*গুন্ডি মেয়ে যখন বউ*
পার্ট:০১
লেখকঃ হৃদয় বাপ্পী
।
।
-বাবা উঠ না।(আম্মু)
.
-আর একটু ঘুমায় আম্মু।(আমি)
.
-না আর ঘুমানো যাবে না।৮ টা বেজে গেছে।
আজকে তোর প্রথম কলেজের দিন।(আম্মু)
.
-কি ৮ টা বেজে গেছে।তুমি আমাকে আরো
আগে ডাকলে না কেনো।
.
-আমি তো কখন থেকেই ডাকছি।তুইতো
উঠতেছিলি না।যা ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে রেডি
হয়ে নে।(আম্মু)
।
।
ফ্রেস, নাস্তা আর রেডি হতে হতে পরিচয়টা দিয়ে
দিই।আমার নাম বাপ্পী।বাবা-মার দুইমাত্র ছেলে।।আমি
এবার ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ি।আর আমার ভাইয়া আছে।
সে কি করে সেটা নাহয় পড়েই যানতে
পারবেন।ের।।।যাক রেডি হয়ে চলে এলাম
কলেজে।্কলেজটা আমাদের বাসার কাছেই।
হেটে যেতে ৫ মিনিট লাগে।কিন্তু কলজে যাওয়ার
পর আমার মনে যেটার ভয় ছিল সেটাই হচ্ছে।নতুন
সবাইকে যার্গ করা হচ্ছে।কিন্তু এখানে যার্গ কিন্তু
কোনো বড় ভাইয়ারা করছে না।করছে কয়েকটা
মেয়ে।তাদের মাঝেই একটা মেয়েকে
দেখলাম।অনেক কিউট কিন্তু সেই মনে হয়
ওদের লিডার।কি আর করার আমি ভয়ে চলে যাচ্ছিলাম
তখনই,
.
-এই ছেলে শোন।(মেয়েটা)
.
আমি কিছু না বলে চলে আসতে যাবো তখন
মেয়ে রাগে আমার সামনে এসে বলল
.
-এই কানে শুনোস না তোকে ডাকছি।(মেয়েটা)
.
-জী আমাকে বলছেন।(আমি)
.
-এখানে তোকে ছাড়া কাউকে দেখতে
পাচ্ছোস।(রাগে বলল মেয়েটা)
.
-না এখানে অনেকেই আছে তাদেরকে
বলেছেন মনে হয়।(আমি)
.
-এই বেশী কথা বলবি না নাহলে তোর খবর
আছে।(মেয়েটা)
.
-জী আমি খবর পড়ি না।(আমি)
.
-তোকে যে আমি কি করবো আমি ভেবে ও
পাচ্ছি না।(মেয়েটা)
.
মেয়েটা রেগে যাচ্ছে।আসলে আমি একটু দুষ্টমি
করতে ভালোবাসি।আর আমার কথা গুলোই
মেয়েটা একদম রেগে গেছে।মনে হয়
মেয়েটা অনেক রাগি।তার উপর আবার গুন্ডি
মেয়ের মতো থাকে।এখানে থাকা ভালো হবে
না এখন।নাহলে কিছু একটা হতো পারে,
.
-আপু ঐই দিকে দেখেন আপনার আব্বু।(আমি)
.
মেয়েটা যখনই তাকালো আমি ও দোড়।একদৌড়ে
ক্লাসে।যাক বাবা গুন্ডি মেয়ের হাত থেকে রক্ষা
পাওয়া গেছে।মেয়েটা একদমই গুন্ডি।প্যান্ট শার্ট
পরে থাকে ছেলেদের মতো।তারপর আবার
আমাদের মতো নিরীহ ছেলেদের উপর
অত্যাচার করে।কিন্তু মেয়েটা সেই সুন্দর আর
কিউট।যখন রেগে যাই তখন আরো সুন্দর দেখে
যায়।
।
ক্লাসে কয়েকটা ফ্রেন্ড ও হয়ে গেলো।সবার
সাথে একটু কথা বলতে ছিলাম।কিন্তু একি।সেই গুন্ডি
মাইয়া তো আমাদের ক্লাসে চলে আসছে।তাহলে
আমাদের সাথেই পড়ে।আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে
তাকিয়ে আমার কাছে আসতে লাগলো,
.
