কিং অফ দ্যা ইউনিভার্স
#আবির_হাসান_আকাশ
পর্বঃ১৪
আচ্ছা ঠিক আছে,কিন্তু আম্মু তুমি তো অ্যামাজোনিয়ান,তাহলে তো তোমারও কিছু স্পেশাল এনার্জি আছে,তোমার স্পেশাল এনার্জি গুলো কি কি,,,?
(বিদ্রঃঅ্যামাজোনিয়ান কাহিনি টা সম্পর্ন আমার কল্পনা। এখানে অ্যামাজোনিয়ান বলতে ড্রাগনের রাজ্যে বসবাসরত মানুষকে বোঝানো হবে।)
তুমি তাহলে অ্যামাজোনিয়ানদের সম্পর্কেও জানো,তাহলে ঠিক আছে,তুমি এখানে একটু দাঁড়াও,,,(আম্মু)
আম্মু এই বলে আমার থেকে একটু দূরে গিয়ে হাতটা উপ-র করে ধরলো।এবং আমি আম্মুর হাতের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম।আমি আম্মুর হাতের উপর একটা ছোটখাট ড্রাগন দেখতে পাচ্ছি।
আম্মু এইটা কিভাবে সম্ভব। তোমার হাতের উপর ড্রাগন কিভাবে আসলো।এবং অন্যসকল ড্রাগনের চেয়ে এইটা তুলনামূলক ছোট ছিলো কেন,,?
ওওও ডেবিড তুমি তো দেখি কিছুই জানো না।আমাদের অ্যামাজোনিয়ানরা প্রতেক্যেই ড্রাগনকে বশ করতে পারি।এবং আমাদের প্লেনেটের সকল ড্রাগনের মাঝে যেই ম্যাজিক্যাল এনার্জি গুলো থাকে তাদের বশ করার পর তাদের মালিক সেই ম্যাজিক গুলো পেয়ে যায়।এবং ড্রাগনকে ইচ্ছামত যা ইচ্ছা তাই করতে পারে।এখন তুমি আমার হাতের উপর যেই ড্রাগনটা দেখলে এইটা অনেক পাওয়ার ফুল এবং বড়ো একটা ড্রাগন।যেহুতু আমি এখন এইটার মালিক তাই আমার কথামতোই এখন এইটা চলবে।আমি আমার সুবিধার্থে ড্রাগনটাকে ছোট করে রেখেছি।যখন দরকার হবে তখন আবার বড়ো করব।(আম্মু)
আম্মু তুমি যেহুতু অ্যামাজোনিয়ান তাহলে আমিও তো একজন অ্যামাজোনিয়ান। আমি কি কোন ড্রাগন পার্টনার পাবো না,,?
কেন নই ডেবিড,,,তোমার জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রাগন পার্টনার অপেক্ষা করছে।আমাদের মিও প্লেনেটের সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রাগনটার নাম ছিলো ব্ল্যাক মাস্টার। তাকে তোমার নানু বশ করেছিলো।কিন্তু ব্ল্যাক মাস্টারের ভিতর স্পেশাল কিছু ম্যাজিক্যাল পাওয়ার থাকাই সেইটা একটা সোর্ডে পরিনত হয়।কিন্তু একটা সমস্যা ছিলো ঐ সোর্ডটাকে কেউ হাতে নিতে পারত না।এমনকি সোর্ডটা যে জায়গায় পরে ছিলো ঐখান থেকে এক চুল পরিমানও কেউ সরাতে পারে নি।তোমার নানু তখন অনেক চেষ্টা করে সোর্ডটাকে নিজের করে নিতে কিন্তু তিনি ব্যার্থ হন।তারপর তিনি বাধ্য হয়ে আমাদের ড্রাগন রাজ্যের একজন বিখ্যাত জোর্তিবিদের কাছে যান।তিনি কোন আইটেম ছুয়ে সেই আইটেমটার ভবিষ্যৎ দেখতে পেতেন।
ঐ জোর্তিবিদটা তখন বলেছিলো ভবিষ্যতে আমাদের বংশে এমন একটা ছেলের জন্ম হবে যেই ছেলেটাই একমাত্র সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনের যোগ্য হবে।এবং সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগন হাতে পাওয়ার পর সে এমন পাওয়ারফুল হয়ে যাবে তার সামনে মাথা তুলে কেউ দাড়াতেও পারবে না
