#ডাইভার্স#
#সিজন_2#
.
পর্ব:১১
.
.
লেখক:হৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি ব্লাক নাইটের রাজার সামনে দাড়িয়ে আছি। মুভিতে প্রিন্সেসদের বাবা রাজা গুলো যেমন হয় ঠিক সেসরকমই দেখতে সে। বয়স অনেকটা হয়েছে। তারপরও বৃদ্ধ মনে হচ্ছে না। পেটে ভালোই মেদ রয়েছে। নরতেও হয়তো সমস্যা হবে তার। সে কিভাবে ইউনিভার্সের রাজা হয়েছে সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমার সাথে কথা বলতে লাগলো।
.
--গোল্ডেন ড্রাগন! তাহলে শেষ মেষ গোল্ডেন ড্রাগনকে আমি পেয়েছি। আমার স্বপ্ন তাহলে অপূর্ন থাকবে না।(রাজা)
.
--গোল্ডেন ড্রাগন?(আমি)
.
--সব ইউনিভার্সের দশ মাইটি বিস্ট এর মধ্যে একটা গোল্ডেন ড্রাগন। আমি বুঝতে পারছি না গোল্ডেন ড্রাগন তোমার মতো বাচ্চা ছেলের শরীরে কি করছে। কিন্তু একবার তোমাকে মারতে পারলে গোল্ডেন ড্রাগনের ক্ষমতা আমার হবে। তখন সকল ইউনিভার্সের রাজা হবো আমি।(রাজা)
.
--কি বলছো আমি বুঝতে পারছি না। তবে রাজা জায়গাটা আপনার জন্য না। হয়তো সেটা অন্য কারো জন্য অপেক্ষা করছে।(আমি)
।।।
।।।
আমি কিছু না ভেবে রাজার উপরে আক্রমন করতে গেলাম। আমার নিয়াকের ফর্মে আসার পরই আমার চারদিক দিয়ে কয়েকটা ওয়েব বের হয়েছে, যেগুলো হাওয়ার মতো অনেকটা। সেগুলো আমাদের পাশে থাকা ব্লাক নাইটদের অনেকটা আগেই দূরে ফেলে দিয়েছে। এখন আমার কাছে শুধু গুয়েন এবং ব্লাক নাইটদের রাজা রয়েছে। গুয়েনকে আমি ইঙ্গিত দিয়েছি পাশেই না থেকে সরে গিয়ে বাকিদের সাথে যোগাযোগ করতে। আর সে চলেও গিয়েছে যেগাযোগ করতে। আমি রাজার উপরে হামলা করলাম। আমি নিয়াকের ফর্মে থাকায় নিয়াকের পারশোনালিটি আমার মধ্যে এখন। আর এই ফর্মে শক্তিশালী লড়াই আমার অনেক ভালো লাগে। ডার্ককিউম তো কিছুই না, তবে এই ঝোকার আলুর মতো দেখতে রাজা খুব শক্তি। তাছাড়াও সে আবার গোল্ডেন ড্রাগনের সম্পর্কেও কিছুটা জানে, যেটা আমার স্মৃতিতে মুছে আছে। আমি জানি না গোল্ডেন ড্রাগন কোথায়, কিন্তু সে বললো আমার ভিতরে। তাই আমি আপাতোতো কিছু বুঝতে পারছি না। আর আমাকে বুঝিয়ে বলার মতো লোক মনে হয় না এই রাজা৷ তারচেয়ে সে আমাকে মারতে প্রস্তুত। আমাকে যে করেই হোক রাজাকে মারতে হবে। রাজার ক্ষমতা প্রথমেই দেখা যাক। আমি আমার সকল ক্ষমতা দিয়ে রাজার সামনে এগিয়ে গেলাম। রাজার ভুরিওয়ালা পেট থাকার ফলেও সে সুপার স্পিডে আমার দেওয়া প্রথম কিক এড়িয়ে গেলো। আমি পরাপর