••••••••° কিং অফ ম্যাজিক °••••••••
✓
✓
✓
✓
✓✓ লেখক নীল আহমেদ
✓
✓
✓
✓
✓✓ পর্ব ৩০✓✓
✓
✓
✓
(গল্পটি কাল্পনিক , বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই)
।
।
।
।
।
এডওয়ার্ড - বল তোরা তোদের ওই ম্যামের কি পরিকল্পনা আছে বল তাড়াতাড়ি ?
হ্যারি - কোনো প্ল্যান নেই তাছাড়া ম্যাম আমাদের কিছু বলে করে না ।
এডোয়ার্ড - তাহলে তোদের মুখ থেকে সহজে কথা বের হবে না , দেখ তাহলে কিভাবে কথা বের করি , বলেই একটা সোর্ড নিয়ে একজনের পেটে ঢুকিয়ে দিলাম ।
লিও - রি ,,, ই বা,,,,,,
সবাই - রাগে ফেটে পরবো এমন অবস্থা সবার। রিবার শরীর পরে রইলো , মুখ দিয়ে তার রক্ত বের হচ্ছে , চোখ দিয়ে পানি। শরীর টা কাঁপছে তার। ওদিকে এডোয়ার্ড হেসে যাচ্ছে । তখনি বিশাল একটা আওয়াজ শোনা গেলো , অনেক সেনার আর্তনাদ শোনা যাচ্ছে , লিও কে দেখলাম শান্ত হয়ে বসে আছে চোখ দিয়ে অনবরত পানি ঝরছে , আসতে আসতে তার শরীর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে শুরু করলো ডার্ক এনার্জি ও বলা যেতে পারে। হটাৎ ঘর টা অন্ধকার হয় গেলো কে একজন আমাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পারলাম অন্যদিকে এডোয়ার্ড চিল্লিয়ে যাচ্ছে এটা তার রাগ বুঝত পারছি । তারপর জানি না কেমন একটা অনুভুতি হলো ঘুম ধরে গেলো ।
হ্যারি - লিও লিও এই লিও?
লিও - ঘুম ভাঙলো , কেও একজন ডাকছে তখনই রিবার কথা মনে পড়লো , উঠে বসে এদিক সেদিক তাকাতে লাগলাম , দেখলাম অনেকেই বসে আছে আর অনেকেই শুয়ে আছে হয়তো ঘুমাচ্ছে । কিন্তু রিবা কে দেখতে পেলাম না, তাহলে রিবা কে কেও আনেনি । খুব কষ্ট হতে লাগলো ।
হ্যারি - চিন্তা করো না, তুমি যেটা ভাবছো বুঝতে পারছি তো অমন কিছু হয়নি , রিবার ট্রিটমেন্ট চলছে কয়েক দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।
লিও - সত্যি বলছো ?
নীলি - হ্যা , তখন একাডেমি থেকে কিছু এজেন্ট ও কিছু সিনিয়র স্টুডেন্টরা এডোয়ার্ড এর মহলে আক্রমণ করে ছিল তারাই আমাদের ওখান থেকে নিয়ে এসেছে এবং অনেকেই এখন মুক্ত হয়ে গেছে সবাই এখন রেস্ট করছে ।
হ্যারি - আমি ভাবতে পারছি না ওই মেয়ে টা আমাদের সাহায্য করবে ?
নীলি - হ্যা , তবে সে কোথায় গেলো সেটাই তো বুঝতে পারছি না।
লিও - কার কথা বলছো ?
হ্যারি - আরে যে আমাদের ধরে নিয়ে গেলো প্রথমে তারপর ওখানে ছিল ওই মুন নামের মেয়েটি ।
নীলি - মেয়েটা নিজেই একসময় আমাদের মারতে চেয়েছিল এখন আমাদের বাঁচালো, কিন্তু কি জন্য বুঝতে পারছি না।
মুন - তখন আমার উপর চাবির প্রভাব ছিল তাই নিজের ইচ্ছে না থাকতেও করতে হচ্ছিলো অনেক, তারপর এডোয়ার্ড মুক্ত হবার পর আমাদের যখন জ্ঞান ফিরে তখন আমরা চাবির প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে যায় , কিন্তু পালাতে পারিনি তাই সুযোগ খুঁজছিলাম আজ পেয়ে গেলাম ।
নীলি - তোমার একটা ভাই ছিল না?
