পার্টঃ০৩
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী(পিচ্চি)
।।।।
।।।।
।।।।
হাতে হাত রেখে হাটতে লাগলো বাচ্চা মেয়েটা।কোনো এক অজানা ভালোলাগা কাজ করতে লাগলো মনের মধ্যে।।।মিমিকে সব কিছু চিনিয়ে দিলাম।।।সব স্যার ম্যাডামের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম।স্কুল থেকে ফিরবো তখনই বাবার ফোন।
.
--কি কাজ শেষ।(বাবা)
.
--হ্যা বাবা এখন বাসায় ফিরবো।(আমি)
.
--বাসায় না।।।।বউমাকে নিয়ে শপিং করে আয় ।।ওর যা যা লাগবে সব কিনে দিবি।(বাবা)
.
--আবার শপিং।(আমি বিরক্ত হয়ে বল্লাম)
.
--হ্যা।যা বলেছি সেটাই কর।।।।।আর মার্কেট থেকে সোজা বাসায় চলে যাবি।(বাবা)
।।।।
।।।।
রেখে দিলো বাবা ফোনটা।
.
--তাহলে কি আমরা এখন শপিং করতে যাবো।(মিমি)
.
--এতো খুশি হওয়ার কিছুই নাই তারাতারি বাইকে উঠ।(আমি)
.
--হুমমম চলো।(মিমি)
।।।।
।।।।
।।।।
বাইকটা স্টার্ট দিলাম।।।।মিমি পিছনে আমাকে জরিয়ে ধরে বসেছে।মনে হচ্ছে পূর্বের থেকে বেশী জোরে ধরে বসেছে এবার।সে যাইহোক মার্কেটে চলে আসলাম।
।
মেয়েদের নিয়ে যে শপিং করা কি জামেলা সেটা না করলে বোঝায় যায় না।।।শুধু কিনছেই আর কিনছেই।বুঝতেছে না তো সব আমারই টানতে হচ্ছে।
.
--তোর কি কেনাকাটা হয় নাই নাকি।(আমি)
.
--হুমমম হয়েছে।তবে চলো না তোমার জন্য একটা শার্ট দেখেছি তখন।।।ঔটা কিনে নিয়ে আসি।খুব ভালো লাগবো ঔটা পরলে তোমাকে।(মিমি)
.
--না আমার জন্য কিছুই কিনতে হবে না।।।তোর হয়ে থাকলে চল।(আমি)
.
--হুমমম চলো।(কিছুটা মন খারাপ করে বললো)
।।।।।
।।।।।
বাসায় পৌছে গেলাম।।।দেখতে দেখতে ১০ টা দিন কেটে গেলো।।।আমার দিন গুলো তো সেই রকম দুঃখে কাটছে।মিমি নতুন স্কুলে ভর্তি হয়েছে।ওকে রোজ আব্বু দিয়ে আসে আর আমাকে গিয়ে নিয়ে আসতে হয়।
।
দুপুরে ঘুমাচ্ছিলাম।
.
--এই উঠো।কতো ঘুমাবা।সারা রাত আরাম করে ঘুমাই আবার এখনও ঘুমাচ্ছে।(মিমি)
.
--দুর ডাকিস না তো।।।সারা রাত সোফায় কি ঘুম আসে।।।।বিছানায় একটু শান্তিতে ঘুমাতে দে।(আমি)
.
--উঠো নাহলে পানি ঢেলে দিবো।(মিমি)
.
--দুর আর ভালো লাগে না।।।।(আমি)
.....
।।।।
উঠে পরলাম।দেখি খালামনি ফোন দিয়েছিলো।।।কিন্তু আমার ফোনে টাকা নাই।।।
.
--ঔ মিমি ফোনটা দেখি।(আমি)
.
--ফোন দিয়ে কি করবা?(মিমি ওর ফোনে গেইম খেলতে খেলতে বললো)
.
--ছোট খালামনি ফোন দিয়েছিলো আমার ফোনে তো টাকা নাই।(আমি)
.
--হুমমম নাও।(মিমি)
.
--ঔ লক খুলে দে।(আমি)
.
--খুলে নাও।।।(মিমি)
.
--মজা করছিস।।।।ভালোই ভালোই খুলে দে নাহলে।(আমি)
.
--পাসওয়ার্ড আমি মুখে বলতে পারবো না।(মিমি)
.
--তাহলে খুলে দে।(আমি)
.
--সেটাও পারবো না খুলে নাও তুমি।(মিমি)
.
--বলবি কিনা।(রাগে বল্লাম)
.
--এতো রাগো কেনো শুধু শুধু।স্ত্রীদের স্বামীদের নাম বলতে নাই।তোমার নিজের নামটা লেখো দেখবা খুলে যাবে।(মিমি ও একটু রাগ করে নিচে চলে গেলো)
।।।।
।।।।
বাচ্চাটা রাগও করে।।।।।হ্যা করবে না কেনো।।।।খালামনির সাথে কথা বল্লাম কিছুক্ষন।।কথা বলা শেষ করে কি করবো ভাবছিলাম।।।।কি করা যায়।।।কি ভেবে জেনো মিমির ফোন টিপছিলাম।।।।হঠাৎ চোখ ছানাবানা হয়ে গেলো।।।।আমি হাসতে শুরু করলাম জোরে জোরে।এটা কি ভুল দেখছি আমি না।
।
মোবাইলে কয়েকটা apps দেখে তো অবাকই হলাম।।।কতটা বাচ্চা মেয়েটা সেটা বুঝে গেছি।।।।স্বামী কিভাবে পটাবেন,জামাই বশের কৌশল,স্বামীকে ভালোবাসানোর কৌশল,জামাই পটানোর বই।।।আমি মোবাইল দেখে শুধু হাসছি।কয়েকটা কৌশল পড়ে পরে তো হাসতে হাসতে শেষ😂😂😂😂😂।
.