। বাবা এইসব ভবিষ্যৎ বানী শুনে তখন সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনের চারপাশে শক্তিশালী ম্যাজিক্যাল এনার্জি দিয়ে সেইটাকে সারা জীবনের জন্য সেখানেই বন্দী করে রাখে।এবং তিনি এমন একটা ম্যাজিক দিয়ে সেইটা সেখানে আটকে রেখেছেন যেই ম্যাজিক ব্ল্যাক ড্রাগনের যোগ্য মালিক ছাড়া কেউ নষ্ট করতে পারবে না। যেহুতু আমি আমার বাবার এরমাত্র মেয়ে এবং তুমিই আমার একমাত্র ছেলে তাই সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগন তোমার অপেক্ষায় আছে।(আম্মু)
সত্যি আম্মু আমি এতো পাওয়ার ফুল একটা আইটেম আমার হাতে পাবো।কিন্তু কিভাবে আমি এর যোগ্য হবো,,,,?
আমি যতোটকু জানি তোমাকে সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনের যোগ্য হতে হলে আরো তিনটা ম্যাজিক্যাল পাওয়ার আনলক করতে হবে।(আম্মু)
আচ্ছা তাহলে আমাকে আর কোন কোন ম্যাজিককে আনলক করতে হবে,,,?
প্রথমত টাইম,টাইমকে যদি তুমি নিজের মতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারো তাহলে লড়াইয়ে অনেক দিক দিয়েই তুমি এগিয়ে থাকবে।দ্বিতীয় হলো ফ্লাসার (মানে হলো আলোর গতিতে চলা)।
এবং তৃতীয় হলো এয়ার।(আম্মু)
তাহলে কখন থেকে এই ম্যাজিক গুলো আনলক করতে পারব,,,?
দেখো ডেভিড অন্য সকল ম্যাজিক থেকে এই ম্যাজিক গুলো আনলক করতে তোমার অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে,,এইটাও হতে পারে ঐ ম্যাজিকগুলো আনলক করার সময় কারো জীবন নিতে হবে বা মেরে ফেলতে হবে।এখন তোমাকে এইসব বিষয়ে চিন্তা না করলেও চলবে।এইমাত্র এখানে এলে আর এখনই ঐ সব বিষয় নিয়ে ভেবে মাথা খারাপ করার দরকার নাই।(আম্মু)
তারপর আম্মু আর কিছু বললো না।আমি সামনে তাকিয়ে দেখলাম একটা ঘরের সামনে চলে এসেছি। দরজাটা খুলে ভিতরে প্রবেশ করার পর দেখলাম আমার বোন হেনা মানে ডার্ক প্রিন্সেস শুয়ে আছে।আমি তার সামনে যেতেই আমাকে দেখে সোয়া থেকে উঠে বসলো।
আমি আপুর কাছে গিয়ে,,,
আপু তুমি সবসময় আমার খেয়াল রাখতে,আমাকে দূর থেকে দেখতে কিন্তু একদিনও আমাকে আদর করো নি কেন।আমার সামনে এসে একদিনও তো বোনের পরিচয় দিলে না,কেমন বোন তুমি,আমার কি কাউকে আপু ডাকতে ইচ্ছা করে না(আমি কেঁদে দিয়ে)
আমার কান্না দেখে আপুও আর স্থির থাকতে পারলো না।
কাঁদিস না ভাই আমার,তুই কাঁদলে আমারও হৃদয়টা ভেঙে যায়। হয়তো এতদিন তর সামনে ভালোভাবে আসি নাই।কিন্তু বিশ্বাস কর,অন্যসকল বোনের চেয়ে তোর প্রতি আমার ভালোবাসা একটুও কম নয়।তুই তো আম্মুকে ১৫টি বছর নিজের কাছে পেয়েছিছ,আমিতে তাও পাই নাই।আর আমিতো সবসময় তোর সাথে দেখা করতে চাইতাম।কিন্তু পৃথিবীতে তোর সাথে দেখা করলে যদি কিং এল্ভস জেনে যেত তাহলে তোর অনেক ক্ষতি হতো।তোর ভালোর কথা চিন্তা করেই তোর সাথে দেখা করি নাই।(আপু কেঁদে কেঁদে)
