পার্টঃ১২
লেখকঃজাহিদ আহমেদ
।।।।।
।।।।
।।।
।।
।
জঙ্গলের চারদিকে শুধু পাখির কিচিরমিচির শব্দ।
পূর্ব আকাশে সূর্য প্রায় অস্ত্র যাওয়ার পথ অতিক্রম করবে করবে ভাব।
সেটা আমাদের কারো কাছে খুবই ভালো লাগে,আবার কারো কাছে খারাপ লাগে।
সেই ভালো লাগার মধ্যে একজন আছে,সেটা হলো এবলিং।
,
,
এবলিং এর ঠিক এই সময় টা কেন যেন একা থাকতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে বিকেল বেলা সূর্য অস্ত্রের সময়। যার কারনে সে জঙ্গলের একদম শেষ প্রান্তে একটা পাথরের উপর একা একা বসে আছে।
বসে বসে এবলিং তাঁর দেখা সেই বাঁশি বাজানো মেয়েটার কথা ভাবছে। যে কিনা ব্লাক ড্রাগন,কিন্তু এতে এবলিং এর বিন্দুমাএ আফসোস নেই। এটা তাঁর জন্য ভালো হয়েছে,কেননা সে জানে যে,ব্লাক ড্রাগনরা আর হোয়াইট ড্রাগনরা একে-অপরের দুশমন। আর এটাই হলো সূবর্ন সুযোগ সবাইকে দেখিয়ে দেওয়ার যে,ব্লাক ড্রাগন আর হোয়াইট ড্রাগনরা একসাথে বসবাস করতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো এবলিং এখন পর্যন্ত সেই মেয়েটার দেখা পাইনি।
বসে বসে এবলিং এসব কথা ভাবতেছিল ঠিকই কিন্তু কখন যে,বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছে সেটা সে নিজেও জানেনা।
যখন সে বুঝতে পারলো সন্ধ্যা হয়ে গেছে অনেক আগেই,তখন সে তাঁর নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়াটাই ভালো মনে করলো। যখনই সে তাঁর নিজের পাখা দুটো বের করে আকাশে উড়াল দিবে,ঠিক তখনই তাঁর কান দু'টো খাঁড়া হয়ে গেল।
সে তাঁর পাখাটা আর বের করল না। তাঁর কানে কোনো একটা শব্দ ভেসে আসছে বলে মনে হলো এবলিং এর। যখন সে ভালোভাবে বুঝতে পারলো না শব্দ টা কিসের,তখন তার পুরো মনোযোগ সেই শব্দের দিকে দিল,আর সফলও হলো।
শব্দটা কিসের সেটা বুঝতে পেরে এবলিং এর মুখের মধ্যে জয়ের রেখা ফুটে ওঠল।
কেননা তাঁর কানে এতোক্ষন যে শব্দটা ভেসে আসছিল সেটা আসলেই কোনো শব্দ নয়,সেটা হলো বাঁশির সুর। যেটা এতোক্ষন এবলিং বুঝতে পারেনি। সেটা এখন বুঝতে পেরে মনে মনে নিজেকে নিজেই বলতে লাগলো,
,
মেঘ(☁)না চাইতেই বৃষ্টি(এবলিং)
,
যাই হোক এবলিং এর জন্য এতে অনেক ভালো হয়েছে। আজকে সে মেয়েটাকে ভালোভাবে দেখবে,আর তাঁর ব্যাপারে সবকিছু জানতে পারবে। যার জন্য সে আর দেরি না করে সেই বাঁশির সুরের শব্দ অনুসরন করে সেই দিকে অনেক দ্রুত গতিতে এগিয়ে যেতে লাগল।
আর পৌঁছে গেল তাঁর নিজ গন্তব্যে।
নিজ গন্তব্যে পৌঁছে এবলিং অবাক না হয়ে পারলোনা।
কেননা একটা নাম না জানা গাছের নিচে এক অপরূপ সুন্দরী বসে বসে বাঁশি বাজাচ্ছে। যে বাঁশির সুর যে কাউকে পাগল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট,সেই সাথে এই অপরুপ সুন্দরী যাকে কেউ একবার দেখলে প্রান ভরবে না,হাজারবার দেখতে মন চাইবে যে তাঁর,এককথায় তাঁর দেওয়ানা হয়ে যাবে একদম।
