পার্ট: ০১
লেখক: হৃদয় বাপ্পী
।।
।।
--তুই বিয়ে করবি কিনা বল।(আম্মু)
.
--আমার কি এখনো বিয়ের বয়স হয়েছে যে তোমরা আমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছো।(আমি)
.
--আমি কিছুই শুনবো না তোকে বিয়ে করতেই হবে।(আম্মু)
.
--আমি এখন বিয়ে করলে লোকে কি বলবে বলো।(আমি)
.
-কেউ কিছু বলবে না আমরা মেয়ে দেখে রেখেছি তোর পছন্দ হয়লেই বিয়ে।(আম্মু)
.
--আমি মেয়ে দেখতে যাবো না বিয়ে ও করবো না।(আমি)
.
--ঠিক আছে তোর খাওয়া ও বন্ধ আজকে থেকে।বিয়ে করবি তারপরই খাবার পাবি।(আম্মু)
.
--বাবা আম্মুকে একটু বুঝাও।আমার কি বয়স হয়েছে বিয়ের বলো।আমাকে জোর করলে কিন্তু আমি বাল্যবিবাহের মামলা করে দিবো।(আমি)
.
--তুই যাই বলোস না কেনো বিয়ে না করলে তোর খাবার বন্ধ আর এখন থেকে এক টাকাও পকেট খরচ পাবি না।আর এই তোর মোবাইল টাও নিয়ে নিলাম।(আম্মু)
.
--আরে কি করছো কি।খাবার দিবা না,টাকা দিবা না মানলাম।কিন্তু মোবাইলটা নিচ্ছো কেনো।(আমি)
.
--আগে বিয়ে করতে রাজি হ তারপরই দিবো মোবাইল।(আম্মু)
.
--থাক লাগবে না মোবাইল সব রেখে দাও।তাও আমি এখন বিয়ে করতে পারবো না।(আমি)
।
।
রাগ করে চলে আসলাম বাসা থেকে।আপনারাই বলেনতো এভাবে বাল্যবিবাহ দিলে কি মেনে নেওয়া যাই।এখনও আমি কত ছোট।ও পরিচয় না দিলে তো বুঝবেনই না।আমি হৃদয় বাপ্পী।এবার ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছি।আর এতোক্ষ আমার আম্মুর সাথে কথা হচ্ছিলো।তাদের নাকি এখন একটা বউমা লাগবে।অনেক আশা ছিলো আমার বাবা-মার তাদের একটা কিউট মেয়ে হবে।কিন্তু হয়ে গেছে পাজি একটা ছেলে।কি আর করার এজন্য আমাকে বিয়ে দিয়ে তাদের বউমা আনবে আর মেয়ের মতো আদর করবে।সবই ঠিক আছে কিন্তু আমার মতো নিরীহ ছেলেকে এতো তারাতারি বলি দিয়ে দিবে এটা মানতে পারলাম না।কেবল তো লাইফটা শুরু।জীবনে একটা প্রেমও করি নাই।কতো প্লান করে রেখেছি এতোগুলা মেয়ের সাথে প্রেম করবো।কিন্তু আম্মু সেটা হতে দিবে না।বিয়ে করাই দিলেয় তো আমাকে শুধু বউ এর কথা শুনতে হবে।না না এটা কিছুতেই হতে পারে না।আমি এত তারাতারি পরাজয় স্বিকার করতে পারি না।আমাকে লড়াই করতে হবে।বাইরে থেকে ঘুরে বিকালে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসেই মোবাইল ছাড়া আর ভালো লাগতেছে না।কত কষ্ট করে বন্ধুর কাছে রিকুয়ে্ট করে ওর ওয়াইফাই নিয়ে ২ টা গেইম নামাইছি।এখন তো আম্মুর জন্য ভালো লাগতেছে না।তাই সোজা চলে গেলাম আম্মুর রাগ করে চলে আসলাম বাসা থেকে।আপনারাই বলেনতো এভাবে বাল্যবিবাহ দিলে কি মেনে নেওয়া যাই।এখনও আমি কত ছোট।