ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

কিং অফ দ্যা ইউনিভার্স পর্বঃ ২৬ (শেষ)

Bangla Dub Novels

 


কিং অফ দ্যা ইউনিভার্স

#আবির_হাসান_আকাশ

২৬(শেষ পর্ব)


গ্রেভিআর্টের সীমনায় পা রাখার সাথে সাথেই চারদিক থেকে আগুনের গোলা আসতে লাগলো।আমি আগে থেকেই যেহুতু আগুনের গোলা গুলো দেখতে পেয়েছিলাম তাই সবাইকে আগেভাগেই আদেশ দিয়ে দেই ঢাল দুর্গ বানানোর জন্য,আমার কথা মতো আমার সকল সেনারা ঢালদুর্গ তৈরি করলো,অবস্থা খারাপ দেখে আমি হেনা আপুকে আমার সামনে আসতে বললাম,আপু আমার কাছে এসে ডার্ক এনার্জির একটা বেড়িয়ার তৈরি করলো,আমার এবং আপু দুজনের মাঝেই  ডার্ক এনার্জি রয়েছে,কিন্তু আপু ডার্ক এনার্জি ইউস করে ডার্ক ফায়ার এবং বেড়িয়ার তৈরি করতে পারলেও আমি এখনো ডার্ক এনার্জির সঠিক ব্যাবহার শিখতে পারি নি,বেড়িয়ারের জন্য সবসময় আপুকেই আমার দরকার পরে,আমি এবং আপু বর্তমানে ডার্ক এনার্জির বেড়িয়ারের ভিতরে আছি,আমার সেনারাও ঢালদুর্গ তৈরি করে চারদিক দিয়ে তাদের ঘিরে রেখেছে,,,আমাদের সকল সেনাদের শক্তিশালী অবস্থান দেখে যারা আমাদের উপর এট্যাক করেছে তারা মনে হয় বুজে গিয়েছে এভাবে আমাদের কিছু করতে পারবে না।তাই তারা লুকিয়ে না থেকে সম্মুখ আক্রমণ করার জন্য আস্তে আস্তে আমাদের সামনে আসতে লাগলো,আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখান থেকে কয়েকশো মিটার দূরে হঠাৎ করেই প্রায় কয়েকহাজারের মতো সৈন্য দেখা যাচ্ছে, সৈন্যগুলো এখানে কিভাবে লুকিয়ে ছিলো তার কিছুই আমার মাথায় ডুকছে না,এমনকি তারা কতোজন এখানে আছে তাও আমি জানি না।

আমার সৈন্যদের এখনো আমি ঢালদুর্গের ভিতর থেকে বের হওয়ার আদেশ দেইনি।এমন সময় আমাদের দিকে ধেয়ে আসা সকল ফায়ার বল গুলো ব্যানিস হয়ে যেতে থাকলো,আমরা এট্যাক করছি না দেখে ঐ পাশের সৈন্যগুলোও আমাদের কোন এট্যাক করছে না,তবে আমার মনে হচ্ছে না তাঁরা আমাদের এট্যাক করবে না,তারাঁ নিশ্চয় অন্যকিছু প্লেন করছে।

আমি বেশি কিছু ভাবলাম না,যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনকে আমার উদ্ধার করতে হবে,তাই আমি গোবলিন সেনাপতিকে আদেশ দিলাম বাম দিক দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য,গোবলিনদের সাপোর্ট হিসাবে আমি এক গ্রুপ ঐ সব সাধারন মানুষকে ডান দিক দিয়ে যাওয়ার জন্য আদেশ দিলাম,যাদের প্রায় সবার হাতে ছিলো রকেটের তৈরি করা পাওয়ার ফুল ওয়েপন,আমারা যেখানে দাড়িয়ে আছি সেখান থেকে দেখে মনে হচ্ছে ১০ হাজারের মতো সৈন্য রয়েছে ,তবে কিছুক্ষণ আগে যেইভাবে হাওয়া থেকে সৈন্য বের হলো সেইভাবে যদি আবার সৈন্য বের হয় তাহলে বলা মুশকিল কতো সৈন্য আছে আমাদের বিপক্ষে লড়াইয়ের জন্য,আমার মোট গোবলিন সেনা ৭০ হাজার,সবকয়টিকেই আমি সামনে এগিয়ে যেতে বলেছি,এছাড়া তাদের সাপোর্ট হিসাবে প্রায় ৮০ হাজারের মতো মানুষ গিয়েছে,৮০ হাজার মানুষের ভিতর যে সকল মানুষের কাছে রকেটের তৈরি ওয়েপন ছিলো তারা সামনের দিকে এগোচ্ছিলো আর ওয়েপন থেকে অনবরত ফায়ার করে যাচ্ছিলো,কিন্তু এতো ফায়ার করা সত্বেও ইলেকট্রিক শক কেন জানি তাদের কোন ক্ষতিই করতে পারছিলো না,আমার মনে হচ্ছে তাদের সামনে কেউ শক্তিশালী অদৃশ্য বেড়িয়ার তৈরি করে রেখেছে।বাম দিক দিয়ে গোবলিন এবং ডানদিক দিয়ে হিউম্যান প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলো আমাদের প্রতিপক্ষের সামনে।কিন্তু যখনই তাঁরা তাদের কাছে যাবে ঐ মূহুর্তে উপর থেকে তিনটা অনেক বড়ো বড়ো স্টোন বল পরলো।স্টোন বল গুলো আমার প্রায় ৫ হাজারের মতো সৈন্য চোখের পলকেই শেষ করে দিলো,যা করার এখন আমাকেই করতে হবে,সৈন্য গুলোকে সামনে থেকে যদি আমি লিড না দেই তাহলে তারা এই কয়জনের সাথেই পেরে উঠতে পারবে না।আমার হাতে কোন পাওয়ার ফুল ওয়েপন নেই,রকেট চলে যাওয়ার আগে একটা ছোট আকারের ডিভাইস আমাকে উপহার হিসাবে দিয়ে গেছে।ডিভাইসটা ছোট হলে কি হবে কাজের বেলায় কিন্তু ঠিকই গুরুত্বপূর্ণ। রকেটের দেওয়া ডিভাইস টাকে সোর্ড,ওয়েপন এবং ছোটখাটো একটা বেড়িয়ার হিসাবে ইউস করা যায়।