কয়েকটা ঘুষিও দিতে গেলাম কিন্তু তার স্পিডে আমি তাল মিলাতে পারছি না। হঠাৎ সে একটা কিক দিলো আমার পিছনে এসে। এতো স্পিডে সে নরাচরা করছিলো যে তার আঘাত আমি দেখতেই পারছি না। তার কিক লাগার পূর্বে আমি কয়েক সেকেন্ড ভবিষ্যতে দেখে সোজা গোস্ট ফর্মে চলে আসলাম। রাজার কিকটা আমার শরীর ভেদ করে ফ্লোরে লাগলো। আর পুরো ফ্লোর ভেঙে গেলো। রাজা উড়তে লাগলো হাওয়ার উপরে। তার এক কিকের ফলে প্রাসাদের পুরো এক অংশ ভেঙে গেছে। সেটা আমর শরীরের কোনো অংশে লাগলে সেটা দু টুকরো হয়ে যেতো। আমি এখন কিছুটা সাবধান হলাম৷ দূরে থেকে কিছুক্ষন লড়তে হবে। তার পুরো ক্ষমতার কিছুই ছিলো না এটা। আমাকে দূরে থাকা দেখে রাজা দূর থেকেই তার হাত দিয়ে আমার দিয়ে স্লাইস দিলে দুটো। এক্সের আকারে দুটো স্লাইস দেওয়ায় সেটার ফলে কালো এনার্জির ওয়েব আমার দিকে আসছিলো। আমি গোস্ট ফর্ম ব্যবহার করতে পারবো না এটার বিরুদ্ধে। গোস্ট ফর্মের ফলে কোনো আমি শারিরীক সকল আঘাত থেকে এরিয়ে যেতে পারবো। কারন শারিরীক কোনো আঘাত আমার শরীরে লাগবে না। কিন্তু ম্যাজিকাল কিংবা সুপার ন্যাচারাল ক্ষমতার আঘাত গুলো আমি এড়াতে পারবো না সহজে। একটা উপায় হবে উড়ে গোস্ট ফর্মের মাধ্যমে কোনো কিছুর ভিতরে চলে যাওয়া। কিন্তু সেটা আমার আপাতোতে কাজে দিবে না। আমি দিটোকে কোনো রকম এরিয়ে গেলাম। তবপ আমার ডান হাতের ডানায় কিছুটা ক্ষত হলো। আমি এরানোর পরে রাজাকে দেখতে পেলাম না কোথায়। হঠাৎ সে আমার পিছনে চলে আসলো এবং আমি ঘোরার সাথে সাথে আমার গলা ধরে ফেললো। ঠিক সেই সময় জেট নিয়ে বাকি সবাই চলে আসলো। জেটের বাইরে থেকে অনু বের হলো এবং তার পেন অফ আই দিয়ে একটা ধনুক বানালো। যেটা সেই সময়ই রাজার মাথার উপরে তীর ছুরলো। তবে রাজা সাথে সাথেই টেলিপোর্ট হয়ে গেলো। এবং অনুর পিছনে গিয়ে দাড়িয়ে বাম হাত দিয়ে ওর গলাও ধরে ফেললে। বাকি সবাই কেউ আঘাত করতে পারছে না, কারন আমরা তার হাতে বন্ধী।
.
--নীল পৃথিবীর প্রিন্স এবং প্রিন্সেস, আসা করি নি দুজনকে একসাথে দেখবো। আমার ধারনা ছিলো দুজনই মারা গিয়েছিলে। তবে কি আশ্চর্য, গোল্ডেন ড্রাগনকে নিয়ে আমার কাছে চলে আসলে দুজনি।(রাজা)
.
--তুমি বাচবে না নাইট রাজা। যেসব তুমি আমাদের সাথে করেছে, তাতে অনেক কিছু হারাতে হয়েছে আমাদের।(অনু)
.
--ও, দেখো টিট্রোয়ামের মেয়ে তো দেখছি রাগে অস্থির। যে আমার হাতের মুঠোই বন্ধী এখন সে আমার বিরুদ্ধে করবে কি?(রাজা)
.
