••••••••° কিং অফ ম্যাজিক °••••••••
✓
✓
✓
✓
✓✓ লেখক নীল আহমেদ
✓
✓
✓
✓
✓✓ পর্ব ৩২✓✓
✓
✓
✓
(গল্পটি কাল্পনিক , বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই)
।
।
।
।
ইকারাস - আমি জানতাম ছেলে দুটো যাবে না ঠিক আসবে আবার। তবে একটু তাড়াতাড়ি চলে এসেছে ।একটা ছেলে কে ফুল স্পিডে গিয়ে কিক মেরে উড়িয়ে দিয়েছি । তখনি আর একজন তাকে এদিক সেদিক তাকিয়ে খুঁজছে । সুযোগ পেয়ে আমি আবার স্পিডে গেলাম । স্পেশাল মুভ স্পিড লাইটনীং , এটার জন্য স্পিড অনেক বেড়ে যায় সাথে যে পা দিয়ে কিক টা দেবো সেটা পুরো টা লাইটনিং দিয়ে ছেয়ে যায়। ফুল স্পিডে যাচ্ছি ছেলেটা অন্যদিকে চেয়ে আছে কাছে গিয়ে যেই মারতে যাবো ছেলেটা সেটা পিছন থেকে আটকে দিল এক হাত দিয়ে , তারপরই যখন মাথা ঘোরালো দেখে চমকে উঠলাম, সারা শরীর থেকে তার কালো এনার্জি বের হচ্ছে চোখ গুলোও পুরো তাই কালো , দেখতে ভয়ংকর লাগছে । তারপর মুখে হাসি,,,,,,,, তারপর আমি ওখান থেকে ব্যাক ফিলিপ দিয়ে পিছিয়ে আসি । ওয়েল ওয়েল তাহলে এই শক্তি তখন লুকিয়ে রেখে মার খাচ্ছিলে। মনে হচ্ছে এবার আসল ফাইট শুরু হবে । অ্যাটাক আমি করছি , আবারও একই মুভ ট্রাই করলাম তবে ভিন্ন ভাবে চারিদিকে ঘুরতে লাগলাম কিন্তু এবারও আমি অবাক আমার এই স্কিল এর স্পিড এতই যে কেও যদি সময় এর শক্তি নিয়েও লড়তে আসে সেও ধরতে পারবে না কিন্তু এত দেখি আমি যেদিকে যাচ্ছি সেদিকেই তাকিয়ে আছে , আমি যেভাবে নিজের পথ চেঞ্জ করছি সেও তার চোখ সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছে। তারমানে এই স্কিল কাজে দেবে না । লাইটনিং স্পিয়ার্স , এটা হচ্ছে অনেক লাইটনিং জমা করে সেটা অনেক স্পিন করে যার দিকে তাক করি তার দিকে স্পিন হতে হতে তাকে আঘাত করে ।
আমি - নিজের মধ্যে ব্যাপকমাত্রায় এনার্জি অনুভব করতে পারছি। ইকারাস এর অ্যাটাক আমার কাছে আসার আগেই অটোমেটিক আমার শরীর ঘিরে হোয়াইট শিল্ড চলে এলো এবং ইকারাস এর অ্যাটাক টা শিল্ড এর বাইরেও নষ্ট হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ইকারাস এর পলক ফেলার আগেই ওর সামনে দাড়িয়ে পড়লাম।
ইকারাস - আমার অ্যাটাক ওর কাছে গিয়ে নষ্ট হয়ে গেলো একটা বেরিয়ার এর জন্য কিন্তু বেরিয়ার টা উধাও হতেই দেখি ও আমার ঠিক সামনে দাড়িয়ে আছে ।তারপর মুহুর্তের মধ্যেই তার একটা পাঞ্চ আমাকে ওর থেকে প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূরে পাঠিয়ে দেই। এত ক্লোজ এর মধ্যে এত শক্তিশালি পাঞ্চ করলো কিভাবে , তাছাড়া ও সাধারণ একটা পাঞ্চ করেছে আমাকে। ওর থেকে দূরে যেতেই আমার ভাবনা আগের মত হলো এতক্ষণ যেনো কোনো কিছু একটা ভয় ছিল যেটা এখন নেই । বুঝলাম না , মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে সাথে মনে নেই কয়েক টা হার ভেঙে গেছে। উঠে দাড়ালাম সামনে তাকাতেই আবার দেখি সে সামনে এত দ্রুত এখানে এলো কি ভাবে কিছু বুঝে উঠার আগে আবার একই ভাব সে পাঞ্চ করলো এভাবে প্রায় কুড়ি মিনিট মার খেয়ে যাচ্ছি । তারপর নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে আমার স্পেশাল মুভ "এয়ার লাইটনিং " এটা আমার আসে পাশের সমস্ত বাতাসের মধ্যে লাইটনিং ছড়িয়ে দেই যেটার জন্য আমি নিজেকে যেদিকে খুশি যেমন ভাবে