#ডাইভার্স#
#সিজন_2#
.
পর্ব:০৩
.
.
লেখক:হৃদয় বাপ্পী
.
.
আমরা রাতের দিকে হোল্ডার কম্পানির আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্লোরে চলে আসলাম। মিটিং রুমে সবাই বসে আছে। এখানেই সবাই বেশীরভাগ সময় থাকে, কারন প্রয়োজনীয় কথা এখানেই হয়। বাকি ছয়জন কি একটা নিয়ে কথা বলছিলো আমাদের আসার আগে থেকেই। আমরা আসার পর আমরাও বসে পরলাম।
.
--নিয়াক তোমার ট্রেনিং শেষ হয়েছে?(অনু)
.
--হ্যা।(আমি)
.
--তাহলে এক কাজ করো কালকে থেকে হৃদয় এর সাথে ফাইটিং ট্রেনিং শুরু করো তুমি, ডুইন, হিমারো, রেনো এবং হায়ান। তাতে করে সবাই সমান শক্তিশালী হয়ে যেতে পারবে।(অনু)
.
--ট্রেনিং ফ্লোরে লড়াই করলে তো পুরো বিল্ডিং ভেঙে যাবে।(হিমারো)
.
--সেটার চিন্তা করতে হবে না। আমি তোমাদের ট্রেনিং এর জন্য পুরো একটা দ্বীপ কিনে ফেলেছি। যেখানে আমরা কালকেই শিফট হবো। আমাদের ক্যাম্প সেখানেই হবে কালকে থেকে।(অনু)
.
--ওও তাহলে তো অনেক ভালো হবে। তবে অনু আমি ভাবছিলাম আমাদের লাল Pen of Eyes খুজে দেখার দরকার ছিলো।(আমি)
.
--সেটা নিয়েও অনেক বিস্তারিত তথ্য আমি খুজে বের করেছি। অনুর অস্ত্রটার কোড ডিকোড করে আমি এবং হায়ান দুজনে সেটার বিপরীত কিংবা একই অস্ত্রের খোজ করেছি, যেটার মাধ্যমে জানতে পেরেছি সেটা(মিচেল বলতে গিয়ে বললো না)
.
--তোমার pen of eyes না কি বলছো সেটা আমার তলোয়ার এবং ট্রিশুলের মধ্যে ভাগ হয়ে গিয়েছিলো।(হৃদয়)
.
--মানে?(আমি)
.
--আমি বোঝাচ্ছি। আমরা একটা ডিভাইস আবিষ্কার করেছি যেটা পুরানো জিনিসকে খুজে বের করে। তো যখন আমাদের বাবা আমাদের গ্রহের টাইম মেশিন ধ্বংস করে দেই তখন সেটার মধ্য দিয়ে লাল কলমটাও চলে যায়। সময়ের অনেক অতীতে আলাদা একটা ইউনিভার্সে কলমটা হারিয়ে যায়। তবে সেখানেই কলমটা একটা আলাদা জায়গায় বন্ধী করে নেই নিজেকে, কারন আমাদের এই দুটো কলমের মধ্যেই স্প্রিট(আত্মা) রয়েছে। যার জন্য তারা নিজেকেই আলাদা একটা জায়গায় নিজেদের বন্ধী করে নেই, যাতে কেউ তাদেরকে খুজে বের না করতে পারে। সময়ের সাথে সাথে কলমটা দুটো ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একটা তলোয়ার হয়ে যায় এবং অন্যটা ট্রিশুল। যার দুটোই হৃদয় এর হাতে পরে যায়। কারন দুটোই অবস্থান করছিলো হৃদয় এর ইউনিভার্সের পৃথিবীতে।(অনু)
.
--এটা কিন্তু চিটিং, এটা আমার হওয়ার কথা ছিলো।(আমি)
.
--কলমের ভিতরে একটা স্প্র্রিট রয়েছে যে তার ব্যবহার কারীকে সিলেক্ট করে। যদি তুমি সেটার যোগ্য হও তাহলে ঠিকই তোমাকে ধরতে দিবে তলোয়ার। নাহলে তুমি সেটা ছোয়া দিতেও পারবে না।(হৃদয়)
.