যে সকল সেনারা এখন আমার পিছনে রয়েছে আমি সকলকেই ঢালদুর্গ আরো শক্তিশালী করে এখানেই বসে থাকতে বললাম এবং

আমি আর টাইম লস্ট না করে সামনের দিকে দৌড়াতে লাগলাম,কিছুক্ষণের মাঝেই আমার দৌড়ের স্পিড লাইট স্পিডের সমান হয়ে গেলো,যার কারনে আমি চোখের পলকেই আমার সকল সেনার সামানে এসে হাজির হলাম।আমি সবার সামনে আসার পর হাতের ইশারায় সবাইকে থামতে বললাম,যখনি আমি আমার সকল সেনাদের থামতে আদেশ দিয়েছি ঠিক ঐ সময় আমাদের সামনে অনেক বড়ো আকারের একটা পোর্টাল অপেন হয়,,মূহুর্তের ভিতরেই পোর্টালটা দিয়ে দশজন মানুষের আকারের প্রাণী বের হয়,কিন্তু তাদের হাইট ছিলো মানুষ থেকে প্রায় কয়েকফুট বেশি।হঠাৎ করেই আমার মনে হলো আমাদের সামনে,মানে কিং এল্ভস এর সৈন্যদের পিছনে ঘন্টা বাজছে, একটু খেয়াল করতেই দেখতে পেলাম সৈন্যদের পিছনে হাজার হাজার পোর্টাল অপেন হয়ে গিয়েছে এবং সেইসব পোর্টাল দিয়ে অগণিত সৈন্য বের হচ্ছে। এখানে দাড়িয়ে থেকে এইসব দৃশ্য দেখলে অতিশীঘ্রই মারা যাব।তাই আমি আবারো আমার গোবলিন এবং হিউম্যান সেনাদের আদেশ দিয়ে দিলাম সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য,তাদের এইটাও বলে দিলাম যাকে পাবে তাকেই হত্যা করবে কিন্তু নিজেকে যতোবেশি সময় টিকিয়ে রাখা যায় ততোবেশি সময় টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করবে।আমার কথা মতো আমার সকল সেনারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলো,,যখন প্রথম কিং এল্ভস এর সেনারা আমাদের উপর এট্যাক করেছিলো তখন তারা সংখ্যার দিক দিয়ে ১০ হাজারের মতো ছিলো,কিন্তু পোর্টালগুলো অপেন হওয়ার পর মনে হচ্ছে তাদের সৈন্য সংখ্যা আমাদের সমানই।আমি আবারো লাইট স্পিডে দৌড়ানো শুরু করললাম,আমার মাথায় এখন শুধু একটা বিষয়ই ঘুরছে কখন সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগন হাতে পাবো,,,লাইট স্পিডে দৌড়ে আমি কিং এল্ভস এর সৈন্যদের কাছে চলে গেলাম,,,,