চাই সেই ভাবে মুভ করতে পারবো তাছাড়া এই এরিয়ার মধ্যে থাকা বাকি দের এনার্জি ব্লক করে দেই সাময়িক ভাবে। দেখলাম ছেলেটা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে বুঝলাম কাজ হয়েছে , তারপর নিজের মুভ করলাম এদিকে সেদিক থেকে তার উপর আক্রমণ করতে লাগলাম এভাবে কিছুক্ষন পর সে বসে পড়লো তারপরেই নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে যত লাইটনিং শক্তি আছে ওটা উপর থেকে ওর উপরে ফেললাম , যেখানে পড়লো সেখান টা একটা ধ্বংসস্তূপ ছাড়া কিছু না , চারদিকে ধুলো বালি উড়ছে কিছু দেখা যাচ্ছে না , প্রায় এক কিমি এলাকা বড়ো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আমি পিছু হাঁটতে শুরু করলাম এটা থেকে বাঁচার মত শক্তি কারোর নেই ।কিছুদূর যেতেই কিছু এনার্জি অনুভব করলাম পিছন ফিরে দেখি ধোঁয়া গুলো আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে তারপরেই নিল একটা আলো দেখা গেলো পুরো ধোয়া কেটে যাওয়ার পর দেখি সেই সাদা শিল্ড এর উপর নীল রঙের এনার্জি ছড়াচ্ছে । তার ভিতরে ছেলেটা এখনো বসে আছে ভালো করে দেখতেই দেখি ছেলেটা হাসছে , নিজের চোখ কেই বিশ্বাস করতে পারছি না , তারপরেই হঠাৎ করে ছেলেটা উধাও হয়ে যায়, এনার্জি টা আমি আমার পিছনে অনুভব করতে পারছি, তাই ঢোক গিলতে লাগলাম, পিছন ফিরে দেখি ছেলেটা দাড়িয়ে আছে, নীল এনার্জি টা ধীরে ধীরে কালো তে পরিণত হচ্ছে চোখ গুলো আবারও পুরো তাই কালো হয়ে গেছে , আগের থেকেও বেশি পরিমাণে এনার্জি বের হচ্ছে যার ফলে দাড়িয়ে থাকা জায়গা টা আস্তে আস্তে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে , চারিদিকে একটা হাওয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে যেটা যেখানেই লাগছে সেখান টা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে। আস্তে আস্তে প্রায় সবই ধ্বংস হতে শুরু করেছে, না এটা কোনো মানুষ হতে পারে না গডের মত শক্তি। তারপরেই ছেলেটা একটা নীল রঙের বল তৈরি করলো হাতে সেটা আবার ধীরে ধীরে ডার্ক হতে শুরু করলো , আমি যেনো জমে গেছি একটা জায়গায় , নড়াচড়ার ক্ষমতা নেই । ছেলেটা চিল্লিয়ে উঠে ওটা আমার পেটে মারলো , আঘাতের পরিমাণ এত বেশি সেটার চাপ আমার ভিতর থেকে পিছন দিকে থাকা কিছু বাড়ি ঘর ধ্বংস করে দিলো , আমি শুধু এটুকু বুঝলাম আমি নিচে পড়ে যাচ্ছি । মুখ থুবড়ে নিচে পড়ে গেলাম । শরীরে কোনো এনার্জি নেই।
আমি - এরপর কেনো যেনো নিজের উপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছি বারবার , যেনো মনে হচ্ছে সব কিছু ধংস করে ফেলি । আমার এনার্জি পরিমাণ এত বাড়তে শুরু করলো চারিদিয়ে ধ্বংস হতে লাগলো সব কিছু । তারপরেই একটা আওয়াজ শোনা গেলো।
শেষ দরজা ও টেস্ট সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাদের দুটি স্কিল দেওয়া হবে , আর যেহেতু ইকারাস আপনার শক্তির একটা অংশ তাই আপনি তাকে ব্যবহার করতে পারবেন , নিজে করতেও পারবেন আবার তাকে ডেকেও করতে পারবেন সে এখন আপনার ই একটি অংশ। আপনাকে আর আপনার বন্ধু কে টেলিপোর্ট করে দেওয়া হচ্ছে ।
আমি - তারপরেই আমরা অন্য একটা জায়গায় চলে এলাম , আমি দেখলাম আমি আবার সাধারণ হয়ে গেছি , আরভিন এর চোখ বড় হয়ে আছে , কি হলো তোর ?