মুন - হ্যা ওর শক্তিশালি হবার ভুত আছে তাই ওখানেই ও এডোয়ার্ড এর হয়ে কাজ করছে । শুধু বোন বলে আমাকে কিছু করেনি বা এডোয়ার্ড কে জানায়নি। তবে আজ হয়তো বলবে ।
এরিয়েল - আমাদের এখানে বসে থাকলে হবে না। প্রথমে ম্যাম কে খুঁজতে হবে তারপর ম্যাম এর থেকে জানতে হবে সব কিছু ।
তোমাদের এখন কিছু করতে হবে না , তোমাদের ম্যাম ঠিক আসবে এখানে ।
গ্যারি - তোমরা যদিও প্রথম বর্ষের ছাত্র ছাত্রী ছিলে তবে তোমরা অনেক ভালো কাজ করেছো । প্রথম বর্ষ থেকে তোমরাই শুধু বেঁচে আছো আর দ্বিতীয় বর্ষের কিছু জন। তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের কেও মারা না গেলেও তাদের অবস্থা খুব ভালো না । অনেকেই এক মাস দুই মাস তো বেড ছাড়তে পারবে না ।
হ্যারি - ভাইয়া আমরা কি করবো এখন ?
গ্যারি - মা আসুক বলবে সব কিছু ।
নীলি - তোমরা দুজন ভাই ?
সবাই অবাক হয়ে আছে কারণ গ্যারি চতুর্থ বর্ষের একজন টপ লেভেলের হিলার ।
গ্যারি - হ্যা হ্যারি আমার ভাই তবে নিজের না আবার পরের ও না ।
বুঝলাম না আপনার কথা ।
মিও - আমি বলছি ।
সবাই - ম্যাম আপনি সাথে নাঈম ও।
মিও - হ্যারি আর গ্যারি দুজনেই আমরা ছেলে ।
গ্যারি - তবে আমরা নিজের ছেলে না হলেও মা আমাদের আলাদা চোখে দেখেনি আমাদের নিজের ছেলের মতোই মানুষ করেছে ।
মিও - তোমাকে ওই কথা টা না বলতে মানা করেছি? তোমরা আমার ছেলে । আর নাঈম আর নীলি আমার ভাইয়ের ছেলে । নীলি এদিকে আসো ।
নীলি - ম্যামের কাছে গেলাম।
মিও - তুমি নাঈম এর সাথে যাও যেখানে নিয়ে যাবে । আর মাইরা কেভিন তোমাদের রাজ্য থেকে খবর এসেছে তোমাদের যেতে বলেছে তোমরা কি করবে ?
মাইরা - বাবা কে বলে দিন আমরা বড়ো হয়েছি আর আমরা কোথাও যাবো না। এই লড়ায়ে আমরাও থাকবো ।
মিও - গুড। চলো তোমাদের ট্রেনিং শুরু হবে । সবাই রেডী হও । আর চারদিন আছে হাতে ।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
নীলি - কোথায় যাচ্ছি আমরা এদিকে ?
নাঈম - গেলেই দেখতে পাবি
নীলি - বল না কোথায় যাচ্ছি
নাঈম - নীলের মায়ের কাছে ।
নীলি - কি বলছিস ? সত্যি বলছিস তুই খুজে পেয়েছিস ?
নাঈম - হ্যা এবার চল।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
আমি - জ্ঞান ফিরতে নিজেকে ওখানেই আবিষ্কার করি । আস্তে আস্তে উঠে বসি , সারা শরীর ব্যাথা করছে কিন্তু ক্ষত গুলো আর নেই । এই ইকারাস এর সাথে যেমন তেমন করে লড়াই করলে হবে না । আরো শক্তির দরকার আমার । এই সময় লুসিফার ও নেই ।
লুসিফার - কে বললো নেই ? আমি আছি ইকারাস নেই বলতে পারো ।
আমি - এই তুমি আছো তো কিছু বলোনি কেনো আর কিছু করলে না কেনো ?
