ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর জন্য। Contact Us Welcome!

কিং অফ ম্যাজিক পর্বঃ ২৯

Bangla Dub Novels
 ••••••••° কিং অফ ম্যাজিক °••••••••
✓✓   লেখক নীল আহমেদ 
✓✓ পর্ব ২৯✓✓
     (গল্পটি কাল্পনিক , বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই)
।।
।।
                                                                                                                                                  ।।
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                       ।।

আমি - অনেক মজার হচ্ছে যত সময় যাচ্ছে এই লড়ায়ে। তবে আমাদের দুজনের অবস্থা খুব ভালো না। একটা ড্রাগন এর সাথে লড়তে হচ্ছে তাও আবার যে সে না সব থেকে শক্তিশালী ড্রাগন । আমরা দুজনেই যত অ্যাটাক করেছি তাতে একটুও ক্ষতের চিহ্ন দিতে পারিনি ড্রাগন টা কে । আরভিন প্রথমে সিরিয়াস না থাকলেও এখন আমার থেকেও বেশি সিরিয়াস মুড নিয়ে লড়ছে এবং তার অ্যাটাকের সংখ্যা আমার থেকেও বেশি । আরভিন যাহোক করে তুই ওকে একটু ব্যাস্ত রাখ যাতে সে আমার দিকে খেয়াল না করে ।

আরভিন - চেষ্টা করছি । "টুইন অ্যাটাক - ফুল স্পিড , এটা আমার অ্যাটাক এর স্কিল একটা যেটাতে আমার স্পিড তো বেড়ে যায় সাথে আমি যে অ্যাটাক গুলো করি যেগুলো খুব স্মুথ হয়ে যায় যার ফলে সামনের জনের ডিফেন্স দুর্বল হয়ে পড়ে ,কারণ এটা অনেক্ষন ধরে হয়ে থাকে আর সে অত খেয়াল করতে পারে না। তো এটার সাহায্যে আমি চারিদিক থেকে নানান ভাবে অ্যাটাক করে যাচ্ছি । ড্রাগন টা এখন মার খাচ্ছে । 

ইকারাস - ছেলে গুলো কে দুর্বল ভেবে ছিলাম কিন্তু অতটা না এখন আমার অনেক এনার্জি লস করছে এই ব্যাটা। না আর না , বলেই নিজের শরীরে লাইয়নিন ওয়েভ এর সৃষ্টি হলো যেটার জন্য ছেলেটার স্পিড টা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছিল । তারপরেই একটা লাইটনিন মুভ করলাম যেটা ছেলেটা কে লাগলো ।

আরভিন - অনেক্ষন ধরে মার খেতে খেতে একটা শক এর জন্য আমার মুভমেন্ট স্লো হয়ে যায় তারপর আবার  মার খেয়ে একটু দূরে গিয়ে পরি ।

ইকারাস - এত ছোট খাটো মুভে আমার কিছু হবে না বাচ্চা ।তোমাদের আমি পিষে মেরে ফেলবো । এরপরও দেখি ছেলেটা হাসছে । তারপরই মনে পড়লো আর একজন কই ? পিছনে ফিরে দেখি,,,,

আমি - "সুপার ড্রাগন পাঞ্চ ফুল পাওয়ার " ড্রাগন পাঞ্চ এর এটা আপগ্রেড ভার্সন বলা যেতে পারে । আরভিন যতখন ওকে ব্যাস্ত রাখছিল ততক্ষনে আমি নিজের এনার্জি গুলো সংগ্রহ করছিলাম আর সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম , সুযোগ পেতেই অ্যাটাক করি । আমার চারিদিকে নীল এনার্জি বের হচ্ছিল , আর ড্রাগন পাঞ্চ এর সেই ড্রাগন এর আকার ও অনেক বড় ছিল । সেটা লাগতেই ড্রাগন টা অনেক দূরে ছিটকে পড়লো।

ইকারাস - দূরে পড়লাম অনেক টা। এই প্রথম কেও আমাকে এত দূরে পাঠালো। না এই ভাবে হবে না। এবার নিজের রূপ চেঞ্জ করলাম কারণ এত বড় শরীর নিয়ে এদের সাথে লড়াই এ আমার অ্যাডভান্টেজ কম মনে হচ্ছে । তাই মানুষের রূপে এলাম ।

আমি - ইকারাস কে মেরে ওর দিকে যাচ্ছিলাম, তারপরে ওর চারিদিকে নীল আলো ছেয়ে গেলো , তারপরই একটা সুদর্শন যুবক কে দেখতে পেলাম , যার বডি ফিটনেস দারুন , চুল গুলো খাড়া হয়ে আছে নীল রঙের। পরনে সাদা প্যান্ট । বুকে আমার মত একটা ড্রাগন এর ট্যাটু। তাহলে এটা ওদের ফর্ম একটা যেটা আমাদের মতন দেখতে ।

