*ভূতের প্রেম*
পার্ট:4(শেষ)
লেখক: হৃদয় বাপ্পী
।
।
অবশেষে আমার বিয়েটা আমার ময়নার সাথেই হয়ে গেলো।কিন্তু কিভাবে হলো বুঝলাম না।তাই আমি বললাম,
-ময়না তুমি তো ভূত।আমার সাথে তোমার বিয়ে হলো কিভাবে একটু বলবা।(আমি)
.
-সেটা আজকে জানতে হবে না।আজকে আমাদের বাসর রাত সো লাইটটা বন্ধ করে আমার কাছে আসো।(ময়না)
.
-না না তোমার কাছে যাবো না তুমি ভূত।(আমি)
.
-তোমার কি এখনো মনে হচ্ছে আমি ভূত।(ময়না)
.
-হুমম
.
-তাহলে দারাও আমি মানুষ প্রমাণ করে দি।(ময়না)
.
তারপর আর কি।আমাকে টান দিয়ে বিছানায় ফেলে দিয়ে লাইট বন্ধ করে দিয়ে আমার উপর বসলো।তারপর আর কি একটা ইতিহাস হয়ে গেলো।।।।
।
।
।
পরের দিন সকালে উঠলাম ময়নার ডাকে।সকাল সকাল ভিজা চুলে পরীর মতো লাগছে।আমি ও পিছন থেকে জরিয়ে ধরলাম,
.
-এই দুষ্টমি করছো কেনো। কেউ দেখে ফেলবে।(ময়না)
.
-আমি আমার বউকে ধরেছি যে যা দেখার দেখুক।
.
-বাবা ্হহহ আজকে এতো সাহস। আসলো কোথা থেকে।(ময়না)
.
-তুমিইতো কালকে রাতে আমার সাহস ভেঙে দিলে।
.
-কি করলাম যে তুমি এতো সাহসী হয়ে গেলা।(ময়না)
.
-এই তো রাতে যেভাবে আমি আর তুমি।
.
আমার মুখে হাত দিয়ে ময়না,
-তোমার মুখে কিছুই আটকাই না।আমাদের রাতে কথা রাতেই থাকবে।(ময়না)
.
-ওকে।
.
-যাও গোসল করে আসো এখন।(ময়না)
.
-এতো তারাতারি গোসল করবো না আমি।(আমি)
.
-ওকে তাহলে আজকে রাতে আমাকে ধরতেও পারবা না।।।(ৃয়না)
.
-আচ্ছা যাচ্ছি।(আমি)
।
।
গোসল করে নিচে খাইতে আসলাম।ময়না তো সব খাবার আমার প্লেট এ তুলে দিচ্ছে।
-জামাইকে একটু কম কম খাওয়া।(ছোট মামা)
.
-চাচ্চু তোমরা তো খাবাই।কিন্তু এত দিন তো আমি আমার জামাই এর যত্ন নিতে পারি নাই।তোমরা আমাকে ওর থেকে কতো দূরে রাখছো।(ময়না)
.
আমাকে এতো দিচ্ছো আমি খাবো কিভাবে।(আমি অসহায় হয়ে বললাম)
.
-মামা তুই আমাকে দিস।(ছোট মামা)
.
-ভাইয়া না পারলে আমরা তো আছি।(সাজেন)
.
-এই তুমি সব একা খাবা।আমি এখানে বসে আছি তুমি যতক্ষন সব খাবা না আমি তোমাকে যেতে দিচ্ছি না।(ময়না)
-ফুপি তুমি আমার জামাই টাকে না খেতে দিতে দিতে একদম পাতলা বানিয়ে দিসো।।(ময়না)
.
-জামাই তোর তুই যেভাবে খাওয়াবি সেভাবেই খাবে ও।।।(আম্মু)
.
-হুমমমম আমি রোজ ওকে এভাবে খাওয়াবো।(ময়না)
।
।
বাবা আমি তো শেষ ভূত হলে ও ভালো ছিল।একবারে মেরে ফেলতো কিন্তু এখন তো খাওয়াই খাওয়াই মারবে আমাকে।পেট পুরা লোট হয়ে গেছে।মানুষ এতো খেলে কিভাবে বাচবে।কি আর করার সারাদিন কেটে গেলো সবার সাথে গল্প করতে করতে।।।।।।।দুপরেও আমাকে আমার বউ মরে যাওয়ার মতো খাইয়েছে।রাতে কিছুই খাই নাই।ছাদের দোলনায় বসে ছিলাম।দেখি ময়না আসলো যাক একটু প্রেম করতে পারবো সারাদিন পর।কিন্তু কিছুই হলো না,
.
-বাবুই হা করো।(প্লেট এ খাবার নিয়ে এসে ময়না আমাকে বললো)
.
এখন খেলে তো আমার পেট ফেটে যাবে।কিন্তু খাইয়ে দিতে চাচ্ছে ময়না।তাই আমি কিছু খেয়ে ময়নাকে ও খাইয়ে দিলাম।।
।
খাওয়ার পরে ময়না আমার ঘারে মাথা দিয়ে আমাকে জরিয়ে ধরে আকাশের চাদ দেখতে লাগলো।আমি ও ওর সুন্দরর্য উপভোগ করতে লাগলাম।
-আচ্ছা তুমি এতোদিন আমাকে রেখে কোথাই ছিলা।(আমি)
.
-তোমাকে কিছুই বলে নাই তাহলে।আমি USA তে আমার নানুর কাছে ছিলাম।আমি ওখানে যেতে চাই নি যানো।।।আমাদের এত ছোট বেলার ভালো বাসা দেখে সবাই মিলে আমাকে পাঠিয়ে দেই।।।(ময়না)
.
-তাহলে আমাকে কেনো বললো যে তুমি মারা গেছো?(আমি)
.
-আমাকে বলছে যে তুমিই নাকি আমাকে USA তে যেতে বলছো আর বড় হলে আমরা আবার এক হবো।(ময়না)
.
-তাহলে তুমি যানতা যে আমি জানি তুমি মারা গেছো আর আমাকে ভয় দেখিয়েছো।(আমি)
.
-আমি এখানে এসেই আমার শ্বাশুড়ীর কাছে শুনছি এই কথা।আর তুমি আমার খোজ নাও নাই এজন্য আমি এমনিতে রেগে ছিলাম তাই তোমাকে ভূত হয়ে ভয় দেখিয়েছি।(ময়না)
.
-তাহলে আমার সব ক্লিয়ার।(আমি)
.
-কি ক্লিয়ার।(ময়না)
.
-আজকে রাতেই বুঝায় দিবো।(আমি ময়নাকে কোলে নিয়ে কথাটি বললাম)
.
-এই ছাড়ো পরে যাবো তো।(ময়না)
.
-আজকে ছাড়বো না।কালকে তো ভয়ে কিছুই করতে পারি নি।কিন্তু আজকে সারারাত হিহি।(আমি)
.
-যা ফাজিল কোথাকার।(ময়না)
।
আবার ও একটা ইতিহাস।আরে ভাই ইতিহাস শুনতে হবে না।।।।।
।
।
৫ বছর পর।।,
এখন বাসায় আমরা ৬ জন থাকি। বাবা,আম্মু,আমি,বউ আর আমার একটা ছেলে আর মেয়ে।আমার সন্তান দুইটাও আমার ময়নার মতোই দুষ্টুমি করে।আমাকে তো ৩ মা মেয়ে ছেলে মিলে ভয় দেখায় এখন।।।।
।
(সমাপ্ত)
।