আমাকে ছেড়ে আর কখনো কোথাও যাবে না তো,,
নারে ভাই(আপু কপালে চুমু খেয়ে)
আমাদের দুই ভাইবোনের সুখ দুঃখের কান্না দেখে কেউ হাসছে আবার কেউ কাঁদছে।আমি আম্মুর পাশে ১১ জন গার্ড দেখতে পেলাম।যাদের মাঝে নয়জন মানুষের মতো দেখতে আর দুইজন হলো গোবলিন আর ড্রাগন।এরাই মনে হয় এগারো টা প্লেনেটের প্রধান।আম্মু তাদের ইশারায় চলে যেতে বললো।তারপর আম্মু আমাদের দুইজনের সামনে এসে দুজনের মাথায় হাত বুলাতে শুরু করলো।এবং কিছুক্ষণ পর আম্মু সেখান থেকে চলে গেলো।
আচ্ছা আপু তোমার ঐ সোর্ড টা কোথায়,,,?
কোন সোর্ড(আপু)
ঐ যে যেইটা থেকে কালো ফায়ার বের হয়ে সবকিছু ধ্বংস করে দেয়,,
আমি এইকথা বলা মাত্রাই আপু হাতটা উপর করে ধরলো।এবং তার হাতে তৎক্ষনাৎ ঐ লেজেন্ডারি ব্ল্যাক ফায়ারি সোর্ডটা চলে আসলো।
আচ্ছা আপু এই সোর্ডটা তুমি কই থেকে পেয়েছো,,,?
কেন নানুর কাছ থেকে,নানু আমাকে আমার ৫ম জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলো,এই সোর্ডটার মাঝে ফায়ার ড্রাগনের এনার্জি সিল করা আছে।(আপু)
আচ্ছা আপু এই সোর্ডটা কি সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনের চেয়েও পাওয়ারফুল,,.?
আরে না,সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনের পাওয়ার সম্পর্কে ভালোভাবে কেউ জানে না।তবে লোকমুখে শুনা যায় ঐ সোর্ডটা সবকিছুকে নিজের দিকে টেনে নেয়,বলা যায় ছোট একটা ব্ল্যাক হোলের মতো। (আপু)
ও আমার তো জানাই ছিলো না,তবে পৃথিবীতে থাকা কালীন এমন একটা সোর্ডকে আমি স্বপ্নে দেখেছি।তখন আমি সোর্ডটাকে তুলতে চাচ্ছিলাম কিন্তু আমি তা পারছিলাম না,ঐ সময় স্বপ্নের ভিতর কেউ আমাকে বলেছিলো আমি নাকি এখনো সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনের যোগ্য না,,
হুম তুই এখনো সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনের যোগ্য না।সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনের যোগ্য হতে হলে তোকে অনেক পরিক্ষার সম্মুখীন হতে হবে।(আপু)
আচ্ছা আপু ঐ সব কিছু নিয়ে এর পরেও ভাবা যাবে, তার আগে মারিয়া সম্পর্কে তুমি আমাকে কিছু বলো,এখানে আসার পর মেয়েটাকে একবারও দেখছি না,,কই আছে এখন,,,
কি ব্যাপার ডেভিড হঠাৎ মারিয়া সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিছ যে।তোদের মাঝে কি কিছু চলছে নাকি?
না আপু তুমি যেইরকম ভাবছো সেইরকম কিছু না।ঐ মেয়ে তো আমাকে কোন দামই দেয় না।আমি শুধু জানতে চাচ্ছি ওর বাবা,মা কই,আর ও যদি পৃথিবীতে থেকেই থাকে তাহলে দাদুকে চিনে কি করে,,?