আরভিন - একটু আগে ওটা কি ছিল ? এমন শক্তি তোর আছে ?
আমি - আরভিন এর থেকে লুকিয়ে রাখলাম। আমিও জানতাম না হঠাৎ হচ্ছে এসব । তারপরেই ,,,
সামনে থাকা পাথর গুলির মধ্যে আপনারা একটি করে বেছে নেন।
আমি - আমরা দুজনে দুটো পাথর বেছে নিলাম ।
আপনি (আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো) "ডেথ কাউন্টার" নামের একটি স্কিল পেয়েছেন এবং আপনার বন্ধু "হেল অউরা" নামের একটি স্কিল পেয়েছেন। আপনাদের এই দুটি স্কিল মনে রাখবেন এগুলো গড লেভেলের তাই ব্যবহার টা বুঝে শুনে করবেন এতে নিজেরও বা আশে পাশের লোকের ও সমস্যা হতে পারে । এবার আপনারা দরজার কথা মনে করেন আপনারা পৌঁছে যাবেন ।
আমি - তারপর আমি আর আরভিন সেই গুহা থেকে বেরিয়ে আসি , কিছু দূর আসতেই রিউক আসে , এবং সে তার ব্লু স্টোন আমাকে দেই , যেটা নিতেই কারেন্ট এর শক লাগে। আস্তে আস্তে আমি ওপর দিকে উঠতে শুরু করি তারপর আমার চারিদিকে নীল এনার্জি বের হতে থাকে , পুরো শরীর প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করি, আমার সামনে ইকারাস আসে সেও একই ভাবে আছে , তারপরেই ইকারাস আমার মধ্যে ঢুকে যায়। তারপরে আর কিছু মনে নেই । জ্ঞান ফিরতে নিজেকে জেসির কোলে পেলাম, তার কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছি । সত্যি বলতে ভালো লাগছিলো কিন্তু লজ্জার কারনে উঠে পড়লাম।
জেসি - নীল আচমকা উঠে পড়ায় আমারও লজ্জা লাগে। কারণ আসে পাশে আরভিন ছিল না, সে খাবারের ব্যবস্থা করতে গেছে তাই এই সুযোগে নীলের মাথা আমার কোলে নিয়ে ছিলাম।
আমি - সরি আসলে বুঝতে পারছি না আমি এখানেই কিভাবে এলাম আর তোমার কোলেই কি করে গেলাম , আমি খুবই দুঃখিত এর জন্য ।
জেসি - না না ঠিক আছে , অসুবিধে নেই।
আমি - আমরা এখন কোথায় আর আরভিন কই ??
জেসি - খাবার খুঁজতে গেছে , আমরা এখন চতুর্থ জোনের শেষে আছি ।
আমি - আরে এখানে কিভাবে ? আমরা তো পঞ্চম জোন ছিলাম ।আর এখানে তো বিস্ট থাকবে , ও তোমাকে আর আমাকে রেখে গেলো কি করে ?