-এই তখনতো পালিয়ে চলে আসলি এখন কোথাই
যাবি এখন তো যেতে পারবি না।(মেয়েটা)
.
-হুমমম আচ্ছা আমি হার মেনে নিচ্ছি আপু আপনি যাই
বলবেন আমি তাই শুনবো।(আমি বললাম)
.
-এই আপু বলবি না আপু বললে তোর নাক ফাটিয়ে
দিব।বুঝলি।এবারের মতো কিছুই বলবো না কিন্তু
এরপরে যদি আমার সামনে আসোছ তাহলে তোর
খবর। আছে।(মেয়েটা)
.
-ঠিক আছে।(আমি)
.
-মনে ঢুকিয়ে রাখ।(মেয়েটা)
।
।
এই বলে মেয়েটা একটা বেন্চে বসলো।আর
আমার বন্ধুরা বলতে লাগলো,
.
-মামা ও কিন্তু গুন্ডি মেয়ে।খুব রাগি একটা মেয়ে।
ওর বাবা আমাদের কলেজের principal। আর ওর
ভাইয়া আমাদের এলাকার এসপি।এজন্য মেয়েটা খুব
রাগি আর জেদি।তুই একটু সাবধানি থাকবি।(রানা)
.
।
।
মেয়েটা মেয়েটা করতেছি আমি তো তাহলে ওর
নাম জানি।।।।জাফর আঙ্কেলর মেয়ে মানে ওর নাম
হল সাদিয়া।তাহলে আর কি।ক্লাস করে বের হয়ে
গেলাম।দেখলাম ক্লাসের সামনে একটা বকুল
ফুলের গাছ ছিল তাই একটা ফুল ছিরে দারিয়ে রইলাম।
সাদিয়া আসলো আমি ওর সামনে গিয়ে দারিয়ে বললাম,
-ওগো গুন্ডি পেত্নি ভূতরাণী তোমাকে
দেখলেই আমার বমি আসে।তোমার এই ঘোলা
পানির মতো চোখ আর পাগল লোকের
কুকরানো চুল দেখে আমি তোমার প্রেমে
পরে গেছি।কেউ তোমার মতো পেত্নিকে
ভালো বাসবে না। তাই। আমি তোমার উপর করুণা
করলাম।আমার এই ফুলটা নিয়ে তুমি আমার হয়ে যাও।।
(একটু ভালোই প্রপোজ করলাম)
।
দেখলাম সাদিয়া রাগে ফুলে গেছে।সবাই হাসা হাসি
করতে ছিল।আর সাদিয়া ও রাগতে ছিল।আমি বুঝলাম
পরিস্হতি খারাপ এখন থাকা যাবে না এখানে।তাই সোজা
দৌড় দিয়ে বাড়ি চলে এলাম আাসার সময় সাদিয়া বলল,
.
-তোকে আবার পেলে তোর অবস্হা আমি কি
করি দেখে নিস।
।
আমার আর কি চলে এলাম বাসায়।এক সপ্তাহ
কলেজে যাবো না এখন।ভাইয়াকে ভুলে ও এই
কথা বলা যাবে না।।।।।কারণ তো আমার ভাইয়ার গফ
হলো সাদিয়া।ভাবির সাথে তাই একটু দুষ্টমি করলাম।কিন্তু
আমাকে পেলে যে কি করবে ভাইয়া আর ভাবি
সেটা তো এখনই ভাবতেে পারছি না।
।
(চলবে)
।