি না যে হৃদয়কে কেউ হামলা করেছিলো আর ওর accident হয়ে যাই।(আমি)
.
:-হ্যা।(নিলয়)
.
:-আর মেঘলা বলছে যে এখানে হৃদয়কে লাষ্ট দেখেছে।আর ফাইল এ ও পুলিশ খোজ নিয়ে দেখেছে যে এখান থেকে হৃদয় কে কেউ দেখে নাই আর।এখানেই ওর লাষ্ট অবস্হান ছিলো।(আমি)
.
:-মামা বুঝে গেছি আমি তুই কি বলতে চাচ্ছিস।(নিলয়)
.
:-হুমমমম কত নিচু পাহাড় টা দেখছিস।(দুজনেই পাহাড় এর নিচে দেখতে লাগলাম)
.
:-হুমমম এখান থেকে পরলে কেউ বাচবে বলে মনে হয় না।(নিলয়)
.
:-হুমমমম আর পুলিশ ও কিন্তু নিচে খুজে দেখে নাই।(আমি)
.
:-তাহলে চল খুজে দেখি নিচে।(নিলয়)
.
:-পাগল নাকি মাথা কাজে লাগা।এটা টুরেস্ট লাইন।নিচে চল বুঝাচ্ছি
।।।।।।
দুজনে নিচে চলে আসলাম।
.
:-দেখছিস উপর থেকে যদি কেউ পরে তাহলে এই মাঠের মধ্যেই পরবে।মানে বাচার সম্ভবনা নাই।(আমি)
.
:-আর এখানে তো গাছপালা পরলে তো এমনেই বাচবে না।কিন্তু উপর থেকে যতটা উচু মনে হয় নিচ থেকে কিন্তু অতটা উচু বলে মনে হয় না।(নিলয়)
.
:-হুমমমম এখান থেকে পরে এই পর্যন্ত ৫ জনের মৃতু্য হয়েছিলো।আর দুইজন কোনো রকম বেচে গিয়েছিলো।(আমি)
.
:-তুই জানলি কিভাবে।(নিলয়)
.
:-কাকু বলেছিলো এখান থেকে ওরে দুইজন প্রানে বেচে গিয়েছিলো।আর যদি ও কেউ পরে তাহলে সে এখানে এত দিন থাকবে না।তাকে পাশের কোনো হাসপাতালে নিয়ে যাবে।(আমি)
.
:-হুমমমম এখানে তো সব সময়ই লোক থাকে।(নিলয়)
.
:-সেটাই তো।যদি আমার ধারনা ঠিক থাকে তাহলে হৃদয় এখান থেকে পরে বেচে যাওয়া দুইজনের মধ্যে একজন।(আমি)
.
:-হয়তো।(নিলয়)
.
:-তাহলে এখানের সব থেকে কাছের হাসপাতালে যেতে হবে আমাদের।(আমি)
.
:-চল আমি চিনি।
।।।।।
দুজনে চলে আসলাম এখানের সবচেয়ে কাছের হাসপাতালে।এটাই সিলেট এর সবচেয়ে নামকরা হাসপাতাল।
.
:-আচ্ছা আমরা কি ডাক্তার এর সাথে কথা বলবো।(নিলয়)
.
:-না ওদের সাথে কথা বলে কি এইসব জানতে পারবো নাকি।(আমি)
.
:-তাহলে।(নিলয়)
.
:-কাউন্টারে কথা বলি।(আমি)
.
:-ওরা কি বলবে তোকে।(নিলয়)
.
:-ওকে হাসপাতালের সভাপতির সাথে কথা বলবো।(আমি)
.
:-ওকে চল।
।।।।।
কাউন্টার থেকে সভাপতির নাম্বার নিয়ে তাকে ফোন করে তারাতারি কাউন্টারে আসতে বল্লাম।আসবে না কেনো।পুলিশ ফোন দিলে তো আসতেই হবে।
.
:-তোমাদের মতো বাচ্ছা পুলিশ আমাকে ফোন করে আসতে বলে এখানে।যানো কত কাজ ফেলে আসছি।(সভাপতি সাহেব এসে বললো)
.