আমি চাইলেই এখন আমার লেজার অফ ফায়ার একটিভ করে লেজার দিয়ে শতো শতো সৈন্যদের মূহুর্তের ভিতরই দুইভাগ করে ফেলতে পারি,কিন্তু কেন জানি সুপার পাওয়ার দিয়ে আমার লড়তে মন চায় না,তাই রকেটের দেওয়া ডিভাইসটাকে আমি বের করলাম,এই ডিভাইসটাতে চারটা বাটন রয়েছে,একটা রেড কালারের,একটা হুয়াইট কালারের,আরেকটা ব্লু কালারের এবং চার নাম্বারটা ব্ল্যাক কালারের বাটন।রেড কালারের বাটনে ক্লিক করলে সোর্ডটা ছোটখাটো ওয়েপনে রূপান্তর হয়,গ্রীন কালারে ক্লিক করলে বেড়িয়ারে রূপান্তর হয়,ব্ল্যাক কালারে ক্লিক করলে সোর্ডে  রূপান্তর হয়,এবং হুয়াইট কালারে ক্লিক করলে নরমাল মোডে থাকে।এখন ডিভাইসটা আপাতত হুয়াইট কালার মোডে আছে।আমি ব্ল্যাক কালার বাটনে ক্লিক করে ডিভাইসটাকে সোর্ডে পরিনত করলাম।সোর্ডটাকে হাতে নিয়ে আমি কিং এল্ভস এর সৈন্যগুলোর দিকে দৌড়ানো শুরু করলাম,আমি চাইলেই লাইট স্পিডে দৌড়াতে পারতাম,তবে লাইট স্পিডে দৌড়ালে সৈন্যদের ভালোভাবে দেখতে পারব না,যার কারনে কিল করাটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।আমি সামনের দিকো দৌড়াচ্ছি আর ডিভাইস টা দিয়ে অগনিত সেন্য কিল করে যাচ্ছি।বলতে হবে রকেট একটা জিনিস দিয়ে গেছে আমাকে,এই সাধারণ ডিভাইস দিয়ে এতো ভালো ফলাফলা পাওয়া যাবে তা কখনো ভাবিনি।আমি দৌড়াচ্ছি আর হত্যা করে যাচ্ছি, যখন কাউকে কিল করছি তখন ব্ল্যাক বাটনে ক্লিক করছি,আর যখন কেউ আমাকে লক্ষ করে আঘাত করছে তখন গ্রীন বাটনে ক্লিক করে বেড়িয়ার বানিয়ে নিজেকে প্রটেক্ট করছি।

যুদ্ধে আমার উত্তেজনা ও লড়াকু মনোভাব দেখে আমার সকল সৈন্যদের উত্তেজনা আরো বেড়ে গিয়েছে।

একের পর এক সৈন্য আমার হাতে ধরাশায়ী হচ্ছে। আমার গোবলিন এবং হিউম্যান সৈন্যরাও অনেক ভালো লড়াই করছে,যদিও এই পর্যন্ত তাদের অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে,কিন্তু তাতে আমার কিছু যায় আসে না।কেননা যুদ্ধে জীবনের মায়া করলে চলে না।আমি যতো গুলো সৈন্য নিয়ে লড়তে এসেছি আমাদের বিপক্ষেও যেহুতু ঠিকততোগুলোই সেন্য রয়েছে তাই লড়াইটা জমে গিয়েছে,আমি আমার পাঁচ ভাগের একভাগ সেন্য নিয়ে লড়তে এসেছি,আমি চাইলেই পুরো সৈন্য নিয়ে লড়াইয়ে আসতে পারতাম,কিন্তু আমরা অতোটাও দুর্বল নই যে এই কয়েকজন সৈন্যের সাথে লড়াইয়ের জন্য পুরো গ্রুপ নিয়ে এট্যাক করতে হবে।

আমার গোবলিন সেনাদের বর্তমানে লিড করছে গোবলিন প্রধান,অন্যদিকে হিউম্যান গুলো আমার লিডেই চলছে।আমি যেই পর্যন্ত পরবর্তী নির্দেশ না দিব সেই পর্যন্ত হিউম্যানগুলো থামবে না।

