কিং অফ দ্যা ইউনিভার্স
#আবির_হাসান_আকাশ
পর্বঃ২০
আমার এবং গার্ডিয়ানদের মধ্যে যে কথোপকথন হচ্ছে তা এ.কিং এবং হেনা মনোযোগ দিয়ে শুনছে কিন্তু কিছু বলছে না,,,
হঠাৎ আপু বলে উঠলো,,
এই ডেভিড তুই কাদের সাথে কথা বলছিস, এদের কি তুই আগে থেকে চিনিস,,(হেনা)
কেন চিনব না আপু,তুমি তো পৃথিবীতে ছিলে না তাই এদেরকে চিনো না,,,পৃথিবীর এমন কোন মানুষ নেই যে এদের না চিনে,,,(আমি)
তাহলে এরা কারা,,?(হেনা)
আপু এরা এভেন্জার, এরাই সেই সুপার হিরো যারা পুরো ইউনিভার্সকে রক্ষা করেছিলো থানোসের হাত থেকে,,,,(আমি)
ও তাহলে তো ভালোই,এরা যদি আমাদের হয়ে কাজ করে আমরা মনে হয় অবশ্যই পারলিকা ফোর্সের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে আনতে পারব,,,(হেনা)
জয় ছিনিয়ে আনতে পারবেন নাকি পারবেন না, এইটা জানি না,তবে আমরা সবসময় ভালোর পক্ষে(ড্রাক্স)
সবই বোঝলাম কিন্তু এই নেকড়ে টা এখানে কি করছে,তাও আবার এতো বড়ো একটা ওয়েপন হাতে(হেনা)
মুখ সামলে কথা বলো মেয়ে, আমি মোটেও নেকড়ে না,আমি রকেট,আর একবার যদি নেকড়ে বলো গুলি মেরে মাথার খুলি উড়িয়ে দিব,,,,,(রকেট😡)
কি এই ছোট মুখে তুমি এতো বড়ো কথা বলতে পারলে,,নেকড়ে কে তো নেকড়েই বলবো, তাই বলে কি আমাকে মারার হুমকি দিতে পারবে,,,(হেনা)
অবশ্যই,আমি মোটেও ইচ্ছা করে নেকড়ে হয়নি,আর তুমি যদি আমাকে এতোটাই দুর্বল ভাবো তাহলে আমার সাথে লড়াই করো দেখি কে জিতে,,,,,(রকেট)
হাহাহা,,হয়ে যাক লড়াই,,,,,(হেনা)
এই বলে হেনা তার ডার্ক ফায়ার সোর্ডটাকে বের করলো,,,,
হেনা এবং রকেটের মাঝে যে একটা লড়াই হবে তা সবাই বুজে গিয়েছে,,,,
আমরা সকলেই দুজনকে থামানোর চেষ্টা করছি কিন্তু দুজনের কারও রাগ কমছে না,
রকেট রেগে গিয়ে তার পাওয়ারফুল ওয়েপনটা দিয়ে হেনাকে লক্ষ করে ফায়ার করতে লাগলো,,কিন্তু ফায়ার করার আগেই হেনা তার চারপাশে ডার্ক এনার্জির একটা বেড়িয়ার তৈরি করায় একটা গুলিও হেনাকে স্পর্শ করতে পারছিলো না,
কিন্তু রকেটের ওয়েপনটা আসলেও একটু পাওয়ারফুল ছিলো,মনে হচ্ছিল কিছুক্ষণের মাঝেই বেড়িয়ারটা ভেঙে যাবে,,,হেনা যখন বুজতে পারল তার বেড়িয়ারটা আর টিকবে না তখনই সে তার ডার্ক ফায়ার সোর্ডটাকে রকেট কে লক্ষ করে স্লাইস দিলো,,,,যখনই হেনা স্লাইস দিলো তখনই রকেটের ওয়েপনের আঘাতে বেড়িয়ার ভেঙে গেলো এবং হেনা ঐ সময় স্লাইস দেওয়াই ডার্ক ফায়ার গিয়ে লাগলো রকেটের শরীরে এবং রকেটের ওয়েপনের বুলেট গিয়ে লাগলো হেনার শরীরে,,,,, দুজনই দুজনের আঘাতে কাবু হয়ে গেলো,,
