*ভূতের প্রেম*
পার্ট:3
লেখক: হৃদয় বাপ্পী
।
।
-দেখো তুমি মারা গেছো এতে আমার কি দোস।তুমিই তো পা পিছলে পরে গিয়েছিলা।(আমি ভয়ে বললাম)
-হুমমম।আমি পরে গেছিলাম।কিন্তু পরেছি কার জন্য।তোমাকে ধরতে গিয়েই পরেছিলাম।এখন তোমাকে ও ফেলে দিয়ে আমার মতো মেরে ফেলবো।(ময়না)
-কি বলছো তুমি আমাকে মেরে ফেললে আমার আম্মুর কি হবে।(আমি)
-সেটা আমি কি জানি।আমি মরেছি আরতো বাছতে পারবো না তো তোমাকে ও মেরে আমরা এক হবো।(হেসে বলল ময়না)
-আমি মরতে চায় না প্লিজ তুমি আমাকে মেরো না।তুমি তো আমার বউ তোমার স্বামিকে কি তুমি মারতে পারো।(আমি)
-স্বামি যদি বউকে মারতে পারে বউ কেনো স্বামিকে মারতে পারবে না।(ময়না)
-আমি তো তোমায় মারি নাই।তোমাকে তো আমি ভালো বাসি।প্লিজ ময়না আমাকে তুমি ছেড়ে দাও।(আমি)
-ঠিক আছে সেইটা পরে ভেবে দেখবো এখন চুপচাপ তোমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমায়তে দাও।(ময়না)
-আচ্ছা ঘুমাও।
।
।
ময়না আমার বুকে ঘুমিয়ে পরেছে।ইসসস যদি ময়না বেচে থাকতো তাহলে কতই ফাজলামি করতাম কিন্তু ও তো ভূত।রেগে গেলে আমাকে মেরে ফেলবে।সকালে কারো ডাকে ঘুম ভাঙলো।দেখি ময়না ডাকতেছে।
-এই কত ঘুমাবা।উঠ এখন।(আমি)
-আর একটু ঘুমায়।না।
-এই তুমি উঠবা না এখনই মেরে ফেলবো।(ময়না)
-না না উঠছি।আচ্ছা একটা কথা বলবা।(আমি)
-তোমাকে শুধু আমি দেখি কেনো?(আমি)
-সময় হলে সব জানতে পারবা।(ময়না)
-ওওও।
।
।
ফ্রেস হয়ে নাস্তা করে ছাদে চলে এলাম।বাসায় মামার বিয়ের কোনো নাম গন্ধ ও নাই।আম্মু তো বলল মামার বিয়ে।কিছুই বুঝতেছি না।তাহলে চারদিন পর কার বিয়ে হবে কে জানে।এই তিন দিন ময়না আর আমার কাছে আসলো না আমি ও রুম থেকে বের হই না।কালকে বাসায় বিয়ে।কিন্তু কার বিয়ে আমি এখন ও জানি না।ময়নাকে এই তিন দিন অনেক মিস করছি।মন চাচ্ছা এখন ই পরে গিয়ে ময়নার কাছে চলে যাবো কিন্তু কিছুই করার নাই।
।
।
রাতে ছাদে গেলাম দেখি ময়না ছাদে দারিয়ে আছে।
তুমি এখানে আমি তোমাকে কতো খুজলাম।আমার কাছে আসো নাই কেনো।(আমি)
.
-একবারে তোমার কাছে আসবো বলে আর তোমার কাছে যাই নায়।(ময়না)
.
-ও প্লিজ আমাকে তুমি মেরো না আমি মরতে চায় না।(আমি)
.
-আচ্ছা মারবো না কিন্তু আমার একটা শর্ত আছে মানতে হবে।তোমার যে কোনো শর্ত আমি মেনে নিব তাও আমাকে মেরো না প্লিজ।(আমি)
.
-ঠিক আছে।কালকে কার বিয়ে হবে যানো?
.
-ছোট মামার।(আমি)
.