ইকারাস - ইমপ্রেসিভ বয়,, খুব সুন্দর মুভ ছিল । আমার পছন্দ হয়েছে । তাহলে চলো একটা সিরিয়াস লড়াইয়ের মধ্যে। বলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ওর পাশে চলে গেলাম।

আমি - ওটা বলেই কোথায় চলে গেলো আর দেখতে পেলাম না , পাশে ফিরে দেখতে গেলাম সেখানে ইকারাস ছিল তারপরই একটা পাঞ্চ ছিটকে অনেক দূরে চলে এলাম , এই শহরের মাঝখানে পরে আছি । কটা বিল্ডিং ভেঙে যে এখানে এসেছি । মনে হচ্ছে না উঠতে পারবো। শরীর নিজেরই কন্ট্রোল এর মধ্যে নেই যেনো অবশ হয়ে গেছে । মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে অনবরত। 

আরভিন - নীল কে অ্যাটাক করার পর আমার সাথে লড়াই শুরু হয় , কিন্তু ওর স্পিড এত বেশি যে আমার টাইম স্কিপ কাজ করছে না । অনবরত মার খেয়ে যাচ্ছি । এই শরীর আর বেশিক্ষণ নিতে পারবে না। "ওয়াটার ডোমেইন" ইউজ করলাম , আপাতত কিছু সময় নষ্ট করতে হবে যাতে নীল নিজেকে ঠিক করতে সময় পাই । ইকারাস কে ডোমেইন এর মধ্যে ভরে রেখেছি ।

ইকারাস - সুন্দর , কিন্তু এগুলো আমাকে আটকাতে পারবে না । একটু এনার্জি এর পরিমাণ বাড়িয়ে দিলাম , ডোমেইন এর সাথে সাথে আসে পাশের জায়গা টা অনেক টা ধ্বংস গিয়ে গেলো ।

আরভিন - এত শক্তিশালী । এখানে বড়ো একটা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, আমি একটা বিল্ডিং কাছে চলে এসেছি কারণ একটু সময় দরকার আর লুকিয়ে অ্যাটাক করবো । কি করবো বুঝতে পারছি না ধুর ,

ইকারাস - সে কি এটুকুতেই হার মেনে নিচ্ছ??

আরভিন - কারো আওয়াজ পেয়ে পাশে তাকিয়ে একটু ঢোক গিলতে লাগলাম, তখনি একটা পাঞ্চ পড়লো মুখের উপর , শুধু নিজের শরীর কে উড়তে দেখলাম আর কিছু মনে নেই ।

আমি - ধ্যাত,,,, ঠিক ওই ভাবেই পরে আছি , উঠার মত এনার্জি নেই আর। চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে , পরনের জামা প্যান্ট অনেক ছিঁড়ে গেছে তাছাড়া সেগুলোর কি কালার ছিল এটা আর বোঝা যাচ্ছে না কারণ সব রক্তে লাল হয়ে গেছে। চোখ টা হালকা খোলা আছে ওর মাঝেই দেখলাম ইকারাস আসছে , ঠিক একটা হিরোর মত , সিটি বাজাতে বাজাতে, মাথার পিছনে দুটো হাত দিয়ে।কেনো যেনো এখনো একটু হাসি পেলো।

ইকারাস - কেমন লাগছে ? তোমার বন্ধুর এখন আর জ্ঞান ফিরবে বলে মনে হয় না , আর উড়তে উড়তে কোন দিকে গেলো আমিও খুজে পায়নি , মনে হচ্ছে একটু জোর বেশি লাগিয়ে ফেলেছি । সে যায় হোক, এই মানুষের ফর্মে থাকলে আমার মন অনেক নরম হয়ে যায় তাই জীবিত ছেড়ে দিলাম , ঠিক হয়ে গেলে পুব দিকে চলে যাবে ওখানেই এখান থেকে বের হবার রাস্তা আছে । হ্যা তোমার বন্ধু কেও খুজে নিও। ঠিক আছে বাই।

আমি - ইকারাস এর কথা গুলো শুনে নিজেদের দুর্বল মনে হচ্ছে , মনে হচ্ছে জোরে চিল্লাতে কিন্তু সেই শক্তি নেই ওখানেই ঘুমিয়ে পড়লাম। চোখের সামনে কিছু দৃশ্য ভাসলো , দেখলাম সব বন্ধু গুলোর লাশ পড়ে আছে এমনকি মিও ম্যামের ও আরভিন সবাই লাশ হয়ে আছে আর এডোয়ার্ড আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে , চোখ দিয়ে পানি পড়লো কয়েক ফোঁটা। তারপর জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম।