লড়াই করতে করতে হঠাৎ একটা জায়গায় আমার চোখ আটকে গেলো,প্রায় ১০০ জনের মতো সৈন্য একটা জায়গা ঘিরে রেখেছে।কিং এল্ভস এর সকল সৈন্য এট্যাক করলেও এই ১০০ জন তাদের জায়গা থেকে এক চুলও নরছে না।ব্যাপারটা আমার কাছে রহস্যময় লাগছিলো।তাই আমি অন্যদের কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে ঐ ১০০ জনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম।খুব স্পিডে ঐ ১০০ জনের কাছে আমি চলে গেলাম।এই ১০০ জনকে দেখে অন্যদের তুলনায় একটু আলাদা মনে হচ্ছে। আমাকে দেখেও এরা কোন এট্যাক আমাকে করছে না।কিন্তু আমাকে তো দেখতেই হবে এরা যেই জায়গাটা ঘিরে রেখেছে সেইখানে আসলে কি রয়েছে।আমি আমার সেফটির কথা বিবেচনা করে রকেটের দেওয়া ডিভাইসকে ওয়েপনে পরিনত করলাম,এবং সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলাম। আমি  সৈন্যগুলোর সামনে গিয়ে তাদের অতিক্রম করে ভিতরে প্রবেশ করছি।তারা আমাকে এট্যাক করছে না দেখে আমিও কিছু করছি না।আমি যখনি তাদের একজনকে অতিক্রম করব ঠিক ঐ মূহুর্তে আমি পিছন দিকে উড়ে যেতে লাগলাম।প্রায় ২০ মিটার পিছনে সরে এসেছি সৈন্যগুলোর আঘাতে।মাটিতে ধপাস করে পরে যাওয়ায় কোমরে হালকা ব্যাথা পেয়েছি।তবে এই ব্যাথা আমার জন্য কিছুই না।আমার মাথা এখন ক্যাচ করতে পারলো আমি এদেরকে যতোটুকু দুর্বল ভেবেছি তারা ততোটুকু দুর্বল নয়।আমি মাটি থেকে উঠে দাড়ানোর সাথে সাথে ১০০ জন সেনার প্রত্যেকেই তাদের সামনে বর্শা বের করে লড়াকু একটা পজিশন নিলো।আমার মনে হচ্ছে এরা ম্যাজিকের সাথে সাথে শারীরিক যুদ্ধেও অনেক পারদর্শী। আর যেহুতু এই জায়গাটা সবচেয়ে শক্তিশালী সৈন্যদ্বারা বেষ্টিতো করা তার মানে এই জায়গাতেই হয়তো সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগন রয়েছে।

আমার মূল টার্গেট হলো সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনকে নিজের করে নেওয়া, তাই অন্য সব সৈন্য থেকে এই ১০০ জনের প্রতিই আমার ফোকাস বেশি।এখন শুধু রকেটের ডিভাইস ইউস করলেই হবে না,তার পাশাপাশি ম্যাজিকও ইউস করতে হবে।

আমি দাড়িয়ে স্টেনার ম্যাজিক স্টার্ট করার জন্য স্পেল পড়া শুরু করলাম,আমার হাতে নীল আল জ্বলজ্বল করতে লাগলো।ইয়ান্ডু আমাকে বলেছিলো আমার প্লেনেটের প্রায় ৯৯% মানুষ স্টেনার ইউস করতে পারে।কিন্তু যখন থেকে আমি হুকারিতে এসেছি তখন থেকে হেনা আপু ছাড়া আর কাউকেই আমি স্টেনার ইউস করতে দেখি নাই।স্বপ্নে বলা লোকটার কথা অনেকদিক দিয়েই সত্য মনে হচ্ছে। তবে রহস্যটা আর খুলছে না।যাই হোক না কেন,আমাকে আগে সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনের মালিক হতে হবে,তারপর দেখব কে আপন আর কে পর।

আমি স্টেনার চালু রেখে সামনের দিকে এগোতে থাকলাম,আমি সামনের দিকে এগোচ্ছি এইটা দেখে ১০০ জন সেনার প্রত্যেকেই তাদের হাতে থাকা বর্শা আমার দিকে ছুঁড়ে মারলো।আমি এক হাতে ডিভাইস টা  নিয়ে গ্রীন বাটনে ক্লিক করে ডিভাইসকে বেড়িয়ারে রূপান্তর করে ফেললাম।এবং অন্য হাতটা দিয়ে স্টেনার ম্যাজিক এর আলোকরশ্মি সৈন্যদের পাঠানো বর্শার দিকে ছুড়ে মারলাম।আমার স্টেনার এর আলোক রশ্মি সৈন্য গুলোর পাঠানো যেই বর্শাগুলোকে স্পর্শ করছে সেই বর্শা গুলো তাদের দিক পরিবর্তন করে যেইদিক থেকে এসেছে সেই দিকে ব্যাক করতে থাকলো।সৈন্যগুলোর পাঠানো যেই বর্শাগুলো আমার স্টেনারকে স্পর্শ করতে পারেনি সেই সব বর্শাগুলো আমার দিকে ধেয়ে আসছিলো।কিন্তু আমার কাছে ছোটখাটো একটা বেড়িয়ার থাকায় আমার তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।অন্যদিকে যেই বর্শগুলোকে আমি সৈন্যদের দিকে ব্যাক করে দিয়েছি তার কিছু সংখ্যক বর্শা কয়েকজন সৈন্যকে শেষ করে ফেলে।১০০ জন সৈন্যের কাছে যতগুলো বর্শা ছিলো তার সবই আমার দিকে ছুড়েঁ মেরেছে।এখন যেহুতু তাদের হাতে আর কোন বর্শা নেই তাই আমি বিনা ভয়ে সামনের দিকে এগোতে পারি।এই ভেবে আমি স্টেনার চালু রেখেই সৈন্যগুলোর দিকে এগোতে থাকলাম।আমি প্রায় সৈন্যগুলোর সামনে এসে গিয়েছি।সব কয়টাকে শেষ করার জন্য আমি ডিভাইসের রেড বাটনে ক্লিক করলাম।যার ফলে ডিভাইসটা ছোটখাটো ওয়েপনে পরিনতো হলো।সৈন্যদের কিছু বুজে উঠতে দেওয়ার আগেই আমি ওয়েপন থেকে ফায়ার করা আরম্ভ করলাম।আমার ওয়েপনের ফায়ারে অনেকেই ধারাশায় হলো।তবে কয়েকজনকে হত্যা করার পরপরই বাকি সবাই তাদের পিছন থেকে একটা করে ওয়েপন বের করলো,তাদের সবার হাতে একই রকমের ওয়েপন। আমাকে তারা কোন দিকে ঘুরতে না দিয়ে আমাকে টার্গেট অনবরত ফায়ার করা আরম্ভ করলো।তাদের ওয়েপনগুলো এতটাই পাওয়ারফুলছিলো মনে হচ্ছে রকেটের দেওয়া ডিভাইসও এর সামনে টিকবে না।তাই আমি স্টেনার দিয়ে আমার সামনে বড় একটা নীল বল তৈরি করলাম।এখন স্টেনার এর তৈরি নীল বলটাই মূলত বেড়িয়ার হিসাবে কাজ করবে।সৈন্যগুলোর ওয়েপন থেকে যেই বুলেট গুলো বের হচ্ছে তার প্রতিটাই আমার স্টেনার এর তৈরি নীল বলটার সামনে এসে নীচে পরে যাচ্ছে। ওয়েপনগুলো অতি মাত্রাই পাওয়ার ফুল হওয়াই স্টেনার ওয়েপনগুলোর বুলেটের দিক পরিবর্তন করতে পারছিলো না।