তারা দুজন আঘাত খেয়ে যখন মাটিতে লুটিয়ে পরলো তখন সবাই দৌড়ে তাদের কাছে চলে গেলাম,,,এবং গ্রুট তার ভিতর থেকে হিলিং ট্রী বের করে দুজনকে হিল করতে থাকলো,,,
কিছুক্ষণ পর দুজনেরই জ্ঞান ফিরলো,,
দেখছো তো তোমাদের কি অবস্থা হলো,এই জন্যই বলেছিলাম এতো না রাগতে,,,রকেট তুমি অল্পতেই রেগে যাও,,(কুইল)
কুইল তুমি আমার বন্ধু হয়ে আমার পক্ষে নাকি ওদের পক্ষে কথা বলছো (রকেট)
আমি অবশ্যই সবসময় ভালোর পক্ষে (কুইল)
রকেট আর কিছু বললো না,,,
সব কথা বাদ দাও,তোমারা যদি সত্যি আমাদের হেল্প করতে চাও তাহলে আমাদের সাথে তোমাদের যেতে হবে,,,,(ডেভিড)
হ্যা যাব কিন্তু তোমরা এখন আপাতত কোথায় থাকো,,(ড্রাক্স)
প্লেনেট হুকারিই আমাদের বর্তমান আশ্রয়স্থল,,,,(ডেভিড)
তাহলে তো সেখানেই যেতে হবে প্রথমে,(কুইল)
হ্যা তবে এখনি যেতে পারব না,কারন আমরা ছাড়াও এখানে আরো অনেকে আছে,,,(এ.কিং)
আর কে আছে এইখানে,,(ড্রাক্স)
ড্রাক্স প্রশ্ন করার পর এন্জেল কিং তার পিঠ থেকে ছয়টা বড়ো বড়ো ডানা বের করে সোজা উপর উঠে গেলো,এ.কিং এর এমন পাওয়ার দেখে সব গার্ডিয়ানরা অবাক,সে উপরে উঠে হাত থেকে একটা লাল আলোর রেখা আকাশে ছড়িয়ে দিলো,
লাল আলো ছড়ানো শেষ হলে সে আবার নিচে ব্যাক করলো,,,
এ.কিং নিচে নামার পর,,
আপনি উপরে উঠে লাল আলোক রেখা ছড়ালেন কে?(কুইল)
আসলে আমরা তিনজন কেপলারে একা আসিনি,,আমাদের সাথে আমাদের অন্য দশজন প্লেনেট প্রধানও এসেছে,,
আমি আশা করছি কিছুক্ষণের মাঝেই তাদের সবাইকে দেখতে পাবেন,,
কিছুক্ষণ পর,,,,,
এন্জেল কিং এর আলোর সংকেত পেয়ে দশজন প্লেনেট প্রধান মিথরান্ডির এর প্যালিসে এসে হাজির হয়,,,তারা আমাদের সাথে অচেনা আজব প্রাণীদের দেখে যতটুকু অবাক হয় ঠিক ততটুকুই অবাক গার্ডিয়ান রাও হয়,কেননা দশজন প্লেনেট প্রধান আগে কখনো গার্ডিয়ানদের দেখে নি এবং গার্ডিয়ানরাও গোবলিন দের দেখেনি, রকেট এক নজরে গোবলিন প্রধানের দিকে তাকিয়ে ছিলো,,
সবাই শোন,,আমাদের এখুনি হুকারি তে ব্যাক করতে হবে,আমারা যেই মিশনে এখানে এসে ছিলাম সেইটা সাকসেসফুল হয়েছে,এখান প্লেনেট হুকারিতে গিয়ে আমাদের পরবর্তী মিশনের পদক্ষেপ নিতে হবে,যেহুতু আমরা এখন কেউ পোর্টাল তৈরি করতে পারব না, এবং গার্ডিয়ানরাও আমাদের হেল্প করতে চায় তাই আমাদের গার্ডিয়ানদের স্পেসসিপে করেই হুকারিতে যেতে হবে,,,,,,(এ.কিং)