--ভাইয়া আমাকে মাফ করে দিস। আমি কিছু করতে পারি নি তোর বোন হয়ে। তোকে পুরো জীবন আলাদা হয়ে থাকতে হয়েছে।(অনু)
।।।
।।।
অনু বলেই ওর ধনুককে তলোয়ারে পরিনত করলো। এবং রাজার ডান চোখের দিকে একটা স্লাইস দিলো। যেটার ফলে রাজার ডান চোখ পুরো অন্ধ হয়ে গেলো। রাজা ঠিক মতো দেখতে পারছিলো না যন্ত্রনায়। তাই সে আমাদের দুইজনকে দুইদিকে ফেলে দিলো। আমার কাছে গোল্ডেন চাদর থাকার পরেও নিচে পরায় আমার বাম হাত কিছুটা ভেঙে গেছে। নারাতে সমস্যা হচ্ছে। আমার হিলিং ক্ষমতা কাজ করা শুরু করে দিয়েছে। রাজার কাছেও হিলিং ক্ষমতা থাকলেও রাজার চোখটা হিল করতে পারবে না সে। তাকে চোখ পাল্টাতে হলে অন্যের চোখ লাগাতে হবে। তাই আপাতোতো আমাদের একটা চান্স থাকতে পারে। অনুকে যেখানে ফেলেছে আমি সেদিকে লক্ষ করলাম। অনু অনেক গুরুতর আঘাত হয়েছে। রাজা তার প্রচুন্ড শক্তিতে আমাদের মাটিতে নিক্ষেপ করেছে। আমরা যেখানে পরেছু তার অনেকটা জায়গা নিয়ে গর্ত হয়ে গেছে। হঠাৎ রাজার দিকে লক্ষ করে দেখলাম, সে তার ডান হাতে আকাশ থেকে লাইটনিং চলে আসলো। আর সেই লাইটনিং সে সোজা অনুর দিকে মারলো। অনুর পেন অফ আই এর যে আর্মার ছিলো সেটা নিচে পড়ায় অনেকটা ভেঙে গেছে আর রাজার এই আঘাত ওর নিজের জন্য অনেক ভয়ানক। আর আমিও দ্রুত যেতে পারছি না। আমি চাইনা আমার বোনের এখানে কিছু হোক। আমি চাই না আমার বোন আমাকে রেখে চলে যাক। আমি সুপার স্পিড ব্যবহার করলাম তারপরও রাজার লাইটনিং এর সাথে পেরে উঠলাম না। তাই দাড়িয়ে গেলাম আমি সেখানেই, তখনি সেখানে হৃদয় দৌড়ে পৌছে গেলো এবং অনুর সামনে গিয়ে দাড়ালো। মনে সে তার সামনে একটা ডার্ক এনার্জির ঢাল তৈরী করলো যেটা লাইটনিং টাকে কিছুটা সময় আটকালো। কিন্তু লাইটনিং থামার নাম নিচ্ছে না। সেটা যেতেই চাচ্ছে সামনের দিকে। যার ফলে হৃদয় এর পেট দিয়ে সেটা এই পাশ থেকে ঔপাশে বের হয়ে যায়। এবং অনুর কিছুটা পাশ দিয়ে একদম সোজা মাটির মধ্যে ঢুকে যায়। আমি বুঝতে পারলাম না সেটা কিরকম আঘাত। কিন্তু এটা ঠিকই বুঝেছি একটা চোখ দিয়ে না দেখার কারনে রাজার নিশানা এখন কমে গেছে। আর এজন্য আমার বোন বেঁচে গেছে। যদিও আমার এই ফর্মে কোনো ইমোশন নেই, তারপরও আমি কিছু সময়ের জন্য কষ্ট পেয়েছিলাম। আমার ভিতরের অন্য সত্ত্বার জন্য হয়তো সেটা। যায়হোক হৃদয় এবার মাটিতে পরে যেতে লাগলো। অনু ওকে ধরতে যাবে কিন্তু তখনি মানি চলে আসতে লাগলো মাটি থেকে। আস্তে আস্তে দেখতে দেখতে পুরো পানির একটা সমুদ্র বানিয়ে দিলো হৃদয় এখানে। এবং পানির মধ্যে সে ভাসতে লাগলো। অনু হৃদয় এর পাশেই আছে। পানি হৃদয়কে হিল করে দিচ্ছে। এদিকে বাকি সবাই জেটের মধ্যে ছিলো। তারা বাকি নাইটদের নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। যার কারনে এতোক্ষন কোনো নাইট আমাদের