-আরে না।তোমার বিয়ে হবে।মেয়ে ও ঠিক করা আছে।(ময়না)
.
-আমার বিয়ে কেনো।আমার বিয়ে তো তোমার সাথে হয়েছে।আমি কালকে বিয়ে করবো না।(আমি)
.
-তোমাকে কালকে বিয়ে করতে হবে নাহলে আমি(ময়না)
.
-ঠিক আছে আমি বিয়ে করবো তাও তুমি আমাকে মেরো না প্লিজ।(আমি)
.
-ঠিক আছে তাহলে কালকেই বিয়ে হয়ে যাবে তোমার।।।আর সারপ্রাইজ ও আছে তোমার জন্য।(ময়না)
।
।
।
ময়না এই বলে নিচে চলে গেলো আমিও ভাবনায় পরে গেলাম।আমি তো ময়নাকে ভালোবাসি ওকে ছাড়া অন্য মেয়েকে বিয়ে কিভাবে করি।আর ওর সাথে তো আমার বিয়ে ও হয়েছে।ও বাচা নাই তো কি হয়ছে।না আমাকে বিয়ে করতে হবে আমি তো মরতে চায় না।এসব ভাবতে ভাবতে নিচে চলে আসলাম।আমার রুমে এসে ঘুমিয়ে পরলাম।পরের দিন। আম্মু বলল,
-বাবা তোর আজকে বিয়ে ঠিক করা হয়েছে।(আম্মু)
.
-আম্মু আমি বিয়েতে রাজি তোমরা বিয়ে দাও।(আমি)
.
-আমি জানতাম তুই রাজি হবি। এখন উঠ ঘুম থেকে।(আম্মু)
।
।
সকাল থেকে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আমার বিয়ের কাজ শুরু হল।মেয়ে কে তা আমি জানি না।বিয়ের আয়োজন দেখে মনে হচ্ছে মেয়েকে আমাদের নানা বাসায় আনা হয়েছে।।।।।।অবশেষে ২ নম্বর বিয়েটাও হয়ে গেলো।এখনও জানি না মেয়ে কে।আমাকে শুধু কবুল বলতে বলছে আমি বলে দিসি।চলে এলাম ছাদে।।আমার ময়নাটাকে দেখতে পেলাম না হয়তো কষ্ট পাইছে তার স্বামি এখন অন্য কারো এটা মেনে নিতে পারবে না।কিন্তি ওইতো আমাকে বিয়ে করতে বলল।আমার খালাত মামাতো ভাই আর বোনেরা আমাকে জোর করে ধরে বাসর ঘরে নিয়ে গেলো।আমার আর ময়নার ঘরকেই বাসর ঘর হিসাবে সাজানো হয়েছে।আমি যেতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু সবাই আমাকে জোর করে পাঠিয়ে দিল আর ঘর বন্ধ করে দিল।আমি ও ঘর বন্ধ করে ওর পাশে আসলাম।লম্বা ঘোমটা দিয়ে বসে ছিল।আমি আসা মাত্র আমার পা ধরে সালাম করল।।আবার ও বিছানায় বসে পরলো ঘুমটা দিয়ে।
-দেখুন আমি আপনাকে বিয়ে করেছি। কিন্তু আপনাকে স্তীর অধিকার দিতে পারবো না।আমি অন্য একটা মেয়েকে ভালোবাসি।(আমি)
.
-কি বললি তুই আমাকে ছাড়া আর কাকে ভালোবাসোস।।
.
-আরে তুমি এখানে কেমনে আমার বউ কোথাই।
.
-কেনো আমিই তো তোর বউ।অন্য কেউ তোর বউ হলে আমি তাকে মেরে তোর বউ হতাম।
.
-কিন্তু তুমি তো মারা গেছিলা।তাহলে আমার বিয়ে ভূতের সাথে হয়েছে।
।
বুঝলেন তো আপনারা আমার বিয়ে হলো আমার ভূত বউ ময়নার সাথে।
।
।
(চলবে)