--এটা কোনো কথা। অস্ত্রটা আমার জন্য বানানো হয়েছে, আমি ছুতে না পারলে কেউ পারবে না।(আমি)
.
--ঠিক আছে নাও। যদি তুমি ধরতে পারো এটা তাহলে তোমার অস্ত্র তোমার হয়ে যাবে।(হৃদয়)
।।
।।
হৃদয় তার হাত মুঠো করলো সাথে সাথে তার হাতে তলোয়ারটা চলে আসলো। সে আমাকে বারিয়ে দিলো তলোয়ারটা। আমি ধরলাম তার হাতল। কিন্তু এতো গরম হবে তলোয়ারটা সেটা কখনো বুঝতে পারি নি। মনে হচ্ছে আমি লাভার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছি। যেটা আমি মোটেও সহ্য করতে পারছিলাম না। যার কারনে আমি ফেলে দিলাম তলোয়ারটা।
.
--নিয়াক এই হলুদ এবং লাল দুটো কলম মূলত আমাদের জন্য তৈরী হয় নি। বরং তাদের জন্য তৈরী হয়েছে, যারা সব কিছু হারাতে রাজি অন্য একজনের জীবন বাঁচাতে। তুমি এখনো সেটার যোগ্য হও নি।(অনু)
.
--আচ্ছা বাদ দাও। আমার এরকম ফালতু কোনো অস্ত্র লাগবে না। আমার ঘুম পাচ্ছে আমি গেলাম।(আমি)
।।।
।।।
আমার হাত এখনো জ্বলছে। সেটা পুড়ে গেছে তলোয়ারের হাতল ধরার পরেই। তবে হিলিং ক্ষমতা থাকার জন্য আমার হাত হিল হচ্ছে আস্তে আস্তে। একটা জিনিসই আমার চিন্তায় আসছে যে আমার যা থাকার কথা সেটা সবই হৃদয় কেড়ে নিয়েছে বা নিচ্ছে বা নেওয়ার চেষ্টা করছে। ওর সাথে কি আমার জন্মগত কোনো শত্রুতা আছে? প্রথমে আমার বোনকে, তারপর আমার নিজের বউকেও কিস করেছে, এবং এখন সে আমার অস্ত্রই ব্যবহার করছে যেটা আমার কাছে থাকার কথা ছিলো। আমি সঠিক জানি না কিন্তু আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে এই হৃদয়ই আমার আসল শত্রু। কে এই হৃদয় ওর সম্পর্কে আমাকে আরো ভালো ভাবে জানতে হবে। এখন যেভাবে আমার চিন্তা যাচ্ছে হয়তো ওর সাথে আমার অনেক বড় বন্ধুত্ব হবে কিংবা শত্রুতা। ভাগ্য আমাদের কোন দিকে নিয়ে যায় সেটাই এখন দেখার পালা। দেখা যাক কি হয়। তবে আপাতোতো আমার ওকে নিয়ে চিন্তা না করে ঘুমাতে হবে। অনেকদিন হলো শান্তিমতো ঘুমানো হয় না। আজকে মন মতো ঘুমাবো, কারন আজ ট্রেনিং নেই। কালকে আমাদের নতুন লোকেশনে যেতে হবে। জানি না দ্বীপটা কেমন হবে। আমার ভাবতেই অবাক লাগে অনুর কাছে এতো টাকা আছে যে সে পুরো একটা দ্বীপই কিনে ফেলেছে। আমি অবাক হলাম বিষয়টা জানতে পেরে। যদিও জানি অনেক ধনী তার কম্পানি কিন্তু যত টাকা এতোদিন শেষ করা হয়েছে তাতে মনে হয় না একটা দ্বীপ কেনার মতো টাকা থাকবে ওর কাছে। আমি বেশী আশ্চর্য হয়েছি এটা শুনে যে কোনো দেশ দ্বীপও বিক্রি করে। যাইহোক কালকে দ্বীপে যাওয়া যাবে। আজকে ঘুমাতে হবে।
।।।
।।।
আমরা পরের দিন হোল্ডার কম্পানির টপ ফ্লোরে উঠলাম সকালেই। নাস্তা করার পরে অনু আমাদের এখানেই আস্তে বলেছে, যেখানে আমরা পৌছে একটা বিশাল জেট বিমান দেখতে পেয়েছি। অবশ্য এটা সাধারন কোনো জেট বিমান না। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জেট বিমানকে রাশিয়ার জেনারেল এর সাহায্যে অনু এখানে নিয়ে এসেছে। এবং এটাকে মিচেল, হায়ান, রেনো মিলে আপগ্রেড করেছে। যেটার ফলে এটা একটা মনস্টারে রূপ নিয়েছে এখন। আমি এখনো এটার ক্ষমতা সম্পর্কে জানি না, তবে মিচেল এর থেকে শুনেছি এটা সমুদ্র, মহাকাশ যে কোনো জায়গায় ভ্রমন করতে পারবে। এছাড়া এটার এনার্জিও Infinite। মানে এর মাঝে যে এনার্জি সোর্স ব্যবহার করা হয়েছে, সেটা কখনো শেষ হবে না। যেটা মিচেল এর প্লানেট থেকে এসেছে। মানে আমরা মহাকাশের যে কোনো প্রান্তে যেতে পারবো এটা দিয়ে, তারপরও এর এনার্জি শেষ হবে না। শুনলেই অবাক লাগে এরকম একটা জিনিস আদৌও আছে। সাধারন মানুষের কাছে বললে তারা পাগল বলবে। কিন্তু এটা শুধু আমাদের এই পৃথিবীতেই নতুন। কারন বাইরের গ্রহের প্রানীরা এই ইনফাইনাইট এনার্জি দ্বারাই গ্যালাক্সির পর গ্যালাক্সি ভ্রমন করে। আমরা সকলে জেট এর উপরে উঠলাম। জেটের নামও আমাদের টিমের সাথে মিলে রাখা হয়েছে ডাইভার্স জেট। মূলত আমাদের টিমের নাম ডাইভার্স রাখা হয়েছে কারন ডাইভার্স মানেই এক ইউনিভার্সের সাথে আরেকটা ইউনিভার্সের লিংক। আর যেহেতু এখানে আমরা এক একজন এক এক ইউনিভার্সে তাই অনু আমাদের টিমের নাম রেখেছে ডাইভার্স। আমরা আমাদের নতুন জেট প্লেনে প্রবেশ করলাম।
।।।
।।।
সাথে সাথে মাথার উপর থেকে ছাদ খুলে গেলো, যেটার পর আমাদের জেট উপর দিয়ে উড়তে শুরু করলো, জেট ফ্লোর থেকে টেক অফ করার সাথে সাথে পুরো ইনভিসিব্যাল হয়ে গেলো। যেটার কারনে আমাদের কেউ বাইরে থেকে দেখতে পারবে না। মানে বাইরে থেকে আমাদের জেট কারো চোখে পরবে না। তাছাড়া এটা একটা Noice Cancelatoin জেট। যার কারনে কোনো আওয়াজ বাইরের কেউ শুনতে পারবে না এটার পাশে থাকলেও। যেটা আমাদের পরিচয়কে বাইরের সবার থেকে গোপন রাখবে। আমরা চাই না আমাদের পরিচয় দুনিয়ার সবাই জনুক, তাতে আবার অনেক সমস্যার সৃষ্টি হবে। যেটা অনেক গুরুতর পাওয়ার সংকট সমস্যা তৈরী করবে। আপাতোতো আমাদের জেট একদম হাইপার স্পিডে কিছু মিনিটে আমাদের গন্তব্য স্থলে পৌছে গেলো আমাদের জেট। একটা বিশালাকার দ্বীপ যেটার মাঝখানে একটা ভলকানো রয়েছে, যেটা দিয়ে মাটির ভিতরের লাভা বের হয়। অনেক সুন্দর একটা পরিবেশ সেটা বুঝলাম।
.
--আমি ভাবি নি এতো সুন্দর হবে দ্বীপটা।(ডুইন)
.
--হ্যা। কিন্তু আজ থেকে যে আমরা এখানে থাকবো তাতে সমস্যা তো তোমাদের হবে, তোমরা তো ডেটিং করতে পারবে না।(আমি)
.
--কি বোঝাতে চাচ্ছো আমরা ডেটিং করি শুধু, আমাদের এখানে আসার বড় কারন তুমি। সেদিন তুমি রাস্তার মধ্যে লড়াই শুরু করেছিলে, যেটা কতটা ভয়ঙ্কর জানো, শুধু ভাগ্য ভালো কারো জীবন ঝুকিতে ছিলো না।(অনু)
.