ও পরিচয় না দিলে তো বুঝবেনই না।আমি হৃদয়।এবার ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছি।আর এতোক্ষ আমার আম্মুর সাথে কথা হচ্ছিলো।তাদের নাকি এখন একটা বউমা লাগবে।অনেক আশা ছিলো আমার বাবা-মার তাদের একটা কিউট মেয়ে হবে।কিন্তু হয়ে গেছে পাজি একটা ছেলে।কি আর করার এজন্য আমাকে বিয়ে দিয়ে তাদের বউমা আনবে আর মেয়ের মতো আদর করবে।সবই ঠিক আছে কিন্তু আমার মতো নিরীহ ছেলেকে এতো তারাতারি বলি দিয়ে দিবে এটা মানতে পারলাম না।কেবল তো লাইফটা শুরু।জীবনে একটা প্রেমও করি নাই।কতো প্লান করে রেখেছি এতোগুলা মেয়ের সাথে প্রেম করবো।কিন্তু আম্মু সেটা হতে দিবে না।বিয়ে করাই দিলেয় তো আমাকে শুধু বউ এর কথা শুনতে হবে।না না এটা কিছুতেই হতে পারে না।আমি এত তারাতারি পরাজয় স্বিকার করতে পারি না।আমাকে লড়াই করতে হবে।বাইরে থেকে ঘুরে বিকালে বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসেই মোবাইল ছাড়া আর ভালো লাগতেছে না।কত কষ্ট করে বন্ধুর কাছে রিকুয়ে্ট করে ওর ওয়াইফাই নিয়ে ২ টা গেইম নামাইছি।এখন তো আম্মুর জন্য ভালো লাগতেছে না।তাই সোজা চলে গেলাম আম্মুর কাছে।
.
--কিরে আমার পিছনে এভাবে ঘুরঘুর করতেছোস কেনো।(আম্মু)
.
--মোবাইল টা দাও না।(আমি)
.
--কেনো প্রেম করবি নাকি মোবাইল নিয়ে।(আম্মু)
.
--না একটু গেইমস খেলবো।(আমি)
.
--এই গেইমস খেলার জন্যই তুই আজকে পর্যন্ত কোনো মেয়ে পটাইতে পারলি না।(আম্মু)
.
--গেইম খেলা আর মেয়ে পটানোর মধ্যে সম্পর্ক কি।(আমি)
.
--গেইমস তো বাচ্চারা খেলে।আর কোনো মেয়ে বাচ্চা ছেলের সাথে প্রেম করতে চাই না বুঝলি।(আম্মু)
.
--তাহলে তোমার এই বাচ্চা ছেলেকে কোনো মেয়েও বিয়ে করবে না।শুধু শুধু বিয়ের চিন্তা বাদ দাও।(আমি)
.
--যতই বলোস বিয়ে করতে রাজি না হলে এই মোবাইল আর খাবার একটাও পাবি না।(আম্মু)
.
--যারে বিয়ের কথা আবার মনে করিয়ে দিলাম।এদিকে ক্ষুদা ও লাগছে অনেক।আর মোবাইলটাও লাগবে।(মনে মনে বললাম)
.
--কিছু বললি।(আম্মু)
.
--না আমি বিয়ে করতে রাজি তুমি মেয়ে দেখো।(আমি)
.
--মেয়ে দেখাই তুই শুধু পছন্দ করবি।(আম্মু)
.
-পছন্দ না হলে।(আমি)
.
--পছন্দ নাহলেও বিয়ে করতে হবে।(আম্মু)
.
--কিহহহহহ।মেয়ে পছন্দ না হলেও কেনো বিয়ে করবো।(আমি)
.
--মেয়ে আমাদের পছন্দ আর তোর বাবা অনেক আগেই মেয়ের বাবাকে কথা দিয়ে ফেলছে।তাই এখন তোর কিছুই করার নাই।(আম্মু)
.
--তাই তো দেখতেছি আমার কিছুই করার নাই।মোবাইল টা দাও বিয়ে করতে আমি রাজি।(আমি)
.
--এইতো জানতাম তোর মোবাইলটা নিলেই তুই রাজি হবি।(আম্মু)
.