লুসিফার - মনে রাখো নীল নিজেকে শক্তিশালী করতে চেয়েছিলে এখন আমাদের ভরসায় বসে থাকলে তো হবে না । এই যুদ্ধ আমাদের হলেও এখানে আমাদের তেমন ভূমিকা নেই হয়তো এমন কারোর সাথে লড়াই হবে পরে যখন আমরা কোনো ভাবে তোমার থেকে আলাদা হয়ে গেলাম তখন কি করবে ? তাই তোমাকে একা ছেড়ে দিয়েছি যদিও ইকারাস তোমাকে মারেনি তবুও একেবারে মারতে পারতো না কারণ আমি কিছু না করে বাঁচিয়ে দিতাম । তবে এবার তুমি আবারও একাই লড়বে তবে বাঁচাবো না তাতে তোমার মৃত্যু হলেও আমি কিছু করবো না । তোমাকে জিতলে একা জিততে হবে তবেই তুমি শক্তিশালী হবে ।
আমি - হুম ,,, এটা ঠিক । ধন্যবাদ । উঠে দাড়ালাম।
লুসিফার - তবে এখনি যেও না লড়তে তাহলে কিছু করতে পারবে না । আমি আসে পাশে একটা জায়গায় ভালো এনার্জি অনুভব করতে পারছি কিন্তু কোনদিকে বলতে পারবো না , তুমি আরভিন কে খুজে কিছুদিন রেস্ট নাও তারপর নিজেরা ভেবে দেখো কি করবে আমি চললাম । আমি লম্বা একটা ঘুম দেব, হয়তো শেষ ঘুম হাহা কারণ তুমি মরে গেলে আমার তো ঘুম ভাঙবে না । টেক কেয়ার ।
আমি - ঠিক আছে । চলতে শুরু করলাম আসে পাশে ভালো করে লক্ষ করতে লাগলাম অনেক দূরে একটা গাছ চোখে পড়লো গাছে কিছু ফল আছে তাই ওদিকে যেতে লাগলাম কারণ অনেক খুদা লেগেছে । ওখানে কিছু ফল খেয়ে কিছু রাখলাম আরভিন এর জন্য । কিছু গাছ পেলাম যেগুলো মেডিসিন এর কাজ করবে । তারপর আরভিন কে খুঁজতে লাগলাম । অনেকক্ষণ ধরে খুজে যাচ্ছি কিন্তু শহর টা ভালই বড়ো তাই অসুবিধে হচ্ছে। এখান টা আমাকে এমন লাগছে কেনো, কেমন একটা হচ্ছে । হাঁটতে হাঁটতে একটা বিশাল বাড়ির সামনে চলে এলাম সেটা পেরিয়ে একটা গলি আছে ওটা পেরিয়ে এগোতেই ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায় । কি হলো বুঝে ওঠার আগে দেখি জায়গা টা চেঞ্জ হয়ে গেছে একটা বিশাল জায়গা যেখানে কিছুই নেই আকাশ তাও অন্ধকার তবে এখানে দিন । কিছুই বুঝলাম না কি হচ্ছে কোথায় চলে এলাম । কিছুক্ষন পর একটা বই দেখলাম যেটা থেকে আলো ছড়াচ্ছে এবং বইটি হাওয়ায় ভাসমান অবস্থায় আছে । গিয়ে ওটা ধরতেই আলো বন্ধ হয়ে গেলো এবং একটা পৃষ্ঠা নিজেই খুলে গেলো । বইটি তে লেখা আছে ।
আমি গড অফ ডেথ বা ডেথ গড বলতে পারো। আমার নাম মর্তে। আমি একজন গড হয়েও এই প্ল্যানেট এই থাকি এটা একটু বুঝতে অসুবিধে জানি তবে আসলে আমি তোমাদের গ্রহ তে নয় তুমি আমার প্ল্যানেট এ চলে এসেছো আর আমার প্ল্যানেট তোমাদের প্ল্যানেট এই অবস্থিত । এটা মাথার উপর দিয়ে গেছে জানি তবে বুঝিয়ে বলার জন্য আমি আছি । আসলে এই বিশাল জায়গা টা একটা প্ল্যানেট কিন্তু এটার সাইজ এক ফোঁটা পানির মত তুমি এর মধ্যে চলে এসেছো । এই ছোটো স্পেস টা তোমাদের প্ল্যানেট এর মধ্যে । তবে আমি এখানে প্রায় অনেক বছর ধরে ছিলাম তারপরে আমি সব গড দের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে এখানে নিজে কে শীল করে ফেলি এই বই তার মধ্যে । তুমি যেহেতু এখানে এসেছো তার মানে হয় তুমি আমার বংশধর নয়তো গড অফ সুপ্রিম ইউনিভার্স (যতজন গড থাকে একটা ইউনিভার্স এর মধ্যে তাদের মধ্যে যে হেড হয় তাকে সেই প্ল্যানেট এর নাম ধরে ডাকা হয় ) এই দুটো যদি না হয়ে থাকো তাহলে তুমি নিশ্চই ফিউচার কিং অফ ম্যাজিক । কারণ এই তিনজন ছাড়া এখানে প্রবেশ কেও করতে পারবে না । তোমাকে কিং অফ ম্যাজিক না বলে ফিউচার বলার কারণ তোমার মধ্যে সেই এনার্জি অনুভব করতে পারছি না । আশা করি এই সব তোমার মাথায় ঢুকেছে । আর প্রথম টা তুমি নও কারণ আমার কোনো সন্তান নেই তাই তুমি আমার বংশের কেও না । এখানে এসেছো যখন তোমাকে আমার জায়গা নিতে হবে অর্থাৎ গড অফ ডেথ হতে হবে তার জন্য তোমাকে কিছু কাজ করতে হবে । তবে তুমি গড অফ ডেথ হলে কিং অফ ম্যাজিক হতে পারবে না। তবে কিছু একটা আছে যেটার জন্য তুমি কিং অফ ম্যাজিক ছাড়াও গড লেভেলে যেতে পারবে গড অফ ম্যাজিক হবে নাকি বলতে পারছি না কারন তার শক্তি সব থেকে বেশি হয়ে থাকে এমনকি গড অফ সুপ্রিম ইউনিভার্স এর থেকেও তবে তাকে হেড করা হয়না কোনো কারন এ । তবে তোমার মাথায় কিছু তথ্য আমি দিয়ে দিচ্ছি যেটা তোমার পরে কাজে দেবে । আর আমার শক্তির কিছু টা আমি তোমাকে দিচ্ছি তবে এটা শুধু তুমি যেখান থেকে এসেছো ওখানেই ব্যবহার করতে পারবে কারণ ওটা তোমাদের প্ল্যানেট এর মধ্যে হলেও ওটার অস্তিত্ব শেষ হয়ে গেছে । তাই ডেথ ফরেস্ট এর পঞ্চম জোন বলে কিছু নেই আর । তো তুমি ওখানে আমার শক্তি ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু কোনো মানুষ বা কোনো প্ল্যানেট এর মধ্যে ব্যবহার করলে তুমি সমেত পুরো প্ল্যানেট ধ্বংস হয়ে যাবে তাই সাবধানে ব্যবহার করবে । তোমার কাছ কিছু তথ্য আমি দিয়েছি এবার তুমি দেখো তুমি কি করবে।
আমি - ওসব হওয়ার পর আমার কিছু মনে নেই । আমি নিজেকে সেই বড়ো বাড়ির সামনে পেলাম । নিজের মধ্যে অনেক ভারী মাত্রা তে একটা শক্তির অনুভব করলাম । তারপর ঐ তথ্য গুলো মাথায় আসতেই মুখে একটা হাসি দেখা গেলো যেটা যেকেউ দেখে বলবে কোনো ভালো লক্ষণ না । আমি হাসতে হাসতে এগিয়ে গেলাম আরভিন কে দেখতে পেয়ে তাকে হিল করতে লাগলাম । গড অফ ডেথ এর কিছু শক্তির জন্য আমার পুরো পার্সোনালিটি চেঞ্জ হয়ে গেছে বলা যেতে পারে। আমি আরভিন কে কিছু খেতে দিয়ে ওখানেই শুয়ে পড়লাম।
আরভিন - জ্ঞান ফিরে দেখি পাশে নীল বসে আছে , তাকে কেমন যেনো লাগছিল কিছু প্রশ্ন করলাম কোনো উত্তর পেলাম না শুধু ফল গুলো দিল খেতে । তাই খেয়ে নিলাম । নীল শুয়ে পড়তেই উঠে দাড়ালাম একটু শরীর টা কে ঠিক করতে হবে একটু ট্রেনিং করি । ট্রেনিং করতে করতেও নীল এর কথা ভাবলাম , এমন লাগছে কেনো ওকে আর ওর এনার্জি টাই কেমন একটা অনুভুতি সৃষ্টি করছে কেমন জানি ভয় লাগছে । ভাবলাম হয়তো ইকারাস এর কাছে হেরে মন টা ভালো নেই তাই হয়তো তবে কিছু একটা হয়েছে এটা বুঝতে পারছি কিন্তু কি ????
।
।
।
।
।
।
।
।
।
।
জানি পর্ব ছোট হয়েছে তবে এটার বেশি লিখতে সমস্যা হচ্ছে বেশি ভাবনা আসছে না । পরের পর্ব যেমন দিয়ে থাকি তেমনি দেবো ।
চলবে ,,,,,,,,,
<<<