এডোয়ার্ড - এই মেয়ে এত শক্তিশালী হলো কি করে ? আর এদিকে আমার ও সময় হয়ে গেছে , আসার সময় খেয়াল ছিল না , আর বেশিক্ষণ এখানে থাকলে এই মেয়ে আমার শরীরের একটা টুকরো ও রাখবে বলে মনে হয় না। একটা ম্যাজিক বোম্বের সৃষ্টি করে এখান থেকে পালাবো ভাবলাম কারণ আমার এনার্জি নেই এখন । রোজ আমার এনার্জি ধরে রাখার জন্য দুজন শক্তিশালি ব্যক্তির এনার্জি এবসর্ভ করতে হয় যেটা আজ করা হয়নি ।দাড়িয়ে গেলাম , আমাকে দেখে ওই মেয়েও দাড়িয়ে গেলো , আজকের খেলা এটুকুই মিস। পরে দেখা হবে আবার ।

মিও - এডোয়ার্ড কি তাহলে আমাকে ভয় পাচ্ছে ? ঠিক আছে তুমি যেতে চাইলে আমি আটকাতে পারবো না কারণ টেলিপোর্ট হতে চাইলে যখন তখন করে ফেলতে পারবে । তবে যদি কাপুরুষ না হয়ে থাকো তাহলে পাঁচ দিন পর এখানেই দেখা হবে । বলেই আমি টেলিপোর্ট হয়ে গেলাম।

এডোয়ার্ড - ওয়াও , ইন্টারেস্টিং চরিত্র একটা। ঠিক আছে পাঁচ দিন পর দেখা হবে । বলে আমিও চলে গেলাম ।

নাঈম - ম্যাম আপনি চলে এলেন ।

মিও - হ্যা নাঈম , আমাদের নিজেদের তৈরি করতে হবে , হাতে পাঁচ দিন সময় আছে । তুমি নিজেকে তৈরি করো ভালো করে । তোমার বাবা কেমন আছে অনেক দিন তার সাথে দেখা হয়নি আর ।

নাঈম -, আপনি চেনেন আমার বাবা কে?

মিও - নিজের ভাই কে চিনব না ।

নাঈম - হোয়াট ? আপনি আমার বাবার বোন? 

মিও - হ্যা আমরা চার ভাই বোন , আমি সবার ছোট । প্রথমে কিং এরেন তারপর তোমার বাবা তারপর হেলী অর্থাৎ নীলের মা আর তারপর আমি । 

নাঈম - আপনি জানতেন নীল , নীলি আর আমি আপনার ভাই বোন এর ছেলে ? 

মিও - তুমি যদি জানতে পারো নীল তোমাদের ভাই তাহলে আমি কেনো জানবো না?

নাঈম - তাহলে এতদিন বলেন নাই কেনো ? যদি জানতেন তো 

মিও - অনেক কিছু আছে যা তুমি জানো না। তুমি জানো নীলের এক বড়ো ভাই ছিল ? জানো না তো । অনেক কিছুই আছে যা লুকিয়ে রাখা আছে । এই যেমন হ্যারি কে তোমরা চেনো কিন্তু তার পরিচয় কিছু জানো তোমরা ?

নাঈম - না ওকে তো নীলের সাথে দেখে ছিলাম প্রথম । আমার জানা মতে ওরা স্কুল থেকে বন্ধু আর কিছু জানি না ।

মিও- ওকে নীলের কাছে আমি পাঠিয়ে ছিলাম , যাতে দুজনে এক সাথে থেকে শক্তিশালী হতে পারে।

নাঈম - কিন্তু কেনো ? হ্যারি কে আপনি কি করে চেনেন ?

মিও - নিজের ছেলে কে চিনব না ।

নাঈম - কি ?? হ্যারি আপনার ছেলে ???

মিও - হ্যা , নিজের না, ওকে আমি একটা মিশন এর মধ্যে পেয়ে ছিলাম দিয়ে নিজে মানুষ করেছি যেটা ও জানে না। আমিতো বিয়েই করিনি ।

নাঈম - তাহলে আপনি নীল কে চেনেন তো আপনি হেলি আন্টি কে খুজে বের করেন নি কেনো ? 