হ্যা এটাই হলো এবলিং এর দেখা সেই মেয়ে। যাকে সেদিন ভালো করে দেখতে পারেনি এবলিং,কিন্তু আজকে স্পষ্টভাবে দেখছে সেই মেয়েটাকে সে। ডাগর ডাগর চোখ,গারো কাজল মায়াবী চোখ,বিশাল বড় চুল,যেগুলো মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে,বাতাসের কারনে কিছু চুল কানের চারপাশ ঘিরে হেলেদুলে বেড়াচ্ছে। সেই সাথে মধুর কন্ঠে বাঁশির সুর,তাঁকে দেখতে কোনো এক পরীর চেয়ে কম লাগছেনা। যাকে একবার দেখলে মন ভরে না,বারবার দেখতে মন চাই। যার চোখের মধ্যে তাকালেই তাঁর সেই মায়াবী চোখের গভীরে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
এবলিং তাকে এমন সাজে দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলোনা,
,
,
হাওয়ার বেগে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো সেই নাম না জানা অপরূপ সুন্দরী মেয়ের সামনে এবং সেই মেয়েকে বসা থেকে একটানে নিজের বুকের মধ্যে টেনে নিলো এবলিং।
,
,
তোকে আমি আমার এ-ই বুকের মধ্যে সারাটি জীবন এইভাবে আগলে রাখতে চাই,যদি থাকিস তুই(এবলিং)!
,
কি থেকে কি হয়ে গেলো তাঁর কোনো কিছুই বুঝতে পারছেনা সেই অচেনা মেয়েটি,তাই সে তাঁর মনে মনে ভাবতে লাগলো,
,
কি হলো কি আমার সাথে,আর আমার সাথে এরকম একটা কান্ড করার সাহসই বা কার আছে। কে হতে পারে এই লোকটা(অচেনা মেয়েটা)!
,
অচেনা মেয়েটি এবলিং এর বুকে থেকে নিজের মাথাটা সরাতে চাইলে এবলিং তাকে আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরে। এতে অচেনা মেয়েটার অনেক রাগ হয়,যার কারনে সে তাঁর পুরো শক্তি দিয়ে এবলিং কে অনেক জোরে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা দিয়ে অচেনা মেয়েটা অবাক না হয়ে পারলো না।
অচেনা মেয়েটার অবাক হওয়ার কারন হলো সে শরীরের পুরো শক্তি দিয়ে এবলিং কে ধাক্কা দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু এবলিং কে তাঁর নিজ জায়গা থেকে এক চুল পরিমান ও সরাতে পারলোনা,যার কারনে সে অনেক অবাক হয়ে গেল আর মনে মনে ভাবতে লাগলো,,,,,,
,
এটা কি করে হতে পারে,আমি আমার সম্পূর্ণ শক্তি ব্যবহার করেছিলাম ওকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য,কিন্তু একে-তো আমি ওর নিজ জায়গা থেকে একচুল পরিমান সরাতে পারলাম না। তাঁর মানে কি ও আমার থেকেও বেশি শক্তিশালী,কিন্তু এটা কি করে সম্ভব,না না না,ব্লাক ড্রাগনদের থেকে তো কোনো ড্রাগন রাই বেশি শক্তিশালী নয়। তারমানে ও কোনো শক্তিশালী ড্রাগন,কে ও অর পরিচয় আমাকে জানতেই হবে। কিন্তু তার আগে ওর কবল থেকে আমাকে আগে মুক্ত হতে হবে,নয়তো ও কি থেকে কি করে ফেলবে কে জানে।
,
কে তুমি,আর তোমার সাহস কি করে হলো আমাকে এইভাবে জরিয়ে ধরার(অচেনা মেয়েটা)!
,
কিন্তু এতে কোনো কাজই হলো না,যাঁর জন্য সে তাঁর সামনের জনকে উদ্দেশ্য করে আরেকবার বলতে লাগলো,
,
দেখো তুমি যে-ই হওনা কেন,আমাকে তারাতাড়ি ছেড়ে দাও নয়তো তোমার সমাধি আমি আজকে এখানেই করে দেব,আমার শক্তি সম্পর্কে তোমার কোনো ধারনাই নেই কিন্তু,তাই তোমাকে আমি শেষ বারের মতো সাবধান করে দিচ্ছি,তারাতাড়ি আমাকে ছেড়ে দাও(অচেনা মেয়েটা)!