:-দেখেন আপনার কাজ আছে সেটা আমরাও বুঝি কিন্তু একটু কোঅপারেট করুন।চারবছর ধরে একটা ছেলের কোনো খবর নাই।(আমি)
.
:-ফাজলামি করছো চার বছর ধরে নিখোজ একটা ছেলে তাহলে আমার কাছে এসেছো কেনো।আমি কি চুরি করেছি নাকি।(লোকটা)
.
:-নিলয় আমরা নাকি ফাজলামু করতেছি।ঠিক আছে ওই ছেলেকে খুন করে গুম করে দিয়েছে এই হাসপাতালের সভাপতি এমন কেস করে আমরা কেস টা শেষ করে দি।(আমি)
.
:-হুমমমম এমনই করে দেওয়া ভালো নাহলে ওই ছেলেটার don নানাকে বলে দেই এই সভাপতি আপনার নাতিকে খুন করেছে।(নিলয়)
.
:-আরে sir আমি তো মজা করেছিলাম।আপনাদের কি জানতে হবে বলুন আমি বলতেছি।এই তোরা চেয়ার নিয়ে আয়।সার কে বসতে দে।(সভাপতি)
.
:-না সেটার দরকার নাই আমরা যা জানতে আসছি সেটা হলো,১৪ই মার্চ,২০১৪ ঔ দিন এই ছেলেটা(হৃদয় এর ছবি দেখিয়ে)এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো নাকি সেটা জানতে হবে।(আমি)
.
:-কত মানুষই তো ভর্তি হয় আর এটা তো চার বছর আগের কাহিনী।সেটা কার মনে থাকবে বলেন।(সভাপতি)
.
:-হুমমমম কিন্তু আপনাদের তো ট্রিটমেন্ট এর রেকোর্ডস গুলা থাকে ফাইল আকারে।(নিলয়)
.
:-হ্যা সেটা স্টোর রুমে আছে হাসপাতালের।(সভাপতি)
.
:-আপনারা মনে হয় তারিখ অনুযায়ী রেখেছেন সেগুলো।(নিলয়)
.
:-না জায়গা হয় না বলে মাস আকারে রাখা আছে।
.
:-ওকে মার্চ,২০১৪ সব গুলা ফাইল লাগবে আমাদের।নিয়ে আসুন এখনি।(আমি)
.
:-ওকে আমি বলে দিচ্ছি এখনি নিয়ে আসবে।একটু অপেক্ষা করুন।(সভাপতি)
।।।।।।
কিছুক্ষন পর একটা ওয়ার্ড বয় ফাইল গুলা নিয়ে আসলো।এক মাসে অনেক ফাইল।রোগ অনুযায়ী আমরা ফাইল দেখতে শুরু করলাম।accident কেস ছিলো ১৭ টা।এক মাসে এতো গুলা ছিলো।
.
:-সভাপতি সাহেব এই ১৭ টা ফাইল আমরা নিয়ে যাচ্ছি।আমাদের কাজ শেষ হলে একটা বাদে বাকি গুলা পেয়ে যাবেন।(নিলয়)
.
:-ঠিক আছে আরো কোনো সাহায্য লাগলে বলবেন আমাকে।(সভাপতি)
.
:-আরো তো লাগবেই শুধু একবার বের করে নেই এই ছেলেটা এই হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলো।(আমি)
।।।।।।
ফাইল গুলো নিয়ে আমি আর নিলয় চলে আসলাম।
.
:-বাপ্পী আমরা তো নাম দেখেই ফাইল নিয়ে আসতে পারতাম।(নিলয়)
.
:-আরে হৃদয় এর নাম এখানে মেঘলা ছাড়া কে জানতো।যদি হৃদয় উপর থেকে পরে থাকে তাহলে তাকে এই হাসপাতালেই নেওয়া হয়েছে।আর যদি হৃদয় মারা যেতে তাহলে পুলিশ তো খবর পেতো।(আমি)
.
:-তাহলে গেলো কোথায় হৃদয়।(নিলয়)
.
:-এর ভিতরে আরো ষড়যন্ত্র আছে।(আমি)
.