--দেখো সব কিছুতে তুমি আমার ভুল দেখবে না। হৃদয় এর সাথে প্রেম করছো সেটা দেখা যাচ্ছে। তাই ওর ভুল গুলো দেখছো না।(আমি)
.
--আমি কার সাথে কি করি সেটা তুমি তুলছো কেনো? আমার যা ইচ্ছা আমি করবে, সেটা তোলার তুমি কে?(অনু)
.
--এখাবে নিজেদের মাঝে ঝগড়া করে কোনো লাভ হবে না নিয়াক। তুমি শান্ত হও তোমার রাগ কন্ট্রোল করো।(হিমারো)
.
--দেখো তুমি আমার ভাই হও নি এখনো পুরোপুরি, শুধু আমার ভাইয়ের ক্ষমতা গুলো তোমার মাঝে আছে। যেদিন তুমি পুরোপুরি নিয়াক এর ফর্মে আসবে সেদিন আমাকে নিয়ে কিছু বলতে আসবে, তাই আমি কি করলাম না করলাম, সেটা নিয়ে তোমার ভাবার কোনো প্রশ্ন আসে না এখন।(অনু আমার মনের কথা শুনতে পেরে বললো আমাকে)
।।
।।
আমি হৃদয় এবং অনুর সম্পর্ক নিয়েই ভাবছিলাম। যেটা ও শুনতে পেয়ে আমাকে উত্তর দিলো। অবশ্য আমাকে ছোট করে দেখছে অনু, যেটা আমার মেজাজ অনেক গরম করে দিলো। আমার রাগ কনট্রোলে না থাকলে আমি নিজেই জানি না আমি কি করি। হঠাৎ করেই আমার পিঠে কোথা থেকে একটা চাদর চলে আসলো, যেটা একদম গোল্ডেন কালার এর। যেটা দেখতে অনেকটা আমার বাবার যাকে আমি অন্য ইউনিভার্সের প্রিজন গ্রহের মধ্যে দেখেছিলাম তার গায়ের চাদরের মতো মনে হলো। যদিও তার চাদর আমারটার মতো এতো গোল্ডেন না। আমার শরীরে চাদরটা আসা দেখে অনু কান্না করে দিলো, এবং আমার সাথে কথা বলার জন্য অনেক পাগলের মতো হয়ে গেলো, কিন্তু ওর মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। আমি জানিও না আমার সাথে কি হচ্ছে। কিন্তু কি রকম একটা বোধ করছি মনে হচ্ছে আমার শরীর হঠাৎ করেই বদলে গেছে। আমার পারশোনালিটি হঠাৎ করেই চেন্জ হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে আমি পুরো প্রিন্স নিয়াকে ট্রান্সফর্ম হয়ে গেছি, যেখানে আমি যে কিনা আগে একটা সময়ে বাপ্পী ছিলাম। সে নিয়াকের অস্তিত্ব ফিরে আসার পর থেকে পুরো নিস্তেজ হয়ে গেছি। কিন্তু এরকম কোনো বোধ হচ্ছে না যে আমার শরীর অন্যের। বরং এখন মনে হচ্ছে আমি নিজেই নিয়াক। জিনিসটা কিছুক্ষন পর মাথায় আসলো। আমার মাঝে দুটো সত্ত্বা রয়েছে, একটা নিয়াক এর। যেটা কিনা আমার আসল সত্ত্বা। আর আরেকটা যেটা হৃদয় বাপ্পীর। যেটা এতোদিন এই পৃথিবীতে আমার পরিচয় ছিলো। তবে বুঝতে সমস্যা হচ্ছে আমার সত্ত্বা দুটো কিভাবে কাজ করছে। মনে হচ্ছে আমার অতিরিক্ত রাগের ফলে আমার নিয়াক এর সত্ত্বা একটিভেট হয়ে যায়, যেটা আমাকে পুরো নিয়াক এর ফর্মে ট্রান্সফর্ম করে। বিষয়টা আজব হলেও, আমি আমার শরীরকে ভালো করে দেখতে লাগলাম।
।।
।।