মিও - ইচ্ছে করেই করিনি । হেলি যেখানে আছে ভালো আছে , আমি লুকিয়ে খোঁজ রেখে ছিলাম ওদের । তাই নীল কে যখন ভেনিয়া নিয়ে যায় আমি হ্যারি কে ওখানে পাঠিয়ে দিয়ে ছিলাম । 

নাঈম - আর নীলের বড়ো ভাই ? ওর ব্যাপারে তো কিছু শুনি নি কোনোদিন 

মিও - নীল আর মিলের সাথে যা হয়েছে সেটা কাওকে জানানো হয়নি । মিলের সময় হেলি কিছু করতে না পারলেও নীলের সময় সে নিজেই তার ছেলে কে নিয়ে চলে গেছিলো , দ্বিতীয় সন্তান কে সে ছাড়তে পারতো না। আমি তোমার বাবা এমন কি কিং ও কিছু করতে পারিনি ওদের জন্য । শুধু মাত্র হেলির জন্য । নাহলে এতদিন সবাই এক সাথে থাকতে পারতাম। ওই ড্রিয়েন বাক তার ভুলের শাস্তি ঠিক পাবে। 

নাঈম - কিন্তু মিল কোথায় ? আর নীল রাই কোথায় ?

মিও - চিন্তা করো না নীল ঠিক আছে , ওর কাজ ও করছে , ওকে আমি আগেই অনেক কিছু জানিয়ে দিয়ে ছিলাম , আর ওকে ডেথ ফরেস্ট এর ব্যাপারে অনেক তথ্য ওর মেমোরি তে দিয়ে ছিলাম , যার ফলে ও এখন ওর নির্দিষ্ট জায়গায় আছে আর ঠিক সময়ে এন্ট্রি ও নেবে ।আর মিল আর আর নেই ।

নাঈম - আমার মাথা ঘুরছে । এত কিছু হয়েছে আমরা জানি না।

মিও - হুম , আপাতত তোমার বোন কে আর বাকিদের তোমাকে ওখান থেকে মুক্ত করতে হবে। তাছাড়া নীলির কিছু হলে তোমার বাবা তোমাকে সাথে আমাকেও ছাড়বে না তাছাড়া ওর কিছু হতে দিলেও হবে না , পরিবারের সব থেকে ছোট সে ।মিল এর জন্য কিছু করতে না পারলেও তোমাদের কিছু হতে দেবো না । জানি না এই সময় হেলি কোথায় আর কিং এর খোঁজ ও নেই। হেলি তার সব শক্তি ত্যাগ না করলে আজ আমরা দুই বোন মিলেই এডোয়ার্ড কে হারিয়ে ফেলতাম । আর কিং থাকলেও হতো কিন্তু সে নিজেই হের গেছে কারণ সে অনেক বেরিয়ার ও অনেক জন কে সুরক্ষা দিতে গিয়ে তার এনার্জি হারিয়ে ফেলেছে । সময় নেই নিজেকে তৈরি করো । আমি আসছি এখন কিছু দরকার আছে আমার । 


হেলি - বাবা , এবার আর চুপ থাকবো না আমি ।

বার্ন - তুই তো নিজেই তখন কিছু করতে দিস নাই ।

হেলি - বাবা তুমি তো সবই জানতে।

বার্ন - আমি জানি তুই কি। তোর মত মেয়ে যদি আমার নিজের হতো রে , না না তুই আমার নিজেরই মেয়ে । 

হেলি - সেদিন বাবা আপনি আশ্রয় দিয়ে ছিলেন তাই নীল কে এত বড় করে তুলতে পেরেছি।

বার্ন - চুপ কর , তুই আমার মেয়ে , আর নীল আমার দাদুভাই বুঝলি

হেলি - হ্যা বাবা , নীলের মধ্যে আমার শক্তি তো দিয়ে ছিলাম যাতে ওর কোনো ক্ষতি না হয় , ওর কিছু হলে ওর ক্ষত নিজে নিজেই ঠিক সেরে যাবে । আর আমার শক্তি গুলো তো ও ব্যবহার করতে পারে না তাহলে ও যুদ্ধ করবে কি করে ?

বার্ন - তুই শুধু শুধু চিন্তা করছিস ? নীল আগের মত নেই, তোর শক্তির সাথে আমি আমার কাছে থাকা ইকারাস এর অল্প শক্তি দিয়ে ছিলাম যার জন্য ওর শক্তি অনেক তাছাড়া ও নিজেও অনেক মেহনত করে শক্তিশালী হচ্ছে । একি মিও তুমি এখানে ? 

মিও - হ্যা দেখতে এলাম , কেমন আছিস হেলি ?

হেলি - তুই বল নীল কেমন আছে ? ওর কিছু হয়নি তো ? 