জেসি - নীলের কথা শুনে হেসে ফেললাম , চিন্তার কারণ নেই , আমি দাদুর কাছে ছিলাম তখনি দাদু বলে যে তোমরা কাজ সম্পূর্ণ করেছো কিছুক্ষনের মধ্যে এই জায়গা ধ্বংস হয়ে যাবে , তখনি আরভিন আসে তোমাকে কাধে করে নিয়ে। দিয়ে আরভিন আমাদের এখানে নিয়ে আসে এবং বেরিয়ার দিয়ে যায় । চলে আসবে একটু পরেই অনেক্ষন গেছে।
আরভিন - উঠে পড়েছিস , এই নে কিছু ফল খা ।
আমি - তিনজন মিলে খেতে শুরু করলাম , তারপর আরভিন কানে কানে বলল,,
আরভিন - ভাই কিসব দেখছি ? ওদিকে নীলি আর এখানে জেসি , কি ব্যাপার । ।
আমি - ক,,, ক কই কি ব্যাপার কি সব বলছিস আস্তে আস্তে বললাম।
আরভিন - হুম হুম, বাপ্রে তখন তোকে কাধে করে নিয়ে যখন কিং উইলি এর কাছে গেলাম তোকে ঐভাবে দেখে কেঁদে একাকার। তারপর তো আমার মাথা খেয়ে নিয়েছে কি হলো কি করে হলো ? উফফফ ভাগ্যিস কিং উইলি বললো যে তোমাদের সময় শেষ। নাহলে ওই প্রশ্নের চক্করে আমি মারা যেতাম ভাই ।
আমি - শুনে চুপ হয়ে গেলাম ।
জেসি - তোমরা কি বলছো কানে কানে, আমাকে বলা যাবে না ?
আমি - না না মানে , তেমন কিছু না , খাওয়া হয়ে গেলে চলো , তোমাকে একটা জায়গায় রেখে আমাদের অন্য কোথাও যেতে হবে।
জেসি - শুনেই মুখটা চুপসে গেলো , ক, কোথায় রেখে আসবে আর তোমরা কোথায় যাবে ?
আমি - যার জন্য এত কিছু করা ওই এডোয়ার্ড এর সাথে বোঝাপড়া আছে । তোমাকে ভালো জায়গা তেই রেখে আসবো চিন্তা করার কিছু নেই ।
জেসি - না মানে আমার তো কেও নেই , কোথায় যাবো আমি । আমার বাসাও তো এখন মনে হয় নেই । আর ওখানে তো যাওয়া যাবে না ।
আমি - শুনে খুব খারাপ লাগলো এভাবে মেয়েটা একা থাকে , আরে চিন্তার কিছু নেই তুমি আমার বাসাতে থাকবে , তোমাকে মায়ের কাছে রেখে আসবো । তার সাথে অনেক দিন দেখা হয়নি আমিও দেখা করতে যাবো ।
জেসি - শুনে লাফিয়ে উঠলাম, তাহলে চলো ।
আরভিন - নীলের দিকে তাকিয়ে চোখ মারলাম, ব্যাটা রেগে গেলো । রাগ করছিস কেনো দেখ মেয়েটা কত খুশি ।
আমি - দেখলাম সত্যিই মেয়েটা খুব খুশি লাগছে । তারপর তিনজন মিলে হাঁটতে শুরু করলাম উদ্দেশ্য আমার বাসা।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
মিও - হঠাৎ নীলের এনার্জি অনুভব করতে পারলাম । তখনি মাইন্ড কানেকশন করে ওকে বললাম , তাহলে কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছিস , শোন একবার তোর মায়ের সাথে দেখা করে , আলফেনিয়া চলে আসবি আমরা ওখানেই যাচ্ছি যুদ্ধ শুরু হবে , আর সময় বুঝে প্রবেশ করবি , গিয়েই ঢুকে পরবি না।
আমি - হুম ঠিক আছে , এমনিতেই আমি বাসা তে যেতাম । ঠিক আছে তোমরা যাও আমি পরে তোমাদের সাথে দেখা করছি ।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
চলবে,,,,,,,,,,,