আমার শরীর দিয়ে গোল্ডেন আলো বের হচ্ছে যেটা অনেক প্রজল্লিত ভাবে জ্বলছে। যেহেতু আমার কাছে আমার নিয়াক সত্ত্বার জীবনের অতীত আছে তাই আমি এই গোল্ডেন চাদরকে চিনতে পারলাম। এটাকে দ্যা কেভ অফ গোল্ডেন ড্রাগন বলে। যেটা আমাদের ডাই এস্টার ইউনিভার্সের সবচেয়ে শক্তিশালী গোল্ডেন ড্রাগনের চামড়া দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। এরকম কোনো অস্ত্র কিংবা শক্তি আজ পর্যন্ত তৈরী হয় নি যেটা গোল্ডেন ড্রাগনের শরীরে ক্ষত করতে পেরেছে। কারন তার চামড়া সবচেয়ে শক্তিশালী যেটা কোনো অস্ত্র দিয়ে ক্ষত হয় না। আর গোল্ডেন ড্রাগনের সাথে আমার বাবার বন্ধুত্ব ছিলো অনেক সুন্দর। গোল্ডেন ড্রাগম আমার বাবাকে তার চামড়ার ছোট একটা অংশ দিয়ে আমার বাবার জন্য একটা চাদর তৈরীও করে দিয়েছিলো। তবে আমার চাদের রহস্য আমি জানি না। আমি বাবার থেকে শুনেছি আমি নাকি এই চাদর আমার জন্মের পর থেকেই পেয়েছি। সেটা কিভাবে আমি জানি না। তবে উত্তর হয়তো একদিন বের করতে পারবো।
.
--ভা -ইয়া।(অনু)
।।
।।
অনুর ডাক শুনে আমি এখন বুঝতে পারলাম আমার সত্ত্বা দুটো কিভাবে কাজ করছে আমার শরীরে। সহজ কথায় বলতে গেলে আমার নিয়াক সত্ত্বা যখন আমার শরীরকে কন্ট্রোল করবে তখন আমি প্রিন্স নিয়াক হবে যাবো। আর যখন আমার অস্তিত্ব হীন সত্ত্বা আমার শরীরকে কন্ট্রোল করবে তখন আমি যেরকম সব সময় ছিলাম সেরকম থাকবো। আপাতোতো আমার পারশোনালিটি আগের মতো নেই যেটা একটু আগে ছিলো। এখন আমি চিন্তা করছি অন্যরকম, ভাবছি অন্য রকম। সব মিলিয়ে আমি পুরোপুরি প্রিন্স নিয়াক আপাতোতো সময়ের জন্য। একটু আগের যে ছিলাম আমি সেটা এখন নেই আর। আবার যখন আমার আগের সত্ত্বা আমার শরীর কন্ট্রোল করবে তখন আমি আগের মতো হয়ে যাবো।
.
--হায়াকা।(আমি)
.
--ভাইয়া।(বলেই কেদে কেদে আমার বুকে জরিয়ে ধরলো)
।।।
।।।
অনু আগে এরকম কখনো করে নি। হয়তো সে জানতো আমি সম্পূর্ন নিয়াক হয় নি তখনো। আমি জানি না নিয়াক দেখতে কেমন, কিন্তু আমি এটা অনুভব করছি যে আমার চেহারাও এই মুহূর্তে পাল্টে গেছে। আমি সিওর জানি না তবে ছোট বেলার চেহারা আমার মনে আছে। কিন্তু তখন অনেকটা ছোট ছিলাম। তাই তখনকার আর এখন কার চেহারা আমি মিলাতে পারছি না। যদিও আমি চাচ্ছিলাম আমার এই ফর্মে থাকতে, কিন্তু সেটা হলো না। আমি পুরো বেহুস হয়ে গেলাম। হয়তো আমার শরীর এখনো এতোটা শক্তিশালী হয় নি নিয়াকের ফর্মে বেশীক্ষন থাকতে। আমাকে আরো শক্তিশালী হতে হবে সেটার জন্য।
।।।।
।।।
।।
।
(((চলবে)))
।
।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরের পর্বের জন্য। সত্ত্বার বিষয় ঠিক মতো না বুঝলে বলবেন, আলাদা একটা পোস্টে বুঝিয়ে দিবো।