আচ্ছা ঠিক আছে,,তাহলে এখনই প্লেনেট হুকারিতে আমরা ব্যাক করব,,(সবাই একসাথে বললো)
ডেভিড রূপে,,,
আমরা সকলেই মিলানোতে উঠে পরলাম,মিলানোতে উঠার পর থেকে মেনথিস অনেক ফ্রী হয়ে গিয়েছে আমাদের সাথে,সে সবাইকে তাদের মনের কথা বলে দিয়ে অবাক করে দিচ্ছে, এবং যাদের ঘুম পাচ্ছে না তাদেরও ঘুম এনে দিচ্ছে,,,,
আমি,কুইল,রকেট এবং হেনা আপু স্পেসসিপের সামনে বসে আছি,,,রকেট মূলত স্পেসসিপ ড্রাইভ করছে,,,,,
পিচ্চি তর নামটা যেন কী,,,?(রকেট)
আমি ডেভিড, অথবা স্কাইলর্ডও বলতে পারো,কিন্তু আর একবার পিচ্চি বললে তোমাকেও নেকড়ে বলব,, (আমি)
আরে আমিতো মজা করে পিচ্চি বললাম,তুই তো জানিস আমি একটু মজা করি,কিন্তু ডেভিড আমাদের সাথে দানবের মতো ঐ লোকটা কে,,,,(রকেট)
ও তো গোবলিন প্রধান,,(আমি)
ইউনিভার্সে তাহলে গোবলিনও আছে,কিন্তু আর একটা বিষয়, এখানে আসার আগে রাডারে আমি দুইটা পাওয়ারফুল ওয়েপনের চিহ্ন দেখতে পেয়েছিলাম,,কিন্তু এখানে তো আছে মাত্র এই টাইম রিংটা,কিন্তু আরেকটা কই গেলো,,,,,(রকেট)
রকেট এই কথা বলার পর আমি সার্পার বলে দ্যা সুপার সার্পার সোর্ডটাকে আমার হাতে নিয়ে আসলাম,,,,,রকেট এবং কুইল আমার এই কাজ দেখে সত্যি অবাক,,,,
তুই তো আসলেও একজন গড,,তা না হলে থরের মতো নিজের ইচ্ছায় কোন পাওয়ারফুল সোর্ডতো আর হাতে আনা যায়৷ না,,,(রকেট)
না আমি এখনো গড হয়নি,এইটা আমার আম্মুর সোর্ড,সে আমাকে কিছু সময়ের জন্য এই সোর্ডটাকে দিয়েছে,,এর থেকেও পাওয়ারফুল সোর্ড আমার জন্য অপেক্ষা করছে,ঐটা পেলেই মনে হয় গড লেভেলের হয়ে যাব,,,(আমি)
ওওওও,,,তোর আম্মুর সোর্ডের স্কিল কি,,,?(রকেট)
এই সোর্ড দিয়ে যেকোন জিনিস কাটাঁ সম্ভব। এছাড়া এই সোর্ড স্লাইস দিলেই অসংখ্য ছোট ছোট ব্লেড এর থেকে বের হয়ে টার্গেট পয়েন্টের দিকে ধেয়ে যায়,,(আমি)
বুজেছি অনেকটা থানোসের সেনার মতো বএই ব্লেডটা,,,(রকেট)
হুম তবে এই সোর্ডের ভিতর একটা ড্রাগনের স্কিল সিল করা আছে,,,, (আমি)
তাই নাকি,তোদের এখানে ড্রাগনও আছে,(রকেট)
অবশ্যই,আমরা যখন হুকারিতে যাবো তখন অসংখ্য ড্রাগন দেখতে পাবে,,(আমি)
রকেট আর কতক্ষণ লাগবে হুকারিতে যেতে,,,,(কুইল)
এইতো কয়েক মিনিটের মাঝেই হুঁকারিতে লেন্ড করব,,,,কয়েক সেকেন্ডের মাঝেই হুঁকারির গ্রেভিটি অতিক্রম করব,,,(রকেট)
যদি আমি একবার পোর্টাল না তৈরি করতাম তাহলে মনেহচ্চে এতো কষ্ট হতো না,,কয়েকসেকেন্ডের মাঝেই টেলিপোর্ট হয়ে প্লেনেট হুকারিতে চলে আসতাম,,(আমি)