ও,, শোন আমি তোকে সব বলছি,,, মারিয়ার বাবা-মা এখন আর বেঁচে নেই।মারিয়ার আব্বু আমদের আপন চাচ্চু ছিলো।পারলিকা ফোর্সের সাথে যুদ্ধের সময় তারা দুজনই মারা যায়,তখন মারিয়া তিন মাসের বাচ্চা, তার বাবা, মা মারা যাওয়ার পর দাদু এবং আমরা তাকে লালন পালন করতে থাকি।(আপু)
তাহলে ও বাংলাদেশে গেলো কি করে?
সেইটা তো তোমার জন্য, মারিয়া বড়ো হওয়ার সাথে সাথে সবাই তাকে কুইন বলে ডাকতে থাকে।মারিয়া এই বিষয় সম্পর্কে কিছু জানতে চাইলে সবাই তাকে বলে স্কাইলর্ড এর সাথে তার নাকি ভবিষ্যতে বিয়ে হবে।তখন থেকে মারিয়া মনে মনে তোমাকে ভালোবাসে,এবং তোমার সাথে দেখা করার জন্য কৌশলে কোয়ান্টাম জগতে প্রবেশ করে।(আপু)
আপু তুমি কি বলছো।একজন সিনিয়র মেয়ে আমার প্রেমে পরেছে।কিন্তু মারিয়া আমার সাথে যেই ব্যাবহারটা করে মনে হয় আমাকে দুচোখে দেখতেই পারে না,,,
আরে সেইটাতো তোকে ভালোবাসার অধিকারে করে,মারিয়াকে অনেকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলো,একমাত্র তোর জন্যই রাজি হয় নাই।মেয়েটা সত্যি তোকে খুব ভালোবাসে কিন্তু মুখ ফসকে কিছু বলতে পারে না।কথায় আছে না,মেয়েদের বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না।
এমন সময় এন্জেল কিং দরজা দিয়ে ভিতরে আসলো।
তোমাদের ভাইবোনকে বিরক্ত করলাম নাকি,,(এ.কিং)
না আমরা বিরক্ত হবো কেন,আপনি তো আসতেই পারেন,,
এন্জেল কিং কে দেখে আপুর স্বভাব পুরাই চেন্জ হয়ে গেলো।এন্জেল কিং যখন থেকে রুমে প্রবেশ করেছে তখন থেকে আপুর দিকে তাকিয়ে আছে,আপুরও একই অবস্থা, বোঝলাম দুজনের মাঝে কিছু চলছে।আমি তখন হালকা কাশি দিলাম,দুজনেরই ধ্যান ভেঙে গেলো।
ডেভিড তুমি তো হুকারি প্লেনেটের পুরো জায়গা ঘুরে দেখ নাই।অবশ্য এই প্লেনেটটা পৃথিবীর চাঁদের সমান তবুও তোমাকে আমি আমার পিঠে চড়িয়ে ঘুরাতে পারি,(,এ.কিং)
তার আর দরকার নাই,,,আপনি আগে বলেন মারিয়া এখন কোথায়,,?
তোমাকে আমি কি বললাম আর তুমি কি বলছো।ঠিক আছে তাহলে তোমাকে মারিয়ার কাছে নিয়ে যাচ্ছি।আমার পিছনে আসো(এ.কিং)
আমি এন্জেল কিং এর পিছন পিছন যাচ্ছি। লোকালয় ছেড়ে একটু দূরে এসে হাতের ইশারায় এন্জেল কিং আমাকে একটা জায়গা দেখিয়ে দিলো।এবং বললো ঐখানে একটা গাছের নিচে মারিয়া বসে আছে।আমি সেখানে দ্রুত চলে গেলাম।এবং মারিয়ার পিছনে গিয়ে তাকে কিছু দেখতে না দিয়ে আচমকা জড়িয়ে ধরলাম
to be continue ,,,🤐