মিও - শুধু শুধু চিন্তা করিস কেনো আমি তো আছি কিছু হবে না ওর , আর আপনি কি বলছিলেন বলুন ।

বার্ন - হ্যা ,, কিং লুক জানতো সে মারা যাবে তাই ইকারাস এর আসল শরীর সাথে শক্তি গুলো সে উইলি কে দেই আর অল্প কিছু শক্তি আমাকে দিয়ে ছিল , আমি সেই শক্তি কে নীলের কাছে পাঠিয়ে ছিলাম , মনে আছে একদিন নীল জঙ্গলে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল তখন সে ইকারাস এর সাথে পার্টনার হয়ে ছিল তারপর ওর সাথে থাকতো কিন্তু একদিন আমি ইকারাস কে ওর মধ্যে তোর শক্তির সাথে মার্জ করে দিয়ে ছিলাম । তাছাড়া তোর শক্তিশালী ডিফেন্স হোয়াইট শিল্ড ও ব্যবহার করতে দেখেছি আমি । তাই চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে ।

মিও - হ্যা নীল এখন ইকারাস এর পুরো শক্তি ব্যবহার করতে পারবে ওকে কিং উইলীর কাছে পাঠিয়েছি । 

হেলি - বাকি দের কি খবর ? 

মিও - ভালো না , আমার কাছে এখন শুধু নীল আর নাঈম আছে বাকিরা সব এডোয়ার্ড এর কাছে বন্দী , তবে তাদের আমি ছাড়িয়ে নেবো ঠিক । 

হেলি - নাঈম তো এরিন এর ছেলে তাই না , ওর একটা মেয়েও আছে শুনে ছিলাম ? 

মিও - এক সময় তোর মেয়ে হয়ে যাবে হাহা 

হেলি - কি বলছিস ? 

মিও - হ্যা , ঠিকই শুনেছিস ওর একটা মেয়েও আছে নীলি , সে এখন তোর বৌমা হবে বলে রেডি হাহাহা , সব সময় নীলের চিন্তায় বসে থাকে ।

হেলি - তাই নাকি , নীল তাহলে বড়ো হচ্ছে 

মিও - হ্যা , মা লাভ ম্যারেজ করেছে ছেলে কেনো বাদ যাবে । তাছাড়া তোর ছেলে একাডেমি তে ভালই ফেমাস প্রথম থেকে ।

হেলি - শুধু ওর বাবা টা যদি একই থাকতো মন খারাপ করে ।

মিও - ওই লোকের নাম নিবি না , তোদের জীবন টা নরক করে দিয়েছে , শুধু তুই আটকে ছিলি তাই নাহলে এতদিন ওর কি করতাম আমি জানি না ।

হেলি - হুম ভুল করে ছিলাম , তবে যতই হোক স্বামী তো । আচ্ছা বাদ দে মিলের কোনো খোঁজ পেয়েছিস ?

মিও - এই প্রশ্নের জন্যই তোর কাছে আসতে পারতাম না রে , তোকে কি করে বলি বলতো । (মনে মনে ) না রে অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছি পেলে তোর কাছে আনবো না তো কি করবো । 

হেলি - হুম

বার্ন - আচ্ছা মন খারাপ করতে হবে না । মিও কি খবর আছে বলো ?

মিও - খবর বলতে , পাঁচ দিন পর এডোয়ার্ড এর সাথে লড়তে হবে । 

হেলি - কে ওখানে কে ??

আমি ।।।

মিও - নাঈম তুমি এখানে ? তুমি কি ফলো করেছো আমাকে ?

নাঈম - হ্যা আন্টি , আমি জানতাম আপনি সব জানেন তাই এটাও ভেবে ছিলাম আপনি এখানে আসবেন তাই ফলো করে ছিলাম এসে অনেক কিছু জানতে পারলাম ।

হেলি - নাঈম তুমি কত বড় হয়ে গেছো ? এদিকে এসো , আমি কে বলতো ? আমি তোমার বড়ো আন্টি ।

নাঈম - জানলাম এখুনি ।

এডোয়ার্ড - আর অপেক্ষা করতে পারছি না । তবে ওদের নিশ্চয় কিছু চাল রেখেছে নাহলে পাঁচ দিন ই কেনো ।। না আমাকে কিছু একটা করতে হবে । ওই শোন তাড়াতাড়ি ওই ছেলে মেয়ে গুলো কে ধরে আন ? ওরা জানবে নিশ্চয় কিছু ? আর মুখ না খুললে একেক টা ধরে মেরে ফেলবো হাহাহাহা ।
চলবে,,,,,


Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.