লড়াই এর মধ্যে আসে নি। আর এখন তো পানি হয়ে গেছে পুরো এলাকা জুড়ে। আমিও পানির মধ্যে আছি, কিন্তু এই পানি সাধারন পানির মতো লাগছে না আমার। আমি শুনেছি পানি দিয়ে হৃদয় ওর ক্ষত হিল করতে পারে। কিন্তু আমার এবং অনুর ক্ষত গুলোও হিল হতে শুরু করলো পানিতে থেকে। পানি যখন বেশী হতে শুরু করলো তখন বুঝলাম এখানল দম নিতেও সমস্যা হচ্ছে না। হয়তো রিয়েলিটি স্পেল এর সাথে ওর পানির ক্ষমতা ব্যবহার করেছে ও। কিন্তু বিষয়টা আসলেই অনেক শক্তিশালী। আমার সবটা সময় মনে হয়েছে হয়তো হৃদয় আমার পেন অফ আই পেয়েই এতো শক্তিশালী হয়েছে। কিন্তু ও নিজেও অনেক শক্তিশালী।
।
হৃদয় পুরো পানি নিয়ে এসেছে ওর লড়ার জন্য। কিন্তু আমার মনে হয় না সেটা আমাদের জন্য ভালো ফিটিং হবে। কারন রাজা লাইটনিং ব্যবহার করে। আর তার লাইটনিং পানির জন্য মারাত্মক একটা জিনিস। আমি জানি না হৃদয় কি চিন্তা করছে। কিন্তু আমার মনে হয় না কিছু হবে আমাদের এখানে। রাজা আবারো তার লাইটনিং ক্ষমতা আমাদের দিকে ছুরলো। যেটা আমাদের পানির দিকে আসতে লাগলো। হঠাৎ হৃদয় আমাদের আশেপাশের পানিকে আগুনে পরিনত করে দিলো। এটার রিয়েলিটি নিয়েও সে খেলা শুরু করে দিয়েছে৷ কারন আগুনে থাকার পরেও আমাদের কিছুই হচ্ছে না। বরং আরো মনে হচ্ছে আমার ক্ষমতা গুলো বুস্ট হয়ে গেছে। হৃদয় এর আগুনের রংটা অনেকটা গোল্ডেন কালারের, যেটা দেখে আমার হঠাৎ কিছু একটা মনে পরতে শুরু হলো। কিন্তু পুরো মনে পরার সাথে সাথে আমি ঘুমের মধ্যে চলে গেলাম। হঠাৎ চোখ খোলার সাথে সাথে আমি বিশাল একটা ড্রাগনকে দেখতে পেলাম। হ্যা এটাই গোল্ডেন ড্রাগন। যার আকার অনেক বড়। একটু আগে পূর্বের কথা আমার মনে পরেছে। আমার প্রথম জন্মদিনে আমার সাথে দেখা হয়েছিলো গোল্ডেন ড্রাগনের। আর আমাকে আমার জন্ম দিনের সবচেয়ে সেরা গিফট দিয়েছিলো সে। আমি তার কাছে আমার জন্মদিনের সবচেয়ে দামী গিফট চেয়েছিলাম। যেটা সে দিয়েছিলো আমার শরীরের মধ্যে অবস্থান করে। হ্যা গোল্ডেন ড্রাগন আমার শরীরের মধ্যে রয়েছে। অনেকটা নারুটো এনিমির প্রধান চরিত্রের পেটের মধ্যে যেমন নয় লেজের শেয়াল থাকতো, ঠিক সেভাবে আমার শরীরে গোল্ডেন ড্রাগন রয়েছে। আমার মাঝে গোল্ডেন ড্রাগন সিল হয়ে আছে। কিন্তু তার কোনো ক্ষমতা আমি ব্যবহার করতে পারি না
.
--অনেক বছর পরে দেখা হলো নিয়াক। আমি অপেক্ষায় ছিলাম তোমার জন্য।(ড্রাগন)
.
--তো আমি কি মারা গিয়েছি?(আমি)
.
--না, তবে শীঘ্রই মারা যাবে। এই রাজার সাথে তোমরা কেউ পারবে না। আমার সাহায্য ছাড়া কোনো কিছুই করতে পারবে না।(ড্রাগন)
.
--তো আমাকে শেষ মেষে তোমার সাহায্য নিতে হবে। তুমিই বলেছিলে তুমি অতিষ্ঠ হয়েছিলো ড্রাগনদের সাথে থেকে, যার কারনে আমার মধ্যে সিল হয়ে ছিলে এবং তোমার স্মৃতি আমার থেকে মুছে দিয়েছিলে।(আমি)
.