--বিয়ে আমি করবো কিন্তু শুনে রাইখো কোনোদিনও তোমার বউমাকে আমি বউ এর অধিকার দিবো না।(আম্মু)
.
--সেটা দেখা যাবে।তাহলে তোর বন্ধুদের মধ্যে কাদের দাওয়াত দিবি।দিয়ে ফেল সামনে মাসের ১ তারিখে তোর বিয়ে।(আম্মু)
.
--কি তোমরা বিয়ের তারিখ ও ঠিক করে ফেলছো।আর আমাকে এর কিছুই জানাও নাই।(আমি)
.
--তোকে জানিয়ে কি হবে।তুই রাজি এখন শুধু বিয়ে করবি।(আম্মি)
.
--তাহলে মেয়েকে দেখতে যাবো কবে?(আমি)
.
--একবারে বাসর রাতে দেখবি।(আম্মু)
.
--তুমিই তো বললা মেয়ে দেখে আসিস।(আমি)
.
--ওইটা তো এমনি বলেছি।যাতে তুকে রাজি করাইতে পারি।(আম্মু)
.
--মেয়ে দেখবো না আর তাকে বিয়ে ও করে ফেলবো।(আমি)
.
--হুমমমম আমরা দেখছি তো।মেয়ে অনেক ভালো।তুই অনেক খুশি থাকবি ওর সাথে।(আম্মু)
.
--দুর তোমার সাথে কথা নাই।
।
।
আমি আমার রুমে চলে আসলাম।দুর কি ভাবলাম আর কি হয়লো।ভাবলাম মেয়ে দেখতে গিয়ে ওরে আলাদা রুমে নিয়ে গিয়ে আমার নামে উল্টা পাল্টা কথা বলে এই বিয়ে ভেঙে দিবো।কিন্তু আম্মু তো কিছুই করতে দিবে না।তার কি কোনো দয়া মায়া নাই।ছোট একটা বাচ্চাকে সে বিয়ে দিয়ে দিবে।না এটা তো মেনে নেওয়া যাই না।এতসব বাদ দিয়ে মনের সুখে গেইমস খেলা শুরু করলাম।রাতে খেতে আসলাম।
.
--হুমমম তোমার ছেলে বিয়ে করতে রাজি।আমি তোমাকে বলেছিলাম না ও রাজি হবে বিয়ে করতে।(আম্মু বাবাকে বললো)
.
--হুমমম ও কি একটু ছোট হয়ে যাচ্ছে না বিয়ের জন্য।(বাবা)
.
--বাবা আম্মুকে একটু বুঝাও তো সবে মাত্র ১৮ বছর আমার এখনই বিয়ে করবো।বন্ধুরা তো আমাকে ক্ষেপাবে।(আমি)
.
--তোমাদের ২ জনের কোনো কথা শুনবো না এই বিয়ে যদি নাহয় তাহলে আমি রান্না বাদ দিয়ে আমার বাপের বাসায় চলে যাবো।তখন রান্না করে খেয়ো তোমরা।(আম্মু)
.
--না না ওর বিয়ে হবেই হবেই।তোমার বাবার বাসায় যেতে হবে না।আমি সব ব্যবস্হা করতেছি বিয়ের।(বাবা)
.
--বাবা তুমিও আমাকে বিয়ে দিয়ে বিদায় করতে চাও।(আমি)
.
--ওই তুই মেয়ে নাকি যে তোকে বিয়ে দিয়ে তারিয়ে দিবো।(আম্মু)
.
--না মেয়ে হয়লেই ভালো হত আমাকে তখন এত তারাতারি বিয়ে দিতে না।(আমি)
.
--চুপ তোর কোনো কথায় কিছু হবে না বিয়ে তোকে করতেই হবে।(আম্মু)
।
।
কিছু না বলে খাওয়া শেষ করে রুমে চলে আসলাম।যা আমাকে তো বিয়ে দিয়েই দিবে।কিছুই করার নাই আর।তাই আর কোনো চিন্তা না করে ঘুমিয়ে পরলাম।সকলে উঠলাম খুব ভোরে।
.
--কিরে আজকে এতো ভালো হয়ে গেলি কোমো ডাক দেওয়া ছাড়াই এতো সকালে ঘুম থেকে উঠলি।(আম্মু)
.