আমার মনে হচ্ছে সুপার পাওয়ার না ইউস করলে এদের শেষ করা যাবে না।তাই স্টেনার অফ করলাম,এবং স্টেনার অফ করার সাথে সাথে লাইট স্পিডে সৈন্যগুলোর চারদিকে চক্কর কাটতে থাকলাম।আমি যেহুতু লাইট স্পিডে সৈন্যগুলোর চারদিকে চক্কর কাটছি তাই কেউ আমাকে দেখছে না,তারা শুধু এইটাই দেখছে তাদের চারদিকে একটা আলোকরশ্মি ঘুরছে।

সৈন্যরা যেহুতু আমাকে আর এখন দেখছে না তাই এখনি সুযোগ তাদের সবকয়টাকে শেষ করার।তাই আমি আর দেরি না করে জাস্ট লেজার অফ ফায়ারের কথা মনে করলাম,ব্যাস যা হবার তাই হলো আমার X চিহ্ন থেকে লেজার রশ্মি বের হতে লাগলো।আমি একে একে সকল সৈন্যদের টার্গেট করে লেজার ছুড়ে মারছি।যার ফলে চোখের পলকেই সৈন্যগুলো দুইভাগ৷ হয়ে যাচ্ছে।এভাবে সবকয়টাকে শেষ করতে আমার ১ মিনিটের মতো সময় লাগলো।কেউ হয়তো ভাবতে পারেনি আমি এতো সহযে এদের শেষ করে দিবো।১০০ জন সৈন্যকে শেষ করার পর আমিও আবারো আমার লেজারকে কুল ডাউনে পাঠিয়ে দিলাম।লেজার অফ ফায়ার যেহুতু একটা একটিভ স্কিল তাই এর পাওয়ারকে অপচয় না করাই ভালো।