--বেশী সময় নেই তোমার হাতে। ঔদিকে তোমার বোন এবং বন্ধুদের অবস্থা টাইট। তো বলো আমার সাহায্য কি প্রয়োজন তোমার?(ড্রাগন)
.
--হ্যা সেটা তো প্রয়োজন। তবে আমার শরীরকে তো নিজের কনট্রোলে করতে চাইবে না?(আমি)
.
--এরকম কিছু করার ইচ্ছা আমার নেই। এমনিতেও সেটা করতে গেলে তিন সত্ত্বার তৈরী হবে, আর আমাকে তোমার বাকি সত্ত্বার সাথে যুদ্ধ করতে হবে। তাই তোমার চয়েজ। আমার সাহায্য কি তোমার দরকার হবে?(ড্রাগন)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--ঠিক আছে তাহলে। আজ থেকে তোমার নাম প্রিন্স নিয়াক না৷ আজ থেকপ তোমার নাম প্রিন্স গোল্ডেন ড্রাগন।(ড্রাগন)
.
--এটা কোনো নাম হলো?(আমি)
।।।
।।।
হঠাৎ করে আমার ঘুম ভেঙে গেলো। আমি কোথায় ছিলাম আমি জানি না। তবে নিজের নতুন নামটা মোটেও ভালো লাগছে না। এদিকে এবার রাজার হাতে হৃদয়ের রক্তাক্ত শরীর রয়েছে। সে আমাকে দেখে তাকে ছেড়ে দিলো। হৃদয় মারা যায় নি এজন্য আমি চিন্তিত হলাম না। তবে আমি আর দাড়িয়ে রইলাম না। সকল পানি চলে গিয়েছে। কিছুটা পানি শুধু হৃদয় এর শরীরকে হিল করার জন্য রয়েছে। আমি উপরে সুপার স্পিডে চলে আসলাম। রাজা কোনো কথা বলছে না। সে রেগে আছে অনেক। তার শরীরে অনেক ক্ষতের তৈরী হয়েছে, যেটা হৃদয়ই দিয়েছে। তার ডান হাত কাটা রয়েছে, হয়তো হৃদয় লাল পেন অফ আই দিয়ে এটা করেছে। কিংবা সেটা অনু ও করতে পারে। রাজার রাগ এবার অনেক বের গেলো। সে তার আরো ভয়ানক হয়ে গেছে এখন। কিন্তু তার অবস্থা এখন খারাপের দিকে। আমি সময় নষ্ট না করে একটা আঘাতে শেষ করতে চাইলাম। আমি ওর কাছে সুপার স্পিডে গিয়ে ঘুষি দিলাম একটা। যার ফলে আমার হাত দিয়ে পুরো গোল্ডেন ড্রাগন বেরিয়ে আসলো। এটা আসল গোল্ডেন ড্রাগন না বরং এটা আমার নতুন একটা ক্ষমতা আমার শরীরে গোল্ডেন ড্রাগন থাকার ফলে। এটার নাম দিলাম ড্রাগন পান্স। ড্রাগনটা রাজাকে নিয়ে সোজা উপরে চলে গেলো। সে রাজার প্রতিটা শরীরের অংশকে চাবাতে চাবাতে গুড়ো গুড়ো করে ফেললো। যেটা ভয়ঙ্কর একটা দৃশ্য। আমি কখনো ভাবি নি গোল্ডেন ড্রাগনের ক্ষমতা এতো ভয়ানক হবে। আর ছোট বেলায় যখন আমি গিয়েছিলাম তার সাথে দেখা করতে তখন আমি লাঠি মেরেছিলাম তাকে, শুধু কল্পনা করি সে আমাকে তখনি চাবিয়ে খেয়ে ফেলতে পারতো। যাইহোক আমি চিন্তা করি নি আমার কাছে ওয়ান পান্স ম্যানের মতো ক্ষমতা আসবে। ক্ষমতার কথা চিন্তা না করে আমি অনু এবং হৃদয়কে জেটের মধ্যে নিয়ে গেলাম। আমাদের এই দুই ইউনিভার্সের সকল লড়াই শেষ হলো এই শেষ লড়াই এর মাঝে। শীঘ্রই আমাদের সবাই আলাদা হয়ে যাবো। যার যার নিজের লাইফে ব্যস্ত হয়ে যাবো।
।।।
।।।