--আম্মু আমি আজ থেকে প্রতিদিন ভোরে উঠবো তাও তুমি আমাকে এখন বিয়ে দিও না।(আমি)
.
--না না বিয়ে হবেই।আমি কথা দিয়ে ফেলছি।(আম্মু)
।
।
দুর লেডী ডন যা বলছে তাই হবে।ইসসস কি কপাল আমার কেনো যে আমার আম্মু এমন।এখন তো আমার নানাকে গুলি করে উরাই দুতে মন চাচ্ছে।কেনো যে আমার নানা ডন হয়তে গেছিলো।এখন আমার আম্মু ও তার মতো।কথায় কথায় আব্বু আর আমাকে নানার ভয় দেখায়।অবশ্য আমি আর বাবা নানার থেকে আম্মুকেই বেশী ভয় পাই।দুর কোথায় কি হলো।স্বপ্ন দেখেছিলাম বড় গায়ক হবো চারিদিকে আমার ফেন থাকবে।কিন্তু আম্মু কি করলো।বিয়ে দিয়ে আমাকে আব্বুর মতো চাকর বানিয়ে রাখবে।না এটা কি করে হয়।আমিও দেখাবো সবাইকে।কি করবো কি করবো ভাবতেছি আর বাবা চলে আসলো,
.
--বাবা আমি এই বিয়ে করবো না।আম্মুকে একটু বোঝাও না।(আমি)
.
--তোর আম্মু কেমন তুই তো জানোসই।আমার কোনো কথা কি শুনে ও।(বাবা)
.
--তাহলে বলো আমি কি করবো।আমি একটা মেয়েকে জানি না চিনি না তাকে বিয়ে করে ফেলবো।(আমি)
.
--বাবারে এছাড়াও তো কোনো উপায নাই তোর নানাকে তো চিনিস তোর আম্মু যদি একবার বলে তোর নানারে যে তুই বিয়ে করবি না।তখন তো তোকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দিবে।তখন তো কিছুই করার থাকবে না।(বাবা)
.
--তাহলে আমি কি করবো বলো।আম্মু যদি এখন আমাকে বিয়ে দিয়ে দেই তাহলে তো আমার লাইফ আমার স্বপ্ন সব ভেঙে যাবে।(আমি)
.
--আমি আজকেই রংপুরের একটা টিকেট কেটে রাখবো।রাতে যখন ঘুমিয়ে পরবে তোর মা তখন তুই পালিয়ে যাবি বাসা থেকে।(বাবা)
.
--কি বলছো নিজের বাসা থেকে কেনো পালাবো আমি।(আমি)
.
--তাহলে বাসায় বসে থাক আর ওই মেয়ের সাথে বিয়ে করে ফেল।(বাবা)
.
--পালিয়ে গেলে তো আম্মু কষ্ট পাবে।(আমি)
.
--না পালালে আমি কষ্ট পাবো।আমি তো তোর। আম্মুর। গোলাম কিন্তু আমি তোকে বউ এর গোলাম হতে দেখতে পারবো না।(বাবা)
.
--আচ্ছা তাহলে আজকেই পালিয়ে যাবো।(আমি)
.
--আমি তোর ছোট ফুপিকে ফোন করে বলে দিছি তুই কালকে সকালেই ওখানে পৌছে যাবি।(বাবা)
.
-- I Love U বাবা।তুমি সত্যি সব বাবার থেকে ভালো।
।
।
তো আর কি আমার সব কিছু গুছানো শুরু করলাম রাতে তো পালিয়ে যাবো।আচ্ছা বাবা তো বললো পালিয়ে যাবো।কিন্তু বাসা থেকে বের হবো কেমনে।রাতে তো বাইরে ৫ টা নাইট গার্ত পাহারা দেই।আমাকে যদি দেখে আমি এভাবে বের হয়ে যাচ্ছি তাহলে তো আম্মুকে বলে দিবে।যাক বাবা যেহেতু বলেছে বাবাই বের করে দিবে আমাকে।আপাততো কিছু খেয়ে নি রাতেই বাসা থেকে পালাবো।
।।
।।
(চলবে)