আমার গোবলিন সেনা,এবং হিউম্যান সেনা কিং এল্ভস এর সৈন্যদের সাথে লড়াই করেই যাচ্ছে।ইতিমধ্যে আমি আমার ২০ হাজারের মতো সৈন্য হারিয়ে ফেলেছি,অন্যদিকে আমার সৈন্যরা প্রায় এক তৃতীয়াংশ এল্ভস বাহানীকে পরপারে পাঠিয়ে দিয়েছে।আমি সিউর এইখানে জয় আমারই হবে।কিন্তু এই কয়জন গোবলিন এবং হিউম্যান দিয়ে জয়লাভ করতে একটু বেশিই টাইম লাগবে।এজন্য আমি হাতের ইশারায় আমার সকল ড্রাগন সেনাদের এগিয়ে এসে আক্রমণের আদেশ দিলাম।আমার প্রায় ৪০ হাজারের মতো ড্রাগন রয়েছে।যাদের প্রায় প্রত্যেকের পিঠেই একজন করে পার্টনার,প্রায় প্রতিটা পার্টনারই ম্যাজিক ইউস করতে পারে,তবে যারা ম্যাজিক ইউস করতে পারে না তাদের হাতে রকেটের দেওয়া ওয়েপন রয়েছে।আমার সবগুলো ড্রাগন যদি একবার করেও মুখ থেকে ফায়ার বের করে এল্ভস সেনাদের দিকে ছুড়ে মারে তাহলে মুহূর্তের মাঝেই এল্ভস সেনাগুলো মাটিতে মিশে যাবে।আমি কনফার্ম হয়ে গেলাম এই ব্যাটেল গ্রাউন্ডে কিছুক্ষণের মাঝেই আমার বিজয়ের ধ্বনি বাসবে। তাই সব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে সেন্যগুলো যেই জায়গাটা ঘিরে রেখেছিলো সেই জায়গাটা ভালোভাবে সার্চ করতে লাগলাম।জায়গাটার অনেক অংশই আমার সার্চ করা শেষ। কিছু জায়গা বাকি আছে, যার মাঝে একটা জায়গায় আমার বারবার যেতে মন চাচ্ছে কিন্তু কোন এক কারনে আমি সেখানে যেতে পারছি না,,,,হঠাৎ চারদিক থেকে আমার নাম বেসে আসতে লাগলো।তারমানে আমার ড্রাগন গুলো সব কয়টাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে,আমি যুদ্ধে জয়লাভ করেছি।কিন্তু এই জয়লাভে কোনো উপকারই হবে না যদি সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগন হাতে না পাই। 

তাই আমি শেষ বারের মতো যেই জায়গায় আমার যেতে মন চাচ্ছে সেখানে চলে গেলাম।সেখানে যাওয়া মাত্রই আমার মাথা একটা চক্কর মারলো।আমি হাতের ইশারা দিয়ে আমার সকল সৈন্যকে পিছনে সরে যেতে বললাম।

আমি এখন যেই জায়গাটায় দাড়িয়ে আছি জায়গাটা কেমন যেন আলাদা রকমের মনে হচ্ছে। এইখানে আসার সময় থেকেই মনে হচ্ছে আমার মাথায় কিছু একটা ভর করেছে।কিন্তু কি আছে এই জায়গায় কিছুই তো আমি দেখতে পারছি না।এমন সময় আমার একটা কথা মনে পড়লো।আম্মু আমাকে বলেছিলো সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনকে এনার্জি দিয়ে সিল করে কোথাও লুকিয়া রাখা হয়েছে।তার মানে কি সোর্ডটা মাটির নিচেই রয়েছে।

আমি মাটি খোঁড়ার জন্য রকেটের দেওয়া ডিভাইসটাকে সোর্ডে পরিনত করলাম।সোর্ড দিয়ে আমি যেখানে দাড়িয়ে আছি সেই জায়গাটা খুড়তে শুরু করলাম।কয়েকমিনিট খোড়ার পর এমন মনে হলো কেউ আমার হাতটাকে নিচের দিকে সজোরে টানছে।।একটু ভালোভাবে নিচের দিকে খেয়াল করলেই দেখতে পাই ব্ল্যাক কালারের একটা সোর্ডের হাতল।তাহলে এইটাই কি সেই সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগন, কিন্তু এতদিন মাটির নিচে থাকার পরেও এর কোন ক্ষতি হলো না কেন।এইসব বিষয় এখন না ভাবলেও চলবে।সব মাথা মাথা থেকে নামিয়ে সোর্ডটার হাতলে স্পর্শ করলাম,যখনি সোর্ডটার হাতলে আমার হাতটা রেখেছি তখনি সোর্ড থেকে একটা আলোক রেখা এসে আমার মাথায় সজোরে আঘাত করে।আলোটা মাথায় আঘাত করাতে আমি একটু দূরে সরে গেলাম।কিন্তু সোর্ডের হাতলে আমার হাত লেগে থাকার কারনে সোর্ডও মাটি থেকে উঠে এসছে।আলোক রেখা মাথায় আঘাত করার পর থেকে নানান বিষয় আমার মাথায় আসছে।কিন্তু কিছুই আমি বুজতে পারছি না।সোর্ডটাকে হাতে নিয়ে ভালোভাবে দেখতে লাগলাম।সোর্ডটার পুরো বডিটা ছিলো ঘনকালো।এতো কালো যে সব কিছু কালোর দিক দিয়ে তার কাছে হার মানবে।যখন থেকেই সোর্ডের হাতলে স্পর্শ করেছি তখন থেকেই সোর্ডটা আমার হাতে লেগে আছে।অনেক চেষ্টা করছি হাত থেকে ফেলে দেওয়ার কিন্তু এক চুলও হাত থেকে নড়ছে না।আমি সোর্ডটাকে পরিক্ষা করার জন্য আমার অন্য হাত সোর্ডের সামনে নিয়ে গেলাম।কিন্তু কই সোর্ডতো তার ভিতরে আমার হাতকে টেনে নিচ্ছে না।আমি যতটুকু শুনেছি সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনের আগায় ছোটখাটো একটা ব্ল্যাক হোল রয়েছে।যেইটা কিনা তার সামনে থাকে সবকিছুকে ভিতরে চুষে নেয়।কিন্তু আমার হাতকে তো ভিতরে টেনে নিচ্ছে না।আমি আবারো পরিক্ষা করার জন্য আমার সামনে থাকা একাট গাছকে লক্ষ করে স্লাইস দিলাম।আমাকে অবাক করে দিয়ে সোর্ড পুরো গাছটা মূহুর্তের ভিতরেই ব্যানিস করে ফেললো।আমার সকল সন্দেহই দূর হয়ে গেলো।তার মানে এইটাই সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগন,আর স্বপ্নের লোকটার কথা সত্যি হলে এইটাই "কী অফ সুপ্রিম ডোর"


সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগন আমি হাতে পেলেও এখনো এইটাকে হাত থেকে নামাতে পারছি না।এমন সময় আমার মাথায় ক্যাচ করলো সোর্ডটাকে উপরের দিকে স্লাইস দেওয়া।আমিও উপরের দিকে স্লাইস দিলাম,যখনি উপরে স্লাইস দিয়েছি তখনি সোর্ড একটা ব্রেসলেটের আকার নিয়ে আমার বাম হাত পেচিয়ে ধরলো।ব্যাপারটা খুবই মজার ছিলো,কিন্তু আমার মাথায় কিভাবে এই বিষয়টা আসলো যে উপরের দিকে স্লাইস দিতে হবে।এর মানে কি আগেও আমি এই সোর্ড ইউস করেছি।আর করলেও সেইটা কবে কখন।ধীরে ধীরে স্বপ্নের লোকটার কথাই সত্যির দিকে এগোচ্ছো।যদি সত্যিই এরা আমার মা বোন না হয় তাহলে এদের থেকে সাবধানে থাকতে হবে।আর যদি বাবা,এবং মারিয়াই এইখানে আমার একমাত্র আপন কেউ হয় তাহলে তাদেরও সবসময় খেয়াল রাখতে হবে।

এইসব ভেবে আমি আমার সৈন্যদের যেখানে রেখে এসেছি সেইদিকে পা বাড়ালাম।কিন্তু যখনি আমি সামনে এগোবো তখনি আমার সামনে প্রায় ২০০ মি.ব্যাসার্ধের একটা পোর্টাল অপেন হলো।

আমি সেখানেই দাড়িয়ে আছি,পোর্টাল টা দিয়ে প্রথমে একটা লোক বের হলো।যার মাথায় চুল ছিলো মেয়েদের মতো লম্বা। শরীরের টিস্যু গুলো ছিলো অনেক ফোলা ফোলা। এভাবে প্রায় ৫ মিনিট পোর্টালটা দিয়ে অগনিত সৈন্য বের হলো।শুধু আমার সামনে না।আমার পিছনে,ডানে, বামে এমনকি চারদিকে শুধু পোর্টাল আর পোর্টাল।আমার আর বুজতে বাকি রইলো না আমার সামনে যে দাড়িয়ে আছে উনিই কিং এল্ভস।এভাবে প্রায় ১০ মিনিট পোর্টালটা দিয়ে সৈন্য বের হলো।এবং সৈন্যগুলো বের হওয়ার সাথে সাথেই পোর্টালগুলো হাওয়ার সাথে মিলিয়ে গেলো।কিং এল্ভস এখন আমার সামনে দাঁড়ানো।আমার দিকে এক চোখে তাকিয়ে আছে।উপরের দিকে চোখ পড়তেই দেখতে পেলাম তিনটা ড্রাগন এবং ড্রাগন গুলোর উপর আম্মু,হেনা আপু এবং দাদু বসে রয়েছে।ড্রাগনগুলো আস্তে আস্তে নিচে নামলো এবং আম্মু,হেনা আপু এবং দাদু ড্রাগন থেকে নেমে গিয়ে কিং এল্ভস কে জড়িয়ে ধরলো।আমার মাথায় এখন কিছুই ক্যাচ করছে না।তাহলে কি স্বপ্নের লোকটার কথা গুলোই ঠিক,আমার হৃদয়টা ফেটে চুরমার হয়ে যাচ্ছে, আমার সাথে এতো বড় বিশ্বাস ঘাতকতা,,

এমন সময় আমার মাথার পিছনে খুব জোড়ে কিছু একটার আঘাত লাগলো,মাথায় আঘাতটা এতো জোরেই লেগেছে যার কারনে আমার দুই চোখে আধার নেমে আসতে লাগলো।


মাই কুইন আপনার ছেলেকে তো বেহুশ করে দিলাম(এল্ভস) 