এর মানে কি তুই পোর্টালও তৈরি করতে পারিস,(রকেট)
হুম আমি পোর্টালও তৈরি করতে পারি,,,তবে দিনে মাত্র একবার😭(আমি)
কিন্তু আমাদের ডক্টর স্ট্রেন্জ মনের ইচ্ছা অনুযায়ী পোর্টাল তৈরি করতে পারে,,,(রকেট)
হুম আমি জানি,,,,,,
আমরা এইসব বিষয়ে কথা বলছি,
কিছুক্ষণ পর রকেট বললো আমরা নাকি ইতিমধ্যে হুকারিতে লেন্ড করেছি,স্পেসসিপ থেকে নামর পর দেখি আমাদের জন্য সবাই দাড়িয়ে আছে,আম্মু আমাকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে,আম্মুর পিছনে তাকিয়ে দেখতে পাই মারিয়া মন মরা হয়ে দাড়িয়ে আছে,মেয়েটা মনে হয় কোন কারনে কষ্ট পেয়েছে, না হলে এমন হওয়ার তো উপাই নেই,,,,যাক পরে দেখা যাবে মারিয়ার ব্যাপারটা,,,,,
ডেভিড আমি জানতাম তুই ঠিকই মিথরান্ডির কে পরাজিত করে টাইম রিং নিজের করে নিতে পারবি,,,,আমি তোর প্রতি খুবই খুশি,
আম্মু তোমর খুশি হওয়ার আরেকটা কারনও মনে হয় বাকি আছে,,(আমি)
কি সেটা,,,,(আম্মু)
আম্মু আমি ফ্লাসার আনলক করতে পেরেছি,মানে আমিও এখন লাইট স্পিডে ছুটতে পারি,,,,(আমি)
এইটা তো খুবই ভালো,এখনই সময় ব্ল্যাক ড্রাগন কে নিজের করে নেওয়ার জন্য,,,(আম্মু)
আম্মু সত্যি এখন আমি নানুর সোর্ডটাকে পাবো,,,আমি কি তাহলে সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনের যোগ্য হয়ে গিয়েছি,,,(আমি)
হয়তো হয়েছো,কিন্তু কিং এল্ভস সের্ডটাকে ধ্বংস করার আগেই তোমাকে সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনের মালিক হতে হবে,,,তাই আমি চাচ্ছি কালকেই তুমি প্লেনেট মিও তে যাবে সোর্ডটাকে খুজার জন্য,,,,
আচ্ছা ঠিক আছে,আমিও অনেক এক্সাইটেড সোর্ডটাকে দেখার জন্য,
তার আগে চলো আম্মু আমার নতুন বন্ধুদের সাথে তোমাদের পরিচয় করিয়ে দেই,,,,,
এইদিকে প্লেনেট টিম্বরে,,,,,,
মাই কিং আমাদের সেনারা সোর্ডটাকে খুজে পেয়েছিলো,কিন্তু তার কাছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবাইকে সোর্ডটা ভিতরে টেনে নেয়,,,,(জেনারেল)
আমি জানতাম এমনই হবে,সোর্ডটা খুবই পাওয়ারফুল, তবে একটা বিষয় মনে রেখো
,,,,সোর্ড যেহুতু এখানে আছে তাই সোর্ড এর কোন মালিক যদি আদৌও থেকে থাকো তাহলে অবশ্যই সে সোর্ডটা নিতে সেখানে আসবে,তাই সোর্ডের চারদিকে গোয়েন্দা সেনা নিযুক্ত করে দাও,যখনই কেউ সোর্ডটাকে হাতে নিবে তখনই যেন তাকে শেষ করে দেয়😡
To be continue 💕💕💕