:-হুমমমম তাই তো দেখতেছি।।(নিলয়)
।।।।।।
ফাইল। নিয়ে চলে আসলাম হোটেল এ।পেনড্রইভ রেখে গিয়েছে।এটা পরে কাজে লাগবে।আমি আর নিলয় আগে লান্স করে নিলাম।তারপর ফাইল দেখতে লাগলাম।১৬ টা ফাইল সাধারণ।কিন্তু ১ টা ফাইল অন্যরকম।ফাইলটাই আমার নাম দেওয়া।মানে আমি এই হাসপাতালে ছিলাম।আমি তো এই ও যানি না কি হয়েছিলো আমার।কিন্তু এখানে তো সব লেখা আছে।আচ্ছা কাকুকে ফোন দি।
.
:-হ্যালো কাকু।(আমি)
.
:-হ্যা বাবা বল।
.
:-আচ্ছা আমার যে মেমোরি লস হলো।কি কারণে হলো এটা।(আমি)
.
:-কেনো বাবা তুই এটা কেনো জানতে চাচ্ছিস।(কাকু)
.
:-আরে এমনি বল না।(আমি)
.
:-তুই ফ্লোরে পরে গিয়েছিলি।(কাকু)
।।।।।।
হ্যা ঠিকই তো আমি ফ্লোরে পরে গিয়েছিলাম সবাই তো আমাকে এটাই বলেছিলো।আচ্ছা ফ্লোরে পরে গিয়ে তো কারো মেমোরি লস হয় না।আমার তাহলে হবে কেনো।না না এটা কেনো হবে আমার চেহারা ও তো হৃদয় এর সাথে মিলে না তাহলে এইটা কিভাবে সম্ভব।
.
:-কিরে কি ভাবছিস কিছু পেলি নাকি ফাইলে।(নিলয়)
.
:-হুমমমম কিছু একটা পেয়েছি।আচ্ছা ফোন দে তো সভাপতিকে।নিলয় ফোন দিয়ে আমাকে দিলো,
.
:-হ্যালো সভাপতি সাহেব আবারও ডিসটার্ব করলাম।(আমি)
.
:-না না বলেন কি করতে পারি।(সভাপতি)
.
:-আপনার হাসপাতালে ডাক্তার আনোয়ার আছে নাকি।(আমি)
.
:-হুমমমম আছে তো।কিন্তু এখন তাকে পাবেন না।কালকে সকালে আসবে উনি।কেনো কিছু হয়েছে নাকি।(সভাপতি)
.
:-না মানে একটু বুকে ব্যাথা ভাবতেছি উনাকে দেখাবো।(আমি)
.
:-এইসব কি বলেন।উনি তো প্লাস্টিক সার্জারির ডাক্তার উনি কিভাবে বুক দেখবে।(সভাপতি)
.
:-ও তাহলে আমি ও সাজার্রি করবো কালকে সমস্যা নাই।(আমি)
.
:-আপনি কি বলতে চান কিছুই বুঝতেছি না।
.
:-থাক কালকে ফাইলগুলো দিয়ে যাবো।(আমি)
.
:-কিছু পেয়েছেন নাকি।
.
:-হুমমম একটা ফাইলেই পেয়েছি।
।।।।।
ফোন টা কেটে দিলাম।
.
:-আচ্ছা কি পেলি তুই।(নিলয়)
.
:-এখনো কিছুই পাই নাই কিন্তু কালকে আনোয়ার ডাক্তারকে পেলে সব পেয়ে যাবো।(আমি)
.
:-ওওওও
।।।।।।
আমি আর কথা না বলে আয়নার সামনে চলে আসলাম।এটা কিভাবে সম্ভব আমার চেহারা প্লাস্টিক সার্জারি করা।আমার বাবা,মামনি কি তাহলে আমার না।তবে কি সব রহস্যের জালভাত আমিই।আরে না এই কেসটাতে এতো বেশী করে পরে গেছি তাই মাথা ঠিক নাই।উল্টা পাল্টা ভাবতেছি সব।কালকেই বুঝা যাবে আমি কেনো এখানে ছিলাম।আচ্ছা হৃদয়কে তো পেলাম না এই হাসপাতালে তাহলে কি আমাকে অন্য হাসপাতালে দেখতে হবে।।।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(চলবে)
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
Wait for the next part😍😍😍😍😍