না এল্ভস ও আমার কোন ছেলে না।আমার ছেলেতো প্লেনেট টিম্বর শাসন করছে,এতোদিন তো এইসব শুধু একটা ড্রামা ছিলো,তুমি সবকিছু জেনেও না জানার ভান করছো কেন,,আর আমাকে মাই কুইন বলছো কেন,,,?(জারিয়া,ডেভিডের নকল মা)


হাহাহাহাহা,তোমার সাথে কি আমি মজাও করতে পারি না,থাক ঐ সব কথা, হেনা এইকয়দিন কেমন কাটলো(এল্ভস) 

খুবই বোরিং বাবা,এতদিন নাটকে অভিনয় করতে করতে আমি হাঁপিয়ে গিয়েছি।


আর হাপানো লাগবে না,এখন সময় এসেছে মাস্টার কার্টারের কাছ থেকে সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগন নেওয়ার।একবার সোর্ড অফ ব্ল্যাক ড্রাগনকে হাতে পেলে পুরো ইউনিভার্সের কিং হবো আমি।তবে যতক্ষণ পর্যন্ত মাস্টার কার্টারকে হত্যা করতে না পারছি ততোক্ষণ পর্যন্ত ব্ল্যাক ড্রাগনকে হাতে পাবো না।


ডিকোলা(কিং এল্ভস এর জেনারেল),যাও কার্টারের ভালোবাসা এবং তার বাবাকে নিয়ে আসো।তারপর তোমরা একশো জন মিলে তোমাদের  যার যে রকম ম্যাজিক আছে সে সেই ম্যাজিক ইউস করে তিনটাকে এক জায়গায় বেঁধে ফেলো।(এল্ভস)


আমার মনে হলো কোথাও আমি বসে আছি,এবং আমার হাত ও পা গুলো কোন এনার্জি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।আস্তে আস্তে আমি চোখ খুললাম। চোখ খুলেই দেখতে পেলাম আমার বাম পাশে মারিয়া এবং ডানপাশে মাঝবয়েসী একটা লোক।আমি এমন একটা পরিস্থিতিতে রয়েছি যে কারো সাথে কথা বলতে পারছি না।আমি ইশারার মাধ্যমে মারিয়া এবং ঐ লোকটাকে বললাম আমার শরীরের সাথে মিশে থাকার জন্য,,,,,

কিং এল্ভস আমার চোখ খোলা দেখো আমার সামনে এসে হাজির হলো,তার পশেই ছিলো জারিয়া,এবং হেনা।আমি তাদের কি বলবো না বলবো এই ভেবে আমার মাথায় কিছু আসছে না।শুধু তাদের দিকে চোখে চোখ রেখে আমার চোখের ভাষাটা বুজিয়ে দিলাম।স্বপ্নে লোকটা আমাকে যা বলেছিলো এখন আমাকে তাই করতে হবে।আমাকে প্রথমে লেজার অফ ফায়ার ইউস করে আমাদের চারদিকের ম্যাজিক্যাল রশিগুলো কেটে ফেলতে হবে।রশি গুলো কাটার পর আমি চাইলেই টাইম রিং ইউস করে কিং এল্ভস কে শেষ করতে পারবো,কিন্তু মারিয়া এবং ঐ অচেনা লোকটার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে টাইম রিংটা আপাতত না ইউস করাই ভালো।

আমি মনে মনে লেজারের কথা মনে করতে থাকলাম,সাথে সাথেই লেজার বের হতে লাগলো।লেজার দিয়ে কয়েকসেকেন্ডের মাঝেই আমার হাতে থাকা ম্যাজিক্যাল রশি কেটে ফেললাম।আমি এক সেকেন্ডও দেরী না করে মারিয়া এবং লোকটাকে জড়িয়ে ধরে স্বপ্নে পাওয়া রিংটায় স্পর্শ করে একটা কথাই বললাম (বারসুম)

---------END---------

এতোদিন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ❤️পর্বটাতে অনেক বানান ভুল থাকতে পারে।আসলে বড়ো করে লিখছি তো তাই।

কেমন হলো জানাবেন,,,, ধন্যবাদ 💔💔💔💔💔

1 comment

  1. ভাইয়া গল্পটা আমার অনেক ভালো লাগছে সত্যি অনেক সুন্দর ছিলো ভাই আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই আমাদের জন্য এতো সুন্দর একটা গল্প উপহার দেওয়ার জন্য ভাই আর ভাই এর পরের সিজেন ২ টা কবে দিবেন ভাই প্লিজ ভাই তারা তারি এর পরের সিজেন টা দিয়েন ভাই তাই আমি বুঝত্র পারছি ভাইবের পরের সিজেনে ভালো একটা গল্প হবে বুঝা যাচ্ছে ভাই তাই এর পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম ভাই ☺️☺️
Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.