,
মেয়েটার কথা শুনে এবলিং এর মুখের মধ্যে একটা মুচকি হাঁসির রেখা দেখা যায়।
,
আর যদি না ছাড়ি তাহলে আমাকে মেরে দিবে তাইতো। যদি আমাকে মারতে পারো তাহলে আমি তোমার সব ইচ্ছা পূরণ করতে রাজি আছি,আর যদি আমাকে মারতে না পারো তাহলে আমার একটা ইচ্ছা তোমার পূরণ করতে হবে কিন্তু (এবলিং)!
,
এবলিং এর কথা শুনে মেয়েটি মনে মনে চিন্তা করতে লাগলো,আমি তো তাঁকে চিনিই না,তাঁর মুখটা পযন্তও দেখিনি তাহলে তার কথা আমি কিভাবে বিশ্বাস করবো না করবো,আর তাঁর শক্তি সম্পর্কে আমি কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারছি। তাঁকে হারানো তো আমার পক্ষে কোনোদিনও সম্ভব না। না আমাকে বুদ্ধি দিয়ে এখান থেকে বের হতে হবে(অচেনা মেয়েটি মনে মনে চিন্তা করলো)!
,
তারপর এবলিং কে উদ্দেশ্য করে বলল,
আমি যদি তোমাকে মেরেই ফেলি তাহলে তুমি আমার মনে ইচ্ছা কিভাবে পূরণ করবে,এটা কিভাবে সম্ভব। এর চাইতে ভালো আমাকে এখান থেকে যেতে দাও(অচেনা মেয়েটা)!
,
আমি মরি কিংবা বাঁচি সেটা নিয়ে তোমার মাথা না ঘামালেও চলবে,আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দাও(এবলিং)!
,
নাহ্ এভাবে কাজ হবেনা,কিছু একটা তো করতেই হবে। আমি যদি যুদ্ধ করি তাহলে আমি ওর সাথে পারবো না,কিন্তু যদি না করি তাহলে আমি তাঁর কাছে ভিতু হয়ে যাবো। নাহ্ আমাকে চেষ্টা করতে হবে তাঁকে হারানোর জন্য যেভাবেই হোক আমাকে যুদ্ধে জয়ী হয়ে এখান থেকে বের হতে হবে। আচ্ছা আমি যদি ওকে হারাতে না পারি তাহলে ও আমাকে দিয়ে ওর নিজের ইচ্ছা পূরন করাবে,সেটা কোনো খারাপ/অসৎ কাজ নয়তো(অচেনা মেয়েটি মনে মনে বললো)!
,
,
পাঠক পাঠিকাদের কাছে আমার একটা ছোট্ট প্রশ্ন আছে। প্রশ্নটা হলো,
,
এবলিং যদি যুদ্ধে জিতে যায়,তাহলে সে ওই অচেনা মেয়েটার কাছে কি চাইবে???
,
,
।
।।
।।।
।।।।
।।।।।
পার্টটা একটু ছোট করে দিলাম,তাঁর কারন হলো আমার মোবাইলটা কয়েকদিন আগে ভেঙে ফেলছি,বর্তমানে আব্বুর মোবাইলটা ইউস করি,আর আপনারা হয়তো জানেনই সবার আব্বু মোবাইল বেশি ঘাটাঘাটি করতে দেখলেই অনেক কিছু বলে,সকালে আমি যতোটুকু পেরেছি লিখতে পেরেছি। গল্প টা নিয়মিত দেওয়ার চেষ্টা করব যথাসম্ভব। ১২ পার্টটা কেমন হলো জানাবেন। আশা করি ভাল লাগবে। ভালো না লাগলে বলবেন। গল্পের মধ্যে কোনো জিনিস না বুঝলে কমেন্টে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আর ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করে বা পাঠক পাঠিকাদের মেনশন করে পড়ার সুযোগ করে দিতে পারেন।
★হ্যাপি রিডিং★