আরো দুই বছর পরের কাহিনী,
। সেই দিনের লড়াই এর পর ডাই এস্টার ইউনিভার্স পুরো স্বাধীন হয়ে গেছো। যতো ব্লাক নাইট ছিলো তারা হার মেনে ফেলেছে। আর নিয়ম মতো আমাকে ডাই এস্টারের দ্যা ব্লু আর্থের রাজার স্থানে বসতে হয়েছে। তবু সেটা আমার মূল দায়িত্ব না। আমি, হৃদয়, অনু এবং গুয়েন বাদে বাকি সবাই টাইম মেশিন দিয়ে পূর্বের সময়ে চলে গিয়েছে যেদিম তারা তাদের ইউনিভার্স থেকে এসেছিলো। এতে করে তারা তাদের ইউনিভার্সের একটা সময়ও নষ্ট করে নি, এবং কোনো ভিন্ন ভবিষ্যত তৈরী হয় নি। আমাকে রাজা বানানোর সময়ে আমি সোজা মানা করেছিলাম রাজার আসন গ্রহন করতে। তাই চাপ অনুর উপরে পরে যায়। আর অনু তখনি হৃদয় এর সাথে পালিয়ে চলে যায় হৃদয় এর ইউনিভার্সে। অবশ্য ওদেরকে বাবায় বিয়ে দিয়ে পাঠিয়ে দেই যাতে আমি রাজা হতে মানা না করি। আমার রাজা হওয়ার কিছুদিন পরেই বাবা মারা যান। যার ফলে পুরো ব্লু আর্থের দায়িত্ব আমার উপরে পরে যায় রাজা হওয়া যে কতটা বিরক্তকর সেটা আমি বুঝতে পারছিলাম। তাই আমি আমার প্লান ব্যবহার করেছি। আমি না যাওয়ার পরও গুয়েনকে বিয়ে করে তাকে আমার রানী বানিয়ে ফেলি। যার ফলে রাজ্যের সব দায়িত্ব আমি তাকেই দেখতে বলি। আমার কেনো জানি ভালো লাগে না এই পৃথিবীটা। বরং আমার ভালো লাগে এস্টার ইউনিভার্সের পৃথিবী। যেখানে আমি বড় হয়েছি। অবশ্য একটা বছর হয়েছে আমি এস্টার এক সপ্তাহ এস্টার ইউনিভার্সে এবং এক সপ্তাহ ডাই এস্টার ইউনিভার্সে থাকি। এক বছর পূর্বে আমি এস্টার ইউনিভার্সে গিয়ে আমার অন্য পরিচয়ে আমি নিলাকে বিয়ে করে ফেলি আবার। যদিও আমাদের বিয়ে একবার হয়েছিলো, তারপরও কেউ আমাকে চিনে না আমার অস্তিত্ব হারানোর ফলে। কিন্তু আমার ইলুশন ক্ষমতার কারনে আমি খুব সহজে তাদেরকে মানিয়ে নিলার সাথে বিয়ে করে ফেলি। আর এখন আমার একটা সপ্তাহ নিলার সাথে আরেকটা সপ্তাহ গুয়েন এর সাথে কাটে। এখন মনে হলো হৃদয় কেনো লেখক এর দোষ দিচ্ছিলো বার বার। ওর অনেকগুলো বউ এর দোষ সে লেখকের দোষ বলেই জানাচ্ছিলো। আসলে আমারও এখন সেটা মনে হচ্ছে। দোষটা লেখকেরই। তারপর আমার জীবন এখন নিলা এবং গুয়েনকে নিয়ে ভালোই আছে। আমার মেয়ে আছে একটা যে আমাকে নিজের আসল বাবা না মানলেও আসলে কিন্তু আমিই তার বাবা। আজ অনু তার ইউনিভার্সে যেতে বলেছে। কারন কি আমি জানি না। তবে এর আগেও অনেকবার যোগাযোগ করেছে, কিন্তু আমি যায় নি রাগ করেই। তবে আজ কেনো জানি যেতে মন চাইলো। কারন শুধু আমি না, বরং ডাইভার্সের সবাই আজ যাবে হৃদয় এবং অনুর ইউনিভার্সে। দেখা যাক নতুন কোনো এডভেঞ্চার আসে নাকি।
।।।।
।।।
।।
।
(((সমাপ্ত)))
।
।।
।।।
।।।।
কেমন হলো জানাবেন।