--এই আমার ফোন দেখে হাসছো কেনো এভাবে তুমি।(মিমি)
.
--(((((আমি হেসেই যাচ্ছি।)))))
.
--তারমানে দেখে ফেলেছো ঔসব।।।।😭😭😭😭।(মিমি)
.
--যতই কৌশল প্রয়োগ করো না কেনো।আমাকে এতো তারাতারি পটাতে পারবা না।(আমি)
।।।।।
।।।।।
মিমি কিছু না বলে।।।ফোনটা নেওয়ার চেষ্টা শুরু করলো।।।কিন্তু আমি ও এতো সহজে কিভাবে দি।।।আমি ছিলাম বিছানায় বসা।আর ও ছিলো দারানো।।।কারাকারি করতে করতে হঠাৎই মিমি আমার উপরে পরে গেলো।।আমি আচমকা বিছানায় শুয়ে পরলাম।।।আর মিমি আমার উপরে।আমার একহাতের তালুর উপর ওর মোবাইল।আর মিমির এক হাতের তালু ও ওর মোবাইলে।
।
এখন মোবাইল নিয়ে কেউই কারাকারি করছি না।আমি কি হলো সেটা বোঝার চেষ্টা করছি।।।আর মিমি আমার দিকে তাকিয়ে আছে এক নজরে।আমি ওর চোখের দিকে তাকাতে পারছি না।।।তাকালেই কোনো এক অজানা মায়ায় পরে যায় আমি।
.
--কি হলো এটা।।।উঠ আমার উপর থেকে।(আমি)
.
--হুমমম।উঠবো।।।কিন্তু আমার চোখের দিকে একবার ভালো করে তাকাও।(মিমি আমাকে একটু শক্ত করে ধরে বললো)
.
--কি হচ্ছে এটা মিমি।(আমি)
।।।।
।।।।
আর কিছু বলতে দিলো না এই বাচ্চাটা।।।।ঠোট দিলো বন্ধ করে।।।ওর আর আমার হাত থেকে পর ফোনটা পাশেই পরে গেলো।।।আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো মিমি আমাকে।।।ব্যাপারটা আমার কাছে মোটেও ভালো না তবুও কোনো এক অজানা উত্তেজনা আমাকে ওর উপর পাগল করে দিলো।
।
সব সামলিয়ে দিলাম একটা ধাক্কা।
.
--দেখ তোকে আমি আগেও বলেছি।এসব কিন্তু ঠিক হচ্ছে না।।।(আমি)
.
--একটা মেয়ে কি চাই বলোতো।।বাকি সবার কথা বাদই দিলাম।।।আমি কি চাই বলোতো।আমি তো শুধু এটুকুই চাই আমার স্বামী আমাকে ভালোবাসুক।আমার এই চাওয়াটা কি অন্যায়।(মিমি)
.
--হ্যা অন্যায়।আপাতোতো অন্যায়।আমি আপাতোতো কোনো মায়াজালে পরতে চায় না।।।সামনে মাসে আমার ভর্তি পরীক্ষা।আমি পুরো মনোযোগ আমার study তে রাখতে চাই।(আমি)
.
--বেশ এক মাস তোমাকে কোনো ডিসট্রাব করবো না।।।।কিন্তু আমাকে কথা দিতে হবে।তোমার ভর্তি পরীক্ষার পরে আমাকে ভালোবাসতে হবে।(মিমি)
.
--......(আমি)
.
--কি হলো কথা দাও।।।।আমাকে ভালোবাসবা তোমার পরীক্ষার পর থেকে।(মিমি)
.
--দেখ মিমি তুই এখনো বাচ্চা মেয়ে।।।একটু বড় হ।।।আগে তো ssc পরীক্ষাটা দে তারপর নাহয় তোকে ভালোবাসবো স্বামীর মতো।(আমি)
.
--হুমমম।।।তবে যদি কয়েকটা শর্ত দাও আমাকে তাহলে আমি রাজি আছি তোমার এই কথায়।(মিমি)
.
--কি শর্ত বল।(আমি খুশি হয়ে)
.
--প্রথম টা হলো।কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে পারবা না তুমি।।।বললে কিন্তু খবর আছে।(মিমি)
.
--হুমমম বলবো না।আর কি বল।(আমি)
.
--হ্যা আরেকটা আছে।।আমাকে তো বোনের মতো থাকতে বলেছো তাই না?(মিমি)
.
--হুমমম।(আমি)
.
--তোমার পরীক্ষা পর্যন্ত আমি তেমনই থাকবো।।।তবে পরীক্ষার পরে থেকে আমি তোমার গার্লফ্রেন্ড।(মিমি)
.
--মানে?(আমি)
.
--মানে আমি তোমার বউ না তখন থেকে তোমার গার্লফ্রেন্ড।(মিমি)
.
--দুর কি বলতেছোস।।।তাহলে তো একই কথা হলো।(আমি)
.
--তোমার ইচ্ছা ছিলো কি।।।একটা প্রেম করে বিয়ে করবা তাই না।।।।সেটা পূরন হয়ে যাবে তো।।।আমরা দুজন প্রেম করবো।।।ভালো না হয় আমি বড় হলেই বাসলে।(মিমি)
.
--.....
.
--কি হলো উত্তর দাও।(মিমি)
।।।।
।।।।
এই বাচ্চা মেয়ের মাথায় এতো বুদ্ধি কোথা থেকে আসে বুঝি না।।।।আমি এখন কি বলমু।।।কেউ আমারে বলে দেন।
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
(((((চলবে)))))
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
অপেক্ষায় থাকুন ৪ নং পার্টের জন্য।